অনলাইন ডেস্ক
পৌষের শুরু হতে এখনো ৯ দিন বাকি। এরই মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে শীত তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। যদিও তাপমাত্রা এখনো ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি, তবে শীতের কামড় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে আর কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে ভোরের দৃশ্যপট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শীতের এই প্রবাহ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ রাতের তাপমাত্রা সারা দেশে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। শীতের এই আগাম বার্তা ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে অপেক্ষা করছে আরও কনকনে ঠান্ডার দিন।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। শুক্রবার তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি কমতে পারে। এর পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও কমছে। আগামী দুই দিন তাপমাত্রা আরও কমবে, তবে পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
শাহনাজ সুলতানা বলেন, ৭ ডিসেম্বর শনিবার থেকে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়বে। এই মাসের মধ্যভাগের পর শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহের কোনো আশঙ্কা নেই, তবে সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার তিন মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১২টি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এ ছাড়া, শেষ রাতে ঘন কুয়াশা ও ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রঝড় হতে পারে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে, তবে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কখনো কখনো উত্তরাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও দু-এক দিন শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হতে পারে।
ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা পঞ্চগড়ে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে জেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায় পুরো এলাকা, দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়লেও আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবারও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এমন আচমকা বাড়তি প্রকোপ স্থানীয়দের জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
তেঁতুলিয়ায়ও শীত বাড়ছে, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ অঞ্চলে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পারায় শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমজীবী মানুষ শীত উপেক্ষা করে কাজে চলে যাচ্ছেন। বাসচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে হালকা শীত অনুভব হচ্ছিল, তবে সকালে কুয়াশায় পুরো এলাকা ঢেকে গেছে। বেশি দূর দেখা যাচ্ছে না, শীত আর কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।’
পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকার ভ্যানচালক করিমুল জানান, ‘ঘন কুয়াশার কারণে লোকজন বের হচ্ছেন না, ফলে তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতে শীত উপেক্ষা করে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
পঞ্চগড় সিনেমা হলের সামনে দিনমজুর হাসান আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘শীতের কারণে মালিকেরা কাজ করাচ্ছেন না, কাম-কাজ পাইনি। তাই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।’
পৌষের শুরু হতে এখনো ৯ দিন বাকি। এরই মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে শীত তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। যদিও তাপমাত্রা এখনো ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি, তবে শীতের কামড় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে আর কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে ভোরের দৃশ্যপট।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শীতের এই প্রবাহ আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ রাতের তাপমাত্রা সারা দেশে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। শীতের এই আগাম বার্তা ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে অপেক্ষা করছে আরও কনকনে ঠান্ডার দিন।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। শুক্রবার তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি কমতে পারে। এর পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রাও কমছে। আগামী দুই দিন তাপমাত্রা আরও কমবে, তবে পরবর্তী সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
শাহনাজ সুলতানা বলেন, ৭ ডিসেম্বর শনিবার থেকে শীতের অনুভূতি কিছুটা বাড়বে। এই মাসের মধ্যভাগের পর শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহের কোনো আশঙ্কা নেই, তবে সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার তিন মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১২টি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এ ছাড়া, শেষ রাতে ঘন কুয়াশা ও ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রঝড় হতে পারে। তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে, তবে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কখনো কখনো উত্তরাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও দু-এক দিন শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হতে পারে।
ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা পঞ্চগড়ে
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। আজ শুক্রবার সকালে জেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায় পুরো এলাকা, দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়লেও আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবারও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এমন আচমকা বাড়তি প্রকোপ স্থানীয়দের জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
তেঁতুলিয়ায়ও শীত বাড়ছে, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এ অঞ্চলে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পারায় শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমজীবী মানুষ শীত উপেক্ষা করে কাজে চলে যাচ্ছেন। বাসচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে হালকা শীত অনুভব হচ্ছিল, তবে সকালে কুয়াশায় পুরো এলাকা ঢেকে গেছে। বেশি দূর দেখা যাচ্ছে না, শীত আর কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।’
পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা এলাকার ভ্যানচালক করিমুল জানান, ‘ঘন কুয়াশার কারণে লোকজন বের হচ্ছেন না, ফলে তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করতে শীত উপেক্ষা করে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
পঞ্চগড় সিনেমা হলের সামনে দিনমজুর হাসান আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘শীতের কারণে মালিকেরা কাজ করাচ্ছেন না, কাম-কাজ পাইনি। তাই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।’
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনার কথা জানায়নি অধিদপ্তর।
৬ ঘণ্টা আগেবাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস।
৭ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজ দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস ব
১ দিন আগেসকাল ৯টায় বাতাসের গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) দেখা যায়, ঢাকার বায়ুমান ৯৯, যা সহনীয় বাতাসের নির্দেশক। অন্যদিকে গতকাল ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৭৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে