নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।

হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
৭ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৪২১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৬৯, ১৭৬ ও ১৬৫।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আজ বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ৪২১, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা এবং পাকিস্তানের করাচি। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৬৯, ১৭৬ ও ১৬৫।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে খুব বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোন্থা আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এভাবে বৃষ্টি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে খুব বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকালের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোন্থা আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এভাবে বৃষ্টি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে বলে আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, শেষ ৬ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে মোন্থা। সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দুপুরে চেন্নাই থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বিশাখাপট্টনম থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এবং গোপালপুর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে। ‘প্রবল’ আকারেই মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপট্টনম এবং কাকিনাড়ার কাছে কলিঙ্গপট্টনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১১০ কিলোমিটারের গণ্ডি।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, শেষ ৬ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে মোন্থা। সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দুপুরে চেন্নাই থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে, কাকিনাড়া থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বিশাখাপট্টনম থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এবং গোপালপুর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে অবস্থান করছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে। ‘প্রবল’ আকারেই মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপট্টনম এবং কাকিনাড়ার কাছে কলিঙ্গপট্টনম উপকূলের মধ্যবর্তী অংশে আছড়ে পড়বে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ছুঁতে পারে ১১০ কিলোমিটারের গণ্ডি।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
৭ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’য় পরিণত হয়েছে। এটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বর্তমানে অবস্থান করছে।
এটি আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোন্থা’ ২৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থকে ১৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থকে ১২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ‘মোন্থা’ আগামীকাল মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা অথবা রাতের দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরর্বতী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত হানতে পারে কাল সন্ধ্যা বা এর পরবর্তী সময়। আজ বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না। তবে কাল আঘাত হানার সময় বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকায়ও কাল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোন্থা’ প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। উত্তর উত্তরপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
হেমন্তের শুষ্ক দিনগুলোতে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজকের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৯১।
৭ ঘণ্টা আগে
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী...
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
১৭ ঘণ্টা আগে