আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও।
আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-বাংলাদেশের পরিচালক অ্যাডভোকেট হাফিজ খান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না করে, কার্বন বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। তাঁরা অর্থ দেবে না এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আদায় করতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের দক্ষতা নেই।’ তারপরও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াই করা এই নেগোশিয়েটর।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের চিফ এক্সিকিউটিভ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘অনুন্নত ২০টি দেশের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ১৮ দেশই জলবায়ু অর্থায়নের নামে ঋণের ফাঁদে আটকা পড়ছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশও ঋণের ফাঁদে পড়বে। অর্থাৎ একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে ঋণের ফাঁদে পড়ে আরও ঝুঁকি বাড়ছে অনুন্নত দেশগুলোর।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাব পরিবেশ দূষণ করছে, কার্বন নিঃসরণ করছে তা কমানোর কি কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে? সেটি আমরা দেখতে পারছি না! কিংবা বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ে তেমন কোন কথাও বলছে না।’ নদীভাঙনে যারা উদ্বাস্তু হচ্ছে, তা নিয়েও কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেই বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নাগরিকদের একটি পজিশন পেপার তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমের পজিশন পেপার, তাদের পজিশন পেপার কি হবে তা নিয়েও কাজ করতে হবে।’ এসব করতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘের কাছে যে ওয়াদা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে মনে করেন জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই বিশেষজ্ঞ।
ওয়াটার কিপার অ্যালায়েন্সের মেম্বার বোর্ড অব ডিরেক্টর শরীফ জামিল বলেন, ‘কার্বন বাণিজ্যের নামে উন্নত বিশ্ব অনুন্নত দেশগুলোকে কৌশলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা নেট জিরোর কথা বলে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়েই চলছে।’
শরীফ জামিল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্যা তা গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের সংকটকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনার হাবিব রহমান বলেন, এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এনজিও, গবেষক, তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে থেকে দেনদরবার চালিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পোস্ট কপে অংশ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আশেকিন প্রিন্স বলেন, কপে শুধু অংশ নিলেই হবে না। এনজিও, পরিবেশ কর্মী, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যান্য দেশের নেগশিয়েটরদের সঙ্গে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের সদস্য শামীম বলেন, জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেই বিশ্ব দরবারে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হয় তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই নয়তো কপে যাওয়ার শতভাগ প্রস্তুতি নেই।
ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তরুণ শুধু জলবায়ু নিয়ে জোরালোভাবে কথা বললেই হবে না। সংকট মোকাবিলায় নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া গণমাধ্যমে জলবায়ু প্রতিবেদনগুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন সাংবাদিকেরা।
পোস্ট কপে অংশ নেন যুব জলবায়ু কর্মীরাও। তাঁরা জানান, তরুণদের মধ্য থেকে যারা কপে অংশ নিচ্ছে তারা যাওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে বা রিমোট এলাকায় কাজ করে জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব এলাকায় তরুণেরা মাঠে কাজ করে তাঁদের কথা শোনারও দাবি জানান তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি বা সংকট দেখা দিয়েছে সেই তথ্য আদান প্রদার করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় সেদিকে নজর দিতে বলেন কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করা তাহরিম আরিবা।
তবে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার অভাবে জলবায়ু ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারছে না অনুন্নত দেশগুলো। তাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ৩০ তম জলবায়ু সম্মেলনে কীভাবে এই সংকটগুলো মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও।
আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-বাংলাদেশের পরিচালক অ্যাডভোকেট হাফিজ খান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না করে, কার্বন বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। তাঁরা অর্থ দেবে না এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আদায় করতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের দক্ষতা নেই।’ তারপরও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াই করা এই নেগোশিয়েটর।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের চিফ এক্সিকিউটিভ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘অনুন্নত ২০টি দেশের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ১৮ দেশই জলবায়ু অর্থায়নের নামে ঋণের ফাঁদে আটকা পড়ছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশও ঋণের ফাঁদে পড়বে। অর্থাৎ একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে ঋণের ফাঁদে পড়ে আরও ঝুঁকি বাড়ছে অনুন্নত দেশগুলোর।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাব পরিবেশ দূষণ করছে, কার্বন নিঃসরণ করছে তা কমানোর কি কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে? সেটি আমরা দেখতে পারছি না! কিংবা বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ে তেমন কোন কথাও বলছে না।’ নদীভাঙনে যারা উদ্বাস্তু হচ্ছে, তা নিয়েও কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেই বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নাগরিকদের একটি পজিশন পেপার তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমের পজিশন পেপার, তাদের পজিশন পেপার কি হবে তা নিয়েও কাজ করতে হবে।’ এসব করতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘের কাছে যে ওয়াদা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে মনে করেন জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই বিশেষজ্ঞ।
ওয়াটার কিপার অ্যালায়েন্সের মেম্বার বোর্ড অব ডিরেক্টর শরীফ জামিল বলেন, ‘কার্বন বাণিজ্যের নামে উন্নত বিশ্ব অনুন্নত দেশগুলোকে কৌশলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা নেট জিরোর কথা বলে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়েই চলছে।’
শরীফ জামিল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্যা তা গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের সংকটকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনার হাবিব রহমান বলেন, এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এনজিও, গবেষক, তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে থেকে দেনদরবার চালিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পোস্ট কপে অংশ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আশেকিন প্রিন্স বলেন, কপে শুধু অংশ নিলেই হবে না। এনজিও, পরিবেশ কর্মী, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যান্য দেশের নেগশিয়েটরদের সঙ্গে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের সদস্য শামীম বলেন, জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেই বিশ্ব দরবারে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হয় তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই নয়তো কপে যাওয়ার শতভাগ প্রস্তুতি নেই।
ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তরুণ শুধু জলবায়ু নিয়ে জোরালোভাবে কথা বললেই হবে না। সংকট মোকাবিলায় নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া গণমাধ্যমে জলবায়ু প্রতিবেদনগুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন সাংবাদিকেরা।
পোস্ট কপে অংশ নেন যুব জলবায়ু কর্মীরাও। তাঁরা জানান, তরুণদের মধ্য থেকে যারা কপে অংশ নিচ্ছে তারা যাওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে বা রিমোট এলাকায় কাজ করে জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব এলাকায় তরুণেরা মাঠে কাজ করে তাঁদের কথা শোনারও দাবি জানান তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি বা সংকট দেখা দিয়েছে সেই তথ্য আদান প্রদার করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় সেদিকে নজর দিতে বলেন কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করা তাহরিম আরিবা।
তবে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার অভাবে জলবায়ু ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারছে না অনুন্নত দেশগুলো। তাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ৩০ তম জলবায়ু সম্মেলনে কীভাবে এই সংকটগুলো মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও।
আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-বাংলাদেশের পরিচালক অ্যাডভোকেট হাফিজ খান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না করে, কার্বন বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। তাঁরা অর্থ দেবে না এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আদায় করতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের দক্ষতা নেই।’ তারপরও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াই করা এই নেগোশিয়েটর।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের চিফ এক্সিকিউটিভ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘অনুন্নত ২০টি দেশের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ১৮ দেশই জলবায়ু অর্থায়নের নামে ঋণের ফাঁদে আটকা পড়ছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশও ঋণের ফাঁদে পড়বে। অর্থাৎ একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে ঋণের ফাঁদে পড়ে আরও ঝুঁকি বাড়ছে অনুন্নত দেশগুলোর।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাব পরিবেশ দূষণ করছে, কার্বন নিঃসরণ করছে তা কমানোর কি কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে? সেটি আমরা দেখতে পারছি না! কিংবা বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ে তেমন কোন কথাও বলছে না।’ নদীভাঙনে যারা উদ্বাস্তু হচ্ছে, তা নিয়েও কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেই বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নাগরিকদের একটি পজিশন পেপার তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমের পজিশন পেপার, তাদের পজিশন পেপার কি হবে তা নিয়েও কাজ করতে হবে।’ এসব করতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘের কাছে যে ওয়াদা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে মনে করেন জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই বিশেষজ্ঞ।
ওয়াটার কিপার অ্যালায়েন্সের মেম্বার বোর্ড অব ডিরেক্টর শরীফ জামিল বলেন, ‘কার্বন বাণিজ্যের নামে উন্নত বিশ্ব অনুন্নত দেশগুলোকে কৌশলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা নেট জিরোর কথা বলে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়েই চলছে।’
শরীফ জামিল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্যা তা গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের সংকটকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনার হাবিব রহমান বলেন, এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এনজিও, গবেষক, তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে থেকে দেনদরবার চালিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পোস্ট কপে অংশ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আশেকিন প্রিন্স বলেন, কপে শুধু অংশ নিলেই হবে না। এনজিও, পরিবেশ কর্মী, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যান্য দেশের নেগশিয়েটরদের সঙ্গে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের সদস্য শামীম বলেন, জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেই বিশ্ব দরবারে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হয় তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই নয়তো কপে যাওয়ার শতভাগ প্রস্তুতি নেই।
ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তরুণ শুধু জলবায়ু নিয়ে জোরালোভাবে কথা বললেই হবে না। সংকট মোকাবিলায় নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া গণমাধ্যমে জলবায়ু প্রতিবেদনগুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন সাংবাদিকেরা।
পোস্ট কপে অংশ নেন যুব জলবায়ু কর্মীরাও। তাঁরা জানান, তরুণদের মধ্য থেকে যারা কপে অংশ নিচ্ছে তারা যাওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে বা রিমোট এলাকায় কাজ করে জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব এলাকায় তরুণেরা মাঠে কাজ করে তাঁদের কথা শোনারও দাবি জানান তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি বা সংকট দেখা দিয়েছে সেই তথ্য আদান প্রদার করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় সেদিকে নজর দিতে বলেন কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করা তাহরিম আরিবা।
তবে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার অভাবে জলবায়ু ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারছে না অনুন্নত দেশগুলো। তাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ৩০ তম জলবায়ু সম্মেলনে কীভাবে এই সংকটগুলো মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও।
আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস-বাংলাদেশের পরিচালক অ্যাডভোকেট হাফিজ খান বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না করে, কার্বন বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকছে। তাঁরা অর্থ দেবে না এটাই বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আদায় করতে পারছে না। কারণ বাংলাদেশের দক্ষতা নেই।’ তারপরও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের পক্ষে লড়াই করা এই নেগোশিয়েটর।
চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের চিফ এক্সিকিউটিভ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসাইন বলেন, ‘অনুন্নত ২০টি দেশের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ১৮ দেশই জলবায়ু অর্থায়নের নামে ঋণের ফাঁদে আটকা পড়ছে। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে জলবায়ু অর্থায়নে ঋণ নেওয়া হচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশও ঋণের ফাঁদে পড়বে। অর্থাৎ একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে ঋণের ফাঁদে পড়ে আরও ঝুঁকি বাড়ছে অনুন্নত দেশগুলোর।’
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাব পরিবেশ দূষণ করছে, কার্বন নিঃসরণ করছে তা কমানোর কি কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে? সেটি আমরা দেখতে পারছি না! কিংবা বাংলাদেশ সরকার এটি নিয়ে তেমন কোন কথাও বলছে না।’ নদীভাঙনে যারা উদ্বাস্তু হচ্ছে, তা নিয়েও কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেই বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নাগরিকদের একটি পজিশন পেপার তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমের পজিশন পেপার, তাদের পজিশন পেপার কি হবে তা নিয়েও কাজ করতে হবে।’ এসব করতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় জাতিসংঘের কাছে যে ওয়াদা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না বলে মনে করেন জলবায়ু নিয়ে কাজ করা এই বিশেষজ্ঞ।
ওয়াটার কিপার অ্যালায়েন্সের মেম্বার বোর্ড অব ডিরেক্টর শরীফ জামিল বলেন, ‘কার্বন বাণিজ্যের নামে উন্নত বিশ্ব অনুন্নত দেশগুলোকে কৌশলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। তারা নেট জিরোর কথা বলে কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়েই চলছে।’
শরীফ জামিল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের যে সমস্যা তা গুরুত্ব দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের সংকটকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনার হাবিব রহমান বলেন, এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এনজিও, গবেষক, তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে থেকে দেনদরবার চালিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
পোস্ট কপে অংশ নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী আশেকিন প্রিন্স বলেন, কপে শুধু অংশ নিলেই হবে না। এনজিও, পরিবেশ কর্মী, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যান্য দেশের নেগশিয়েটরদের সঙ্গে কাজের পরিধি বাড়াতে হবে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের সদস্য শামীম বলেন, জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকেই বিশ্ব দরবারে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হয় তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই নয়তো কপে যাওয়ার শতভাগ প্রস্তুতি নেই।
ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ বলেন, তরুণ শুধু জলবায়ু নিয়ে জোরালোভাবে কথা বললেই হবে না। সংকট মোকাবিলায় নতুন নতুন আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া গণমাধ্যমে জলবায়ু প্রতিবেদনগুলোকে আরও গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দেন সাংবাদিকেরা।
পোস্ট কপে অংশ নেন যুব জলবায়ু কর্মীরাও। তাঁরা জানান, তরুণদের মধ্য থেকে যারা কপে অংশ নিচ্ছে তারা যাওয়ার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে বা রিমোট এলাকায় কাজ করে জলবায়ু নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ যেসব এলাকায় তরুণেরা মাঠে কাজ করে তাঁদের কথা শোনারও দাবি জানান তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি বা সংকট দেখা দিয়েছে সেই তথ্য আদান প্রদার করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় সেদিকে নজর দিতে বলেন কমিউনিকেশন নিয়ে কাজ করা তাহরিম আরিবা।
তবে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার অভাবে জলবায়ু ক্ষতির প্রকৃত চিত্র বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারছে না অনুন্নত দেশগুলো। তাই ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ৩০ তম জলবায়ু সম্মেলনে কীভাবে এই সংকটগুলো মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিশেষজ্ঞরা।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
৩৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিশর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী শহর ঢাকায় দূষণ কমছেই না। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৩৮০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা ২০ মিনিটে আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের তালিকার বাকি শহরগুলো হলো —
(বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৯১, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ (১৭৫, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা এবং পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের করাচি (১৬১,সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৬. কায়রো, মিশর (১৫৮)
৭. বাকু, আজারবাইজান (১৫৭)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৫২)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত (১৪৯)
১০. কলকাতা, ভারত (১৪৩)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও। আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে। ফলে আবহাওয়া শুষ্ক, বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে নিম্নচাপ। এটি গভীর নিম্নচাপ থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম-দক্ষিণে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাল সোমবার থেকে আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম ছাড়াও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
বৃষ্টির এই ধারা ২৯ অক্টোবরও অব্যাহত থাকতে পারে। ৩০ অক্টোবর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ সকালে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় যা-ই হোক না কেন, আপাতত এর গতিবিধিতে মনে হচ্ছে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও। আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
৩৩ মিনিট আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও। আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
৩৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অনুদান চায়। কিন্তু কৌশলে উন্নত বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের ফাঁদে ফেলছে। দিচ্ছে না লস অ্যান্ড ড্যামেজের অর্থও। আজ সোমবার গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত পোস্ট কপ নিয়ে আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
৩৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে