ক্লিন ফিড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিশ্চিত করতে গত শুক্রবার থেকে সারা দেশে অভিযান শুরু করেছে সরকার। বলা হয়েছে, যেসব চ্যানেলের ক্লিন ফিড পাওয়া না যাবে, সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ থাকবে। অথচ, কেব্ল অপারেটররা সব ধরনের বিদেশি চ্যানেলই বন্ধ করে দিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রীর তথ্যমতে, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভিসহ ১৭টি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিন ফিডে আসে। কিন্তু সেগুলোও কেব্ল অপারেটররা চালাচ্ছেন না। এটি কেব্ল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। দেশের আইন মেনে এখানে যেকোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে।’
এ বিষয়ে আরটিভির চিফ অপারেটিং অফিসার আশিক রহমান বলেন, ‘এটা তো ২০০৬ সালে পাস হওয়া একটা আইন। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এত দিন পরে হলেও এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেওয়ায়। আমরাও যখন ইংল্যান্ড, ইউরোপে, অর্থাৎ বিদেশে সম্প্রচার চালাই, তখন ক্লিন ফিড চালাতে হয়। খোদ ভারতেও তা-ই হয়, নেপালে হয়, কেবল আমাদের দেশে হয় না। কোনোরকম রাজস্ব ছাড়া বিদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন হুহু করে প্রচার হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক না।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা ও নির্মাতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘অত্যন্ত সুন্দর একটা পদক্ষেপ। আমাদের দেশেও তো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। টেলিভিশন আছে। শিল্পীরা অনুষ্ঠান বানাচ্ছেন। সরকার লাইসেন্স দিচ্ছে। রাজস্ব দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। অথচ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে কোনোরকম রাজস্ব ছাড়াই দিব্যি বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে যাচ্ছে। এতে তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বাজার আর ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছি আমরা। প্রাণ কোম্পানির কথাই চিন্তা করুন। আইনের কারণে ভারতে তাদের আলাদা করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হচ্ছে, সেখানে কারখানাই তৈরি করতে হয়েছে। তাহলে আমরা কেন নিয়ম মানতে পারব না? বরং নিয়মের মধ্যে থাকলে আমাদের চ্যানেলগুলো উপকৃত হবে। তাদের আয় বাড়বে, অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট বাড়াতে পারবে। প্রোডাকশনের মানের সঙ্গে আপস করে স্বল্প টাকায় দীর্ঘক্ষণ বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে না।’
নির্মাতা শিহাব শাহিন বলেন, ‘অবাধ বিজ্ঞাপনযুক্ত বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হলে সিরিয়ালের আসক্ত-দর্শক ছাড়া অন্য কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বাকি সব সংবাদ, সিরিজ, মুভি— সবই আজকাল অনলাইনেই দেখা যায়। যেহেতু বেআইনিভাবে চলছিল, আগে থেকে নোটিশও করা হয়েছে। তাই প্রশ্নটা দেখার অধিকারের নয়, আইন ভঙ্গের। কোনো বিদেশি চ্যানেল চালানোতে তো নিষেধাজ্ঞা নেই! নিষেধটা হচ্ছে বেআইনি বিজ্ঞাপন চালানোয়। সব দেশেই বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড চালাতে হয়। আমাদের চ্যানেল আমেরিকায় চলে, একটাও দেশি বিজ্ঞাপন চালাতে দেয় না। আমরাই নানা ছুতোয় সব ছেড়ে ছুড়ে বসে আছি। তা ছাড়া আমাদের লোকাল চ্যানেলগুলোর উচিত এই সময় নিজেকে আরও বেশি প্রমাণ করার।’
অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, ‘আইন পাস হয়েছিল ২০০৬ সালে। এখন ২০২১। বারবার বলা হলেও কেব্ল অপারেটররা কোনো পদক্ষেপ নেননি। ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে হয়তো কিছুটা অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের দেশের সংস্কৃতি বা আমাদের মিডিয়া-টিভি চ্যানেলগুলোর কী ক্ষতি হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকা লস করছি আমরা। চ্যানেলগুলো তাদের ঘাটতি কমাতে গিয়ে কম মূল্যে অধিক বিজ্ঞাপন চালাতে বাধ্য হচ্ছে। অবশেষে সরকার একটা শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, এ জন্য তথ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই।’
নির্মাতা ও অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি বলেছেন, ‘বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হয়েছে, এ নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। মূল আলোচনা তো ভারতীয় অনুষ্ঠান নিয়েই হচ্ছে। কিন্তু ভারতে তো আমাদের চ্যানেল বন্ধ অনেক বছর ধরে। সেখানে তো আমাদের চ্যানেলগুলো এখনো অনুমতি পায়নি। বরং আমাদের চ্যানেলগুলো উপকৃত হলে অনুষ্ঠানের মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে পারবে তারা। অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন না রেখে অনুষ্ঠানগুলো দেখার সুযোগ করে দিতে হবে।’
সার্বিকভাবে সরকারি এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নির্মাতা, অভিনেতাসহ চ্যানেল-সংশ্লিষ্টরা। সবাই চাইছেন আইনের প্রয়োগ হোক, নিয়মের মধ্যে থেকে সবাই ভালো মানের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করুক।
ক্লিন ফিড অর্থাৎ বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার নিশ্চিত করতে গত শুক্রবার থেকে সারা দেশে অভিযান শুরু করেছে সরকার। বলা হয়েছে, যেসব চ্যানেলের ক্লিন ফিড পাওয়া না যাবে, সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ থাকবে। অথচ, কেব্ল অপারেটররা সব ধরনের বিদেশি চ্যানেলই বন্ধ করে দিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রীর তথ্যমতে, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভিসহ ১৭টি চ্যানেল বাংলাদেশে ক্লিন ফিডে আসে। কিন্তু সেগুলোও কেব্ল অপারেটররা চালাচ্ছেন না। এটি কেব্ল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। দেশের আইন মেনে এখানে যেকোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে।’
এ বিষয়ে আরটিভির চিফ অপারেটিং অফিসার আশিক রহমান বলেন, ‘এটা তো ২০০৬ সালে পাস হওয়া একটা আইন। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এত দিন পরে হলেও এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেওয়ায়। আমরাও যখন ইংল্যান্ড, ইউরোপে, অর্থাৎ বিদেশে সম্প্রচার চালাই, তখন ক্লিন ফিড চালাতে হয়। খোদ ভারতেও তা-ই হয়, নেপালে হয়, কেবল আমাদের দেশে হয় না। কোনোরকম রাজস্ব ছাড়া বিদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন হুহু করে প্রচার হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক না।’
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি অভিনেতা ও নির্মাতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘অত্যন্ত সুন্দর একটা পদক্ষেপ। আমাদের দেশেও তো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। টেলিভিশন আছে। শিল্পীরা অনুষ্ঠান বানাচ্ছেন। সরকার লাইসেন্স দিচ্ছে। রাজস্ব দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। অথচ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে কোনোরকম রাজস্ব ছাড়াই দিব্যি বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে যাচ্ছে। এতে তো আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বাজার আর ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছি আমরা। প্রাণ কোম্পানির কথাই চিন্তা করুন। আইনের কারণে ভারতে তাদের আলাদা করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হচ্ছে, সেখানে কারখানাই তৈরি করতে হয়েছে। তাহলে আমরা কেন নিয়ম মানতে পারব না? বরং নিয়মের মধ্যে থাকলে আমাদের চ্যানেলগুলো উপকৃত হবে। তাদের আয় বাড়বে, অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট বাড়াতে পারবে। প্রোডাকশনের মানের সঙ্গে আপস করে স্বল্প টাকায় দীর্ঘক্ষণ বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে না।’
নির্মাতা শিহাব শাহিন বলেন, ‘অবাধ বিজ্ঞাপনযুক্ত বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হলে সিরিয়ালের আসক্ত-দর্শক ছাড়া অন্য কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বাকি সব সংবাদ, সিরিজ, মুভি— সবই আজকাল অনলাইনেই দেখা যায়। যেহেতু বেআইনিভাবে চলছিল, আগে থেকে নোটিশও করা হয়েছে। তাই প্রশ্নটা দেখার অধিকারের নয়, আইন ভঙ্গের। কোনো বিদেশি চ্যানেল চালানোতে তো নিষেধাজ্ঞা নেই! নিষেধটা হচ্ছে বেআইনি বিজ্ঞাপন চালানোয়। সব দেশেই বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড চালাতে হয়। আমাদের চ্যানেল আমেরিকায় চলে, একটাও দেশি বিজ্ঞাপন চালাতে দেয় না। আমরাই নানা ছুতোয় সব ছেড়ে ছুড়ে বসে আছি। তা ছাড়া আমাদের লোকাল চ্যানেলগুলোর উচিত এই সময় নিজেকে আরও বেশি প্রমাণ করার।’
অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, ‘আইন পাস হয়েছিল ২০০৬ সালে। এখন ২০২১। বারবার বলা হলেও কেব্ল অপারেটররা কোনো পদক্ষেপ নেননি। ১ অক্টোবর থেকে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে হয়তো কিছুটা অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের দেশের সংস্কৃতি বা আমাদের মিডিয়া-টিভি চ্যানেলগুলোর কী ক্ষতি হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকা লস করছি আমরা। চ্যানেলগুলো তাদের ঘাটতি কমাতে গিয়ে কম মূল্যে অধিক বিজ্ঞাপন চালাতে বাধ্য হচ্ছে। অবশেষে সরকার একটা শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে, এ জন্য তথ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই।’
নির্মাতা ও অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি বলেছেন, ‘বিদেশি চ্যানেল বন্ধ হয়েছে, এ নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। মূল আলোচনা তো ভারতীয় অনুষ্ঠান নিয়েই হচ্ছে। কিন্তু ভারতে তো আমাদের চ্যানেল বন্ধ অনেক বছর ধরে। সেখানে তো আমাদের চ্যানেলগুলো এখনো অনুমতি পায়নি। বরং আমাদের চ্যানেলগুলো উপকৃত হলে অনুষ্ঠানের মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে পারবে তারা। অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন না রেখে অনুষ্ঠানগুলো দেখার সুযোগ করে দিতে হবে।’
সার্বিকভাবে সরকারি এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নির্মাতা, অভিনেতাসহ চ্যানেল-সংশ্লিষ্টরা। সবাই চাইছেন আইনের প্রয়োগ হোক, নিয়মের মধ্যে থেকে সবাই ভালো মানের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করুক।
নির্মাতা ও অভিনেতা আফজাল হোসেন ফেসবুকে নিজের একটি লেখা শেয়ার করেছেন। তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই লেখা হুবহু প্রকাশ করা হলো
৬ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১৯তম ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস সামিটে বক্তা হিসেবে অংশ নিয়েছেন সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব। প্রথম বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী হিসেবে এই সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেগত বছর টরন্টো উৎসবে প্রিমিয়ার হয় মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ‘সাবা’ সিনেমার। এর পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে ঘুরছে সিনেমাটি। ১০টির বেশি উৎসবে প্রদর্শিত হওয়া সাবা এবার জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব মেলবোর্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। একই উৎসবে প্রদর্শিত হবে নুহাশ হুমায়ূনের...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের লক্ষ্যে জুলাই গণ-আন্দোলনের এক বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ নিয়ে নতুন গান বাঁধলেন সংগীত পরিচালক ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। ‘জাগো বাংলাদেশ নতুন সূর্য হাসে’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন মুশফিক ফজল আনসারী। গানটি গেয়েছেন একঝাঁক নবীন শিল্পী।
১৯ ঘণ্টা আগে