মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবারের ঈদের কিছু নাটকের নাম।
এগুলো তো নতুন। এর আগেও দেখা গেছে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’, ‘বাবার গার্লফ্রেন্ড’, ‘প্রোটেকশন’, ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘সেন্ড মি নুডস’, ‘বেড সিন’, ‘ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা’, ‘চুটকি ভান্ডার’, ‘চ্যাতা কাশেম’ নামের নাটক।
গুরুজনেরা ছোটদের বলতেন নাম নয়, কাজে পরিচয়। এ কথা বলতেন এটি বোঝাতে যে নাম যত ভালোই হোক না কেন, মানুষের মূল পরিচয় আসলে তার কাজে। তবে ইদানীং বাংলা নাটকের নাম নিয়ে রুচিহীনতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। নামেও আসলে অনেক কিছু যায়–আসে। সেটা যেন বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন নির্মাতারা।
নাটকের মান নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। মানহীন নাটকের কারণে দর্শকেরা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবার পড়তি মান, নিম্নমানের গল্প, অভিনয়, অত্যধিক বিজ্ঞাপন বিরতির পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিরক্তি—উদ্ভট নাম। এটাও যে একদম নতুন তা নয়, ইউটিউবের ঝড় শুরু হলে উদ্ভট নাম দেওয়ার গতিও ক্রমেই বাড়ছে।
নাটকগুলোর এমন নাম শুনে রীতিমতো বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নাট্যজনেরা। এ সময়ের কয়েকজন পরিচালকও এ ধরনের নামের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। অনেকে নাটকের এমন উদ্ভট ও অরুচিকর নামকরণকে পরিচালকদের সৃজনশীলতা ও শিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানীং বেশির ভাগ নাটকে যে ধরনের নাম দেওয়া হয়, এগুলো অসভ্য লোকের বর্বর কাজ। আমাদের দুঃখ ছিল, টেলিভিশন নাটক তো গেল, এখন ইউটিউব আরও জঘন্য। নাটকের নামের এই বিকৃতির পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত বললেন, ‘একটা সময় প্রমিত বাংলায় মানুষ কথা বলত। টিভি নাটক দেখে বাচ্চারা কথা বলা শিখবে—সেই জায়গা থেকে আমরা নাটক করতাম। এখন নাটকের নাম শুনলেই মোটামুটি সব বোঝা যায়। ভাষাটাই যেখানে হারিয়ে গেছে, নাম নিয়ে আর কী আশা করতে পারি।’
সব নাটকের নাম এমন, তা নয়। এই ঈদে ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’, ‘সীমার’, ‘অহং’, ‘এক ভাই চম্পা’, ‘গল্পটা তোমার জন্য নয়’, ‘বায়ুচড়া’, ‘লাশে গেলাম ফেঁসে’-এর মতো নামের নাটকও আছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ঘুরেফিরে একই অভিনয়শিল্পীরা এই দুই ধরনের নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন।
নাটকের বাজেট কম, এ কারণেই কি নামের এই হাল? ইরেশ যাকের বলেন, ‘এখানে বাজেট বিষয় নয়। এ ধরনের নাম কিছু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ পছন্দ করে, যার প্রভাব অন্যদের ওপর পড়ে। শুনেছি, যাঁরা অনুষ্ঠান বিভাগে আছেন, তাঁরা এমনও বলেন, নাটকে মজা কোথায়, মজা বের করেন।’
অভিযোগ আছে, নাটকের নাম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেক পরিচালক ও টিভি কর্মকর্তারা বুঝতে চান না। এর পরিণতি খারাপ হবে বলে মনে করেন নাটকসংশ্লিষ্ট অনেকে। তাঁদের আশঙ্কা, ২০০০ সালের দিকে গুটিকয়েক লোক উদ্ভট গল্প, আনাড়ি অভিনয়শিল্পী দিয়ে অরুচিকর নামের সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। নাটকেও সেই অবস্থা হতে চলেছে। নাটকে এখন পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ভট সব কনটেন্ট বানানোর প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য, লাখ লাখ ভিউ এনে রোজগার করা।
অভিনেতা আফরান নিশো বলেন,‘নাটকে কোনো সেন্সর কমিটি নেই। তাই স্থূল নামকরণ দিয়ে অনেকে ইউটিউবে দর্শকের দৃষ্টি আগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট। তবে এটাও ঠিক যে অনেক সময় আমি জানিই না আমার নাটকটা কী নামে প্রচার হয়েছে। এক নামে অভিনয় করি, প্রচারের পর আরেক নাম হয়ে যায়। তখন হয়তো পরিচালক এটা–সেটা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ঝগড়া তো করতে পারি না। বোঝানোর চেষ্টা করি। ওদের ভাষ্য, ভিউয়ের জন্য এমন নাম চাই।’
নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘ভালো নামের পেছনে সময় দিতে হয়। কিন্তু পরিচালকেরা দৌড়াচ্ছেন, ডজন ডজন নাটক বানাচ্ছেন। সবার ধারণা, একটা ক্যাচি নাম দিয়ে দিলেই হলো। কিন্তু ক্যাচি নাম তো অর্থপূর্ণ, নান্দনিক হতে হবে। বাংলা ভাষা তো নান্দনিক।’

ঢাকা: ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবারের ঈদের কিছু নাটকের নাম।
এগুলো তো নতুন। এর আগেও দেখা গেছে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’, ‘বাবার গার্লফ্রেন্ড’, ‘প্রোটেকশন’, ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘সেন্ড মি নুডস’, ‘বেড সিন’, ‘ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা’, ‘চুটকি ভান্ডার’, ‘চ্যাতা কাশেম’ নামের নাটক।
গুরুজনেরা ছোটদের বলতেন নাম নয়, কাজে পরিচয়। এ কথা বলতেন এটি বোঝাতে যে নাম যত ভালোই হোক না কেন, মানুষের মূল পরিচয় আসলে তার কাজে। তবে ইদানীং বাংলা নাটকের নাম নিয়ে রুচিহীনতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। নামেও আসলে অনেক কিছু যায়–আসে। সেটা যেন বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন নির্মাতারা।
নাটকের মান নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। মানহীন নাটকের কারণে দর্শকেরা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবার পড়তি মান, নিম্নমানের গল্প, অভিনয়, অত্যধিক বিজ্ঞাপন বিরতির পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিরক্তি—উদ্ভট নাম। এটাও যে একদম নতুন তা নয়, ইউটিউবের ঝড় শুরু হলে উদ্ভট নাম দেওয়ার গতিও ক্রমেই বাড়ছে।
নাটকগুলোর এমন নাম শুনে রীতিমতো বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নাট্যজনেরা। এ সময়ের কয়েকজন পরিচালকও এ ধরনের নামের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। অনেকে নাটকের এমন উদ্ভট ও অরুচিকর নামকরণকে পরিচালকদের সৃজনশীলতা ও শিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানীং বেশির ভাগ নাটকে যে ধরনের নাম দেওয়া হয়, এগুলো অসভ্য লোকের বর্বর কাজ। আমাদের দুঃখ ছিল, টেলিভিশন নাটক তো গেল, এখন ইউটিউব আরও জঘন্য। নাটকের নামের এই বিকৃতির পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত বললেন, ‘একটা সময় প্রমিত বাংলায় মানুষ কথা বলত। টিভি নাটক দেখে বাচ্চারা কথা বলা শিখবে—সেই জায়গা থেকে আমরা নাটক করতাম। এখন নাটকের নাম শুনলেই মোটামুটি সব বোঝা যায়। ভাষাটাই যেখানে হারিয়ে গেছে, নাম নিয়ে আর কী আশা করতে পারি।’
সব নাটকের নাম এমন, তা নয়। এই ঈদে ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’, ‘সীমার’, ‘অহং’, ‘এক ভাই চম্পা’, ‘গল্পটা তোমার জন্য নয়’, ‘বায়ুচড়া’, ‘লাশে গেলাম ফেঁসে’-এর মতো নামের নাটকও আছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ঘুরেফিরে একই অভিনয়শিল্পীরা এই দুই ধরনের নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন।
নাটকের বাজেট কম, এ কারণেই কি নামের এই হাল? ইরেশ যাকের বলেন, ‘এখানে বাজেট বিষয় নয়। এ ধরনের নাম কিছু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ পছন্দ করে, যার প্রভাব অন্যদের ওপর পড়ে। শুনেছি, যাঁরা অনুষ্ঠান বিভাগে আছেন, তাঁরা এমনও বলেন, নাটকে মজা কোথায়, মজা বের করেন।’
অভিযোগ আছে, নাটকের নাম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেক পরিচালক ও টিভি কর্মকর্তারা বুঝতে চান না। এর পরিণতি খারাপ হবে বলে মনে করেন নাটকসংশ্লিষ্ট অনেকে। তাঁদের আশঙ্কা, ২০০০ সালের দিকে গুটিকয়েক লোক উদ্ভট গল্প, আনাড়ি অভিনয়শিল্পী দিয়ে অরুচিকর নামের সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। নাটকেও সেই অবস্থা হতে চলেছে। নাটকে এখন পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ভট সব কনটেন্ট বানানোর প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য, লাখ লাখ ভিউ এনে রোজগার করা।
অভিনেতা আফরান নিশো বলেন,‘নাটকে কোনো সেন্সর কমিটি নেই। তাই স্থূল নামকরণ দিয়ে অনেকে ইউটিউবে দর্শকের দৃষ্টি আগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট। তবে এটাও ঠিক যে অনেক সময় আমি জানিই না আমার নাটকটা কী নামে প্রচার হয়েছে। এক নামে অভিনয় করি, প্রচারের পর আরেক নাম হয়ে যায়। তখন হয়তো পরিচালক এটা–সেটা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ঝগড়া তো করতে পারি না। বোঝানোর চেষ্টা করি। ওদের ভাষ্য, ভিউয়ের জন্য এমন নাম চাই।’
নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘ভালো নামের পেছনে সময় দিতে হয়। কিন্তু পরিচালকেরা দৌড়াচ্ছেন, ডজন ডজন নাটক বানাচ্ছেন। সবার ধারণা, একটা ক্যাচি নাম দিয়ে দিলেই হলো। কিন্তু ক্যাচি নাম তো অর্থপূর্ণ, নান্দনিক হতে হবে। বাংলা ভাষা তো নান্দনিক।’
মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবারের ঈদের কিছু নাটকের নাম।
এগুলো তো নতুন। এর আগেও দেখা গেছে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’, ‘বাবার গার্লফ্রেন্ড’, ‘প্রোটেকশন’, ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘সেন্ড মি নুডস’, ‘বেড সিন’, ‘ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা’, ‘চুটকি ভান্ডার’, ‘চ্যাতা কাশেম’ নামের নাটক।
গুরুজনেরা ছোটদের বলতেন নাম নয়, কাজে পরিচয়। এ কথা বলতেন এটি বোঝাতে যে নাম যত ভালোই হোক না কেন, মানুষের মূল পরিচয় আসলে তার কাজে। তবে ইদানীং বাংলা নাটকের নাম নিয়ে রুচিহীনতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। নামেও আসলে অনেক কিছু যায়–আসে। সেটা যেন বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন নির্মাতারা।
নাটকের মান নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। মানহীন নাটকের কারণে দর্শকেরা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবার পড়তি মান, নিম্নমানের গল্প, অভিনয়, অত্যধিক বিজ্ঞাপন বিরতির পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিরক্তি—উদ্ভট নাম। এটাও যে একদম নতুন তা নয়, ইউটিউবের ঝড় শুরু হলে উদ্ভট নাম দেওয়ার গতিও ক্রমেই বাড়ছে।
নাটকগুলোর এমন নাম শুনে রীতিমতো বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নাট্যজনেরা। এ সময়ের কয়েকজন পরিচালকও এ ধরনের নামের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। অনেকে নাটকের এমন উদ্ভট ও অরুচিকর নামকরণকে পরিচালকদের সৃজনশীলতা ও শিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানীং বেশির ভাগ নাটকে যে ধরনের নাম দেওয়া হয়, এগুলো অসভ্য লোকের বর্বর কাজ। আমাদের দুঃখ ছিল, টেলিভিশন নাটক তো গেল, এখন ইউটিউব আরও জঘন্য। নাটকের নামের এই বিকৃতির পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত বললেন, ‘একটা সময় প্রমিত বাংলায় মানুষ কথা বলত। টিভি নাটক দেখে বাচ্চারা কথা বলা শিখবে—সেই জায়গা থেকে আমরা নাটক করতাম। এখন নাটকের নাম শুনলেই মোটামুটি সব বোঝা যায়। ভাষাটাই যেখানে হারিয়ে গেছে, নাম নিয়ে আর কী আশা করতে পারি।’
সব নাটকের নাম এমন, তা নয়। এই ঈদে ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’, ‘সীমার’, ‘অহং’, ‘এক ভাই চম্পা’, ‘গল্পটা তোমার জন্য নয়’, ‘বায়ুচড়া’, ‘লাশে গেলাম ফেঁসে’-এর মতো নামের নাটকও আছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ঘুরেফিরে একই অভিনয়শিল্পীরা এই দুই ধরনের নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন।
নাটকের বাজেট কম, এ কারণেই কি নামের এই হাল? ইরেশ যাকের বলেন, ‘এখানে বাজেট বিষয় নয়। এ ধরনের নাম কিছু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ পছন্দ করে, যার প্রভাব অন্যদের ওপর পড়ে। শুনেছি, যাঁরা অনুষ্ঠান বিভাগে আছেন, তাঁরা এমনও বলেন, নাটকে মজা কোথায়, মজা বের করেন।’
অভিযোগ আছে, নাটকের নাম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেক পরিচালক ও টিভি কর্মকর্তারা বুঝতে চান না। এর পরিণতি খারাপ হবে বলে মনে করেন নাটকসংশ্লিষ্ট অনেকে। তাঁদের আশঙ্কা, ২০০০ সালের দিকে গুটিকয়েক লোক উদ্ভট গল্প, আনাড়ি অভিনয়শিল্পী দিয়ে অরুচিকর নামের সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। নাটকেও সেই অবস্থা হতে চলেছে। নাটকে এখন পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ভট সব কনটেন্ট বানানোর প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য, লাখ লাখ ভিউ এনে রোজগার করা।
অভিনেতা আফরান নিশো বলেন,‘নাটকে কোনো সেন্সর কমিটি নেই। তাই স্থূল নামকরণ দিয়ে অনেকে ইউটিউবে দর্শকের দৃষ্টি আগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট। তবে এটাও ঠিক যে অনেক সময় আমি জানিই না আমার নাটকটা কী নামে প্রচার হয়েছে। এক নামে অভিনয় করি, প্রচারের পর আরেক নাম হয়ে যায়। তখন হয়তো পরিচালক এটা–সেটা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ঝগড়া তো করতে পারি না। বোঝানোর চেষ্টা করি। ওদের ভাষ্য, ভিউয়ের জন্য এমন নাম চাই।’
নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘ভালো নামের পেছনে সময় দিতে হয়। কিন্তু পরিচালকেরা দৌড়াচ্ছেন, ডজন ডজন নাটক বানাচ্ছেন। সবার ধারণা, একটা ক্যাচি নাম দিয়ে দিলেই হলো। কিন্তু ক্যাচি নাম তো অর্থপূর্ণ, নান্দনিক হতে হবে। বাংলা ভাষা তো নান্দনিক।’

ঢাকা: ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবারের ঈদের কিছু নাটকের নাম।
এগুলো তো নতুন। এর আগেও দেখা গেছে ‘নোয়াখালী বিভাগ চাই’, ‘বাবার গার্লফ্রেন্ড’, ‘প্রোটেকশন’, ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘সেন্ড মি নুডস’, ‘বেড সিন’, ‘ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা’, ‘চুটকি ভান্ডার’, ‘চ্যাতা কাশেম’ নামের নাটক।
গুরুজনেরা ছোটদের বলতেন নাম নয়, কাজে পরিচয়। এ কথা বলতেন এটি বোঝাতে যে নাম যত ভালোই হোক না কেন, মানুষের মূল পরিচয় আসলে তার কাজে। তবে ইদানীং বাংলা নাটকের নাম নিয়ে রুচিহীনতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। নামেও আসলে অনেক কিছু যায়–আসে। সেটা যেন বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন নির্মাতারা।
নাটকের মান নিয়ে প্রশ্ন নতুন নয়। মানহীন নাটকের কারণে দর্শকেরা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এবার পড়তি মান, নিম্নমানের গল্প, অভিনয়, অত্যধিক বিজ্ঞাপন বিরতির পাশাপাশি যোগ হয়েছে নতুন বিরক্তি—উদ্ভট নাম। এটাও যে একদম নতুন তা নয়, ইউটিউবের ঝড় শুরু হলে উদ্ভট নাম দেওয়ার গতিও ক্রমেই বাড়ছে।
নাটকগুলোর এমন নাম শুনে রীতিমতো বিস্ময় ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নাট্যজনেরা। এ সময়ের কয়েকজন পরিচালকও এ ধরনের নামের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। অনেকে নাটকের এমন উদ্ভট ও অরুচিকর নামকরণকে পরিচালকদের সৃজনশীলতা ও শিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন।
নাট্যজন মামুনুর রশীদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানীং বেশির ভাগ নাটকে যে ধরনের নাম দেওয়া হয়, এগুলো অসভ্য লোকের বর্বর কাজ। আমাদের দুঃখ ছিল, টেলিভিশন নাটক তো গেল, এখন ইউটিউব আরও জঘন্য। নাটকের নামের এই বিকৃতির পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’
বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াত বললেন, ‘একটা সময় প্রমিত বাংলায় মানুষ কথা বলত। টিভি নাটক দেখে বাচ্চারা কথা বলা শিখবে—সেই জায়গা থেকে আমরা নাটক করতাম। এখন নাটকের নাম শুনলেই মোটামুটি সব বোঝা যায়। ভাষাটাই যেখানে হারিয়ে গেছে, নাম নিয়ে আর কী আশা করতে পারি।’
সব নাটকের নাম এমন, তা নয়। এই ঈদে ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’, ‘সীমার’, ‘অহং’, ‘এক ভাই চম্পা’, ‘গল্পটা তোমার জন্য নয়’, ‘বায়ুচড়া’, ‘লাশে গেলাম ফেঁসে’-এর মতো নামের নাটকও আছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ঘুরেফিরে একই অভিনয়শিল্পীরা এই দুই ধরনের নাটকগুলোতে অভিনয় করছেন।
নাটকের বাজেট কম, এ কারণেই কি নামের এই হাল? ইরেশ যাকের বলেন, ‘এখানে বাজেট বিষয় নয়। এ ধরনের নাম কিছু টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ পছন্দ করে, যার প্রভাব অন্যদের ওপর পড়ে। শুনেছি, যাঁরা অনুষ্ঠান বিভাগে আছেন, তাঁরা এমনও বলেন, নাটকে মজা কোথায়, মজা বের করেন।’
অভিযোগ আছে, নাটকের নাম যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, এটা অনেক পরিচালক ও টিভি কর্মকর্তারা বুঝতে চান না। এর পরিণতি খারাপ হবে বলে মনে করেন নাটকসংশ্লিষ্ট অনেকে। তাঁদের আশঙ্কা, ২০০০ সালের দিকে গুটিকয়েক লোক উদ্ভট গল্প, আনাড়ি অভিনয়শিল্পী দিয়ে অরুচিকর নামের সিনেমা বানিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। নাটকেও সেই অবস্থা হতে চলেছে। নাটকে এখন পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ভট সব কনটেন্ট বানানোর প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য, লাখ লাখ ভিউ এনে রোজগার করা।
অভিনেতা আফরান নিশো বলেন,‘নাটকে কোনো সেন্সর কমিটি নেই। তাই স্থূল নামকরণ দিয়ে অনেকে ইউটিউবে দর্শকের দৃষ্টি আগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট। তবে এটাও ঠিক যে অনেক সময় আমি জানিই না আমার নাটকটা কী নামে প্রচার হয়েছে। এক নামে অভিনয় করি, প্রচারের পর আরেক নাম হয়ে যায়। তখন হয়তো পরিচালক এটা–সেটা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁর সঙ্গে ঝগড়া তো করতে পারি না। বোঝানোর চেষ্টা করি। ওদের ভাষ্য, ভিউয়ের জন্য এমন নাম চাই।’
নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘ভালো নামের পেছনে সময় দিতে হয়। কিন্তু পরিচালকেরা দৌড়াচ্ছেন, ডজন ডজন নাটক বানাচ্ছেন। সবার ধারণা, একটা ক্যাচি নাম দিয়ে দিলেই হলো। কিন্তু ক্যাচি নাম তো অর্থপূর্ণ, নান্দনিক হতে হবে। বাংলা ভাষা তো নান্দনিক।’

সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। আজ এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন শাবনূর।
৬ ঘণ্টা আগে
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যু মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তাঁর ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সালমান শাহর সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী। শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হয়েছেন। সেখান থেকেই এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে আজ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শাবনূর। তিনি দাবি করেছেন, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না, সে সঙ্গে নায়কের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় শাবনূরকে নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে শাবনূর এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই শুরুতে এ নিয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সালমান শাহ সংক্রান্ত এই মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভ্রান্ত প্রচার ছড়াচ্ছেন। আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন এসব গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি সত্যতা বিবর্জিত ও ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন।’
সালমান শাহর মৃত্যুতে ব্যক্তিগত ও মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাবনূর। তিনি লিখেছেন, ‘সালমান শাহ ছিলো আমার অত্যন্ত প্রিয় সহ-অভিনেতা। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সালমান ছিলো একজন জনপ্রিয়, অসাধারণ শক্তিমান এবং প্রতিভাবান অভিনেতা। নিঃসন্দেহে বলতে পারি তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বিকশিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমাদের জুটির সাফল্য একসময় অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ কেউ হয়তো নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকতে পারে। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।’

সালমান কীভাবে মারা গেছেন কিংবা কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছেন—এসবের কিছুই তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন শাবনূর। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘আজও আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছে তা আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তাঁর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। যে-ই দোষী হোক না কেন, তাকে যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়—এটাই আমার একান্ত দাবি ও প্রত্যাশা।’
সালমান শাহর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শাবনূর লিখেছেন, ‘সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের, তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলেই অনুভব করতে পারি। আমি আন্টি এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং সর্বোপরি সালমান শাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

আদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যু মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তাঁর ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সালমান শাহর সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী। শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হয়েছেন। সেখান থেকেই এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে আজ সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন শাবনূর। তিনি দাবি করেছেন, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন, তা তিনি জানেন না, সে সঙ্গে নায়কের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় শাবনূরকে নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে শাবনূর এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই শুরুতে এ নিয়ে কথা বলতে চাইনি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সালমান শাহ সংক্রান্ত এই মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভ্রান্ত প্রচার ছড়াচ্ছেন। আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন এসব গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সবাইকে অনুরোধ করছি সত্যতা বিবর্জিত ও ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন।’
সালমান শাহর মৃত্যুতে ব্যক্তিগত ও মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাবনূর। তিনি লিখেছেন, ‘সালমান শাহ ছিলো আমার অত্যন্ত প্রিয় সহ-অভিনেতা। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সালমান ছিলো একজন জনপ্রিয়, অসাধারণ শক্তিমান এবং প্রতিভাবান অভিনেতা। নিঃসন্দেহে বলতে পারি তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার বিকশিত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সালমান শাহর অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আমাদের জুটির সাফল্য একসময় অনেকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর কেউ কেউ হয়তো নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার সঙ্গে সালমানের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকতে পারে। আমাদের নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে, যা আমাকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।’

সালমান কীভাবে মারা গেছেন কিংবা কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছেন—এসবের কিছুই তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন শাবনূর। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ‘আজও আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছে তা আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তাঁর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। যে-ই দোষী হোক না কেন, তাকে যেন আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়—এটাই আমার একান্ত দাবি ও প্রত্যাশা।’
সালমান শাহর পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শাবনূর লিখেছেন, ‘সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের, তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলেই অনুভব করতে পারি। আমি আন্টি এবং তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং সর্বোপরি সালমান শাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবার
১৬ মে ২০২১
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। তবে এই অমূল্য সংগ্রহকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে গানের জটিল কপিরাইট সমস্যা।
৩০ বছর বয়সী বিশাল কলিতা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে ঘুরে ঘুরে জুবিন গার্গের দুর্লভ ক্যাসেট সংগ্রহ করেছেন। এই ব্যক্তিগত সংগ্রহটিতে ক্যাসেট ছাড়াও রয়েছে শত শত সিডি এবং বিশ্বজুড়ে সংগীতশিল্পীদের বিরল পোস্টার। তবে দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জুবিন গার্গের গানের ডিস্কোগ্রাফি নিয়ে।
গত মাসে সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর পর তাঁর লাখ লাখ ভক্তের এখনো শোক কাটেনি। বিশাল কলিতার দাবি, তাঁর সংগ্রহে জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান রয়েছে, যার মধ্যে এমন গানও রয়েছে যা এখন আর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
শিল্পী নিজেও তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন। মৃত্যুর মাত্র কয়েক দিন আগে, ১৬ সেপ্টেম্বর, জুবিন গার্গ বিশাল কলিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে এই সংগ্রহ তাঁর ‘দীর্ঘদিন ভুলে যাওয়া’ কিছু সৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
বিশাল কলিতা এখন জুবিন গার্গের ভক্ত ও বন্ধুদের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য—জুবিনের গানগুলো অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে আরও সহজলভ্য করা এবং শিল্পীর পরিবারের জন্য রয়্যালটি নিশ্চিত করা। কলিতা বলেন, ‘কিছু ক্যাসেট খুবই পুরোনো এবং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সেগুলোকে জনস্মৃতিতে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
তবে কাজটি সহজ নয়। গার্গের বহু গানের স্বত্ব একটি জটিল প্রযোজক, পরিবেশক এবং মিউজিক লেবেলের মধ্যে বিভক্ত। ফলে স্বত্বাধিকার নিয়ে স্পষ্টতার অভাবে সেগুলোকে অনলাইনে আপলোড করলে কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে যায়।

জুবিন গার্গের মৃত্যুর পরই ভক্তরা এই জটিলতার আঁচ পান, যখন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী রাতির বুকুত’ শীর্ষক জনপ্রিয় গানটি কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খুঁজে পাওয়া যায়নি। গানটি পরে একজন ব্যবহারকারী আপলোড করলেও লাইসেন্সিং সমস্যার কারণে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও জুবিনের বন্ধু মানস বড়ুয়া জানান, তাঁর শত শত গানের স্বত্ব হয় খুঁজে বের করা কঠিন, নয়তো বিতর্কিত।
দিল্লিভিত্তিক ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস (আইপিআর) আইনজীবী নীল মেসন জানান, ভারতে কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ সংগীত স্বত্বের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর অধীনে গানের কথা, সংগীত কম্পোজিশন এবং সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের জন্য আলাদা আলাদা কপিরাইট রয়েছে।
গানের কথা ও সুরের ক্ষেত্রে গীতিকার ও সুরকাররাই ‘প্রথম মালিক’ হলেও, সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজককেই রচয়িতা বলে গণ্য করা হয়’। ফলে তারাই প্রথম মালিক হন। স্বত্বাধিকারীরা তৃতীয় পক্ষকে লাইসেন্সের মাধ্যমে অধিকার হস্তান্তর বা প্রদান করতে পারেন। এটি যত্নসহকারে নথিভুক্ত না থাকলে একটি জটিল জাল তৈরি করে।
জুবিন গার্গের গানের প্রযোজক শ্যামন্তক গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর গান তালিকাভুক্ত করার জন্য একটি দল কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইট সোসাইটি (আইপিআরএস)-এর সঙ্গে এ পর্যন্ত জুবিনের অন্তত ১ হাজার ৩৩টি গান নিবন্ধিত হয়েছে।’
আইপিআরএস ভারতে সংগীত রয়্যালটি সংগ্রহ ও বিতরণ করার একমাত্র সরকারি অনুমোদিত সংস্থা। তারা নিশ্চিত করছে, গানগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হলে শিল্পী বা তাঁর পরিবার যেন প্রাপ্য অর্থ পান। আইপিআরএস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাকেশ নিগাম বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত উত্থান স্বত্বাধিকার ট্র্যাকিং আরও জটিল করে তুলেছে। তবে আইপিআরএস-এর সঙ্গে নিবন্ধিত গানগুলো ‘তাঁর জীবনকাল পেরিয়ে আরও ৬০ বছর সুরক্ষিত থাকবে।’
এদিকে বিশাল কলিতা এখন জুবিনের দুর্লভ ক্যাসেটগুলো সর্বোচ্চ মানের ডিজিটালের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই বিরল টেপগুলো সেরা মানে ডিজিটাইজ করা হোক। জুবিন গার্গ তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। আর তাঁর একজন ভক্ত হিসেবে, এটাই আমার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য ক্ষুদ্রতম কাজ।’

‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবার
১৬ মে ২০২১
সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। আজ এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন শাবনূর।
৬ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবার
১৬ মে ২০২১
সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। আজ এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন শাবনূর।
৬ ঘণ্টা আগে
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়’, ‘বুড়া জামাই ২’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন ভাবী’, ‘লাড্ডু সোনা’, ‘ম্যারাডোনার ছেলে’, ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’, ‘পাগলা রাজা বাসর ঘরে’, ‘গার্লফ্রেন্ড শুধু গিফট চায়’, ‘বিশু পাগলা গাছের আগায়’, ‘আমি ব্রেকআপ চাই’, ‘বেইমান ভাবী’, ‘৩০০ টাকার প্রেম ১০০ টাকা’, ‘কেনো একসেপ্ট করবা না?’- এগুলো এবার
১৬ মে ২০২১
সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ আসামির প্রাথমিক তালিকায় অভিনেত্রী শাবনূরের নাম না থাকলেও সহশিল্পী হিসেবে বারবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। আজ এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজের বক্তব্য জানালেন শাবনূর।
৬ ঘণ্টা আগে
কিংবদন্তি অসমিয়া সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের প্রয়াণের পর তাঁর বিপুল সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। গুয়াহাটির বাসিন্দা বিশাল কলিতা নামের এক ভক্ত তাঁর বাড়িতে জুবিন গার্গের গানের ক্যাসেটের এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। জুবিনের মৃত্যুর পর এখন সেটি ব্যক্তিগত জাদুঘরে পরিণত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১৮ ঘণ্টা আগে