
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছেন। ঘরের বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েকগুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি শহরটির চিকিৎসকেরা এমন বেশ কয়েকজন রোগীর চিকিৎসা করেছেন, যারা কিনা তাপমাত্রা বুঝতে না পারার কারণে দেয়াল ও খোলা আকাশের নিচে থাকা স্টিল ও কংক্রিটের সামগ্রী স্পর্শ করে শরীরের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টার। গবেষণা করতে গিয়ে তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি দেখতে পান, পরিবেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করে, একই সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে কংক্রিট নির্মিত কোনো কাঠামোতে।
বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিমেন্ট ও কংক্রিট নির্মিত স্থাপনা। একই সঙ্গে তা শহুরে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে মারাত্মকভাবে। সিমেন্ট ও কংক্রিটের স্থাপনার কারণেই একটি শহরের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক নিবন্ধে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
কোনো স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করার সময় মূলত সেখানকার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ মিটার ওপর পর্যন্ত বায়ুর অবস্থা বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে যখন কোনো স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একই সময়ে সেই স্থানের কংক্রিট বা অ্যাসফল্ট পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হতে পারে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, যা কিনা সহজেই কোনো মানুষের ত্বক ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু নতুন গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রার ব্যবধানটা আরও বেশি হতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টারের গবেষণা বলছে, একটি উত্তপ্ত দিনে অ্যাসফল্ট ও কংক্রিটের তাপমাত্রা বেড়ে ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সাধারণত তাপপ্রবাহের সময় বিভিন্ন পৃষ্ঠ সূর্যের আলো থেকে আসা তাপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শোষণ করে নেয়। পরে সেই তাপ আশপাশের তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন পৃষ্ঠ শোষণ করা তাপ পরে বাতাসে অবমুক্ত করে সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
ঘাস বা মাটির মতো কিছু ভেদযোগ্য ও আর্দ্র পৃষ্ঠতল কম তাপ শোষণ করে। বিপরীতে অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী যেমন অ্যাসফল্ট বা কংক্রিট সূর্যের শক্তির ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ করতে সক্ষম। বিষয়টির এখানেই শেষ নয় বরং এই তাপ পরে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
দ্রুত নগরায়ণ আরও দ্রুত সেই স্থানের তাপমাত্রার প্রকৃতি বদলে দিচ্ছে। যেমন, সাধারণ উন্মুক্ত ভূপৃষ্ঠকে বড় বড় সব দালান ও অ্যাসফল্টের রাস্তা দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে খোলা বা গ্রামীণ কোনো এলাকার তুলনায় একটি শহর অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে; যেন শহরটি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। বিষয়টি মাথায় নিয়েই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরিস্থিতির নাম দিয়েছেন ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’। এই ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপের’ তাপমাত্রা নগরের ঠিক বাইরের কোনো একটি গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি।
ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, ১০ লাখ বা তার বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে এমন একটি শহরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা তার আশপাশের (গ্রামীণ বা উপশহর) এলাকার তুলনায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাপমাত্রার এই পার্থক্য গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।
শহরগুলোর ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সবুজ এলাকা এবং গাছপালা বাষ্পীভবন (প্রস্বেদন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ায় গাছপালা বাতাসে জলীয়বাষ্প ছেড়ে দিয়ে পরিবেশের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
বিপরীতে শহরের যে গঠন, তার কারণেই প্রচুর পরিমাণ তাপ আটকে দেয়। এ ছাড়া শহরের কংক্রিটের পৃষ্ঠ স্বাভাবিক ভূপৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে, যার ফলে আশপাশের তাপমাত্রা আরও বাড়ে। শহরের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য—সূর্য থেকে আগত তাপের প্রতিফলন, তাপ নির্গমন এবং তাপ ধারণক্ষমতার কারণে তা ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের তাপীয় অবস্থা নজরদারি করা স্যাটেলাইটগুলোর চিত্র থেকে দেখা গেছে যে, এলাকার গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য স্পষ্ট। যেমন শহরের পার্কগুলোর যে তাপমাত্রা তা শহরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশ কম দেখায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। আর তাই প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরে ‘পকেট পার্ক’ বা ছোট আকারের পার্ক ভালো কাজে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছেন। ঘরের বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েকগুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি শহরটির চিকিৎসকেরা এমন বেশ কয়েকজন রোগীর চিকিৎসা করেছেন, যারা কিনা তাপমাত্রা বুঝতে না পারার কারণে দেয়াল ও খোলা আকাশের নিচে থাকা স্টিল ও কংক্রিটের সামগ্রী স্পর্শ করে শরীরের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টার। গবেষণা করতে গিয়ে তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি দেখতে পান, পরিবেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করে, একই সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে কংক্রিট নির্মিত কোনো কাঠামোতে।
বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিমেন্ট ও কংক্রিট নির্মিত স্থাপনা। একই সঙ্গে তা শহুরে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে মারাত্মকভাবে। সিমেন্ট ও কংক্রিটের স্থাপনার কারণেই একটি শহরের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক নিবন্ধে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
কোনো স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করার সময় মূলত সেখানকার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ মিটার ওপর পর্যন্ত বায়ুর অবস্থা বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে যখন কোনো স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একই সময়ে সেই স্থানের কংক্রিট বা অ্যাসফল্ট পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হতে পারে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, যা কিনা সহজেই কোনো মানুষের ত্বক ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু নতুন গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রার ব্যবধানটা আরও বেশি হতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টারের গবেষণা বলছে, একটি উত্তপ্ত দিনে অ্যাসফল্ট ও কংক্রিটের তাপমাত্রা বেড়ে ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সাধারণত তাপপ্রবাহের সময় বিভিন্ন পৃষ্ঠ সূর্যের আলো থেকে আসা তাপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শোষণ করে নেয়। পরে সেই তাপ আশপাশের তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন পৃষ্ঠ শোষণ করা তাপ পরে বাতাসে অবমুক্ত করে সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
ঘাস বা মাটির মতো কিছু ভেদযোগ্য ও আর্দ্র পৃষ্ঠতল কম তাপ শোষণ করে। বিপরীতে অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী যেমন অ্যাসফল্ট বা কংক্রিট সূর্যের শক্তির ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ করতে সক্ষম। বিষয়টির এখানেই শেষ নয় বরং এই তাপ পরে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
দ্রুত নগরায়ণ আরও দ্রুত সেই স্থানের তাপমাত্রার প্রকৃতি বদলে দিচ্ছে। যেমন, সাধারণ উন্মুক্ত ভূপৃষ্ঠকে বড় বড় সব দালান ও অ্যাসফল্টের রাস্তা দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে খোলা বা গ্রামীণ কোনো এলাকার তুলনায় একটি শহর অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে; যেন শহরটি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। বিষয়টি মাথায় নিয়েই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরিস্থিতির নাম দিয়েছেন ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’। এই ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপের’ তাপমাত্রা নগরের ঠিক বাইরের কোনো একটি গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি।
ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, ১০ লাখ বা তার বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে এমন একটি শহরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা তার আশপাশের (গ্রামীণ বা উপশহর) এলাকার তুলনায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাপমাত্রার এই পার্থক্য গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।
শহরগুলোর ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সবুজ এলাকা এবং গাছপালা বাষ্পীভবন (প্রস্বেদন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ায় গাছপালা বাতাসে জলীয়বাষ্প ছেড়ে দিয়ে পরিবেশের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
বিপরীতে শহরের যে গঠন, তার কারণেই প্রচুর পরিমাণ তাপ আটকে দেয়। এ ছাড়া শহরের কংক্রিটের পৃষ্ঠ স্বাভাবিক ভূপৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে, যার ফলে আশপাশের তাপমাত্রা আরও বাড়ে। শহরের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য—সূর্য থেকে আগত তাপের প্রতিফলন, তাপ নির্গমন এবং তাপ ধারণক্ষমতার কারণে তা ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের তাপীয় অবস্থা নজরদারি করা স্যাটেলাইটগুলোর চিত্র থেকে দেখা গেছে যে, এলাকার গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য স্পষ্ট। যেমন শহরের পার্কগুলোর যে তাপমাত্রা তা শহরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশ কম দেখায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। আর তাই প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরে ‘পকেট পার্ক’ বা ছোট আকারের পার্ক ভালো কাজে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছেন। ঘরের বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েকগুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি শহরটির চিকিৎসকেরা এমন বেশ কয়েকজন রোগীর চিকিৎসা করেছেন, যারা কিনা তাপমাত্রা বুঝতে না পারার কারণে দেয়াল ও খোলা আকাশের নিচে থাকা স্টিল ও কংক্রিটের সামগ্রী স্পর্শ করে শরীরের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টার। গবেষণা করতে গিয়ে তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি দেখতে পান, পরিবেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করে, একই সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে কংক্রিট নির্মিত কোনো কাঠামোতে।
বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিমেন্ট ও কংক্রিট নির্মিত স্থাপনা। একই সঙ্গে তা শহুরে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে মারাত্মকভাবে। সিমেন্ট ও কংক্রিটের স্থাপনার কারণেই একটি শহরের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক নিবন্ধে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
কোনো স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করার সময় মূলত সেখানকার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ মিটার ওপর পর্যন্ত বায়ুর অবস্থা বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে যখন কোনো স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একই সময়ে সেই স্থানের কংক্রিট বা অ্যাসফল্ট পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হতে পারে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, যা কিনা সহজেই কোনো মানুষের ত্বক ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু নতুন গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রার ব্যবধানটা আরও বেশি হতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টারের গবেষণা বলছে, একটি উত্তপ্ত দিনে অ্যাসফল্ট ও কংক্রিটের তাপমাত্রা বেড়ে ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সাধারণত তাপপ্রবাহের সময় বিভিন্ন পৃষ্ঠ সূর্যের আলো থেকে আসা তাপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শোষণ করে নেয়। পরে সেই তাপ আশপাশের তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন পৃষ্ঠ শোষণ করা তাপ পরে বাতাসে অবমুক্ত করে সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
ঘাস বা মাটির মতো কিছু ভেদযোগ্য ও আর্দ্র পৃষ্ঠতল কম তাপ শোষণ করে। বিপরীতে অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী যেমন অ্যাসফল্ট বা কংক্রিট সূর্যের শক্তির ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ করতে সক্ষম। বিষয়টির এখানেই শেষ নয় বরং এই তাপ পরে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
দ্রুত নগরায়ণ আরও দ্রুত সেই স্থানের তাপমাত্রার প্রকৃতি বদলে দিচ্ছে। যেমন, সাধারণ উন্মুক্ত ভূপৃষ্ঠকে বড় বড় সব দালান ও অ্যাসফল্টের রাস্তা দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে খোলা বা গ্রামীণ কোনো এলাকার তুলনায় একটি শহর অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে; যেন শহরটি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। বিষয়টি মাথায় নিয়েই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরিস্থিতির নাম দিয়েছেন ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’। এই ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপের’ তাপমাত্রা নগরের ঠিক বাইরের কোনো একটি গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি।
ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, ১০ লাখ বা তার বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে এমন একটি শহরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা তার আশপাশের (গ্রামীণ বা উপশহর) এলাকার তুলনায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাপমাত্রার এই পার্থক্য গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।
শহরগুলোর ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সবুজ এলাকা এবং গাছপালা বাষ্পীভবন (প্রস্বেদন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ায় গাছপালা বাতাসে জলীয়বাষ্প ছেড়ে দিয়ে পরিবেশের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
বিপরীতে শহরের যে গঠন, তার কারণেই প্রচুর পরিমাণ তাপ আটকে দেয়। এ ছাড়া শহরের কংক্রিটের পৃষ্ঠ স্বাভাবিক ভূপৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে, যার ফলে আশপাশের তাপমাত্রা আরও বাড়ে। শহরের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য—সূর্য থেকে আগত তাপের প্রতিফলন, তাপ নির্গমন এবং তাপ ধারণক্ষমতার কারণে তা ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের তাপীয় অবস্থা নজরদারি করা স্যাটেলাইটগুলোর চিত্র থেকে দেখা গেছে যে, এলাকার গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য স্পষ্ট। যেমন শহরের পার্কগুলোর যে তাপমাত্রা তা শহরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশ কম দেখায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। আর তাই প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরে ‘পকেট পার্ক’ বা ছোট আকারের পার্ক ভালো কাজে দিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছেন। ঘরের বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েকগুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি শহরটির চিকিৎসকেরা এমন বেশ কয়েকজন রোগীর চিকিৎসা করেছেন, যারা কিনা তাপমাত্রা বুঝতে না পারার কারণে দেয়াল ও খোলা আকাশের নিচে থাকা স্টিল ও কংক্রিটের সামগ্রী স্পর্শ করে শরীরের কিছু অংশ পুড়িয়ে ফেলেছে।
বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টার। গবেষণা করতে গিয়ে তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি দেখতে পান, পরিবেশে যে তাপমাত্রা বিরাজ করে, একই সময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করে কংক্রিট নির্মিত কোনো কাঠামোতে।
বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সিমেন্ট ও কংক্রিট নির্মিত স্থাপনা। একই সঙ্গে তা শহুরে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে মারাত্মকভাবে। সিমেন্ট ও কংক্রিটের স্থাপনার কারণেই একটি শহরের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীরা এই অবস্থাকে ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক নিবন্ধে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
কোনো স্থানের তাপমাত্রা পরিমাপ করার সময় মূলত সেখানকার ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ মিটার ওপর পর্যন্ত বায়ুর অবস্থা বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে যখন কোনো স্থানের বায়ুর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একই সময়ে সেই স্থানের কংক্রিট বা অ্যাসফল্ট পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হতে পারে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত, যা কিনা সহজেই কোনো মানুষের ত্বক ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু নতুন গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রার ব্যবধানটা আরও বেশি হতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্সে অবস্থিত অ্যারিজোনা বার্ন সেন্টারের পরিচালক ড. কেভিন ফস্টারের গবেষণা বলছে, একটি উত্তপ্ত দিনে অ্যাসফল্ট ও কংক্রিটের তাপমাত্রা বেড়ে ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সাধারণত তাপপ্রবাহের সময় বিভিন্ন পৃষ্ঠ সূর্যের আলো থেকে আসা তাপের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শোষণ করে নেয়। পরে সেই তাপ আশপাশের তাপমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন পৃষ্ঠ শোষণ করা তাপ পরে বাতাসে অবমুক্ত করে সামগ্রিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
ঘাস বা মাটির মতো কিছু ভেদযোগ্য ও আর্দ্র পৃষ্ঠতল কম তাপ শোষণ করে। বিপরীতে অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী যেমন অ্যাসফল্ট বা কংক্রিট সূর্যের শক্তির ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত শোষণ করতে সক্ষম। বিষয়টির এখানেই শেষ নয় বরং এই তাপ পরে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
দ্রুত নগরায়ণ আরও দ্রুত সেই স্থানের তাপমাত্রার প্রকৃতি বদলে দিচ্ছে। যেমন, সাধারণ উন্মুক্ত ভূপৃষ্ঠকে বড় বড় সব দালান ও অ্যাসফল্টের রাস্তা দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে খোলা বা গ্রামীণ কোনো এলাকার তুলনায় একটি শহর অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে; যেন শহরটি বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ। বিষয়টি মাথায় নিয়েই বিজ্ঞানীরা এ ধরনের পরিস্থিতির নাম দিয়েছেন ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’। এই ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপের’ তাপমাত্রা নগরের ঠিক বাইরের কোনো একটি গ্রামীণ এলাকার তুলনায় অনেক বেশি।
ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির মতে, ১০ লাখ বা তার বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে এমন একটি শহরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা তার আশপাশের (গ্রামীণ বা উপশহর) এলাকার তুলনায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হতে পারে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাপমাত্রার এই পার্থক্য গ্রামীণ এলাকার তুলনায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে।
শহরগুলোর ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হয়ে ওঠার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সবুজ এলাকা এবং গাছপালা বাষ্পীভবন (প্রস্বেদন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়ায় গাছপালা বাতাসে জলীয়বাষ্প ছেড়ে দিয়ে পরিবেশের তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
বিপরীতে শহরের যে গঠন, তার কারণেই প্রচুর পরিমাণ তাপ আটকে দেয়। এ ছাড়া শহরের কংক্রিটের পৃষ্ঠ স্বাভাবিক ভূপৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি তাপ শোষণ করে এবং সঞ্চয় করে, যার ফলে আশপাশের তাপমাত্রা আরও বাড়ে। শহরের গাঠনিক বৈশিষ্ট্য—সূর্য থেকে আগত তাপের প্রতিফলন, তাপ নির্গমন এবং তাপ ধারণক্ষমতার কারণে তা ‘উত্তপ্ত নগরদ্বীপ’ হিসেবে পরিণত হওয়ার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
ভূপৃষ্ঠের তাপীয় অবস্থা নজরদারি করা স্যাটেলাইটগুলোর চিত্র থেকে দেখা গেছে যে, এলাকার গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শহর ও গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার পার্থক্য স্পষ্ট। যেমন শহরের পার্কগুলোর যে তাপমাত্রা তা শহরের অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশ কম দেখায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা গ্রামীণ এলাকার তাপমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছে যায়। আর তাই প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শহরে ‘পকেট পার্ক’ বা ছোট আকারের পার্ক ভালো কাজে দিতে পারে।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
২ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
১৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ রাতে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোন্থা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আবহাওয়ার আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হবে না বলেও জানান তিনি।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আজ আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য জানায়।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ রাতে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, মোন্থা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আবহাওয়ার আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হবে না বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফোনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছে। বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েক গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠে
০১ আগস্ট ২০২৩
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
১৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজ কিছুটা কমেছে। তবে দূষিত শহরের তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা শহর লাহোরে দূষণ বেড়েই চলেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৫৫, যা গতকাল ছিল ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ নবম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল তৃতীয়।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরটির বায়ুমান আজ ৪৬২, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং, পাকিস্তানের করাচি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৪৪, ২০৮, ১৭৩ ও ১৭০।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফোনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছে। বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েক গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠে
০১ আগস্ট ২০২৩
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ‘মোন্থা’। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে পারে। আজ বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র ঝুঁকি কেটে গেলেও বাংলাদেশে আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, রাজধানী ও আশপাশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া এই পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দিনের যেকোনো সময় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফোনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছে। বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েক গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠে
০১ আগস্ট ২০২৩
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
২ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে বঙ্গোপসার উত্তাল রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। মোন্থার প্রভাবে আগামীকাল বুধবার খুলনা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় জানান, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় (১৫.৯° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার বন্দর থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যরাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তরিফুল নেওয়াজ জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তরিফুল নেওয়াজ আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফোনিক্সের বাসিন্দারা বেশ ভোগান্তির মধ্যেই দিনাতিপাত করছে। বাইরের যা তাপমাত্রা তার চেয়ে সড়ক, ঘরের দেয়াল, ছাদ কয়েক গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কংক্রিটের নগরে ঘরের মেঝে যেন হয়ে উঠেছে আগ্নেয়গিরির লাভা। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, কোথাও বসা কিংবা হাত দেওয়াও বিপজ্জনক হয়ে উঠে
০১ আগস্ট ২০২৩
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে প্রথমে ঘূর্ণিঝড়, পরে গভীর নিম্নচাপ, তারপর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায়
২ ঘণ্টা আগে
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসা
১৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে আজ বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে