অনলাইন ডেস্ক
মাউন্ট তাম্বোরা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছিল। ১৮১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার এই আগ্নেয়গিরিটি ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। এতে সূর্যালোকে-প্রতিফলিত অসংখ্য সূক্ষ্ম কণার একটি বিশাল মেঘমালা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একপর্যায়ে পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে গেলে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর পরবর্তী সময়টি ‘গ্রীষ্মহীন এক বছর’ নামে পরিচিত। পৃথিবীর তাপমাত্রা হ্রাস পায়, ফসল নষ্ট হয়, মানুষ অনাহারে মারা যায়, কলেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে এবং লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এমনকি ধারণা করা হয়, এই অগ্ন্যুৎপাতই মেরি শেলিকে ১৮১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের অস্বাভাবিক ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে আশ্রয় নিয়ে ফ্রাংকেনস্টাইন রচনায় অনুপ্রাণিত করেছিল।
এর পরেও অনেক আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়েছে, কিন্তু তাম্বোরা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বশেষ বড় অগ্ন্যুৎপাত হিসেবে পরিচিত। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় পরে, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এমন আরেকটি অগ্ন্যুৎপাত শিগগিরই ঘটতে পারে।
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু গবেষক অধ্যাপক মার্কাস স্টফেল সিএনএনকে বলেন, এটি কখন ঘটবে তা শুধু সময়ের ব্যাপার। ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায়, এই শতাব্দীতে এমন একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা ছয় ভাগের এক ভাগ।
তবে এবার এটি এমন এক পৃথিবীতে ঘটবে, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবহুল এবং জলবায়ু সংকটের কারণে আরও উষ্ণ।
স্টফেল বলেন, ‘পরবর্তী বড় অগ্ন্যুৎপাত জলবায়ুর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। মানবজাতি এর জন্য কোনো পরিকল্পনা তৈরি করেনি।’
আগ্নেয়গিরিগুলো যুগে যুগে আমাদের পৃথিবীকে গঠন করেছে। এগুলো মহাদেশ তৈরি করেছে, বায়ুমণ্ডল গড়ে তুলেছে এবং জলবায়ুকে পরিবর্তন করেছে।
অগ্ন্যুৎপাতের সময় লাভা, ছাই এবং বিভিন্ন গ্যাস নির্গত হয়। এর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহ উষ্ণ করতে ভূমিকা রাখে, যদিও তা মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর তুলনায় নগণ্য।
তবে জলবায়ু প্রভাবের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা আরেকটি গ্যাস, সালফার ডাই-অক্সাইড, নিয়ে বেশি চিন্তিত।
একটি বড় অগ্ন্যুৎপাত সালফার ডাই-অক্সাইডকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার পেরিয়ে সাত মাইল ওপরে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পাঠাতে পারে। এখানে এই গ্যাস সূক্ষ্ম কণায় রূপান্তরিত হয়, যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়।
১৯৯১ সালে ফিলিপাইনের মাউন্ট পিনাটুবোর অগ্ন্যুৎপাত স্ট্রাটোস্ফিয়ারে প্রায় দেড় কোটি টন সালফার ডাই-অক্সাইড পাঠায়। এটি তাম্বোরার মতো বড় অগ্ন্যুৎপাত ছিল না, কিন্তু এটি কয়েক বছরের জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীরা প্রাচীন অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব গবেষণার জন্য বরফের স্তর ও গাছের বলয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এসব থেকে জানা যায়, অতীতে বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আধুনিক উষ্ণ পৃথিবীতে একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব আরও মারাত্মক হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, উষ্ণ জলবায়ুর কারণে বাতাসের চলাচল দ্রুততর হয়, যা খুদে তরল বা কঠিন কণাগুলোকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে কণাগুলো ছোট আকারে থেকে সূর্যের আলো আরও কার্যকরভাবে প্রতিফলিত করে এবং ঠান্ডা করার প্রভাব বাড়িয়ে দেয়।
পাশাপাশি, বরফ গলে গেলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের হার বাড়তে পারে। কারণ, বরফ গলে গেলে চাপ কমে, যা ম্যাগমার ওঠার গতি বাড়িয়ে দেয়।
একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক। একটি শহর মুছে যেতে পারে, খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
স্টফেল বলেন, বৃহৎ অগ্ন্যুৎপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা, সম্ভাব্য বিপর্যয়ের চিত্রায়ণ এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
‘এমন অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা খুবই কম, তবে এটি একেবারেই শূন্য নয়,’ তিনি বলেন, ‘এবং আমরা এখনো জানি না এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে।’
মাউন্ট তাম্বোরা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছিল। ১৮১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার এই আগ্নেয়গিরিটি ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। এতে সূর্যালোকে-প্রতিফলিত অসংখ্য সূক্ষ্ম কণার একটি বিশাল মেঘমালা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। এতে একপর্যায়ে পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে গেলে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এর পরবর্তী সময়টি ‘গ্রীষ্মহীন এক বছর’ নামে পরিচিত। পৃথিবীর তাপমাত্রা হ্রাস পায়, ফসল নষ্ট হয়, মানুষ অনাহারে মারা যায়, কলেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়ে এবং লক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। এমনকি ধারণা করা হয়, এই অগ্ন্যুৎপাতই মেরি শেলিকে ১৮১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের অস্বাভাবিক ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে আশ্রয় নিয়ে ফ্রাংকেনস্টাইন রচনায় অনুপ্রাণিত করেছিল।
এর পরেও অনেক আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়েছে, কিন্তু তাম্বোরা এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বশেষ বড় অগ্ন্যুৎপাত হিসেবে পরিচিত। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় পরে, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছেন, এমন আরেকটি অগ্ন্যুৎপাত শিগগিরই ঘটতে পারে।
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু গবেষক অধ্যাপক মার্কাস স্টফেল সিএনএনকে বলেন, এটি কখন ঘটবে তা শুধু সময়ের ব্যাপার। ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায়, এই শতাব্দীতে এমন একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা ছয় ভাগের এক ভাগ।
তবে এবার এটি এমন এক পৃথিবীতে ঘটবে, যা আগের চেয়ে অনেক বেশি জনবহুল এবং জলবায়ু সংকটের কারণে আরও উষ্ণ।
স্টফেল বলেন, ‘পরবর্তী বড় অগ্ন্যুৎপাত জলবায়ুর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। মানবজাতি এর জন্য কোনো পরিকল্পনা তৈরি করেনি।’
আগ্নেয়গিরিগুলো যুগে যুগে আমাদের পৃথিবীকে গঠন করেছে। এগুলো মহাদেশ তৈরি করেছে, বায়ুমণ্ডল গড়ে তুলেছে এবং জলবায়ুকে পরিবর্তন করেছে।
অগ্ন্যুৎপাতের সময় লাভা, ছাই এবং বিভিন্ন গ্যাস নির্গত হয়। এর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহ উষ্ণ করতে ভূমিকা রাখে, যদিও তা মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর তুলনায় নগণ্য।
তবে জলবায়ু প্রভাবের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা আরেকটি গ্যাস, সালফার ডাই-অক্সাইড, নিয়ে বেশি চিন্তিত।
একটি বড় অগ্ন্যুৎপাত সালফার ডাই-অক্সাইডকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার পেরিয়ে সাত মাইল ওপরে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পাঠাতে পারে। এখানে এই গ্যাস সূক্ষ্ম কণায় রূপান্তরিত হয়, যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়।
১৯৯১ সালে ফিলিপাইনের মাউন্ট পিনাটুবোর অগ্ন্যুৎপাত স্ট্রাটোস্ফিয়ারে প্রায় দেড় কোটি টন সালফার ডাই-অক্সাইড পাঠায়। এটি তাম্বোরার মতো বড় অগ্ন্যুৎপাত ছিল না, কিন্তু এটি কয়েক বছরের জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীরা প্রাচীন অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব গবেষণার জন্য বরফের স্তর ও গাছের বলয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এসব থেকে জানা যায়, অতীতে বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, আধুনিক উষ্ণ পৃথিবীতে একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব আরও মারাত্মক হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, উষ্ণ জলবায়ুর কারণে বাতাসের চলাচল দ্রুততর হয়, যা খুদে তরল বা কঠিন কণাগুলোকে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে কণাগুলো ছোট আকারে থেকে সূর্যের আলো আরও কার্যকরভাবে প্রতিফলিত করে এবং ঠান্ডা করার প্রভাব বাড়িয়ে দেয়।
পাশাপাশি, বরফ গলে গেলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের হার বাড়তে পারে। কারণ, বরফ গলে গেলে চাপ কমে, যা ম্যাগমার ওঠার গতি বাড়িয়ে দেয়।
একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক। একটি শহর মুছে যেতে পারে, খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং বৈশ্বিক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
স্টফেল বলেন, বৃহৎ অগ্ন্যুৎপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা, সম্ভাব্য বিপর্যয়ের চিত্রায়ণ এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
‘এমন অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা খুবই কম, তবে এটি একেবারেই শূন্য নয়,’ তিনি বলেন, ‘এবং আমরা এখনো জানি না এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে।’
মাঘের মাঝামাঝি এসে আজ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ দিন দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামীকালও এমন আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেবায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের
১৪ ঘণ্টা আগেসারা দেশে আজ তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে আগামীকাল থেকে দেশের চার বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
২ দিন আগেঢাকার বাতাসে ব্যাপক দূষণ। বায়ুমান সূচকে সকালের রেকর্ড অনুযায়ী বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এই শহরের আজকের বায়ুমান ২৬৭। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে তা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ধরা হয় এবং এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বা ভয়ানক পর্যায়ের দূষণ হিসেবে ধরা হয়। এ দিকে ঝুঁকিপূর্ণ...
২ দিন আগে