Ajker Patrika

স্বাধীনতা দিবসে টিভি আয়োজন

বিনোদন ডেস্ক
এটিএন বাংলায় রয়েছে ‘ওরা ৭ জন’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার। ছবি: সংগৃহীত
এটিএন বাংলায় রয়েছে ‘ওরা ৭ জন’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার। ছবি: সংগৃহীত

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। নির্বাচিত সেসব অনুষ্ঠানের খবর জানিয়ে এ প্রতিবেদন।

বিটিভি

রাত ৯টায় প্রচারিত হবে ডকুড্রামা ‘ফিরে আসে বারবার’। সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের রচনায় এটি প্রযোজনা করেছেন নাসির উদ্দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এ নাটকের গল্প শেষ হয় ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রয়েছে শিশুতোষ অনুষ্ঠান ‘আমাদের স্বাধীনতা’। সংগীতানুষ্ঠান ‘কথা ও সুরে স্বাধীনতা’ প্রচারিত হবে বেলা ১টা ১০ মিনিটে। বেলা ৩টায় থাকছে সংগীতানুষ্ঠান ‘স্বাধীনতা আমার অহংকার’। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রয়েছে স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। আলোচনা অনুষ্ঠান ‘আমার স্বাধীনতা, আমার গর্ব’ প্রচারিত হবে রাত সাড়ে ৮টায়।

চ্যানেল আই

স্বাধীনতা দিবসে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ‘রংতুলিতে মুক্তিযুদ্ধ, রঙে রেখায় বাংলাদেশ’। আফজাল হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি ২৬ মার্চ বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই। দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের দেশপ্রেমের চিত্রাঙ্কন ও শিল্পী ফেরদৌস আরা এবং সুরসপ্তকের শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে দেশপ্রেমের গান। বেলা ১টা ৫ মিনিটে এবং রাত ৭টা ৫০ মিনিটে দুই খণ্ডে প্রচারিত হবে টেলিফিল্ম ‘জমশের আলীর এপিটাফ’। হারুন রশীদের রচনায় টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছেন গোলাম হাবিব লিটু। অভিনয়ে প্রাণ রায়, সুষমা সরকার, মোহাম্মদ বারী, জুলফিকার চঞ্চল প্রমুখ। মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর স্বীকৃতির জন্য এক নারীর সংগ্রামের গল্প দেখা যাবে এ নাটকে।

দুরন্ত টিভি

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রচারিত হবে ‘যুদ্ধ জয়ের কথা’। অনুষ্ঠানটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘অপারেশন জ্যাকপট’ অভিযানের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। বেলা ১১টা ও রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে ‘আমাদের মুক্তির গান’। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঘুরতে আসা চার বন্ধুর দেখা হয়ে যায় শিল্পী শাহীন সামাদের সঙ্গে। গল্প ও গানে উঠে আসে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা নামক সংগঠনটির গড়ে ওঠার ইতিহাস। জানা যায়, কীভাবে একঝাঁক তরুণ সংগ্রামী মুক্তির গানের মাধ্যমে এ দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের আশা জাগিয়েছিলেন।

দীপ্ত টিভি

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দীপ্ত টিভি প্রচার করবে দুটি সিনেমা। সকাল ৭টায় রয়েছে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত সিনেমা ‘চিত্রা নদীর পারে’। অভিনয়ে মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আফসানা মিমি, তৌকীর আহমেদ প্রমুখ। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুদের জীবনে যে প্রভাব ফেলেছিল, তা দেখানো হয়েছে এ সিনেমায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রচারিত হবে ফাখরুল আরেফিন খান পরিচালিত সিনেমা ‘ভুবন মাঝি’। অভিনয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা ঘোষ, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

এটিএন বাংলা

সকাল ৯টায় রয়েছে খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘ওরা ৭ জন’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড টিভি প্রিমিয়ার। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযান দেখানো হয়েছে এতে। অভিনয়ে ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, সাইফ খান, ইমতিয়াজ বর্ষণ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুভ আসছেন আরও নতুন গান নিয়ে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শুভেন্দু দাস শুভ। ছবি: তালহা মোস্তফা
শুভেন্দু দাস শুভ। ছবি: তালহা মোস্তফা

‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া। আর পুরো গানটির পেছনের মানুষটির নাম শুভ, পুরো নাম শুভেন্দু দাস শুভ। গুলবাহারের প্রযোজক তিনি, সংগীতায়োজনটাও তাঁর। শুভ নিজেও কণ্ঠ দেন গানে, তবে গাওয়ার চেয়ে গাওয়াতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। গানগুলোকে নানা ঘরানায়, নানা আয়োজনের সুর-সংগীতে সাজিয়ে তোলার এক অদ্ভুত নেশা আছে তাঁর। এ ছাড়া, কোক স্টুডিও বাংলাতেও নিয়মিত কাজ করছেন শুভ। ‘মুড়ির টিন’, ‘বুলবুলি’, ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’, ‘দাঁড়ালে দুয়ারে’সহ কোক স্টুডিও বাংলার বেশকিছু গানে তাঁর সংগীত আয়োজন এবং গিটারবাদন দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। মুড়ির টিনসহ কয়েকটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।

শুভর কণ্ঠে প্রথম প্রকাশিত মৌলিক গান ছিল মৌমিতা রায়ের লেখা ও শুভর সুর করা ‘ফাগুন বেলায়’। গানের জগতে প্রায় দেড় যুগ সময় পেরিয়ে শুভ এখন হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় আর নির্ভরতার এক নাম। কাজ করছেন একগুচ্ছ নতুন গান নিয়ে। অন্যের গানের পাশাপাশি নিজেও গাইছেন কিছু গান। শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর গাওয়া ‘মেঘেদের ভেসে যাওয়া’, ‘মন খুঁজে প্রেম নেব’সহ একাধিক গান। মেঘেদের ভেসে যাওয়া গানটি লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান, মন খুঁজে প্রেম নেব লিখেছেন অটোমনাল মুন। দুটো গানেরই সুর-সংগীত করেছেন শুভ। নিজের সুর ও সংগীতে ‘শব্দকল্পদ্রুম’ নামে একটা প্রজেক্ট তৈরি করছেন শুভ। নিজের গাওয়ার পাশাপাশি অন্য শিল্পীদের গান থাকবে এই প্রজেক্টে। কণ্ঠশিল্পী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতার সঙ্গে গেয়েছেন ‘মিষ্টি করে বৃষ্টি ঝরে’ শিরোনামের গান, লিখেছেন অটোমনাল মুন।

নন্দিতার সঙ্গে এটাই শুভর প্রথম গান নয়। তাঁর কম্পোজিশনে নন্দিতার সঙ্গে দ্বৈত এবং নন্দিতার একক অনেক গান ইউটিউবসহ অনলাইনে শ্রোতাদের মন মাতিয়ে যাচ্ছে। মোজি অ্যান্ড কোং নামে একটা ব্যান্ডও গড়েছেন তাঁরা দুজন। গাইছেন সেই ব্যান্ডের গানও। পাশাপাশি শুধু গিটার বাজিয়ে ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘আকাশ এত মেঘলা’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’, ‘আহা আজি এ বসন্তে’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’সহ বেশ কিছু বাংলা গান কাভার করেছেন মোজি অ্যান্ড কোং নামের ইউটিউব চ্যানেলে।

সিনেমার গানেও কাজ করছেন শুভ। তবে পলিসিগত কারণে এখনই সেই তথ্য প্রকাশ করতে চান না।

শুভর বড় ভাই সংগীতশিল্পী অটোমনাল মুন। তাঁর কাছেই গিটারের হাতেখড়ি শুভর। দুই ভাই-ই দারুণ গিটার বাজান।

শুভেন্দু দাস শুভ বলেন, ‘সংগীত পরিচালনার কাজটাই বেশি উপভোগ করি আমি। তবে অনেকে আমার গাওয়া গানও পছন্দ করেছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে নিজেই গাইছি কিছু গান। নানা ঘরানার মিউজিক সম্পর্কে জানাশোনা আছে আমার। চেষ্টা করছি আরও শিখতে এবং নিজের এই জানাশোনাটা দিয়ে নানা ঘরানার নতুন গান উপহার দিতে। নিজেকে কোনো বলয়ে আটকে রাখতে চাই না। শ্রোতারা যেহেতু আমার মিউজিক পছন্দ করছে, এই ধারাটা ধরে রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস শ্রোতা-দর্শক আমার পাশে থাকবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ‘শাম-ই-নুসরাত’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
নুসরাত ফতেহ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত
নুসরাত ফতেহ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা। যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্যাপিটাল কার্ভ কমিউনিকেশনস এবং কারার-দ্য সুফি ব্যান্ড।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নুসরাত ফতেহ আলী খানের অসাধারণ সংগীতজীবন ও তাঁর আধ্যাত্মিক সুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। তাঁকে স্মরণ করে এই কনসার্টে পরিবেশিত হবে সুফি ঘরানার কাওয়ালি ও আধ্যাত্মিক সংগীত।অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে সুফি ব্যান্ড কারার। এ ছাড়া থাকবে সুফি ড্যান্স পারফরম্যান্স।

কনসার্টের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টিকিটো বাংলাদেশ নামের ওয়েবসাইটে।

ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান ছিলেন পাকিস্তানের একজন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। কাওয়ালি গানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তোলেন তিনি। তাঁকে ‘শাহেনশাহ-ই-কাওয়ালি’ বা কাওয়ালির সম্রাট বলা হয়।

১৯৪৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের এক কাওয়ালি সংগীত পরিবারে জন্ম নুসরাত ফতেহ আলী খানের। তাঁর বাবা ওস্তাদ ফতেহ আলী খানও একজন প্রখ্যাত কাওয়ালি গায়ক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর চাচার মৃত্যুর পর তিনি পারিবারিক কাওয়ালি দলের প্রধান হন। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গান হলো ‘তুমহে দিল লাগি ভুল জানি প্যারেগি’, ‘আলী মওলা’, ‘মাস্ত কালান্দার’, ‘আল্লাহু আল্লাহু’ ইত্যাদি। সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি প্রাইড অব পারফরম্যান্স, পিটিভি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট মাত্র ৪৮ বছর বয়সে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়ের ৪৮ বছর পূর্তি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ক্লিওপেট্রা’ নাটকের দৃশ্য।	ছবি: সংগৃহীত
‘ক্লিওপেট্রা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

নাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে নান্দনিক নাট্যদলের নাট্যকর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দলের নাট্যকর্মীরা। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেন নান্দনিকের সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন আ মা ম হাসানুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, মাহবুব রহমান, শায়েস্তা, বদরুদ্দোজা, শাবান খানসহ অনেকে।

১৯৭৭ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। দীর্ঘ থিয়েটার চর্চায় দলটি গুরুত্ব দিয়েছে ঐতিহাসিক ও রাজনীতি সচেতন বিভিন্ন মঞ্চনাটকের ওপর। নান্দনিকের প্রথম নাটক ‘আমার সোনার হরিণ চাই’। এরপর একে একে মঞ্চে এনেছে ‘রক্তকরবী’, ‘শাস্তি’, ‘নৃপতি’, ‘ক্লিওপেট্রা’, ‘মহাবিদ্রোহ’, ‘সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর’সহ অনেক প্রযোজনা।

নান্দনিক নাট্যদলের দলপ্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আ মা ম হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের নান্দনিক নাটক মঞ্চে আনা। আমরা চেয়েছি একটু বেছে বেছে কাজ করতে। তাই আমাদের প্রোডাকশন সংখ্যা কম, কিন্তু গুণগত মানে আমরা কখনোই ছাড় দিইনি। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে থিয়েটার শুরু করেছিলাম, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হয়তো তা শতভাগ পূরণ হয়নি, তবে আমার বিশ্বাস, তরুণ সদস্যরা দলকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

দলের সিনিয়র সদস্য বদরুদ্দোজা বলেন, ‘নান্দনিক একটা পরিবার, যেখানে সদস্যদের মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করা হয়। থিয়েটার শুধু অভিনয় করা ও শেখার জন্য নয়, দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ার জায়গা। ৪৮ বছর মঞ্চে কাজ করা একটা বিশাল অর্জন।’

দলটির প্রযোজনা ব্যবস্থাপক নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘মঞ্চনাটকের পাশাপাশি সম্প্রতি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছে নান্দনিক। সেখানে দলের সদস্যরা অভিনয় করছেন। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তার শঙ্কায় স্থগিত হয়ে গেল ইহুদি চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন ডেস্ক
জুইশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত
জুইশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ব্যানার। ছবি: সংগৃহীত

সুইডেনের মালমো শহরে ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জুইশ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সুইডেনে ইহুদিদের বসবাসের ২৫০ বছর উদ্‌যাপন করতে চেয়েছিলেন আয়োজকেরা। ইহুদিদের জীবনযাপনের গল্প নিয়ে তৈরি সিনেমা দেখানোর কথা ছিল এতে। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সুইডেনের সিনেমা হলগুলো এ আয়োজন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার পর উৎসবটি স্থগিত করা হয়েছে।

ইহুদি চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আয়োজক ওলা টেডিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মালমো শহরের কোনো বাণিজ্যিক ও আর্ট-হাউস প্রেক্ষাগৃহ আমাদের সঙ্গে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা। হলের কর্মী ও দর্শকদের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করছে তারা। তবে আমি বুঝতে পারছি না, ইহুদিদের সিনেমা দেখানোর কারণে কী এমন নিরাপত্তার হুমকি হতে পারে!’

সোফিয়া নোরব্র্যান্ড নামের আরেক আয়োজক এক্সে লিখেছেন, ‘মালমো শহরে আমরা যে জুইশ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করেছিলাম, এখন সেটা বাতিল করতে হচ্ছে। কারণ, কোনো সিনেমা হল উৎসবের জন্য প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া দিতে রাজি হচ্ছে না। এই উৎসবে অংশ নিতে আগ্রহী দর্শকদের যদি সুরক্ষা না দিতে পারে সুইডেন সরকার, তাহলে সেটা দুঃখজনক।’

সুইডেনের বৃহত্তম সিনেমা চেইন ফিল্মস্টাডেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই মূলত এই উৎসবের সঙ্গে থাকতে পারছে না তারা। একই কথা জানিয়েছে থিয়েটার ফোকেটস হাস নামের আরেকটি সিনেমা চেইন, যারা মাঝেমধ্যে চলচ্চিত্র উৎসবেরও আয়োজন করে। তবে নিরাপত্তার কারণ অস্বীকার করেছে আর্ট হাউস সিনেমা হল প্যানোরা। এই মুহূর্তে কোনো উৎসব আয়োজন করার মতো হল খালি নেই। তাই ইহুদি চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া দিতে রাজি হয়নি তারা।

ইহুদি চলচ্চিত্র উৎসব স্থগিত হওয়াকে একটি ‘বিপর্যয়’ হিসেবে দেখছেন সুইডেনের সংস্কৃতিমন্ত্রী প্যারিসা লিলজেস্ট্র্যান্ড। তিনি বলেন, ‘কীভাবে আমরা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব, তা নিয়ে ভাবতে হবে। সংখ্যালঘুরা এ দেশে নিজেদের বিপন্ন বোধ করছে। আয়োজকেরা মনে করছে, তারা ইহুদি বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবে না। এটা সমাজের জন্য চরম বিপর্যয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত