Ajker Patrika

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক দিনে ভেসে এল ২৪ মৃত কচ্ছপ 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ০৮
Thumbnail image

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে এক দিনেই ভেসে এল ২৪টি মৃত স্ত্রী কচ্ছপ। আজ শুক্রবার কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া থেকে টেকনাফ সৈকত ও সোনাদিয়া উপকূলে কচ্ছপগুলো ভেসে আসে।

ভেসে আসা মৃত কচ্ছপগুলো অলিভ রিডলি প্রজাতির। এই কচ্ছপগুলোর পেটেও ডিম পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

এর আগে, গত বুধ ও গতকাল বৃহস্পতিবার একই সমুদ্র উপকূলে আরও ১৫টি মৃত স্ত্রী কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ৮৩টি সামুদ্রিক মৃত স্ত্রী কচ্ছপ ভেসে আসার তথ্য জানিয়েছেন বোরির বিজ্ঞানীরা। 

সব কচ্ছপই অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের প্রজাতি বলে জানিয়েছেন বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমে গভীর সাগর পারি দিয়ে অলিভ রিডলি ডিম পাড়তে আসে। এ সময় তারা প্রজনন ক্ষেত্রে আসার পথে জালে আটকা পড়ে বা অন্য কোনোভাবে আঘাত পেয়ে মারা পড়ছে। উদ্ধার করা অধিকাংশ কচ্ছপের শরীরে জাল ও রশি প্যাঁচানো। 

১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এর মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণী পরপইস ও ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। এভাবে মৃত কচ্ছপ ভেসে আসার বিষয়টি উদ্বেগের ও হতাশার। দু-এক দিনের মধ্যে গভীর সাগরে ঘুরেও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান সহজ হবে বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী। 

সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা মৃত মা কচ্ছপতরিকুল ইসলাম আরও বলেন, এই মৌসুমে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৬টি অলিভ রিডলি স্ত্রী কচ্ছপ থেকে ৯ হাজার ১০৭টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ডিম সৈকতের প্রাকৃতিক হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে কোনো কচ্ছপ ডিম দেয়নি বলে জানান তিনি। 

বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন, ভেসে আসা সামুদ্রিক প্রাণীর মৃতদেহের নমুনা সংগ্রহ করে কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এসব প্রাণীর বিচরণ ও বাসস্থানে কোনো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে কি না–তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বোরির বিজ্ঞানী ও স্থানীয়ের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, জালে আটকা পড়ে অধিকাংশ কচ্ছপ মারা পড়ছে। এ বিষয়ে খোঁজ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত