ইশতিয়াক হাসান

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন্তু সত্যি।
আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই দেশ এবং এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে সাপের বসতি নেই। তবে দুর্ঘটনাবশত কিংবা মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়ার কারণে কোনো কোনোটিতে সাপ দেখা যেতে পারে কালেভদ্রে। এই অঞ্চলগুলোর কয়েকটিতে এমনকি সাপ পালা কিংবা বাইরে থেকে আনাও নিষিদ্ধ।

নিউজিল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়া সাপের জন্য রীতিমতো বিখ্যাত। সেখানে ওশেনিয়ার আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডে সাপই নেই। এ বাবদ ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান। দক্ষিণ মেরুর কাছে অবস্থিত এ দেশটিতে সরীসৃপের কমতি নেই, তবে অভাব শুধু সাপের।
দেশটির ভূ-ভাগের চারপাশের সাগরে অবশ্য সাপ আছে। তবে এখানকার জমিতে সাপ পাবেন না। ধারণা করা হয়, অন্য কোনো স্থলভাগের সঙ্গে সংযোগ না থাকাই এর কারণ। তবে কালেভদ্রে হলেও সৈকতে যাওয়া মানুষেরা ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের দেখার কথা বলেছেন। গবেষকদের ধারণা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এখন আপনি বলতেই পারেন, বাইরে থেকে কেউ যদি সাপ এনে ছেড়ে দেয়, তখন? এটা ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডে আইন করে সাপ পোষা এমনকি বাইরে থেকে সাপ আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ দেশটির কোনো চিড়িয়াখানায় পর্যন্ত সাপ নেই। শুনে অবাক হবেন, সাপ ধরায় দক্ষ ২০ জন লোককে নিউজিল্যান্ড সরকার নিয়োগ দিয়েছে দেশে এই সরীসৃপটিকে ঢোকানোর কোনো চেষ্টা হলে আটক করার জন্য। সাধারণত মালবোঝাই জাহাজ এবং উড়োজাহাজের করে সাপ পাচারের চেষ্টা হয় দেশটিতে।

আইসল্যান্ড
প্রচণ্ড শীতল আবহাওয়া এবং ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে আইসল্যান্ডে কোনো বন্য সাপ নেই। শীতল রক্তের প্রাণীর সাপেরা এমনিতেই ঠান্ডায় শীতনিদ্রায় চলে যায়। আর আইসল্যান্ডে তো বারো মাসই শীত। কাজেই এই শীতল পরিবেশ এই সরীসৃপের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। তবে কেউ কেউ ঘরের ভেতরের উষ্ণ পরিবেশে সাপ পোষেন। প্রকৃতিতে যেন এই সরীসৃপটি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য তাদের সতর্ক থাকতে হয়।

আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার জন্য সর্বশেষ বরফযুগের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বেশির ভাগ বিজ্ঞানী। ১০ হাজার বছর আগে এটি শেষ হওয়া পর্যন্ত দ্বীপটি সরীসৃপের বসবাসের তুলনায় অনেক বেশি শীতল ছিল। সাগর অলঙ্ঘনীয় এক বাধা হয়ে ওঠার আগেই আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে যায় বাদামি ভালুক, বুনো শূকর ও লিংক্সের মতো প্রাণী, কিন্তু সাপ কখনোই এটা করতে পারেনি
এদিকে ৬ হাজার ৫০০ বছর আগ পর্যন্ত ব্রিটেন ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের প্রাকৃতিক সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল। ফলে এখানে কয়েক প্রজাতির সাপ আস্তানা গাড়ে। কিন্তু ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের স্থল যোগাযোগ প্রায় দুই হাজার বছর আগে হিমবাহ গলে ফুলে-ফেঁপে ওঠা সমুদ্রের কারণে কেটে যায়।
একমাত্র সরীসৃপ হিসেবে এখানে বসতি গাড়ার চেষ্টায় সফল হয়েছে কমন বা ভিভিপেরাস লিজার্ড। আয়ারল্যান্ডে এই একমাত্র স্থানীয় বা নিজস্ব সরীসৃপটি গত ১০ হাজার বছরের মধ্যে সেখানে আস্তানা গাড়ে। তবে আয়ারল্যান্ড গেলে ‘নকল এক সাপ’ আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এটি পা নেই এমন একধরনের টিকটিকি বা ‘স্লো ওয়র্ম’। খুদে সাপ মনে করে বসা এই প্রাণীটি অবশ্য প্রকৃতপক্ষে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা নয়। তবে আয়ারল্যান্ডে সাপ পোষায় কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আলাস্কা
যুক্তরাষ্ট্রের যে দুটি অঙ্গরাজ্যে সাপ নেই বলে ধারণা করা হয় তার একটি আলাস্কা। অন্তত প্রাকৃতিকভাবে সাপের উপস্থিতির খবর এখন পর্যন্ত আলাস্কায় পাওয়া যায়নি। তার মানে এই নয় যে এখানকার পথে-ঘাটে বা ঝোপ-ঝাড়ে কখনো সাপ দেখেননি কেউ। ধারণা করা হয় এগুলো পোষা সাপ। কেউ ইচ্ছা করে ছেড়ে দিয়েছে নতুবা অসাবধানবশত বের হয়ে গিয়েছে।
১৯৭০-র দশকে অঙ্গরাজ্যটির দক্ষিণ-পূর্বের উষ্ণ প্রস্রবণগুলোর আশপাশে ‘গারটার স্নেকে’র দেখা মিলেছিল। তবে সাম্প্রতিক জরিপে এদের নাম-নিশানা পাওয়া যায়নি।
তবে সাপ এখানে মাঝে মাঝেই আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ২০১৭ সালে। মেতানাসকা-সুসিতনা উপত্যকার এক বাড়ি থেকে স্যাম নামের ১৭ ফুট লম্বা এবং ১০০ পাউন্ড ওজনের একটি অজগর সাপ পালিয়ে যায়। এতে গাটা এলাকায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সরকারি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও এতে অংশ নেয় স্থানীয় জনসাধারণ। এর মধ্যে চার বছরের একটি বাচ্চা নিখোঁজ হলে অজগরটির ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যায়। দু্ সপ্তাহ পর বিশালদেহী সরীসৃপটি নিজেই মালিকের বাড়িতে ফিরে এসে অবসান ঘটায় সব জল্পনা-কল্পনার।
আলাস্কাতে প্রাকৃতিকভাবে অনেকটাই সাপমুক্ত হওয়ার কারণ এখানকার প্রবল ঠান্ডা। আলাস্কায় ঠান্ডায় জমি জমে যায় এবং শীতকালে প্রচুর তুষারপাত হয়। এদিকে সাপ ঠান্ডা রক্তের প্রাণী এবং উষ্ণ জায়গায় বাস করে।

হাওয়াই
সাপের বিচরণ নেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াই। ভৌগলিকভাবে জায়গাটির বিচ্ছিন্নতা এখানে সাপ না থাকার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। এমনকি এখানে সাপ পোষাও নিষিদ্ধ। সাপসহ কেউ ধরা পড়লে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং দুই শ ডলার জরিমানা হতে পারে। কারণ হাওয়াইয়ের পরিবেশের সঙ্গে সাপ মানানসই নয়। এখানে প্রাকৃতিকভাবে সাপ না থাকায় এদের কোনো প্রাকৃতিক শত্রু নেই। ভুলে কোনোভাবে একবার জায়গাটির প্রকৃতিতে এই সরীসৃপরা ঢুকে পড়লে গোটা বাস্তুসংস্থানই ঝুঁকিতে পড়বে।
অবশ্য হাওয়াইয়ের কোনো কোনো চিড়িয়াখানায় সাপ পাবেন। তবে মানুষ পোষার জন্য চোরাই বাজার থেকে সাপ কেনার ঘটনা ঘটে। এমনকি প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার রেকর্ডও আছে। যেমন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হনুলুলু বিমানবন্দরের কাছে এক শ্রমিক দুই ফুট লম্বা একটা সাপ আবিষ্কার করেন। এদিকে ২০১১ সালের জুলাইয়ে নয় ফুটের একটি বোয়া কনস্ট্রিক্টর এবং সাত ফুট দীর্ঘ একটা অ্যালবিনো বার্মিজ অজগর ধরা পড়ে।
তবে একটি সাপ হাওয়াইয়ে পেলে খুব অবাক হবেন না। নির্বিষ এই সরীসৃপটিকে এমনকি সাপ নাও ভাবতে পারেন। আইল্যান্ড ব্লাইন্ড স্নেক নামের এই সাপটি ধারণা করা হয় ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা হয়। কেউ কেউ একে কেঁচোর মতো কোনো প্রাণীও ভেবে বসেন। তবে এর দেখাও মেলে কালেভদ্রে।
গ্রিনল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ডে সাপ না থাকার মূল কারণ এখানকার শীতল আবহাওয়া। এই আর্কটিক অঞ্চলটির তাপমাত্রা শূন্যের ওপরে উঠে কমই। এদিকে সাপের শরীরের বিপাক ক্রিয়ার জন্য উষ্ণ আবহাওয়া প্রয়োজন। তাই গ্রিনল্যান্ড এই সরীসৃপদের বসবাসের অনুপযোগী।
গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতাও সাপ না থাকার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। চারপাশের সাগরের হিমশীতল জলও আশপাশের অঞ্চল থেকে এখানে আসার পথে বড় বাধা।
গ্রিনল্যান্ডে সাপের অনুপস্থিতির আরকটি কারণ ভূ-ভাগের বড় একটি অংশ হিমায়িত অবস্থায় থাকে। এই স্থায়ীভাবে হিমায়িত ভূমি প্রবল শীতের সময় সাপকে গর্ত করতে বা হাইবারনেশনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পেতে দেয় না। তা ছাড়া গ্রিনল্যান্ডের সীমিত জীববৈচিত্র্য সাপের কোনো প্রজাতির জন্য টিকে থাকা কঠিন করে তোলে।
এ ছাড়াও সাপমুক্ত আরও কিছু জায়গা আছে। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ যেখানে সাপ নেই। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটিতে সাপ কিংবা অন্য কোনো বন্যপ্রাণী নেই। ছোট ছোট বেশ কিছু দ্বীপও আছে যেগুলোতে সাপ নেই। অবশ্য এই দ্বীপগুলোর বেশির ভাগে মানুষও থাকে না।
সূত্র: পপুলার সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ট্রাভেল টু প্যারাডাইজ, অ্যাঙ্কোরেজ ডেইলি নিউজ, নিউজ এইটিন, দ্য স্টার, মিরাজ নিউজ, রিমোট ক্ল্যান

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন্তু সত্যি।
আরও পরিষ্কারভাবে বললে এই দেশ এবং এলাকাগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে সাপের বসতি নেই। তবে দুর্ঘটনাবশত কিংবা মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়ার কারণে কোনো কোনোটিতে সাপ দেখা যেতে পারে কালেভদ্রে। এই অঞ্চলগুলোর কয়েকটিতে এমনকি সাপ পালা কিংবা বাইরে থেকে আনাও নিষিদ্ধ।

নিউজিল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়া সাপের জন্য রীতিমতো বিখ্যাত। সেখানে ওশেনিয়ার আরেক দেশ নিউজিল্যান্ডে সাপই নেই। এ বাবদ ধন্যবাদ পেতে পারে দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান। দক্ষিণ মেরুর কাছে অবস্থিত এ দেশটিতে সরীসৃপের কমতি নেই, তবে অভাব শুধু সাপের।
দেশটির ভূ-ভাগের চারপাশের সাগরে অবশ্য সাপ আছে। তবে এখানকার জমিতে সাপ পাবেন না। ধারণা করা হয়, অন্য কোনো স্থলভাগের সঙ্গে সংযোগ না থাকাই এর কারণ। তবে কালেভদ্রে হলেও সৈকতে যাওয়া মানুষেরা ইয়েলো-বেলিড সি স্নেকের দেখার কথা বলেছেন। গবেষকদের ধারণা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া এতে ভূমিকা রাখতে পারে।
এখন আপনি বলতেই পারেন, বাইরে থেকে কেউ যদি সাপ এনে ছেড়ে দেয়, তখন? এটা ঠেকাতে নিউজিল্যান্ডে আইন করে সাপ পোষা এমনকি বাইরে থেকে সাপ আমদানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। অর্থাৎ দেশটির কোনো চিড়িয়াখানায় পর্যন্ত সাপ নেই। শুনে অবাক হবেন, সাপ ধরায় দক্ষ ২০ জন লোককে নিউজিল্যান্ড সরকার নিয়োগ দিয়েছে দেশে এই সরীসৃপটিকে ঢোকানোর কোনো চেষ্টা হলে আটক করার জন্য। সাধারণত মালবোঝাই জাহাজ এবং উড়োজাহাজের করে সাপ পাচারের চেষ্টা হয় দেশটিতে।

আইসল্যান্ড
প্রচণ্ড শীতল আবহাওয়া এবং ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে আইসল্যান্ডে কোনো বন্য সাপ নেই। শীতল রক্তের প্রাণীর সাপেরা এমনিতেই ঠান্ডায় শীতনিদ্রায় চলে যায়। আর আইসল্যান্ডে তো বারো মাসই শীত। কাজেই এই শীতল পরিবেশ এই সরীসৃপের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। তবে কেউ কেউ ঘরের ভেতরের উষ্ণ পরিবেশে সাপ পোষেন। প্রকৃতিতে যেন এই সরীসৃপটি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য তাদের সতর্ক থাকতে হয়।

আয়ারল্যান্ড
আয়ারল্যান্ডে সাপ না থাকার জন্য সর্বশেষ বরফযুগের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন বেশির ভাগ বিজ্ঞানী। ১০ হাজার বছর আগে এটি শেষ হওয়া পর্যন্ত দ্বীপটি সরীসৃপের বসবাসের তুলনায় অনেক বেশি শীতল ছিল। সাগর অলঙ্ঘনীয় এক বাধা হয়ে ওঠার আগেই আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে যায় বাদামি ভালুক, বুনো শূকর ও লিংক্সের মতো প্রাণী, কিন্তু সাপ কখনোই এটা করতে পারেনি
এদিকে ৬ হাজার ৫০০ বছর আগ পর্যন্ত ব্রিটেন ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের প্রাকৃতিক সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল। ফলে এখানে কয়েক প্রজাতির সাপ আস্তানা গাড়ে। কিন্তু ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের স্থল যোগাযোগ প্রায় দুই হাজার বছর আগে হিমবাহ গলে ফুলে-ফেঁপে ওঠা সমুদ্রের কারণে কেটে যায়।
একমাত্র সরীসৃপ হিসেবে এখানে বসতি গাড়ার চেষ্টায় সফল হয়েছে কমন বা ভিভিপেরাস লিজার্ড। আয়ারল্যান্ডে এই একমাত্র স্থানীয় বা নিজস্ব সরীসৃপটি গত ১০ হাজার বছরের মধ্যে সেখানে আস্তানা গাড়ে। তবে আয়ারল্যান্ড গেলে ‘নকল এক সাপ’ আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এটি পা নেই এমন একধরনের টিকটিকি বা ‘স্লো ওয়র্ম’। খুদে সাপ মনে করে বসা এই প্রাণীটি অবশ্য প্রকৃতপক্ষে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা নয়। তবে আয়ারল্যান্ডে সাপ পোষায় কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আলাস্কা
যুক্তরাষ্ট্রের যে দুটি অঙ্গরাজ্যে সাপ নেই বলে ধারণা করা হয় তার একটি আলাস্কা। অন্তত প্রাকৃতিকভাবে সাপের উপস্থিতির খবর এখন পর্যন্ত আলাস্কায় পাওয়া যায়নি। তার মানে এই নয় যে এখানকার পথে-ঘাটে বা ঝোপ-ঝাড়ে কখনো সাপ দেখেননি কেউ। ধারণা করা হয় এগুলো পোষা সাপ। কেউ ইচ্ছা করে ছেড়ে দিয়েছে নতুবা অসাবধানবশত বের হয়ে গিয়েছে।
১৯৭০-র দশকে অঙ্গরাজ্যটির দক্ষিণ-পূর্বের উষ্ণ প্রস্রবণগুলোর আশপাশে ‘গারটার স্নেকে’র দেখা মিলেছিল। তবে সাম্প্রতিক জরিপে এদের নাম-নিশানা পাওয়া যায়নি।
তবে সাপ এখানে মাঝে মাঝেই আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ২০১৭ সালে। মেতানাসকা-সুসিতনা উপত্যকার এক বাড়ি থেকে স্যাম নামের ১৭ ফুট লম্বা এবং ১০০ পাউন্ড ওজনের একটি অজগর সাপ পালিয়ে যায়। এতে গাটা এলাকায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সরকারি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও এতে অংশ নেয় স্থানীয় জনসাধারণ। এর মধ্যে চার বছরের একটি বাচ্চা নিখোঁজ হলে অজগরটির ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে শিশুটিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যায়। দু্ সপ্তাহ পর বিশালদেহী সরীসৃপটি নিজেই মালিকের বাড়িতে ফিরে এসে অবসান ঘটায় সব জল্পনা-কল্পনার।
আলাস্কাতে প্রাকৃতিকভাবে অনেকটাই সাপমুক্ত হওয়ার কারণ এখানকার প্রবল ঠান্ডা। আলাস্কায় ঠান্ডায় জমি জমে যায় এবং শীতকালে প্রচুর তুষারপাত হয়। এদিকে সাপ ঠান্ডা রক্তের প্রাণী এবং উষ্ণ জায়গায় বাস করে।

হাওয়াই
সাপের বিচরণ নেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াই। ভৌগলিকভাবে জায়গাটির বিচ্ছিন্নতা এখানে সাপ না থাকার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। এমনকি এখানে সাপ পোষাও নিষিদ্ধ। সাপসহ কেউ ধরা পড়লে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং দুই শ ডলার জরিমানা হতে পারে। কারণ হাওয়াইয়ের পরিবেশের সঙ্গে সাপ মানানসই নয়। এখানে প্রাকৃতিকভাবে সাপ না থাকায় এদের কোনো প্রাকৃতিক শত্রু নেই। ভুলে কোনোভাবে একবার জায়গাটির প্রকৃতিতে এই সরীসৃপরা ঢুকে পড়লে গোটা বাস্তুসংস্থানই ঝুঁকিতে পড়বে।
অবশ্য হাওয়াইয়ের কোনো কোনো চিড়িয়াখানায় সাপ পাবেন। তবে মানুষ পোষার জন্য চোরাই বাজার থেকে সাপ কেনার ঘটনা ঘটে। এমনকি প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার রেকর্ডও আছে। যেমন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হনুলুলু বিমানবন্দরের কাছে এক শ্রমিক দুই ফুট লম্বা একটা সাপ আবিষ্কার করেন। এদিকে ২০১১ সালের জুলাইয়ে নয় ফুটের একটি বোয়া কনস্ট্রিক্টর এবং সাত ফুট দীর্ঘ একটা অ্যালবিনো বার্মিজ অজগর ধরা পড়ে।
তবে একটি সাপ হাওয়াইয়ে পেলে খুব অবাক হবেন না। নির্বিষ এই সরীসৃপটিকে এমনকি সাপ নাও ভাবতে পারেন। আইল্যান্ড ব্লাইন্ড স্নেক নামের এই সাপটি ধারণা করা হয় ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা হয়। কেউ কেউ একে কেঁচোর মতো কোনো প্রাণীও ভেবে বসেন। তবে এর দেখাও মেলে কালেভদ্রে।
গ্রিনল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ডে সাপ না থাকার মূল কারণ এখানকার শীতল আবহাওয়া। এই আর্কটিক অঞ্চলটির তাপমাত্রা শূন্যের ওপরে উঠে কমই। এদিকে সাপের শরীরের বিপাক ক্রিয়ার জন্য উষ্ণ আবহাওয়া প্রয়োজন। তাই গ্রিনল্যান্ড এই সরীসৃপদের বসবাসের অনুপযোগী।
গ্রিনল্যান্ডের ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতাও সাপ না থাকার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। চারপাশের সাগরের হিমশীতল জলও আশপাশের অঞ্চল থেকে এখানে আসার পথে বড় বাধা।
গ্রিনল্যান্ডে সাপের অনুপস্থিতির আরকটি কারণ ভূ-ভাগের বড় একটি অংশ হিমায়িত অবস্থায় থাকে। এই স্থায়ীভাবে হিমায়িত ভূমি প্রবল শীতের সময় সাপকে গর্ত করতে বা হাইবারনেশনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পেতে দেয় না। তা ছাড়া গ্রিনল্যান্ডের সীমিত জীববৈচিত্র্য সাপের কোনো প্রজাতির জন্য টিকে থাকা কঠিন করে তোলে।
এ ছাড়াও সাপমুক্ত আরও কিছু জায়গা আছে। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ যেখানে সাপ নেই। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটিতে সাপ কিংবা অন্য কোনো বন্যপ্রাণী নেই। ছোট ছোট বেশ কিছু দ্বীপও আছে যেগুলোতে সাপ নেই। অবশ্য এই দ্বীপগুলোর বেশির ভাগে মানুষও থাকে না।
সূত্র: পপুলার সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ট্রাভেল টু প্যারাডাইজ, অ্যাঙ্কোরেজ ডেইলি নিউজ, নিউজ এইটিন, দ্য স্টার, মিরাজ নিউজ, রিমোট ক্ল্যান

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২৮ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২৮ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২৮ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২৮ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৯ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে