
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে।
১২ ঘণ্টা আগে
থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির।
১২ ঘণ্টা আগে
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটা
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
ফেসবুকে নতুন গানের খবর জানিয়ে লিজা লেখেন, ‘এ এক হারিয়ে যাওয়ার গান, এক নীরব বেদনার গল্প, যেখানে ভালোবাসা আছে, কিন্তু দাবি নেই। এ ধরনের গান নিয়ে এটি আমার প্রথম যাত্রা। আশা করি, নেই অধিকার আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। অপেক্ষায় থাকুন, শিগগিরই আসছে আমাদের ভালোবাসার গান।’
নতুন এই গান নিয়ে সানিয়া সুলতানা লিজা বলেন, ‘নেই অধিকার গানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব পছন্দের। কারণ, আমি যে ধরনের গান করি, সেখান থেকে বের হয়ে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করা হয়েছে। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানের কথাগুলো মন ছুঁয়ে যাবে। সেই কথার ওপর দারুণ সুর বসিয়েছেন হৃদয় খান। কক্সবাজারে ধারণ করা ভিডিওটিতে সেই কথাগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন পরিচালক চন্দন রায় চৌধুরী। ভিডিওতে নির্মাতা আমাকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে। সব মিলিয়ে নেই অধিকার গানটি আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি দর্শক শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’
লিজা জানান, আগামীকাল তাঁর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে নেই অনুরোধ গানের মিউজিক ভিডিও।
অন্যদিকে, ছোটদের গানের রিয়েলিটি শো আরটিভি লিটল স্টারের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন লিজা। কয়েক মাস আগে ইউরোপে সংগীত সফর করে এসেছেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে ২৫ দিনের ইউরোপ ট্যুরে লিজা সংগীত পরিবেশন করেছেন ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনে।

সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
ফেসবুকে নতুন গানের খবর জানিয়ে লিজা লেখেন, ‘এ এক হারিয়ে যাওয়ার গান, এক নীরব বেদনার গল্প, যেখানে ভালোবাসা আছে, কিন্তু দাবি নেই। এ ধরনের গান নিয়ে এটি আমার প্রথম যাত্রা। আশা করি, নেই অধিকার আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। অপেক্ষায় থাকুন, শিগগিরই আসছে আমাদের ভালোবাসার গান।’
নতুন এই গান নিয়ে সানিয়া সুলতানা লিজা বলেন, ‘নেই অধিকার গানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব পছন্দের। কারণ, আমি যে ধরনের গান করি, সেখান থেকে বের হয়ে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করা হয়েছে। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানের কথাগুলো মন ছুঁয়ে যাবে। সেই কথার ওপর দারুণ সুর বসিয়েছেন হৃদয় খান। কক্সবাজারে ধারণ করা ভিডিওটিতে সেই কথাগুলোকে জীবন্ত করে তুলেছেন পরিচালক চন্দন রায় চৌধুরী। ভিডিওতে নির্মাতা আমাকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আমিও চেষ্টা করেছি তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে। সব মিলিয়ে নেই অধিকার গানটি আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি দর্শক শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।’
লিজা জানান, আগামীকাল তাঁর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে নেই অনুরোধ গানের মিউজিক ভিডিও।
অন্যদিকে, ছোটদের গানের রিয়েলিটি শো আরটিভি লিটল স্টারের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন লিজা। কয়েক মাস আগে ইউরোপে সংগীত সফর করে এসেছেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে ২৫ দিনের ইউরোপ ট্যুরে লিজা সংগীত পরিবেশন করেছেন ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেনে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে।
১২ ঘণ্টা আগে
থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির।
১২ ঘণ্টা আগে
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটা
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে। প্রথম সিজনেই জনপ্রিয়তা পায় আমাজন প্রাইম ভিডিওতে প্রচারিত সিরিজটি। শ্রীকান্ত তিওয়ারি চরিত্রে প্রশংসিত হন মনোজ বাজপেয়ি। দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এবার আসছে তৃতীয় সিজন।
গতকাল প্রোমো প্রকাশ করে অনেকটা কমেডির ধাঁচে প্রাইম ভিডিও জানিয়েছে ফ্যামিলি ম্যানের তৃতীয় সিজনের মুক্তির তারিখ। ভিডিওতে দেখা গেছে, গোয়েন্দাগিরি ভুলে এবার গায়ক হতে মরিয়া শ্রীকান্ত তিওয়ারি! দিনভর বেসুরো কণ্ঠে গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পরিবার তো বটেই, শ্রীকান্তের ওপর বেজায় বিরক্ত তার সহকর্মীরাও। শ্রীকান্তর স্ত্রী সুচিত্রা জানায়, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় সিজনের মধ্যকার এই চার বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে তাদের জীবনে। মেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে, ছেলেও বড় হয়েছে। কিন্তু শ্রীকান্ত সেই একই রকম থেকে গেছে।
প্রোমো দেখে আন্দাজ করা যায়, আগের মতোই যেভাবে দক্ষ হাতে মধ্যবিত্ত গোয়েন্দা শ্রীকান্ত একই সঙ্গে পরিবার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সামলায়; এবারও সে গল্প পাওয়া যাবে। গল্পে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু ইস্যু উঠে আসবে বলে জানা গেছে। তবে এবার কিন্তু ওয়ান ম্যান শো হবে না। আগে যেভাবে শ্রীকান্ত চরিত্রে একাই বাজিমাত করে দিতেন মনোজ, এবার এসেছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। কারণ, তৃতীয় সিজনে যুক্ত হয়েছেন জয়দীপ আহলাওয়াত। তিনি মনোজ বাজপেয়ির চরিত্র শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে লড়বেন।
ফ্যামিলি ম্যান সিরিজের পরিচালক জুটি রাজ অ্যান্ড ডিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে যেভাবে এ সিরিজের প্রতি দর্শকেরা ভালোবাসা জানিয়েছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। তৃতীয় সিজনে থাকবে আরও অ্যাকশন, আরও চমৎকার গল্প আর অনবদ্য অভিনয়। এবারের সিজনে শিকারিই হবে শিকার। শ্রীকান্তকে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, যা আগে সে কখনো কল্পনাও করেনি। তার ক্যারিয়ার আর পরিবারও হুমকির মুখে পড়বে।’
আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ২৪০টির বেশি দেশ থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিজন থ্রি।

ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে। প্রথম সিজনেই জনপ্রিয়তা পায় আমাজন প্রাইম ভিডিওতে প্রচারিত সিরিজটি। শ্রীকান্ত তিওয়ারি চরিত্রে প্রশংসিত হন মনোজ বাজপেয়ি। দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২০২১ সালে। এবার আসছে তৃতীয় সিজন।
গতকাল প্রোমো প্রকাশ করে অনেকটা কমেডির ধাঁচে প্রাইম ভিডিও জানিয়েছে ফ্যামিলি ম্যানের তৃতীয় সিজনের মুক্তির তারিখ। ভিডিওতে দেখা গেছে, গোয়েন্দাগিরি ভুলে এবার গায়ক হতে মরিয়া শ্রীকান্ত তিওয়ারি! দিনভর বেসুরো কণ্ঠে গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে পরিবার তো বটেই, শ্রীকান্তের ওপর বেজায় বিরক্ত তার সহকর্মীরাও। শ্রীকান্তর স্ত্রী সুচিত্রা জানায়, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় সিজনের মধ্যকার এই চার বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে তাদের জীবনে। মেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে, ছেলেও বড় হয়েছে। কিন্তু শ্রীকান্ত সেই একই রকম থেকে গেছে।
প্রোমো দেখে আন্দাজ করা যায়, আগের মতোই যেভাবে দক্ষ হাতে মধ্যবিত্ত গোয়েন্দা শ্রীকান্ত একই সঙ্গে পরিবার ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সামলায়; এবারও সে গল্প পাওয়া যাবে। গল্পে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু ইস্যু উঠে আসবে বলে জানা গেছে। তবে এবার কিন্তু ওয়ান ম্যান শো হবে না। আগে যেভাবে শ্রীকান্ত চরিত্রে একাই বাজিমাত করে দিতেন মনোজ, এবার এসেছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে। কারণ, তৃতীয় সিজনে যুক্ত হয়েছেন জয়দীপ আহলাওয়াত। তিনি মনোজ বাজপেয়ির চরিত্র শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে লড়বেন।
ফ্যামিলি ম্যান সিরিজের পরিচালক জুটি রাজ অ্যান্ড ডিকে বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে যেভাবে এ সিরিজের প্রতি দর্শকেরা ভালোবাসা জানিয়েছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। তৃতীয় সিজনে থাকবে আরও অ্যাকশন, আরও চমৎকার গল্প আর অনবদ্য অভিনয়। এবারের সিজনে শিকারিই হবে শিকার। শ্রীকান্তকে এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, যা আগে সে কখনো কল্পনাও করেনি। তার ক্যারিয়ার আর পরিবারও হুমকির মুখে পড়বে।’
আগামী ২১ নভেম্বর থেকে ২৪০টির বেশি দেশ থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে দ্য ফ্যামিলি ম্যান সিজন থ্রি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
১২ ঘণ্টা আগে
থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির।
১২ ঘণ্টা আগে
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটা
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির। এরপর চট্টগ্রামে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়েছে। এবার সাজঘর নিয়ে ঢাকার মঞ্চে আসছে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। আগামী ১ নভেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে সাজঘর।
সাজঘর মূলত একজন অভিনেতার শিল্পীসত্তা ও ব্যক্তিসত্তার দ্বন্দ্বের গল্প। পাশাপাশি এতে উঠে এসেছে গ্রুপ থিয়েটারের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, বন্ধুত্ব, প্রেম, হিংসা, নিঃসঙ্গতা এবং শিল্পের প্রতি গভীর দায়বোধের প্রকাশ। পরিচিত থিয়েটার প্রাঙ্গণ, মহড়াকক্ষ ও মঞ্চের পেছনের আলো-আঁধারিতে নাটকটি একদল স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষের যাত্রাপথ তুলে ধরে; যারা আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও মঞ্চে আলো জ্বালানোর স্বপ্ন দেখে।
নির্দেশক শাহরিয়ার হান্নান বলেন, ‘মঞ্চে একটি সাজানো-গোছানো পরিপাটি নাটক দেখা গেলেও তা নির্মাণের পেছনে যে কত গল্প আছে, তা অজানাই থেকে যায়। এই গল্পগুলো আর সম্পর্কগুলোই গ্রুপ থিয়েটারের শক্তি। সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সাজঘর উপন্যাসে গ্রুপ থিয়েটার ও থিয়েটারের মানুষের না-জানা গল্পগুলো তুলে এনেছেন।’
সাজঘর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সনজিব বড়ুয়া, বিজন মজুমদার, সুচরিত দাশ খোকন, রহিমা খাতুন লুনা, শাহীন চৌধুরী, আশীষ নন্দী, বিকিরণ বড়ুয়া, মামুন নাজিম, ধীমান দাশ, সালমা জাহান, বুশরা আল মোবাশ্বেরা, মামুরা মমতাজ দীপা ও শাহরিয়ার হান্নান।
সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও এর অনালোকিত দিকসমূহ উপস্থাপনের প্রয়াসে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। ২০১৯ সালে মঞ্চে আসে দলটির প্রথম প্রযোজনা ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’। ও’হেনরির গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান।

থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির। এরপর চট্টগ্রামে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়েছে। এবার সাজঘর নিয়ে ঢাকার মঞ্চে আসছে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। আগামী ১ নভেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হবে সাজঘর।
সাজঘর মূলত একজন অভিনেতার শিল্পীসত্তা ও ব্যক্তিসত্তার দ্বন্দ্বের গল্প। পাশাপাশি এতে উঠে এসেছে গ্রুপ থিয়েটারের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, বন্ধুত্ব, প্রেম, হিংসা, নিঃসঙ্গতা এবং শিল্পের প্রতি গভীর দায়বোধের প্রকাশ। পরিচিত থিয়েটার প্রাঙ্গণ, মহড়াকক্ষ ও মঞ্চের পেছনের আলো-আঁধারিতে নাটকটি একদল স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষের যাত্রাপথ তুলে ধরে; যারা আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও মঞ্চে আলো জ্বালানোর স্বপ্ন দেখে।
নির্দেশক শাহরিয়ার হান্নান বলেন, ‘মঞ্চে একটি সাজানো-গোছানো পরিপাটি নাটক দেখা গেলেও তা নির্মাণের পেছনে যে কত গল্প আছে, তা অজানাই থেকে যায়। এই গল্পগুলো আর সম্পর্কগুলোই গ্রুপ থিয়েটারের শক্তি। সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সাজঘর উপন্যাসে গ্রুপ থিয়েটার ও থিয়েটারের মানুষের না-জানা গল্পগুলো তুলে এনেছেন।’
সাজঘর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সনজিব বড়ুয়া, বিজন মজুমদার, সুচরিত দাশ খোকন, রহিমা খাতুন লুনা, শাহীন চৌধুরী, আশীষ নন্দী, বিকিরণ বড়ুয়া, মামুন নাজিম, ধীমান দাশ, সালমা জাহান, বুশরা আল মোবাশ্বেরা, মামুরা মমতাজ দীপা ও শাহরিয়ার হান্নান।
সুস্থ সংস্কৃতিচর্চা ও এর অনালোকিত দিকসমূহ উপস্থাপনের প্রয়াসে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে স্কেচ গ্যালারি নন্দন। ২০১৯ সালে মঞ্চে আসে দলটির প্রথম প্রযোজনা ‘ভালোবাসি ভালোবাসি’। ও’হেনরির গল্প অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে।
১২ ঘণ্টা আগে
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটা
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে তাঁর।
মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক ইউনিটে ভর্তি আছেন হাসান মাসুদ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমানে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন হাসান মাসুদ। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকেন। এরপর নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি কী হবে।’
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হাসান মাসুদের। এরপর কাজ করেছেন অনেক নাটকে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে ‘হাউসফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’, ‘বাতাসের ঘর’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ওয়েব কনটেন্টেও। অভিনয়ের আগে সাংবাদিকতা করতেন হাসান মাসুদ। এর আগে কর্মরত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ১৯৯২ সালে ৭ বছরের মাথায় ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন।
অনেক দিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত হাসান মাসুদ। গত মাসে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে জড়িয়ে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। সে সময় অনেকটা অভিমান করে জানিয়েছিলেন, অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান। চাকরি খোঁজার কথাও জানান হাসান মাসুদ।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা হাসান মাসুদ। গত সোমবার রাতে প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও খিঁচুনি অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, হাসান মাসুদ ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। মাইল্ড হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে তাঁর।
মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ট্রোক ইউনিটে ভর্তি আছেন হাসান মাসুদ। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বর্তমানে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন হাসান মাসুদ। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকেন। এরপর নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি কী হবে।’
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হাসান মাসুদের। এরপর কাজ করেছেন অনেক নাটকে। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে ‘হাউসফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’, ‘বাতাসের ঘর’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন ওয়েব কনটেন্টেও। অভিনয়ের আগে সাংবাদিকতা করতেন হাসান মাসুদ। এর আগে কর্মরত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ১৯৯২ সালে ৭ বছরের মাথায় ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন।
অনেক দিন ধরেই অভিনয়ে অনিয়মিত হাসান মাসুদ। গত মাসে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে জড়িয়ে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। সে সময় অনেকটা অভিমান করে জানিয়েছিলেন, অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান। চাকরি খোঁজার কথাও জানান হাসান মাসুদ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
সুরকার ও সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সুরে নতুন গান গাইলেন সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। গানের শিরোনাম ‘নেই অধিকার’। র্যাপার তওফিক আহমেদের লেখা গানটির সংগীত আয়োজনও করেছেন হৃদয় খান। চন্দন রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে। ভিডিওতে লিজার সঙ্গে মডেল হয়েছেন মোহতারাম বিল্লাহ।
১২ ঘণ্টা আগে
ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের তালিকায় শুরুর দিকে আছে ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’-এর নাম। শ্রীকান্ত তিওয়ারি নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার পারিবারিক জীবন এবং শ্বাসরুদ্ধকর মিশনের গল্প নিয়ে তৈরি সিরিজটির প্রথম সিজন এসেছিল ২০১৯ সালে।
১২ ঘণ্টা আগে
থিয়েটার ও থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামের নাট্যসংগঠন স্কেচ গ্যালারি নন্দনের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘সাজঘর’। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘সাজঘর’ উপন্যাসের নাট্যরূপ এটি। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শাহরিয়ার হান্নান। গত মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছে নাটকটির।
১২ ঘণ্টা আগে