Ajker Patrika

সিসপাইরেসি: কেমন আছে সাগর?

আসিফ করিম চৌধুরী
আপডেট : ২৭ জুন ২০২১, ১৭: ৪২
সিসপাইরেসি: কেমন আছে সাগর?

ঢাকা: আলী তাবরিজি, এক ব্রিটিশ তরুণ। ছোটবেলা থেকেই সমুদ্র আর সামুদ্রিক প্রাণের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা। মায়ের সঙ্গে যেতেন মেরিন পার্কে। দেখতেন ডলফিন আর তিমির খেলা। বড় হয়ে জানলেন সাগরে মানবসৃষ্ট দূষণের কথা। শুনলেন প্লাস্টিকে ছেয়ে যাচ্ছে সাগর। আর সেসব প্লাস্টিক ঢুকছে মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণির পেটে।

ফলে আলী নিজেই প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দিলেন। সৈকতে গিয়ে কুড়ানো শুরু করলেন মানুষের ফেলে দেওয়া বোতল, ব্যাগসহ সব রকমের প্লাস্টিক। সাগর নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিতে থাকলেন। কিন্তু এভাবে কি সম্ভব?

 একদিন খবরে দেখলেন, জাপান সরকার আবার তিমি শিকার শুরু করেছে। ইন্টারনেট ঘেঁটে জানলেন, জাপানের ‘তাইজি’ নামক জায়গায় নিয়মিত চলছে ডলফিন নিধন। এরপর আর বসে থাকতে পারলেন না আলী। সঙ্গী লুসিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তাইজির উদ্দেশ্যে। লক্ষ্য- প্লাস্টিকের পাশাপাশি এসব প্রাণি হত্যা সাগরের কতটুকু ক্ষতি করছে তার সঠিক চিত্র তুলে আনা।

বলা যায়, এটিই নেটফ্লিক্সের তুমুল আলোচিত-সমালোচিত প্রামাণ্যচিত্র ‘সিসপাইরেসি’র (২০২১) প্রেক্ষাপট। এ বছরের ২৪ মার্চ মুক্তি পেয়েছে প্রামাণ্যচিত্রটি। মুক্তির পর প্রায় ৫০টি দেশে নেটফ্লিক্স টপচার্টে জায়গা করে নিয়েছে ছবিটি।

কেউ কেউ ছবিটি দেখে আর মাছ খাবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা স্রেফ ভেগান বা নিরামিষাশীদের প্রোপাগান্ডা।

 ছবির পরিচালক তাবরিজি শুধু প্লাস্টিক দূষণে থেমে থাকেননি। শ্বাসরুদ্ধকর গল্পের সূত্র ধরে তুলে এনেছেন সাগর ধ্বংসের নেপথ্যে থাকা প্রধান সব অনুঘটককে। আবিষ্কার করেছেন, বাণিজ্যিকভাবে মাছ শিকারই মূলত দায়ী সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য হ্রাসের পেছনে।

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মৎস্যশিল্প অত্যাধুনিক সব জাহাজ দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত হারে ধরছে টুনা, স্যামনসহ বিভিন্ন উচ্চচাহিদার মাছ। আর এসব ধরতে গিয়ে বাইক্যাচ হিসেবে জালে আটকে বেঘোরে মারা পড়ছে ডলফিন, হাঙ্গর, তিমির মতো জীব।

মাত্রাতিরিক্ত মাছ শিকার আর অনাকাঙ্ক্ষিত বাইক্যাচের ফলে এসব প্রাণির সংখ্যা দ্রুত কমছে। হাঁটছে বিলুপ্তির পথে। স্বাভাবিকভাবেই সাগরের বাস্তুসংস্থানে, খাদ্য শৃঙ্খলে ঘটছে ঋণাত্মক পরিবর্তন। সামুদ্রিক জীবের কারণে বেঁচে থাকা প্রবালও কমছে বিপজ্জনকহারে। পিলে চমকানো পরিসংখ্যান দিয়ে ক্রমাগত এসবের প্রভাব বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক আলী তাবরিজি।

 বাণিজ্যিক মৎস্যশিল্পের বহুমুখী প্রভাব দেখিয়েছেন পরিচালক। শুধু মাছের বিলুপ্তি ঘটছে তা নয়, বাড়ছে সাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণ। সাগরে পরিত্যক্ত মাছ ধরার জালের পরিমাণ অন্য যে কোনো প্লাস্টিক পণ্যের চেয়ে বেশি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রতীরবর্তী জনপদ। যারা মূলত সামুদ্রিক মাছের ওপরেই বেঁচে থাকে।

দেখুন ‘সিসপাইরেসি’ ডকুমেন্টারির ট্রেলার:

‘সিসপাইরেসি’ তথ্যচিত্রে পরিচালক সমস্যা দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি। সমাধানের বিদ্যমান পদ্ধতিগুলোকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। সাসটেইনেবল ফিশারি, ডলফিন সেফ লেভেল, ফিশ ফার্মিংয়ের মতো ধারণাগুলোর ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন।

 তাহলে সাগর বাঁচানোর উপায় কী? সমাধানের কয়েকটি উপায় বললেও পরিচালক জোর দিয়েছেন মাছ খাওয়া বাদ দেওয়ার ওপর। কিন্তু প্রশ্ন আসে, এ দাবি কতটা যৌক্তিক? কতটা বাস্তব? যারা মাছের উপর নির্ভরশীল অথবা যাদের খাদ্যাভাসে মাছ অন্যতম উপাদান, তাদের ক্ষেত্রে এমন দাবি অবান্তর।

এ কারণে যেমন বিতর্কিত হয়েছেন, তেমনি অনেক পরিসংখ্যানগত তথ্যের ভুলভ্রান্তি আছে বলে দাবি করছেন অনেকে। তবে এসব তর্ক-বিতর্ক একপাশে সরিয়ে রেখে ‘সিসপাইরেসি’ তথ্যচিত্রটি দেখে ফেলাই উত্তম কাজ হবে।

সূত্র: সিসপাইরেসি, দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, ভক্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হৃদয় খানের সুরে লিজার নতুন গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
হৃদয় খান ও সানিয়া সুলতানা লিজা। ছবি: সংগৃহীত
হৃদয় খান ও সানিয়া সুলতানা লিজা। ছবি: সংগৃহীত

সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র‍্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।

ফেসবুকে নতুন গানের খবর জানিয়ে লিজা লেখেন, ‘এ এক হারিয়ে যাওয়ার গান, এক নীরব বেদনার গল্প, যেখানে ভালোবাসা আছে, কিন্তু দাবি নেই। এ ধরনের গান নিয়ে এটি আমার প্রথম যাত্রা। আশা করি, নেই অধিকার আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। অপেক্ষায় থাকুন, শিগগিরই আসছে আমাদের ভালোবাসার গান।’

নতুন এই গান নিয়ে সানিয়া সুলতানা লিজা বলেন, ‘নেই অধিকার গানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব পছন্দের। কারণ, আমি যে ধরনের গান করি, সেখান থেকে বের হয়ে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করা হয়েছে। র‍্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানের কথাগুলো মন ছুঁয়ে যাবে। সেই কথার ওপর দারুণ সুর বসিয়েছেন হৃদয় খান। কক্সবাজারে ধারণ করা ভিডিওটিতে সেই কথাগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন পরিচালক চন্দন রায় চৌধুরী। ভিডিওতে নির্মাতা আমাকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে। সব মিলিয়ে নেই অধিকার গানটি আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি দর্শক শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’

লিজা জানান, আগামীকাল তাঁর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে নেই অনুরোধ গানের মিউজিক ভিডিও।

অন্যদিকে, ছোটদের গানের রিয়েলিটি শো আরটিভি লিটল স্টারের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন লিজা। কয়েক মাস আগে ইউরোপে সংগীত সফর করে এসেছেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে ২৫ দিনের ইউরোপ ট্যুরে লিজা সংগীত পরিবেশন করেছেন ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নভেম্বরে আসছে ফ্যামিলি ম্যান সিরিজের তৃতীয় সিজন

বিনোদন ডেস্ক
দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিরিজে মনোজ বাজপেয়ি
দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিরিজে মনোজ বাজপেয়ি

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে। প্রথম সিজনেই জনপ্রিয়তা পায় আমাজন প্রাইম ভিডিওতে প্রচারিত সিরিজটি। শ্রীকান্ত তিওয়ারি চরিত্রে প্রশংসিত হন মনোজ বাজপেয়ি। দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এবার আসছে তৃতীয় সিজন।

গতকাল প্রোমো প্রকাশ করে অনেকটা কমেডির ধাঁচে প্রাইম ভিডিও জানিয়েছে ফ্যামিলি ম্যানের তৃতীয় সিজনের মুক্তির তারিখ। ভিডিওতে দেখা গেছে, গোয়েন্দাগিরি ভুলে এবার গায়ক হতে মরিয়া শ্রীকান্ত তিওয়ারি! দিনভর বেসুরো কণ্ঠে গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পরিবার তো বটেই, শ্রীকান্তের ওপর বেজায় বিরক্ত তার সহকর্মীরাও। শ্রীকান্তর স্ত্রী সুচিত্রা জানায়, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় সিজনের মধ্যকার এই চার বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে তাদের জীবনে। মেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে, ছেলেও বড় হয়েছে। কিন্তু শ্রীকান্ত সেই একই রকম থেকে গেছে।

প্রোমো দেখে আন্দাজ করা যায়, আগের মতোই যেভাবে দক্ষ হাতে মধ্যবিত্ত গোয়েন্দা শ্রীকান্ত একই সঙ্গে পরিবার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সামলায়; এবারও সে গল্প পাওয়া যাবে। গল্পে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু ইস্যু উঠে আসবে বলে জানা গেছে। তবে এবার কিন্তু ওয়ান ম্যান শো হবে না। আগে যেভাবে শ্রীকান্ত চরিত্রে একাই বাজিমাত করে দিতেন মনোজ, এবার এসেছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। কারণ, তৃতীয় সিজনে যুক্ত হয়েছেন জয়দীপ আহলাওয়াত। তিনি মনোজ বাজপেয়ির চরিত্র শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে লড়বেন।

ফ্যামিলি ম্যান সিরিজের পরিচালক জুটি রাজ অ্যান্ড ডিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে যেভাবে এ সিরিজের প্রতি দর্শকেরা ভালোবাসা জানিয়েছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। তৃতীয় সিজনে থাকবে আরও অ্যাকশন, আরও চমৎকার গল্প আর অনবদ্য অভিনয়। এবারের সিজনে শিকারিই হবে শিকার। শ্রীকান্তকে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, যা আগে সে কখনো কল্পনাও করেনি। তার ক্যারিয়ার আর পরিবারও হুমকির মুখে পড়বে।’

আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ২৪০টির বেশি দেশ থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিজন থ্রি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার মঞ্চে হুমায়ূন আহমেদের ‘সাজঘর’ নিয়ে আসছে স্কেচ গ্যালারি নন্দন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘সাজঘর’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘সাজঘর’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির। এরপর চট্টগ্রামে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়েছে। এবার সাজঘর নিয়ে ঢাকার মঞ্চে আসছে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। আগামী ১ নভেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে সাজঘর।

সাজঘর মূলত একজন অভিনেতার শিল্পীসত্তা ও ব্যক্তিসত্তার দ্বন্দ্বের গল্প। পাশাপাশি এতে উঠে এসেছে গ্রুপ থিয়েটারের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, বন্ধুত্ব, প্রেম, হিংসা, নিঃসঙ্গতা এবং শিল্পের প্রতি গভীর দায়বোধের প্রকাশ। পরিচিত থিয়েটার প্রাঙ্গণ, মহড়াকক্ষ ও মঞ্চের পেছনের আলো-আঁধারিতে নাটকটি একদল স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষের যাত্রাপথ তুলে ধরে; যারা আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও মঞ্চে আলো জ্বালানোর স্বপ্ন দেখে।

নির্দেশক শাহরিয়ার হান্নান বলেন, ‘মঞ্চে একটি সাজানো-গোছানো পরিপাটি নাটক দেখা গেলেও তা নির্মাণের পেছনে যে কত গল্প আছে, তা অজানাই থেকে যায়। এই গল্পগুলো আর সম্পর্কগুলোই গ্রুপ থিয়েটারের শক্তি। সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সাজঘর উপন্যাসে গ্রুপ থিয়েটার ও থিয়েটারের মানুষের না-জানা গল্পগুলো তুলে এনেছেন।’

সাজঘর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সনজিব বড়ুয়া, বিজন মজুমদার, সুচরিত দাশ খোকন, রহিমা খাতুন লুনা, শাহীন চৌধুরী, আশীষ নন্দী, বিকিরণ বড়ুয়া, মামুন নাজিম, ধীমান দাশ, সালমা জাহান, বুশরা আল মোবাশ্বেরা, মামুরা মমতাজ দীপা ও শাহরিয়ার হান্নান।

সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও এর অনালোকিত দিকসমূহ উপস্থাপনের প্রয়াসে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। ২০১৯ সালে মঞ্চে আসে দলটির প্রথম প্রযোজনা ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’। ও’হেনরির গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসপাতালে ভর্তি হাসান মাসুদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে তাঁর।

মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক ইউনিটে ভর্তি আছেন হাসান মাসুদ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমানে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন হাসান মাসুদ। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকেন। এরপর নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি কী হবে।’

২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হাসান মাসুদের। এরপর কাজ করেছেন অনেক নাটকে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে ‘হাউসফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’, ‘বাতাসের ঘর’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ওয়েব কনটেন্টেও। অভিনয়ের আগে সাংবাদিকতা করতেন হাসান মাসুদ। এর আগে কর্মরত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ১৯৯২ সালে ৭ বছরের মাথায় ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন।

অনেক দিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত হাসান মাসুদ। গত মাসে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে জড়িয়ে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। সে সময় অনেকটা অভিমান করে জানিয়েছিলেন, অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান। চাকরি খোঁজার কথাও জানান হাসান মাসুদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ আগস্টে আমরা পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি—সিগন্যাল দেওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি

রেফারি হয়েও গোল দিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, অভিযোগ সালাহউদ্দিনের

১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল

মোদি আকর্ষণীয়, পিতার মতো, কিন্তু খুব কঠিন: ট্রাম্প

জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাশিক্ষক আহত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত