Ajker Patrika

আমার বাবা মোবারক হোসেন খান

রীনাত ফওজিয়া
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ২০
আমার বাবা মোবারক হোসেন খান

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জন্য যে কষ্ট তিনি করেছিলেন, তা রীতিমতো গল্প মনে হয়। 

তখন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ত্রিপুরা সব একসঙ্গে ছিল। সফদর হোসেন খান খবর নিয়ে জেনেছিলেন ত্রিপুরার রাজদরবারের সভা সংগীতজ্ঞ হলেন মিয়া তানসেনের বংশধর ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শিবপুর নামক অজ পাড়াগাঁ থেকে বের হয়ে ছুটে গেলেন ত্রিপুরার রাজদরবারে। তারপর অনেক কষ্ট করে ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁকে রাজি করান তাঁকে শিষ্যত্বে বরণ করে নিতে। সেই থেকে পরিবারের রক্তধারায় যুক্ত হয়ে গেল সংগীত। সফদর হোসেন খানের পাঁচ ছেলে কমবেশি সবাই সংগীত চর্চা করেছেন। তাঁরা হলেন সমিরউদ্দিন খাঁ, ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁ, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, নায়েব আলী খাঁ ও আয়েত আলী খাঁ। 

একটি সংগীত সংশ্লিষ্ট পরিবারের মানুষ হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সুরের প্রতি আকর্ষণ ছিল ছোটবেলা থেকে। ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে শিখে গেলেন। বাড়িতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা হয়। হারমোনিয়াম থেকে শুরু করে সেতার, সরোদ, সুরবাহার, বেহালা, তবলা-বাঁয়া আরও কত কি! আর সব শিশুদের মতো মোবারক হোসেন খানও এসব যন্ত্রের বাজাতে বাজাতে ও গাইতে গাইতে বড় হতে লাগলেন। তখন সে পরিবারে একটা রেওয়াজ ছিল, ছেলেরা যখন স্কুলে যাওয়ার মতো বড় হতো তখন লেখাপড়ার পাশাপাশি তাকে কোনো একটা বাদ্যযন্ত্রে হাতেখড়ি দেওয়া হতো। আব্বাকে হাতেখড়ি দেওয়া হলো বেহালা যন্ত্রে। প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে আব্বা দাদুর বাদ্যযন্ত্রের কারখানায় চলে যেতেন। সেখানে আরও কয়েকজন একসঙ্গে বেহালা শিখতেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন চাচাতো ভাই আমিনুর হোসেন খান ও ভাগনে খুরশিদ খান। বাবা এঁদের সঙ্গে কয়েক বছর তালিম নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে পড়াশোনার চাপে হোক বা যে কারণেই হোক, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। 

লেখাপড়ায় বরাবর ভালো ছিলেন মোবারক হোসেন খান। সে জন্য পরিবারের দিক থেকে একটা চাপ ছিল ভালোভাবে লেখাপড়া করার জন্য। ফলে ক্রমে তিনি লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। সংগীত চর্চাটা সেভাবে ধরে রাখতে পারলেন না। তাঁর সংগীত চর্চাটা ছিল অনিয়মিত। বেহালা ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি ‘মন্দ্রনাদ’ নামে একটা যন্ত্র বেশ কিছুদিন বাজিয়েছেন। যন্ত্রটা অনেকটা বেহালার আকার। কিন্তু অনেক বড়। আর বাজানোর ধরনটাও আলাদা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে আমার দাদু ওস্তাদ আয়েত আলী খান এই যন্ত্রটা উদ্ভাবন করেছিলেন। এরপর কিছুদিন বাজিয়েছেন ‘চন্দ্রসারং’। এই যন্ত্রটাও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে ওস্তাদ আয়েত আলী খান উদ্ভাবন করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি তবলা বাজানো রপ্ত করেছিলেন ছোটবেলা থেকে। 

ছাত্রজীবনে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অনুষ্ঠানে তবলা সংগত করেছেন। তা ছাড়া উচ্চাঙ্গ সংগীতেও তাঁর দক্ষতা ছিল ভালো। চাচাতো ভাই ওস্তাদ খাদেম হোমন খান, ভাগনে ওস্তাদ খুরশিদ খানের মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে তবলা সংগত করেছেন তিনি। কিন্তু সবশেষে তাঁর মনে ধরল বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খানের বানানো যন্ত্র সুরবাহার। বাবা একদিন দাদুকে বললেন, ‘আমি সুরবাহার বাজাব।’ দাদুর খুব আদরের ছেলে ছিলেন আব্বা। তাঁর কোনো আবদারে দাদু না বলতেন না। তিনি অনুমতি দিয়ে নিজের সুরবাহার যন্ত্রটা ছেলেকে বাজাতে দিলেন। 

লেখাপড়া আর সংগীত চর্চা চলল পাশাপাশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করলেন বেতারে, অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে। কর্মজীবনে একের পর এক সাফল্য পেলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হয়ে অবসর গ্রহণ করলেন। কিন্তু সংগীত চর্চাটা আর সেভাবে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে সংগীত বিষয়ে পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসতেন। এক সময় সংগীত বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন এবং এক সময় তিনি সংগীত গবেষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। 

সংগীত বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। ‘সংগীতসাধক অভিধান’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি’, ‘বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত সাধনা’, ‘রাগসংগীত’, ‘কণ্ঠসাধন’, ‘যন্ত্রসাধন’, ‘সংগীত গুণীজন’, ‘সংগীত মালিকা’, ‘আমার সংগীত স্বজন’, ‘ছোটদের সারেগামা ও সংগীতবিদ্যা’, ‘তিন সংগীতস্রষ্টা’, ‘গড়ল যারা সুরের তাজমহল’, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংগীতসাধক’, ‘আমি যে বাজিয়েছিলেম’, ‘নজরুল সংগীতের বিচিত্র ধারা’, ‘নজরুল সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘ছড়া গান’, ‘গানের স্বরলিপি’, ‘সংগীত সন্দর্শন’, ‘মিউজিক অ্যান্ড ইটস স্টাডি’, ‘ইসলামিক কনট্রিবিউশন টু সাউথ এশিয়া’স ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান: দ্য লিজেন্ড ইন মিউজিক’ ইত্যাদি তাঁর লেখা সংগীত বিষয়ক বই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের গান’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়’। ‘মুক্তিযুদ্ধের সেরা গল্প’ তাঁর সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিত বই। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তিনি ১২০ টির বেশি বই লিখেছেন। এসব বইয়ের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা পদক (১৯৯৪), গবেষণা সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং অনুবাদে অলক্ত সাহিত্য পুরস্কারে (২০১০) ভূষিত হয়েছেন। 

সংগীত গবেষক কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসকের বাইরে আমাদের কাছে তিনি ছিলেন স্নেহময় পিতা। আমাদের তিনি প্রতিদিন গল্প শোনাতেন—লোকজ গল্প, ঠাকুরমার ঝুলির গল্প, তারপর বিদেশি গল্পের অনুবাদ। সেগুলোর মধ্যে মনে পড়ে গ্রিম ব্রাদার্স এর লেখা ‘হ্যান্সেল অ্যান্ড গ্রেটেল’ গল্পটার কথা। আরও অনেক বই থেকে অনুবাদ করে আব্বা আমাদের গল্প শোনাতেন। সেই থেকেই কি না জানি না, তিনি একপর্যায়ে মনোযোগ দিয়ে বিদেশি গল্পের অনুবাদ করতে শুরু করেন। পরে সেগুলো সব বই আকারে প্রকাশিত হয়। 

 সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। ছবি: সংগৃহীতআরেকটা খুব আনন্দের স্মৃতি আছে তাঁর সঙ্গে। ছোটবেলায় স্কুলে আমাদের যে বাংলা বই পড়ানো হতো তাতে অনেক ছড়া ও কবিতা থাকত। আমরা এগুলো মুখস্থ করতাম। বাবা আমাদের জন্য এগুলো সুর করে গান বানিয়ে দিতেন। ‘পাখীসব করে রব রাতি পোহাইলো, কাননে কুসুমকলি সকলে ফুটিলো’, কিংবা ‘আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই’ এগুলো সব আমাদের কাছে গান হয়ে গিয়েছিল। খুব উৎসাহের সঙ্গে হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি এই ছড়াগুলোয় সুর দিতেন। তারপর আমাদের ডেকে সেগুলো শিখিয়ে দিতেন। 

মানুষ হিসেবে বাবা ছিলেন খুব সময়ানুবর্তী, নিয়মানুবর্তী, নিজের কাজে নিষ্ঠাবান, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান। আর যত গুণাবলি হতে পারে, আমার বিশ্বাস সবই বাবার ছিল। বাইরের কাজে এত ব্যস্ত থাকার পরও পারিবারিক জীবনের আনন্দটাই তাঁর কাছে বড় ছিল। আমাদের যেকোনো কাজে বাবাকে পাইনি, এমন কোনো দিন হয়নি। খুব গুছিয়ে জীবনের সবগুলো কাজ করে গেছেন তিনি। শেষ জীবনে তাঁর আলঝেইমার্স রোগ হয়। অসুখটা যে আলঝেইমার্স, সে কথা আমরা অনেক পরে জেনেছি। এর একটা বহিঃপ্রকাশ ডিমেনশিয়া। অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশ। সেটা অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম। 

প্রথমদিকে চিন্তাভাবনার অসংগতি, কথাবার্তায় যুক্তির অভাব। অসুখটির বৈশিষ্ট্য অনুসারে এক সময় শর্ট টার্ম মেমোরি হারিয়ে গিয়ে লং টার্ম মেমোরি ফিরে ফিরে আসতে লাগল। গতকাল কী ঘটল, পরশু কী ঘটল সেসব কথা মনে নেই। কিন্তু ষাট/সত্তর বছর আগের স্মৃতি জীবন্ত হয়ে ফিরে আসত তাঁর কাছে। ভাইবোনেরা কে কোথায় খেলাধুলা করতেন, উঠানে খেলার সময় বাজ পড়ে তাঁর বড় বোনের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল, এ ধরনের অনেক কথা যা বহু বছর বলা হয়নি। 

খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছিলেন বলে তাঁর মাকে নিয়ে স্মৃতি কম ছিল। কাজেই মায়ের গল্পগুলো আসত অন্যভাবে। বাবা বলতেন, ‘আমার মা এখানে আসবে। মা আসলে তাকে এখানে বসতে দিব। মাকে নিয়ে বেড়াতে যাব’ ইত্যাদি। এই একই গল্প প্রতিদিন। আমার মনে হলো এই অলীক কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। আমি নিজেকে মায়ের জায়গায় নিয়ে গেলাম। ক্রমে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি ঘটল। ধীরে ধীরে বেশির ভাগ স্মৃতি মুছে যেতে লাগল। আব্বার স্মৃতিপটে ধরে রাখা অনেক অনেক চেনামুখ ক্রমে অচেনা হয়ে উঠতে লাগল। চেনামুখের সংখ্যা কমতে কমতে শেষে তিনজনে এসে ঠেকল। 

আমি বাবার খুব আদরের কন্যা ছিলাম। প্রতিদিন তাঁর অবস্থা একটু একটু করে খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে অস্থির হচ্ছিলাম। কী করা যায়, ভাবছি। পারিবারিক চিকিৎসক তাঁকে জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ বার্ধক্যজনিত রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বললেন। সেরকম এক চিকিৎসক জানালেন, তিনি অসুখটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছেন। 

আলঝেইমার্স হলে চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। অনেকে পরামর্শ দিলেন, পুরোনো কিছু বিষয় মনে করিয়ে দিতে, যাতে তাঁর মস্তিষ্ক সচল হয়। আমি তাঁকে নিয়ে সারগাম গাওয়া শুরু করলাম। খেয়াল করে দেখলাম, সারগাম তাঁর কিছুটা মনে আছে। আমার সঙ্গে গাইতে শুরু করলেন। আমি পালটা সারগাম শুরু করলাম। সারেগা রেগামা গামাপা মাপাধা...। আরোহণ পারলেন। অবরোহণে গিয়ে বিস্মৃতি দেখা দিল। তবে আব্বা শব্দ উচ্চারণ না করে আ আ আ করে গাইলেন আমার সঙ্গে। আমি তবলার বোল বলতে শুরু করলাম। দেখি, শুয়ে শুয়ে হাতের আঙুল নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করছেন। এককালে তবলা বাজিয়েছেন অনেক। কিছুটা কি মনে পড়ল? আমি সুর করে দরুদ পড়ে শোনাতাম। খুব মনোযোগ দিয়ে মাথা নেড়ে নেড়ে শুনতেন। 

কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন হলো না। শেষ দিকে দ্রুতই অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগল। আম্মা বলতে গেলে চব্বিশ ঘণ্টা আব্বাকে চোখে চোখে রাখতেন। আলঝেইমার্স রোগীরা সম্পূর্ণভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে যায়। আম্মার ওপর আব্বার এই নির্ভরশীলতা অবধারিতভাবেই। তিনি যত্নের সঙ্গে দিনরাত দেখাশোনা করতেন। 

কিন্তু শেষ দিনটা যে হঠাৎ এত কাছে এসে যাবে, সেটা আমরা কখনো ভাবিনি। শান্তশিষ্ট বাবা, কাউকে জীবনে বিরক্ত করেননি, নিজের কাজে ডুবে থাকতেন। সব সময় অন্যের সুবিধা দেখতেন, প্রয়োজনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। ঠিক এরই স্বাক্ষর রেখে গেলেন জীবনের শেষ বেলায়। কাউকে কোনো রকম বিরক্ত না করে, এমনকি না জানিয়ে ঘুমের মধ্যে নীরবে এক জগৎ থেকে অন্য জগতে চলে গেলেন। ঠিক পাশে থাকা মানুষটিও কিছু বুঝতে পারলেন না। আমি আমার মায়ের কথা বলছি। আব্বার কিছু অস্বস্তি হচ্ছিল, সে কারণে আম্মার ঘুম ভেঙেছিল শেষ রাতের দিকে। আম্মা টর্চ জ্বালিয়ে আব্বাকে দেখলেন কিছুক্ষণ। কিন্তু তারপর আব্বা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। আম্মাও বাকি রাত ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে নামাজ পড়ে ঘরের কিছু কাজ সেরে নিলেন। আব্বার এত সকাল সকাল না উঠলেও চলবে। এই ভেবে তিনি সকালের খাবার তৈরি করে নয়টার পর আব্বাকে ডাকতে গেলেন। মুখে ডাকার পর সাড়া না পেয়ে গায়ে হাত দিয়ে জাগাতে গিয়ে দেখলেন তাঁর শরীর শীতল হয়ে গেছে। সুদীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী তাঁকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। তারিখটা ছিল ২৪ নভেম্বর ২০১৯। 

লেখক: অধ্যাপক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ঢাকা, সেতারশিল্পী এবং সংগীত গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লম্বা বিরতির পর সিনেমায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।

আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।

কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।

ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।

এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আজ ‘গানওয়ালাদের গান ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘গানওয়ালাদের গান ২’ কনসার্টের শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
‘গানওয়ালাদের গান ২’ কনসার্টের শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।

এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।

গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’

দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘কানতারা’, ‘লোকাহ’, ‘উইচার’ ঘরে বসেই দেখুন এবার

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
‘লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান’ সিনেমার দৃশ্য
‘লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান’ সিনেমার দৃশ্য

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)

  • অভিনয়: ঋষভ শেঠি, জয়ারাম, রুক্মিনী বসন্ত
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৩১ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ২০২২ সালে এসেছিল ‘কানতারা’। সেই সিনেমার আগের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রিকুয়েল ‘কানতারা চ্যাপ্টার ১’। এই গল্পের প্রধান চরিত্র বার্মি, কানতারা উপজাতির নেতা। বাংরা রাজ্যের রাজা কুলশেখরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে বার্মি। দুই গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। কানতারা গোত্রের হয়ে যুদ্ধের জন্য জাগ্রত হয় পাঞ্জুরলি ও গুলিগা নামের দুই আত্মা।

লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)

  • অভিনয়: কল্যাণী প্রিয়দর্শন, নাসলেন
  • মুক্তি: জিও হটস্টার (৩১ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা লোকাহ। চন্দ্রা নামের এক রহস্যময় তরুণীর গল্প। শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য বেঙ্গালুরুতে চলে আসে সে। নিজের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা ব্যবহার করে এক সহকর্মীকে অঙ্গ পাচারকারী চক্রের হাত থেকে বাঁচায়। এ বিষয়টি দেখে ফেলে প্রতিবেশী সানি। এর পর শুরু হয় নানা সংকট।

দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)

  • অভিনয়: লিয়াম হেমসওয়ার্থ, ফ্রেয়া অ্যালান
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৩০ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: আগের সিজনে প্রলয়ংকরী সব ঘটনার পর আলাদা হয়ে গিয়েছিল জেরাল্ট, ইয়েনেফার ও সিরি। সেখান থেকে আবার মিলিত হওয়ার চেষ্টা করবে প্রত্যেকেই। শত্রুদের মোকাবিলা করতে করতে সিরিকে খুঁজতে থাকে জেরাল্ট। ইয়েনেফার জাদুকরি সম্প্রদায় গড়ে তোলে। অন্যদিকে সিরি যোগ দেয় এক অপরাধী দলের সঙ্গে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজানের সময় গান থামিয়ে বাহবা পেলেন সনু নিগম

বিনোদন ডেস্ক
সনু নিগম। ছবি: সংগৃহীত
সনু নিগম। ছবি: সংগৃহীত

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।

২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’

সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।

২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।

কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত