নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), গ্রিন ফোর্স, পরিবেশ সংসদ (ঢা. বি.), বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন (বানিপা) ‘ঢাকার বিপজ্জনক বায়ুদূষণ রোধে আশু করণীয়’ শীর্ষক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব তারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দ্রুত বায়ুদূষণ রোধ করতে হলে হাইকোর্টের নির্দেশ আশু বাস্তবায়ন করা জরুরি। ২০২১ সালে বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্ট প্রথম ধাপে ৯ দফা, দ্বিতীয় ধাপে ৩ দফাসহ মোট ১২ দফা নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন রাস্তার পাশের ছোটখাটো গাছে জমে থাকা ধুলাময়লা পরিষ্কার হয়। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে, কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বল্প পরিসরে এটি করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো কার্যক্রম নেই। জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটানোর মাধ্যমে এই বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব। জুন-জুলাইয়ে বর্ষা মৌসুম আসার আগে নিয়মিতভাবে যাতে এই কার্যক্রম চালানোর জন্য জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নগর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বায়ুদূষণ একটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরবাসীর একটি অংশ নানা মাত্রার বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাকিদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য প্রবল হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সবাই জানি এবং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি যে, বায়ুমানের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর চারটি দূষিততম নগরীর একটি হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের বেশ কয়েক দিন ঢাকা বায়ু দূষিত নগরীর ১ নম্বরে অবস্থান করেছে। এয়ারভিস্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ২৪ দিনের মধ্যে ২৩ দিন ঢাকার বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিমাপের একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। এটি একিউআই দ্বারা প্রকাশিত হয়। বায়ুমানের সূচক বা একিউআই ০-৫০ হচ্ছে ভালো বা স্বাস্থ্যকর, ৫১-১০০ হলো মধ্যম মানের, ১০১-১৫০ হচ্ছে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ হচ্ছে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ৩০১+ হচ্ছে বিপজ্জনক। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার বাতাসের সর্বোচ্চ মান ছিল একিউআই ৬৩৫।
বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হলে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকতে বলা হয়। বাইরে হতে এবং বাইরে কাজকর্ম করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়। ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ধরনের উদাসীনতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে হবে এখনই। তাই আর্থিক বিষয়সহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ, ছাদবাগানসহ নগর সবুজায়নসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি স্কুল থেকেই পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ও মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই পরিবেশের বিপর্যয়ের বিষয়টি সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে। জনস্বার্থকে, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
এর মধ্যে আরেক ধরনের বাস্তবতার উদ্ভব হয়েছে। বায়ুদূষণের প্রসঙ্গ তোলা হলে একদল সরকার-সমর্থক মনে করে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার পথ তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আরেক দল এটাকে সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। এই দুই পক্ষের কারও সঙ্গেই আমরা একমত নই। উন্নয়নকাজ চলাকালে দূষণ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করেই সব ধরনের দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জনউদ্যোগের পরামর্শক আজিজুর রহমান খান আসাদ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ডব্লিউবিবির পরিচালক গাউস পিয়ারী, আইপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপ) সভাপতি আনোয়ার হোসেন, এসএম সিদ্দিকীসহ অন্যরা।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), গ্রিন ফোর্স, পরিবেশ সংসদ (ঢা. বি.), বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন (বানিপা) ‘ঢাকার বিপজ্জনক বায়ুদূষণ রোধে আশু করণীয়’ শীর্ষক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব তারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দ্রুত বায়ুদূষণ রোধ করতে হলে হাইকোর্টের নির্দেশ আশু বাস্তবায়ন করা জরুরি। ২০২১ সালে বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্ট প্রথম ধাপে ৯ দফা, দ্বিতীয় ধাপে ৩ দফাসহ মোট ১২ দফা নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন রাস্তার পাশের ছোটখাটো গাছে জমে থাকা ধুলাময়লা পরিষ্কার হয়। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে, কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বল্প পরিসরে এটি করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো কার্যক্রম নেই। জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটানোর মাধ্যমে এই বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব। জুন-জুলাইয়ে বর্ষা মৌসুম আসার আগে নিয়মিতভাবে যাতে এই কার্যক্রম চালানোর জন্য জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নগর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বায়ুদূষণ একটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরবাসীর একটি অংশ নানা মাত্রার বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাকিদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য প্রবল হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সবাই জানি এবং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি যে, বায়ুমানের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর চারটি দূষিততম নগরীর একটি হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের বেশ কয়েক দিন ঢাকা বায়ু দূষিত নগরীর ১ নম্বরে অবস্থান করেছে। এয়ারভিস্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ২৪ দিনের মধ্যে ২৩ দিন ঢাকার বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিমাপের একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। এটি একিউআই দ্বারা প্রকাশিত হয়। বায়ুমানের সূচক বা একিউআই ০-৫০ হচ্ছে ভালো বা স্বাস্থ্যকর, ৫১-১০০ হলো মধ্যম মানের, ১০১-১৫০ হচ্ছে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ হচ্ছে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ৩০১+ হচ্ছে বিপজ্জনক। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার বাতাসের সর্বোচ্চ মান ছিল একিউআই ৬৩৫।
বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হলে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকতে বলা হয়। বাইরে হতে এবং বাইরে কাজকর্ম করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়। ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ধরনের উদাসীনতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে হবে এখনই। তাই আর্থিক বিষয়সহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ, ছাদবাগানসহ নগর সবুজায়নসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি স্কুল থেকেই পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ও মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই পরিবেশের বিপর্যয়ের বিষয়টি সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে। জনস্বার্থকে, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
এর মধ্যে আরেক ধরনের বাস্তবতার উদ্ভব হয়েছে। বায়ুদূষণের প্রসঙ্গ তোলা হলে একদল সরকার-সমর্থক মনে করে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার পথ তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আরেক দল এটাকে সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। এই দুই পক্ষের কারও সঙ্গেই আমরা একমত নই। উন্নয়নকাজ চলাকালে দূষণ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করেই সব ধরনের দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জনউদ্যোগের পরামর্শক আজিজুর রহমান খান আসাদ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ডব্লিউবিবির পরিচালক গাউস পিয়ারী, আইপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপ) সভাপতি আনোয়ার হোসেন, এসএম সিদ্দিকীসহ অন্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), গ্রিন ফোর্স, পরিবেশ সংসদ (ঢা. বি.), বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন (বানিপা) ‘ঢাকার বিপজ্জনক বায়ুদূষণ রোধে আশু করণীয়’ শীর্ষক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব তারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দ্রুত বায়ুদূষণ রোধ করতে হলে হাইকোর্টের নির্দেশ আশু বাস্তবায়ন করা জরুরি। ২০২১ সালে বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্ট প্রথম ধাপে ৯ দফা, দ্বিতীয় ধাপে ৩ দফাসহ মোট ১২ দফা নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন রাস্তার পাশের ছোটখাটো গাছে জমে থাকা ধুলাময়লা পরিষ্কার হয়। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে, কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বল্প পরিসরে এটি করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো কার্যক্রম নেই। জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটানোর মাধ্যমে এই বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব। জুন-জুলাইয়ে বর্ষা মৌসুম আসার আগে নিয়মিতভাবে যাতে এই কার্যক্রম চালানোর জন্য জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নগর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বায়ুদূষণ একটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরবাসীর একটি অংশ নানা মাত্রার বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাকিদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য প্রবল হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সবাই জানি এবং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি যে, বায়ুমানের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর চারটি দূষিততম নগরীর একটি হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের বেশ কয়েক দিন ঢাকা বায়ু দূষিত নগরীর ১ নম্বরে অবস্থান করেছে। এয়ারভিস্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ২৪ দিনের মধ্যে ২৩ দিন ঢাকার বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিমাপের একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। এটি একিউআই দ্বারা প্রকাশিত হয়। বায়ুমানের সূচক বা একিউআই ০-৫০ হচ্ছে ভালো বা স্বাস্থ্যকর, ৫১-১০০ হলো মধ্যম মানের, ১০১-১৫০ হচ্ছে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ হচ্ছে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ৩০১+ হচ্ছে বিপজ্জনক। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার বাতাসের সর্বোচ্চ মান ছিল একিউআই ৬৩৫।
বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হলে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকতে বলা হয়। বাইরে হতে এবং বাইরে কাজকর্ম করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়। ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ধরনের উদাসীনতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে হবে এখনই। তাই আর্থিক বিষয়সহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ, ছাদবাগানসহ নগর সবুজায়নসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি স্কুল থেকেই পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ও মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই পরিবেশের বিপর্যয়ের বিষয়টি সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে। জনস্বার্থকে, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
এর মধ্যে আরেক ধরনের বাস্তবতার উদ্ভব হয়েছে। বায়ুদূষণের প্রসঙ্গ তোলা হলে একদল সরকার-সমর্থক মনে করে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার পথ তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আরেক দল এটাকে সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। এই দুই পক্ষের কারও সঙ্গেই আমরা একমত নই। উন্নয়নকাজ চলাকালে দূষণ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করেই সব ধরনের দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জনউদ্যোগের পরামর্শক আজিজুর রহমান খান আসাদ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ডব্লিউবিবির পরিচালক গাউস পিয়ারী, আইপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপ) সভাপতি আনোয়ার হোসেন, এসএম সিদ্দিকীসহ অন্যরা।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), গ্রিন ফোর্স, পরিবেশ সংসদ (ঢা. বি.), বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলন (বানিপা) ‘ঢাকার বিপজ্জনক বায়ুদূষণ রোধে আশু করণীয়’ শীর্ষক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব তারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য পাঠ করেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দ্রুত বায়ুদূষণ রোধ করতে হলে হাইকোর্টের নির্দেশ আশু বাস্তবায়ন করা জরুরি। ২০২১ সালে বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্ট প্রথম ধাপে ৯ দফা, দ্বিতীয় ধাপে ৩ দফাসহ মোট ১২ দফা নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় ওপর থেকে পানি ছিটাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন রাস্তার পাশের ছোটখাটো গাছে জমে থাকা ধুলাময়লা পরিষ্কার হয়। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, রাস্তায় পানি ছিটাতে হবে, কিন্তু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন স্বল্প পরিসরে এটি করলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো কার্যক্রম নেই। জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটানোর মাধ্যমে এই বিপজ্জনক ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব। জুন-জুলাইয়ে বর্ষা মৌসুম আসার আগে নিয়মিতভাবে যাতে এই কার্যক্রম চালানোর জন্য জোর দাবি জানানো হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, রাজধানী ঢাকা এখন বায়ুদূষণের নগর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের বায়ুদূষণ একটি দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ইতিমধ্যে নগরবাসীর একটি অংশ নানা মাত্রার বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাকিদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য প্রবল হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সবাই জানি এবং হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি যে, বায়ুমানের সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর চারটি দূষিততম নগরীর একটি হিসেবে দুর্নাম কুড়িয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের বেশ কয়েক দিন ঢাকা বায়ু দূষিত নগরীর ১ নম্বরে অবস্থান করেছে। এয়ারভিস্যুয়ালের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম ২৪ দিনের মধ্যে ২৩ দিন ঢাকার বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে ছিল।
বায়ুমান পরিমাপের একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। এটি একিউআই দ্বারা প্রকাশিত হয়। বায়ুমানের সূচক বা একিউআই ০-৫০ হচ্ছে ভালো বা স্বাস্থ্যকর, ৫১-১০০ হলো মধ্যম মানের, ১০১-১৫০ হচ্ছে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১-২০০ হচ্ছে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ৩০১+ হচ্ছে বিপজ্জনক। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার বাতাসের সর্বোচ্চ মান ছিল একিউআই ৬৩৫।
বায়ুমান বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হলে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকতে বলা হয়। বাইরে হতে এবং বাইরে কাজকর্ম করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়। ঘরের জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। এ ধরনের উদাসীনতা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, বায়ুদূষণ কমাতে হবে এখনই। তাই আর্থিক বিষয়সহ সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ, ফলদ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ, ছাদবাগানসহ নগর সবুজায়নসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। পাশাপাশি স্কুল থেকেই পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে ও মানুষকে সচেতন করতে হবে। এ ছাড়া মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বেই পরিবেশের বিপর্যয়ের বিষয়টি সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে। পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরতে হবে। জনস্বার্থকে, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।
এর মধ্যে আরেক ধরনের বাস্তবতার উদ্ভব হয়েছে। বায়ুদূষণের প্রসঙ্গ তোলা হলে একদল সরকার-সমর্থক মনে করে, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতার পথ তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী আরেক দল এটাকে সরকারের ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। এই দুই পক্ষের কারও সঙ্গেই আমরা একমত নই। উন্নয়নকাজ চলাকালে দূষণ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তবে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণ করেই সব ধরনের দূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জনউদ্যোগের পরামর্শক আজিজুর রহমান খান আসাদ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নাসফের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, ডব্লিউবিবির পরিচালক গাউস পিয়ারী, আইপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপ) সভাপতি আনোয়ার হোসেন, এসএম সিদ্দিকীসহ অন্যরা।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৪ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংসের বিনিময়ে উন্নয়ন কখনো টেকসই হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউএলএবি) ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের নদী, বন ও জলাভূমি রক্ষা এখন টিকে থাকা, ন্যায্যতা ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং প্রকৃতিবান্ধব।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাপন, ভোগ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নয়, পৃথিবীর ভবিষ্যৎও।
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের শব্দদূষণ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দায়িত্ববোধ, সততা ও টেকসই চিন্তাধারাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পেশা, উদ্ভাবন ও নীতি পৃথিবীকে হয় সুস্থ করতে পারে, নয় ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সর্বদা সুস্থতার পথকেই বেছে নিতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে উপদেষ্টা আরও বলেন, আজ তোমরা সাফল্যের প্রতীক হিসেবে গাউন ও ক্যাপ পরেছ, কাল দায়িত্বের প্রতীক পরবে। সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে চলো। মানুষের, দেশের ও পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব কখনো ভুলে যেও না।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন ইউএলএবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দা মাদিহা মুরশেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মানজুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আয়ুব ইসলাম।
অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ডিগ্রি, স্বর্ণপদক ও একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

ঢাকার বায়ুদূষণ বিপজ্জনকমাত্রা ছাড়িয়ে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পানি ছিটিয়ে বা ওয়াটার থেরাপির মাধ্যমে তা রোধ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), জনউদ্যোগ, আইইডি, নাগরিক অধিকার
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে