
পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ। দেশ দু’টিতে বায়ু দূষণের গড় মাত্রা ছিল ডব্লিউএইচও–এর আদর্শ মানের ১৫ গুণ।
গত বছরের আইকিউএয়ার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামা, বার্বাডোজ, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছে। তবে এশিয়া ও আফ্রিকায় তথ্যের বড় ঘাটতি থাকায় এই বৈশ্বিক চিত্রকে ত্রুটিহীন বলা যাচ্ছে না। অনেক উন্নয়নশীল দেশ বায়ু দূষণের মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরগুলোর ওপর নির্ভর করে।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি বাজেট সংকটের কারণে এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে গত সপ্তাহে ১৭ বছরের বেশি সময়ের ডেটা সরকারিভাবে এয়ারনাউ ডট গভ সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে চাদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইকিউএয়ার–এর বায়ু মান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোডার বলেন, ‘বেশির ভাগ দেশে বায়ুর মান নিরীক্ষণের কিছু বিকল্প উৎস থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আফ্রিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। কারণ মহাদেশটির জন্য এটিই ছিল একমাত্র উন্মুক্ত এবং রিয়েলটাইম ডেটার উৎস।’
তথ্যের ঘাটতির কারণে চাদকে ২০২৩ সালে আইকিউএয়ার–এর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল চাদ। মূলত সাহারা মরুভূমিতে বালিঝড় ও ব্যাপকভাবে ফসলের উচ্ছিষ্ট পোড়ানোর কারণে দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে দেশটিতে।
দেশটির বাতাসে ২০২৩ সালে পিএম ২.৫ (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাসের কণা) কণার গড় ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেশি।
ডব্লিউএইচওর মান অনুযায়ী এই মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গত বছর বিশ্বের মাত্র ১৭ শতাংশ শহর এই মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় চাদ ও বাংলাদেশের পরেই রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, কঙ্গো এবং ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০টি শহরের মধ্যে ১২টিই ভারতের। ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে মেঘালয়ের ভারী শিল্পাঞ্চলীয় শহর বিরনিহাট, এ শহরে পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২৮ মাইক্রোগ্রাম। তবে, পুরো ভারতে এই মাত্রা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
চেস্টার শ্রোডার আরও সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে, কারণ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বনভূমিতে দাবানল আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, যা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার জন্য বড় হুমকি।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ‘ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’–এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকফ বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরের মাধ্যমে বায়ু নিরীক্ষণের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্তত ৩৪টি দেশ দূষণের নির্ভরযোগ্য তথ্যে প্রবেশাধিকার হারাবে।
হাসেনকফ আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে যেসব শহরে সেন্সর বসানো হয়েছিল, বায়ুর মান সেখানে উন্নত হয়েছে, বেড়েছে মানুষের আয়ু, এমনকি মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য ঝুঁকিভাতাও কমিয়ে দিয়েছে, যা এক অর্থে প্রকল্পের খরচ বাঁচিয়েছিল।

পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ। দেশ দু’টিতে বায়ু দূষণের গড় মাত্রা ছিল ডব্লিউএইচও–এর আদর্শ মানের ১৫ গুণ।
গত বছরের আইকিউএয়ার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামা, বার্বাডোজ, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছে। তবে এশিয়া ও আফ্রিকায় তথ্যের বড় ঘাটতি থাকায় এই বৈশ্বিক চিত্রকে ত্রুটিহীন বলা যাচ্ছে না। অনেক উন্নয়নশীল দেশ বায়ু দূষণের মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরগুলোর ওপর নির্ভর করে।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি বাজেট সংকটের কারণে এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে গত সপ্তাহে ১৭ বছরের বেশি সময়ের ডেটা সরকারিভাবে এয়ারনাউ ডট গভ সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে চাদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইকিউএয়ার–এর বায়ু মান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোডার বলেন, ‘বেশির ভাগ দেশে বায়ুর মান নিরীক্ষণের কিছু বিকল্প উৎস থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আফ্রিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। কারণ মহাদেশটির জন্য এটিই ছিল একমাত্র উন্মুক্ত এবং রিয়েলটাইম ডেটার উৎস।’
তথ্যের ঘাটতির কারণে চাদকে ২০২৩ সালে আইকিউএয়ার–এর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল চাদ। মূলত সাহারা মরুভূমিতে বালিঝড় ও ব্যাপকভাবে ফসলের উচ্ছিষ্ট পোড়ানোর কারণে দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে দেশটিতে।
দেশটির বাতাসে ২০২৩ সালে পিএম ২.৫ (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাসের কণা) কণার গড় ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেশি।
ডব্লিউএইচওর মান অনুযায়ী এই মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গত বছর বিশ্বের মাত্র ১৭ শতাংশ শহর এই মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় চাদ ও বাংলাদেশের পরেই রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, কঙ্গো এবং ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০টি শহরের মধ্যে ১২টিই ভারতের। ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে মেঘালয়ের ভারী শিল্পাঞ্চলীয় শহর বিরনিহাট, এ শহরে পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২৮ মাইক্রোগ্রাম। তবে, পুরো ভারতে এই মাত্রা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
চেস্টার শ্রোডার আরও সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে, কারণ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বনভূমিতে দাবানল আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, যা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার জন্য বড় হুমকি।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ‘ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’–এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকফ বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরের মাধ্যমে বায়ু নিরীক্ষণের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্তত ৩৪টি দেশ দূষণের নির্ভরযোগ্য তথ্যে প্রবেশাধিকার হারাবে।
হাসেনকফ আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে যেসব শহরে সেন্সর বসানো হয়েছিল, বায়ুর মান সেখানে উন্নত হয়েছে, বেড়েছে মানুষের আয়ু, এমনকি মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য ঝুঁকিভাতাও কমিয়ে দিয়েছে, যা এক অর্থে প্রকল্পের খরচ বাঁচিয়েছিল।


পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ। দেশ দু’টিতে বায়ু দূষণের গড় মাত্রা ছিল ডব্লিউএইচও–এর আদর্শ মানের ১৫ গুণ।
গত বছরের আইকিউএয়ার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামা, বার্বাডোজ, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছে। তবে এশিয়া ও আফ্রিকায় তথ্যের বড় ঘাটতি থাকায় এই বৈশ্বিক চিত্রকে ত্রুটিহীন বলা যাচ্ছে না। অনেক উন্নয়নশীল দেশ বায়ু দূষণের মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরগুলোর ওপর নির্ভর করে।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি বাজেট সংকটের কারণে এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে গত সপ্তাহে ১৭ বছরের বেশি সময়ের ডেটা সরকারিভাবে এয়ারনাউ ডট গভ সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে চাদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইকিউএয়ার–এর বায়ু মান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোডার বলেন, ‘বেশির ভাগ দেশে বায়ুর মান নিরীক্ষণের কিছু বিকল্প উৎস থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আফ্রিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। কারণ মহাদেশটির জন্য এটিই ছিল একমাত্র উন্মুক্ত এবং রিয়েলটাইম ডেটার উৎস।’
তথ্যের ঘাটতির কারণে চাদকে ২০২৩ সালে আইকিউএয়ার–এর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল চাদ। মূলত সাহারা মরুভূমিতে বালিঝড় ও ব্যাপকভাবে ফসলের উচ্ছিষ্ট পোড়ানোর কারণে দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে দেশটিতে।
দেশটির বাতাসে ২০২৩ সালে পিএম ২.৫ (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাসের কণা) কণার গড় ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেশি।
ডব্লিউএইচওর মান অনুযায়ী এই মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গত বছর বিশ্বের মাত্র ১৭ শতাংশ শহর এই মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় চাদ ও বাংলাদেশের পরেই রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, কঙ্গো এবং ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০টি শহরের মধ্যে ১২টিই ভারতের। ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে মেঘালয়ের ভারী শিল্পাঞ্চলীয় শহর বিরনিহাট, এ শহরে পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২৮ মাইক্রোগ্রাম। তবে, পুরো ভারতে এই মাত্রা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
চেস্টার শ্রোডার আরও সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে, কারণ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বনভূমিতে দাবানল আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, যা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার জন্য বড় হুমকি।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ‘ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’–এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকফ বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরের মাধ্যমে বায়ু নিরীক্ষণের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্তত ৩৪টি দেশ দূষণের নির্ভরযোগ্য তথ্যে প্রবেশাধিকার হারাবে।
হাসেনকফ আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে যেসব শহরে সেন্সর বসানো হয়েছিল, বায়ুর মান সেখানে উন্নত হয়েছে, বেড়েছে মানুষের আয়ু, এমনকি মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য ঝুঁকিভাতাও কমিয়ে দিয়েছে, যা এক অর্থে প্রকল্পের খরচ বাঁচিয়েছিল।

পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ। দেশ দু’টিতে বায়ু দূষণের গড় মাত্রা ছিল ডব্লিউএইচও–এর আদর্শ মানের ১৫ গুণ।
গত বছরের আইকিউএয়ার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামা, বার্বাডোজ, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড ডব্লিউএইচওর নির্ধারিত বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছে। তবে এশিয়া ও আফ্রিকায় তথ্যের বড় ঘাটতি থাকায় এই বৈশ্বিক চিত্রকে ত্রুটিহীন বলা যাচ্ছে না। অনেক উন্নয়নশীল দেশ বায়ু দূষণের মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরগুলোর ওপর নির্ভর করে।
তবে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি বাজেট সংকটের কারণে এই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে গত সপ্তাহে ১৭ বছরের বেশি সময়ের ডেটা সরকারিভাবে এয়ারনাউ ডট গভ সাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে চাদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইকিউএয়ার–এর বায়ু মান বিজ্ঞান ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোডার বলেন, ‘বেশির ভাগ দেশে বায়ুর মান নিরীক্ষণের কিছু বিকল্প উৎস থাকলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আফ্রিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। কারণ মহাদেশটির জন্য এটিই ছিল একমাত্র উন্মুক্ত এবং রিয়েলটাইম ডেটার উৎস।’
তথ্যের ঘাটতির কারণে চাদকে ২০২৩ সালে আইকিউএয়ার–এর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে ২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল চাদ। মূলত সাহারা মরুভূমিতে বালিঝড় ও ব্যাপকভাবে ফসলের উচ্ছিষ্ট পোড়ানোর কারণে দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে দেশটিতে।
দেশটির বাতাসে ২০২৩ সালে পিএম ২.৫ (২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাসের কণা) কণার গড় ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম, যা ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেশি।
ডব্লিউএইচওর মান অনুযায়ী এই মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু গত বছর বিশ্বের মাত্র ১৭ শতাংশ শহর এই মানদণ্ড বজায় রাখতে পেরেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশের তালিকায় চাদ ও বাংলাদেশের পরেই রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, কঙ্গো এবং ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০টি শহরের মধ্যে ১২টিই ভারতের। ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে মেঘালয়ের ভারী শিল্পাঞ্চলীয় শহর বিরনিহাট, এ শহরে পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২৮ মাইক্রোগ্রাম। তবে, পুরো ভারতে এই মাত্রা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কমেছে।
চেস্টার শ্রোডার আরও সতর্ক করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে, কারণ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বনভূমিতে দাবানল আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, যা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার জন্য বড় হুমকি।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের ‘ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’–এর পরিচালক ক্রিস্টা হাসেনকফ বলেন, মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত সেন্সরের মাধ্যমে বায়ু নিরীক্ষণের প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অন্তত ৩৪টি দেশ দূষণের নির্ভরযোগ্য তথ্যে প্রবেশাধিকার হারাবে।
হাসেনকফ আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উদ্যোগে যেসব শহরে সেন্সর বসানো হয়েছিল, বায়ুর মান সেখানে উন্নত হয়েছে, বেড়েছে মানুষের আয়ু, এমনকি মার্কিন কূটনীতিকদের জন্য ঝুঁকিভাতাও কমিয়ে দিয়েছে, যা এক অর্থে প্রকল্পের খরচ বাঁচিয়েছিল।


আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গতকালকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়নি, যার ফলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার প্রবণতা বজায় রয়েছে।


পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ।
১১ মার্চ ২০২৫
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে ঢাকা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
প্রতিবছর শীতকাল শুরুর আগেই ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করে।
একিউআই মানদণ্ড অনুসারে, ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে সাধারণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা অসুস্থতা অনুভব করতে পারেন এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (যেমন শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগী) জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, লাহোর (পাকিস্তান) ৩৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ (Hazardous) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা।
শীর্ষ দূষণের ১০ শহর:
আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টার কাছাকাছি সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দূষিত শহরের তালিকা নিচে দেওয়া হলো (বায়ুমানের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে পরিবর্তন হতে পারে) :
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (৩৬০, বিপজ্জনক), এরপরে আছে ভারতের দুটি শহর—দিল্লি (২৭০, খুবই অস্বাস্থ্যকর) এবং কলকাতা (১৮৯, খুবই অস্বাস্থ্যকর)। এরপর ১৭৮ নিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
শীর্ষ দশের অন্যান্য শহর:
৫. ঢাকা, বাংলাদেশ (১৬৯)
৬. তাশকেন্ত, উজবেকিস্তান (১৫৬)
৭. করাচি, পাকিস্তান ( ১৫৪)
৮. কাম্পালা, উগান্ডা (১৩৯)
৯. দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত ( ১২৯)
১০. কুয়েত সিটি, কুয়েত (১১৭)
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।


পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ।
১১ মার্চ ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিনের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে কমতে পারে তাপমাত্রা।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে।
লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক। আজ দুপুরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিম্নচাপে রূপ নিলে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এর গতিপথ কোন দিকে হবে। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে ২৮ অক্টোবর বিকেলে কিংবা ২৯ অক্টোবর সকালে আঘাত হানতে পারে।
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানে, তাহলে এর পর থেকে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। আর এই বৃষ্টি হলে কয়েক দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। তবে শীত পড়ার মতো তাপমাত্রা কমবে না। নভেম্বরের শেষ দিকে বা ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ থেকে আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় আজকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকতে পারে। তবে ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের পাশাপাশি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকালে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ।
১১ মার্চ ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৫ ঘণ্টা আগে
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গেছে। অবস্থান করছে ভারতে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। এই লঘুচাপের প্রভাব একেবারেই পড়েনি বাংলাদেশে। তবে আজকের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন তামিলনাড়ু উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লঘুচাপটি সৃষ্টির পর শক্তিশালী হলে বাংলাদেশ উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থেকে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সারা দিনের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ শতাংশ। গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।


পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মাত্র সাতটি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ বায়ু মান ধরে রাখতে পেরেছিল। আর গত বছর সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের ছিল বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদ।
১১ মার্চ ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আজকের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে এবং আকাশ থাকবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ছিল ১৬৯। সে হিসাবে বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’।
৫ ঘণ্টা আগে
কয়েক দিন আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল লঘুচাপ। এটি পরে দুর্বল হয়ে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যায়। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে