শহরের গাড়ি চলাচলের শব্দ পাখির প্রজনন হার কমিয়ে দিচ্ছে নানাভাবে। শব্দ দূষণের ফলে পাখির ডিমের ভেতরে থাকা বাচ্চাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওজনে ও আকারে দুই দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাখির বিকাশ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক এই বিষয়টি উন্মোচন করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সম্প্রতি পাখির প্রজনন ও বিকাশের ওপর শব্দ দূষণ কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা জানতে একটি গবেষণা চালান। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স জার্নালে।
ডিকিন ইউনিভার্সিটির পাখি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেলিন ম্যারিয়েট বলেন, ‘পাখির বিকাশের ওপর শব্দ দূষণের সরাসরি প্রভাব আমরা আগে যতটা অনুমান করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই শব্দদূষণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করাই বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত হবে।’
বিগত কয়েক বছরে পরিচালিত বেশ কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে, শব্দ দূষণের কারণে পাখিদের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। পরিণত পাখির মধ্যে শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হলেও পাখিদের শৈশবে তাদের বাবা-মায়ের যত্নে কোনো বাঁধা তৈরি করে কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য উঠে আসেনি এই গবেষণায়।
ম্যারিয়েট এবং তাঁর দলের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ার জেবরা ফিঞ্চ নামে এক প্রজাতির ওপর এই বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালান। তাঁরা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জেবরা ফিঞ্চের ডিমের পাশে পাঁচ দিন পাঁচ দিন করে রেকর্ড করা জেবরা ফিঞ্চের কলরব এবং শব্দ দূষণ শোনান এবং সেটির প্রভাব কী হয় তা পর্যবেক্ষণ করেন।
একই ধরনের পরীক্ষা চালান সদ্যঃপ্রসূত পাখির বাচ্চার ওপর। তাঁরা রাতের বেলায় চার ঘণ্টা করে টানা ১৩ দিন পাখির বাচ্চাগুলোকে শব্দ দূষণের মধ্যে রাখেন। তবে এ সময় বাচ্চাগুলো বাবা-মাকে পাশে রাখা হয়নি।
গবেষকেরা দেখতে পান যে, শব্দ দূষণের কারণে অন্তত ২০ শতাংশ কম ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে। এ ছাড়া যেগুলো বের হয়েছে সেগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ শতাংশ ছোট এবং ১৫ শতাংশ হালকা হিসেবে বের হয়েছে।
এমনকি পাখিগুলোর বাচ্চার লোহিত রক্ত কণিকা ও সেগুলোর টেলোমিয়ার পর্যন্ত আকারে ছোট হয়ে যায় বলে দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া, শব্দ দূষণের প্রভাব পড়া বাচ্চাগুলোকে পরে স্বাভাবিক পরিবেশ নেওয়া হলেও সেগুলোর মধ্যে পূর্বের কমতিগুলো থেকে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ম্যারিয়েট বলেন, ‘আমরা কিছু প্রভাব আশঙ্কা করছিলাম কিন্তু আমরা সেগুলো এত শক্তিশালী হবে বলে আশা করিনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী শ্রবণ বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডুলিং বলেন, ‘অসংখ্য গবেষণার ভিত্তিতে আমরা সাধারণত অনুমান করেছিলাম যে, খুব অল্পবয়সী পাখি, বিশেষ করে ডিমের ভেতরে থাকা অবস্থায় হয়তো শব্দের প্রতি খুব একটা সংবেদনশীলতা ছিল না। কিন্তু এই গবেষণা পাখির বিকাশের ওপর শব্দ দূষণের বিস্তৃত, নেতিবাচক, স্থায়ী প্রভাবের আভাস উত্থাপন করে।’
শহরের গাড়ি চলাচলের শব্দ পাখির প্রজনন হার কমিয়ে দিচ্ছে নানাভাবে। শব্দ দূষণের ফলে পাখির ডিমের ভেতরে থাকা বাচ্চাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওজনে ও আকারে দুই দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাখির বিকাশ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক এই বিষয়টি উন্মোচন করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সম্প্রতি পাখির প্রজনন ও বিকাশের ওপর শব্দ দূষণ কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা জানতে একটি গবেষণা চালান। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স জার্নালে।
ডিকিন ইউনিভার্সিটির পাখি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মেলিন ম্যারিয়েট বলেন, ‘পাখির বিকাশের ওপর শব্দ দূষণের সরাসরি প্রভাব আমরা আগে যতটা অনুমান করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই শব্দদূষণ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করাই বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত হবে।’
বিগত কয়েক বছরে পরিচালিত বেশ কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে, শব্দ দূষণের কারণে পাখিদের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। পরিণত পাখির মধ্যে শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হলেও পাখিদের শৈশবে তাদের বাবা-মায়ের যত্নে কোনো বাঁধা তৈরি করে কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য উঠে আসেনি এই গবেষণায়।
ম্যারিয়েট এবং তাঁর দলের সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ার জেবরা ফিঞ্চ নামে এক প্রজাতির ওপর এই বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালান। তাঁরা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে জেবরা ফিঞ্চের ডিমের পাশে পাঁচ দিন পাঁচ দিন করে রেকর্ড করা জেবরা ফিঞ্চের কলরব এবং শব্দ দূষণ শোনান এবং সেটির প্রভাব কী হয় তা পর্যবেক্ষণ করেন।
একই ধরনের পরীক্ষা চালান সদ্যঃপ্রসূত পাখির বাচ্চার ওপর। তাঁরা রাতের বেলায় চার ঘণ্টা করে টানা ১৩ দিন পাখির বাচ্চাগুলোকে শব্দ দূষণের মধ্যে রাখেন। তবে এ সময় বাচ্চাগুলো বাবা-মাকে পাশে রাখা হয়নি।
গবেষকেরা দেখতে পান যে, শব্দ দূষণের কারণে অন্তত ২০ শতাংশ কম ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে। এ ছাড়া যেগুলো বের হয়েছে সেগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ শতাংশ ছোট এবং ১৫ শতাংশ হালকা হিসেবে বের হয়েছে।
এমনকি পাখিগুলোর বাচ্চার লোহিত রক্ত কণিকা ও সেগুলোর টেলোমিয়ার পর্যন্ত আকারে ছোট হয়ে যায় বলে দেখতে পান বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া, শব্দ দূষণের প্রভাব পড়া বাচ্চাগুলোকে পরে স্বাভাবিক পরিবেশ নেওয়া হলেও সেগুলোর মধ্যে পূর্বের কমতিগুলো থেকে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ম্যারিয়েট বলেন, ‘আমরা কিছু প্রভাব আশঙ্কা করছিলাম কিন্তু আমরা সেগুলো এত শক্তিশালী হবে বলে আশা করিনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী শ্রবণ বিশেষজ্ঞ রবার্ট ডুলিং বলেন, ‘অসংখ্য গবেষণার ভিত্তিতে আমরা সাধারণত অনুমান করেছিলাম যে, খুব অল্পবয়সী পাখি, বিশেষ করে ডিমের ভেতরে থাকা অবস্থায় হয়তো শব্দের প্রতি খুব একটা সংবেদনশীলতা ছিল না। কিন্তু এই গবেষণা পাখির বিকাশের ওপর শব্দ দূষণের বিস্তৃত, নেতিবাচক, স্থায়ী প্রভাবের আভাস উত্থাপন করে।’
ঢাকায় আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ এ এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। এ ছাড়া, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে বজ্রপাতও।
২১ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের আজ বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, রাজধানী শহরের বায়ুমান ১০৬। গতকাল মঙ্গলবার, সকাল ৯টার রেকর্ডে অনুযায়ী ১৬০ বায়ুমান নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছিল ঢাকা। গতকাল ঢাকার বাতাস ছিল সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
২১ ঘণ্টা আগেআলোচনায় বক্তারা বলেন, আগে দেখেছি জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বড় পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হতো, কিন্তু কোনো সুফল বয়ে আনত না। বর্তমানেও নেওয়া হচ্ছে, তবে সেটি আগের মতোই আছে। পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখল, টেন্ডারবাজি, নালা-নর্দমার অকার্যকারিতা, কার্যকারী খনন না করাসহ বেশ কিছু কারণে জলাবদ্ধতাকে আরও জটিল করে
২ দিন আগেআজ সকাল ৬টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। গতকাল একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এ অঞ্চলের আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৯৬ শতাংশ, যা গতকাল ছিল ৯২ শতাংশ।
২ দিন আগে