অনলাইন ডেস্ক
কয়েক দশকের আকাঙ্ক্ষার পর বায়ুমণ্ডল থেকে হাজার হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী বিশাল কারখানাগুলো চালু হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চালু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন শোষণকারী প্ল্যান্ট। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমওয়ার্কস গতকাল বুধবার (৮ মে) আইসল্যান্ডের হেলিশেইডিতে এর যাত্রা শুরু করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ম্যামথ’ নামে পরিচিত এই প্ল্যান্ট প্রতিবছর ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কার্বন শোষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেটি ৮ হাজার ৬০০ গাড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সমতুল্য।
এই নতুন প্ল্যান্ট আগের রেকর্ডধারী ক্লাইমওয়ার্কসের ‘ওরকা’ প্ল্যান্টের চেয়ে ৯ গুণ বড়, যা ২০২১ সালে আইসল্যান্ডে খোলা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও লক্ষ লক্ষ টন কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে এটি তেমন কিছুই না। যেখানে এই শতাব্দীর মধ্যেই বিশ্বের জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে হবে। তার পরও এটি বিশ্বকে বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
কিন্তু ম্যামথ দেখায়, শিল্পটি পাইলট প্ল্যান্ট (শিল্প চালু হওয়ার পূর্বাবস্থা) এবং ল্যাব প্রদর্শনীর চেয়ে বড় হতে শুরু করেছে। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির নেগেটিভ কার্বন নিঃসারণ কেন্দ্রের প্রধান ক্লাউস ল্যাকনার বলেছেন, এটি বড় বালতিতে এক ফোঁটা পানির মতো। তবে এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তার চেয়ে এটি বালতিতে অনেক বড় পানির ফোঁটা।’
ম্যামথ কীভাবে কাজ করে
ক্লাইমওয়ার্কস ম্যামথ প্ল্যান্টটি মূলত একটি বিশাল এয়ার ফিল্টার। এর ফ্যানগুলো বাতাসের CO 2 অণু শোষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বাতাসের ভরের একটি ক্ষুদ্র অংশ—মাত্র ০ দশমিক ০৪ শতাংশ শোষণ করে। এরপর কার্বফিক্স নামক আরেকটি কোম্পানি জলের সঙ্গে CO 2 মিশ্রিত করে এবং এটিকে গভীর ভূগর্ভে পাম্প করে। সেখানে এটি ব্যাসল্ট শিলার সঙ্গে বিক্রিয়া করে পাথরে পরিণত হয়।
পুরো প্রক্রিয়াটি আইসল্যান্ডের প্রচুর ভূতাপীয় শক্তির ওপর চলে। তাই মেশিনগুলো চলতে বেশি কার্বন নিঃসারণ হয় না। বাইরের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, ক্লাইমওয়ার্কস ওর্কা প্রকল্প এবং পূর্বের একটি পাইলট প্ল্যান্ট সত্যিই কার্বন অপসারণ করে। ২০২১ সালে নেচারে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে খুবই কম কার্বন নির্গমন হয়।
শুধু তাই নয়, ক্লাইমওয়ার্কস শোষিত কার্বনের অফসেট বিক্রি করে। মাইক্রোসফট, শপিফাই এবং স্ট্রাইপসহ বড় বড় করপোরেট তাদের গ্রাহক। তবে প্রতিষ্ঠানটি পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের থেকে কত টাকা নেয় তা প্রকাশ্যে বলে না।
তবে এটি কার্বন অপসারণের টন প্রতি ১ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যে নিয়মিত কার্বন অপসারণের সাবস্ক্রিপশন অফার করে। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটিতে সাইন আপ করেছে।
সবুজ শক্তির জন্য থিংক ট্যাংক আরএমআইের কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণবিষয়ক ম্যানেজার রুডি কাহসার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্লাইমওয়ার্কসের কার্বন অপসারণ প্যাকেজ কেনা গ্রাহকেরা খুব ধনী ব্যক্তি বা ধনী কোম্পানি, যারা এটিকে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শিল্প হিসাবে দেখছে এবং খরচ কমিয়ে আনতে প্রচুর অর্থ ঢালছে।’
ল্যাকনার বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যত বেশি কার্বন অপসারণের প্ল্যান্ট স্থাপন হবে এবং বৃহদাকার রূপ নেবে, প্রতি টন কার্বন শোষণের খরচ তত কমবে। এটি ১০০ ডলারের কাছাকাছি চলে আসবে, যেই মূল্য অনেক নতুন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা।’
তিনি বলেন, ‘১০০ ডলার সহনীয়। বিশ্ব এটি পরিচালনা এবং জোগান দিতে পারে। ১ হাজার ডলার হলে পারবে না।’
ম্যামথের চেয়েও বড়
রেকর্ড সৃষ্টিকারী ম্যামথ প্ল্যান্ট এই দশকের বামন প্ল্যান্টে পরিণত হতে পারে। আগামী বছরই তেল কোম্পানি অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি প্ল্যান্ট খোলার পরিকল্পনা করেছে, যেটি প্রতিবছর ৫ লাখ টন কার্বন অপসারণ করতে সক্ষম হবে। এটি রাস্তা থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার গাড়ি অপসারণের সমতুল্য।
অন্যদিকে ক্লাইমওয়ার্কসও লুইজিয়ানায় আরেকটি প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি বার্ষিক ১০ লাখ টন কার্বন শোষণ করবে। এটি রাস্তা থেকে ২ লাখ ৩৮ হাজার গাড়ি অপসারণের সমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাথমিক প্ল্যান্টগুলো কাজ করে কি না, তা প্রমাণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে এগুলো কতটা ব্যয়বহুল এবং পরিচালনায় কতটা শক্তির প্রয়োজন হবে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
কয়েক দশকের আকাঙ্ক্ষার পর বায়ুমণ্ডল থেকে হাজার হাজার টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণকারী বিশাল কারখানাগুলো চালু হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চালু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম কার্বন শোষণকারী প্ল্যান্ট। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমওয়ার্কস গতকাল বুধবার (৮ মে) আইসল্যান্ডের হেলিশেইডিতে এর যাত্রা শুরু করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ম্যামথ’ নামে পরিচিত এই প্ল্যান্ট প্রতিবছর ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কার্বন শোষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেটি ৮ হাজার ৬০০ গাড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার সমতুল্য।
এই নতুন প্ল্যান্ট আগের রেকর্ডধারী ক্লাইমওয়ার্কসের ‘ওরকা’ প্ল্যান্টের চেয়ে ৯ গুণ বড়, যা ২০২১ সালে আইসল্যান্ডে খোলা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও লক্ষ লক্ষ টন কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে এটি তেমন কিছুই না। যেখানে এই শতাব্দীর মধ্যেই বিশ্বের জলবায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে হবে। তার পরও এটি বিশ্বকে বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
কিন্তু ম্যামথ দেখায়, শিল্পটি পাইলট প্ল্যান্ট (শিল্প চালু হওয়ার পূর্বাবস্থা) এবং ল্যাব প্রদর্শনীর চেয়ে বড় হতে শুরু করেছে। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির নেগেটিভ কার্বন নিঃসারণ কেন্দ্রের প্রধান ক্লাউস ল্যাকনার বলেছেন, এটি বড় বালতিতে এক ফোঁটা পানির মতো। তবে এখন পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তার চেয়ে এটি বালতিতে অনেক বড় পানির ফোঁটা।’
ম্যামথ কীভাবে কাজ করে
ক্লাইমওয়ার্কস ম্যামথ প্ল্যান্টটি মূলত একটি বিশাল এয়ার ফিল্টার। এর ফ্যানগুলো বাতাসের CO 2 অণু শোষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বাতাসের ভরের একটি ক্ষুদ্র অংশ—মাত্র ০ দশমিক ০৪ শতাংশ শোষণ করে। এরপর কার্বফিক্স নামক আরেকটি কোম্পানি জলের সঙ্গে CO 2 মিশ্রিত করে এবং এটিকে গভীর ভূগর্ভে পাম্প করে। সেখানে এটি ব্যাসল্ট শিলার সঙ্গে বিক্রিয়া করে পাথরে পরিণত হয়।
পুরো প্রক্রিয়াটি আইসল্যান্ডের প্রচুর ভূতাপীয় শক্তির ওপর চলে। তাই মেশিনগুলো চলতে বেশি কার্বন নিঃসারণ হয় না। বাইরের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, ক্লাইমওয়ার্কস ওর্কা প্রকল্প এবং পূর্বের একটি পাইলট প্ল্যান্ট সত্যিই কার্বন অপসারণ করে। ২০২১ সালে নেচারে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে খুবই কম কার্বন নির্গমন হয়।
শুধু তাই নয়, ক্লাইমওয়ার্কস শোষিত কার্বনের অফসেট বিক্রি করে। মাইক্রোসফট, শপিফাই এবং স্ট্রাইপসহ বড় বড় করপোরেট তাদের গ্রাহক। তবে প্রতিষ্ঠানটি পরিষেবার জন্য গ্রাহকদের থেকে কত টাকা নেয় তা প্রকাশ্যে বলে না।
তবে এটি কার্বন অপসারণের টন প্রতি ১ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যে নিয়মিত কার্বন অপসারণের সাবস্ক্রিপশন অফার করে। কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটিতে সাইন আপ করেছে।
সবুজ শক্তির জন্য থিংক ট্যাংক আরএমআইের কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণবিষয়ক ম্যানেজার রুডি কাহসার বলেন, ‘এই মুহূর্তে ক্লাইমওয়ার্কসের কার্বন অপসারণ প্যাকেজ কেনা গ্রাহকেরা খুব ধনী ব্যক্তি বা ধনী কোম্পানি, যারা এটিকে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শিল্প হিসাবে দেখছে এবং খরচ কমিয়ে আনতে প্রচুর অর্থ ঢালছে।’
ল্যাকনার বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, যত বেশি কার্বন অপসারণের প্ল্যান্ট স্থাপন হবে এবং বৃহদাকার রূপ নেবে, প্রতি টন কার্বন শোষণের খরচ তত কমবে। এটি ১০০ ডলারের কাছাকাছি চলে আসবে, যেই মূল্য অনেক নতুন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা।’
তিনি বলেন, ‘১০০ ডলার সহনীয়। বিশ্ব এটি পরিচালনা এবং জোগান দিতে পারে। ১ হাজার ডলার হলে পারবে না।’
ম্যামথের চেয়েও বড়
রেকর্ড সৃষ্টিকারী ম্যামথ প্ল্যান্ট এই দশকের বামন প্ল্যান্টে পরিণত হতে পারে। আগামী বছরই তেল কোম্পানি অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি প্ল্যান্ট খোলার পরিকল্পনা করেছে, যেটি প্রতিবছর ৫ লাখ টন কার্বন অপসারণ করতে সক্ষম হবে। এটি রাস্তা থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার গাড়ি অপসারণের সমতুল্য।
অন্যদিকে ক্লাইমওয়ার্কসও লুইজিয়ানায় আরেকটি প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি বার্ষিক ১০ লাখ টন কার্বন শোষণ করবে। এটি রাস্তা থেকে ২ লাখ ৩৮ হাজার গাড়ি অপসারণের সমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রাথমিক প্ল্যান্টগুলো কাজ করে কি না, তা প্রমাণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে এগুলো কতটা ব্যয়বহুল এবং পরিচালনায় কতটা শক্তির প্রয়োজন হবে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
যেহেতু প্রভাবশালী ও বিত্তশালীরা বর্তমানে বিভিন্ন স্তরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। সুতরাং নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যদি পরিবেশ দূষণ ও নদী দখলকারীদের অযোগ্য ঘোষণা করার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে পরিবেশ সংরক্ষণ সহজতর হবে...
৯ মিনিট আগেঢাকার বাতাসের তেমন উন্নতি হয়নি। আজ বুধবার বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৫টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। সকাল ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৭১ বায়ুমান নিয়ে ঢাকার বাতাস আজকে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৫৯ বায়ুমান নিয়ে ৭ম স্থানে ছিল
৯ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৫টি দেশের মধ্যে প্রথম দিকেই আছে বাংলাদেশের রাজধানী। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী, ১৫৯ বায়ুমান নিয়ে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকাল সোমবার সকাল ৮টার রেকর্ড অনুযায়ী বায়ুমান ২৫৮ নিয়ে শীর্ষে ছিল ঢাকা।
১ দিন আগেবাংলাদেশের বন থেকে ৩১ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির পথে রয়েছে আরও ৩৯০ প্রজাতির প্রাণী। বিলুপ্তির পথে থাকা প্রাণী রক্ষা এবং বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী বনে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ময়ূর দিয়ে বিলুপ্ত প্রাণী বনে ফেরাতে চায় সরকার
২ দিন আগে