ছোট পর্দার আলোচিত জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। একাধিক নাটকে ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তাঁরা। এবার ‘ঘটনা সত্য’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করে সমালোচনার মুখে পড়েন এই জুটি। এটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান। নাটকে ভুল বার্তা যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা আফরান নিশো ও নির্মাতা রুবেল।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। নাটকে ‘গাড়িচালক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশো। তাঁর বিপরীতে ‘গৃহপরিচারিকা’ চরিত্রে দেখা যায় মেহজাবীনকে। সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রকাশ হয়।
গল্পে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটের গৃহপরিচারিকা ও গাড়িচালক মুকুল-বিলকিছ। বিলকিছ বাজার থেকে সস্তা-পচা সবজি কিনে, ফ্রিজে রাখা খাবার এঁটো করে, বাসায় অন্যের কসমেটিকস ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে অপচয় করে। আর মুকুল মিথ্যা বলে, ডিউটি বাদ দিয়ে অন্য যাত্রী বহন করে, লুকিয়ে গাড়ির তেল বিক্রি করে। ঘটনাক্রমে তাদের মধ্যে মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ে ও সন্তান জন্ম হয়। সন্তানটি হয় স্পেশাল চাইল্ড। নাটকে দেখানো হয় তাদের কর্মফলের জন্যই এমন শিশুর জন্ম হয়েছে, যা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তানভীর খালেদ নামে একজন দর্শক বলেছেন, ‘কোন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এ ধরনের নাটক বানাবে কেন। এই স্ক্রিপ্ট পড়ে মানুষ অভিনয় করবে কেন! অলরেডি মানুষ দেখেছে বিভিন্ন সাইটে এভেইলেবল ইউটিউবে ভিন্ন নামে আছে ফেইসবুকে ক্লিপ আছে! আমাদের হয়তো স্পেশাল চাইল্ড রিলেটিভ নেই, এ জন্য অত লাগেনি। যাঁদের আছে তাঁদের লাগবে। স্পেশাল চাইল্ড সেনসেটিভ ইস্যু। এমন শিশু আল্লাহর সৃষ্টি, এমনিতেই কোনো পরিবারে স্পেশ্যাল চাইল্ড থাকলে ওই পরিবারের সদস্যরা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাঁদের আঘাত করে কনটেন্ট কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে জনপ্রিয় উপস্থাপক ডা. আব্দুন নুর তুষার বলেছেন,‘ অশিক্ষা আর বর্বরতা; উজবুকি আর আহাম্মকির চূড়ান্ত নিদর্শন হলো সি এম ভি এর ব্যানারে এক নাটক যেখানে সন্তানের অটিজম স্পেকট্রাম ও অন্যান্য behavioural disorder ও জেনেটিক কন্ডিশনকে মা বাবার পাপের/ভুলের শাস্তি হিসেবে ইংগিত করে দেখানো হয়েছে। এই নাটকের প্রচার বন্ধ করা উচিত এবং নাটকের কাহিনীকার ও পরিচালক প্রযোজক এর উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা দরকার যেখানে এধরনের বলদদের তৈরী করা কনটেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ ও বিচার করা হবে। শত শত বাবা মায়ের মনে এরা কুৎসিত আঘাত করেছে। গর্দভগুলিকে আমার প্রশ্ন, তাদের নিজেদের বাবামায়ের কোন পাপে তাদের মতো এরকম অকাল কুষ্মান্ড জন্ম নিয়েছিল? দেশে একটি সম্প্রচার পর্যবেক্ষণ কমিশন করা দরকার।’
অভিনেতা আফরান নিশো ও পরিচালক রুবেল হাসান যৌথ বিবৃতিতে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘নাটকের নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অনেকেই জানিয়েছেন, এ নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটির সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করছি। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা আমাদের নাটক ‘ঘটনা সত্য’র এ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন, সবাইকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে জানাই, প্রথম বার্তা পাওয়ার পরপরই আমরা উপলব্ধি করি, অসাবধানতাবশত আমাদের নাটকে একটি ভুল বার্তা চলে গেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মা ও সন্তানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা জানাই। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন প্রযোজনা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যা সঠিক বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দেয় এবং দর্শকদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।’
ছোট পর্দার আলোচিত জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। একাধিক নাটকে ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তাঁরা। এবার ‘ঘটনা সত্য’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করে সমালোচনার মুখে পড়েন এই জুটি। এটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান। নাটকে ভুল বার্তা যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা আফরান নিশো ও নির্মাতা রুবেল।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। নাটকে ‘গাড়িচালক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিশো। তাঁর বিপরীতে ‘গৃহপরিচারিকা’ চরিত্রে দেখা যায় মেহজাবীনকে। সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রকাশ হয়।
গল্পে দেখা যায়, পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটের গৃহপরিচারিকা ও গাড়িচালক মুকুল-বিলকিছ। বিলকিছ বাজার থেকে সস্তা-পচা সবজি কিনে, ফ্রিজে রাখা খাবার এঁটো করে, বাসায় অন্যের কসমেটিকস ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে অপচয় করে। আর মুকুল মিথ্যা বলে, ডিউটি বাদ দিয়ে অন্য যাত্রী বহন করে, লুকিয়ে গাড়ির তেল বিক্রি করে। ঘটনাক্রমে তাদের মধ্যে মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ে ও সন্তান জন্ম হয়। সন্তানটি হয় স্পেশাল চাইল্ড। নাটকে দেখানো হয় তাদের কর্মফলের জন্যই এমন শিশুর জন্ম হয়েছে, যা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তানভীর খালেদ নামে একজন দর্শক বলেছেন, ‘কোন বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এ ধরনের নাটক বানাবে কেন। এই স্ক্রিপ্ট পড়ে মানুষ অভিনয় করবে কেন! অলরেডি মানুষ দেখেছে বিভিন্ন সাইটে এভেইলেবল ইউটিউবে ভিন্ন নামে আছে ফেইসবুকে ক্লিপ আছে! আমাদের হয়তো স্পেশাল চাইল্ড রিলেটিভ নেই, এ জন্য অত লাগেনি। যাঁদের আছে তাঁদের লাগবে। স্পেশাল চাইল্ড সেনসেটিভ ইস্যু। এমন শিশু আল্লাহর সৃষ্টি, এমনিতেই কোনো পরিবারে স্পেশ্যাল চাইল্ড থাকলে ওই পরিবারের সদস্যরা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। তাঁদের আঘাত করে কনটেন্ট কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে জনপ্রিয় উপস্থাপক ডা. আব্দুন নুর তুষার বলেছেন,‘ অশিক্ষা আর বর্বরতা; উজবুকি আর আহাম্মকির চূড়ান্ত নিদর্শন হলো সি এম ভি এর ব্যানারে এক নাটক যেখানে সন্তানের অটিজম স্পেকট্রাম ও অন্যান্য behavioural disorder ও জেনেটিক কন্ডিশনকে মা বাবার পাপের/ভুলের শাস্তি হিসেবে ইংগিত করে দেখানো হয়েছে। এই নাটকের প্রচার বন্ধ করা উচিত এবং নাটকের কাহিনীকার ও পরিচালক প্রযোজক এর উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অবিলম্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা দরকার যেখানে এধরনের বলদদের তৈরী করা কনটেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ ও বিচার করা হবে। শত শত বাবা মায়ের মনে এরা কুৎসিত আঘাত করেছে। গর্দভগুলিকে আমার প্রশ্ন, তাদের নিজেদের বাবামায়ের কোন পাপে তাদের মতো এরকম অকাল কুষ্মান্ড জন্ম নিয়েছিল? দেশে একটি সম্প্রচার পর্যবেক্ষণ কমিশন করা দরকার।’
অভিনেতা আফরান নিশো ও পরিচালক রুবেল হাসান যৌথ বিবৃতিতে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘নাটকের নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অনেকেই জানিয়েছেন, এ নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটির সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করছি। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা আমাদের নাটক ‘ঘটনা সত্য’র এ বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন, সবাইকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে জানাই, প্রথম বার্তা পাওয়ার পরপরই আমরা উপলব্ধি করি, অসাবধানতাবশত আমাদের নাটকে একটি ভুল বার্তা চলে গেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের কাজ চলছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মা ও সন্তানের প্রতি আমাদের ভালোবাসা জানাই। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন প্রযোজনা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যা সঠিক বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দেয় এবং দর্শকদের সঠিক পথে পরিচালিত করে।’
১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু নেমেসিস ব্যান্ডের। প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০০৫ সালে প্রকাশ পেয়েছিল ব্যান্ডের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘অন্বেষণ’। এরপর ২০১১ ও ২০১৭ সালে আসে ‘তৃতীয় যাত্রা’ ও ‘গণজোয়ার’ নামের আরও দুটি স্টুডিও অ্যালবাম। প্রতিটি অ্যালবামে ছিল ৬ বছরের গ্যাপ। তবে চতুর্থ অ্যালবাম প্রকাশ করতে আরও বেশি সময়
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার পর গত বছর মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘সন্ধিক্ষণ’ নাটক দিয়ে অভিনয়ে নাম লিখিয়েছেন মালাইকা চৌধুরী। সম্পর্কে তিনি মেহজাবীন চৌধুরীর ছোট বোন। নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়ে বোন মালাইকাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন মেহজাবীন। অভিনয়ের প্রথম প্রশিক্ষণও বড় বোনের কাছেই পেয়েছেন মালাইকা।
১২ ঘণ্টা আগে৫ মে শুরু হয়েছে তারকাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ বা সিসিটি। প্রথম রাউন্ড শেষে ফাইনালে উঠেছে গিগাবাইট টাইটানস ও স্বপ্নধরা স্পারটান্স। দল দুটির মেন্টর হিসেবে আছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
১৩ ঘণ্টা আগেসিনেমার কোনো সীমান্ত নেই, সিনেমা মানে না কাঁটাতারের বিধিনিষেধ—প্রতিবছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচালক, প্রযোজক, সেলস এজেন্ট ও সাংবাদিকেরা হাজির হন ‘বড় পর্দার অলিম্পিক’খ্যাত এ উৎসবে। নির্মাতারা আসেন তাঁদের সিনেমা দেখাতে। সেসব বিক্রির প্রক্রিয়া
১৩ ঘণ্টা আগে