বিদ্যুৎ সরকার

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা। হাতে গোনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে ‘স্মরণ’ নামের আয়োজন কিছু আশা জাগায় বটে। কিন্তু বাদ থেকে যান এমন অনেকে, যাঁদের প্রতিভা ও প্রচেষ্টার স্বাক্ষর আজও বহন করে চলেছে বাঙালি জাতি। তেমনই এক প্রতিভার নাম কমল দাশগুপ্ত। বিস্মৃতপ্রায়। কিন্তু অদম্য সৃজনক্ষমতায় তিনি মিশে থাকেন আমাদের সুর সত্তায়, সংগীতায়োজনে—সর্বোপরি গানে-গানে। তাই ভুলতে ভুলতে আবার তাঁকে ঠিকই আমাদের মনে করতে হয়। খুঁজে নিতে হয় কমল দাশগুপ্তের ঠিকুজি; তাঁর জীবনের নানান উত্থান-পতন।
১৯১২ সালের ২৮ জুলাই জন্ম হয় কমল দাশগুপ্তের। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে। তাঁর মায়ের নাম প্রমোদিনী দাশগুপ্ত। শৈশব থেকেই কমল দাশগুপ্ত পেয়েছিলেন সংগীতময় পরিবেশ। বাবা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত ধ্রুপদে ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। কাকা কিরণ দাশগুপ্তের তবলাবাদক হিসেবে ছিল বেশ সুনাম। ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তও ছিলেন সুরস্রষ্টা, গায়ক। আর বড়দা বিমল দাশগুপ্ত, যিনি ১৯২২ সাল থেকে ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেন এবং সংগীত শিক্ষক হিসেবে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর কাছেই কমল দাশগুপ্তের সংগীতশিক্ষার হাতেখড়ি। বিমল দাশগুপ্ত তাঁকে মাঝে মাঝে কোম্পানির মহড়া কক্ষে নিয়ে যেতেন রেকর্ডের গানে কীভাবে সুর দেওয়া হয়, সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এই নিয়ে যাওয়ার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল। সে সময় জাদুকর হিসেবে বিমল দাশগুপ্তের ছিল বেশ নামডাক। বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। তাই অর্থের প্রয়োজনে অনেক সময় রেকর্ডিং থাকলেও জাদু দেখানোর জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হতো। বড়দার এই অনুপস্থিতিতে গানে সুর দিতেন কমল দাশগুপ্ত। এমনকি শিল্পীদের সেই গান তুলিয়েও দিতেন তিনি। এভাবেই তাঁর সুরসৃষ্টির জগতে প্রবেশ।
কমল দাশগুপ্তের সুরে প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালের এপ্রিল মাসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ‘মাস্টার কমল’ নামে তাঁর নিজের লেখা ও সুরে গাওয়া রেকর্ড বের হয়। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে’, ‘তুমি হাতখানি যবে রাখো মোর’, ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়’ গানগুলো তাঁর সুর করা ও গাওয়া। অর্থাৎ, চাইলে তিনি গীতিকার কিংবা কণ্ঠশিল্পীও হতে পারতেন। কিন্তু তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সুর সৃজনেই তাঁর সাবলীলতা। সুরের মাধ্যমেই তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করতে সক্ষম। ফলে কমল দাশগুপ্তের সুর করা অসংখ্য গান এখনো সংগীতানুরাগী বাঙালি গুনগুন করে গায়। তাঁর কালজয়ী গানগুলোর মধ্য রয়েছে ‘এমনই বরষা ছিল সেদিন’, ‘সাঁঝের তারকা আমি পথ হারায়ে’, ‘মেনেছি গো হার মেনেছি’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘ভুলি নাই ভুলি নাই’, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, ‘জেগে আছি একা জেগে আছি কারাগারে’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘দুটি পাখি দুটি তীরে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে’, ‘এই কি গো শেষ দান’, ‘সেদিন নিশীথে বরিষন শেষে’।
কমল দাশগুপ্ত সেই বিরলপ্রজ শিল্পীদের একজন, যাঁদের নিজের প্রতিভা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস থাকে তুঙ্গে। তাঁর সুর কালোত্তীর্ণ বলেই ‘কত দিন দেখিনি তোমায়’ গানটি ১৯৮৪ সালে এসে মান্না দে পুনরায় রেকর্ড করেন, যা শ্রোতারা এখনো তন্ময় হয়ে শোনে। বলা জরুরি, প্রণব রায়ের লেখা গানটির মূল শিল্পী কিন্তু কমল দাশগুপ্ত নিজেই। কিংবা বলা যায় কুমার শানুর গাওয়া ‘এই কি গো শেষ দান’ গানের কথা। তাঁর সুর করা এ রকম অসংখ্য গান এখনো শিল্পীরা নতুনভাবে রেকর্ড করে চলেছেন। সুরের সজীবতা না থাকলে এত বছর পরও সেসব গান আবার রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতো না।
কমল দাশগুপ্তের সুর দক্ষতার প্রতি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাই আধুনিক গানের এই অসামান্য গীতিকার নিজের লেখা গানের খাতা অবলীলায় তাঁর কাছে দিয়ে দিতেন সুর করার জন্য। কমল দাশগুপ্তও সে বিশ্বাসের প্রতিদান দিতেন শ্রুতিমধুর, অবিস্মরণীয় সব সুর সৃষ্টির মাধ্যমে। আর সে কারণেই নজরুল ইসলাম বাদে সবচেয়ে বেশি নজরুল সংগীতের সুরকার কমল দাশগুপ্ত। ‘আমার ভুবন কান পেতে রয়’, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ’, ‘ওরে নীল যমুনার জল’, ‘মোর না মিটিতে আশা’, ‘যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়’, ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়’, ‘আসিল রে প্রিয় আসিল রে’, ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’ ইত্যাদি অসংখ্য অবিস্মরণীয় নজরুলগীতির সুরস্রষ্টা তিনি। তবে শুধু নজরুলগীতি কিংবা বেসিক গান নয়, অসংখ্য সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। এর মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণ করা যায় ‘গরমিল’, ‘দম্পতি’, ‘শেষ উত্তর’, ‘যোগাযোগ’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রের কথা। ‘শেষ উত্তর’ সিনেমায় নায়িকা-গায়িকা কানন দেবীর গাওয়া ‘আমি বনফুল গো’, ‘লাগুক দোলা’, ‘যদি আপনার মনের মাধুরী মিশায়ে’ ইত্যাদি গানের সুর এখনো শ্রোতাদের হৃদয়স্পর্শী।
ধারণা করা হয়, প্রায় সাত হাজার গানে কমল দাশগুপ্ত সুরারোপ করেছেন। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে যূথিকা রায়, জগন্ময় মিত্র, সত্য চৌধুরী, রবীন মজুমদার, কানন দেবী, ফিরোজা বেগম, তালাত মাহমুদ, সন্তোষ সেনগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা তাঁর সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। গানের কথার মর্ম অনুধাবন করে সুর সৃজনের অসামান্য ক্ষমতা ছিল কমল দাশগুপ্তের। তা ছাড়া কোন সুর কোন শিল্পীর কণ্ঠে বেশি মানাবে, সে সম্পর্কে তাঁর ছিল খুব স্বচ্ছ ধারণা। কথা ও সুর অনুযায়ী ইন্টারল্যুড-প্রিলিউড সৃজনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ফলে একটানা কাজ করে গেলেও তাঁর সুর সৃষ্টিতে কোনো ক্লিষ্টতার ছাপ পড়েনি।
এমনই যার সৃজনক্ষমতা, তাঁর জীবনের শেষাংশের দিনগুলো মোটেও সুখকর ছিল না। চল্লিশের দশকের টালমাটাল বৈশ্বিক ও দৈশিক পরিস্থিতির কারণে কমল দাশগুপ্তের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। যে ব্যাংকে তিনি সারা জীবনের আয় গচ্ছিত রেখেছিলেন, সেই নাথ ব্যাংক (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ বইয়ে বলছেন পাইওনিয়ার ব্যাংক) দেউলিয়া হয়ে যায়। কয়েক বছরের মধ্যে মা ও ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তকেও হারান তিনি। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে চরম অর্থকষ্ট—সব মিলিয়ে কমল দাশগুপ্ত মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ রকম চরম দুর্দিনে এইচএমভিও তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
দুর্ভাগ্যপীড়িত, আশাহত, নিঃসম্বল কমল দাশগুপ্ত এ সময় জীবনসঙ্গী হিসেবে পান ফিরোজা বেগমকে। ১৯৫৫ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর চার বছর পর ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নাম হয় কাজী কামালউদ্দিন। চরম আর্থিক দৈন্য ও প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু তাতেও তাঁর দুঃখ-বেদনা এতটুকু কমেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংগীতজগতে কোথাও তাঁকে এতটুকু স্থান দেওয়া হয়নি। কলকাতা-ঢাকা দুই জায়গাতেই তিনি শেষ জীবনে চরম উপেক্ষা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির জন্য শেষ জীবনে মুদি দোকানও দিয়েছিলেন তিনি। ভাবতে অবাক লাগে, যে কমল দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে আয়কর হিসেবে দিয়েছিলেন ৩৭ হাজার টাকা, চড়তেন দামি গাড়ি; শেষ জীবনে হাসপাতালে একটা বেডও জোটেনি তাঁর কপালে। চরম অবহেলায় ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই মারা যান তিনি।
শেষ করছি পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দিয়ে, ‘কাজী নজরুল ইসলামের পর যদি বাংলা গানের বাণিজ্যিক খতিয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সর্বাগ্রে আসা উচিত কমল দাশগুপ্তর নাম। সে যুগে হিট আধুনিক গানের সুরকার বললেই বোঝাত কমল দাশগুপ্ত।’ বাংলা গানে এমনই যার অবদান, তাঁর প্রাপ্য সম্মান কি আমরা আজও দিতে পেরেছি?

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা। হাতে গোনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে ‘স্মরণ’ নামের আয়োজন কিছু আশা জাগায় বটে। কিন্তু বাদ থেকে যান এমন অনেকে, যাঁদের প্রতিভা ও প্রচেষ্টার স্বাক্ষর আজও বহন করে চলেছে বাঙালি জাতি। তেমনই এক প্রতিভার নাম কমল দাশগুপ্ত। বিস্মৃতপ্রায়। কিন্তু অদম্য সৃজনক্ষমতায় তিনি মিশে থাকেন আমাদের সুর সত্তায়, সংগীতায়োজনে—সর্বোপরি গানে-গানে। তাই ভুলতে ভুলতে আবার তাঁকে ঠিকই আমাদের মনে করতে হয়। খুঁজে নিতে হয় কমল দাশগুপ্তের ঠিকুজি; তাঁর জীবনের নানান উত্থান-পতন।
১৯১২ সালের ২৮ জুলাই জন্ম হয় কমল দাশগুপ্তের। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল নড়াইল জেলার কালিয়া থানার বেন্দা গ্রামে। তাঁর মায়ের নাম প্রমোদিনী দাশগুপ্ত। শৈশব থেকেই কমল দাশগুপ্ত পেয়েছিলেন সংগীতময় পরিবেশ। বাবা তারাপ্রসন্ন দাশগুপ্ত ধ্রুপদে ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। কাকা কিরণ দাশগুপ্তের তবলাবাদক হিসেবে ছিল বেশ সুনাম। ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তও ছিলেন সুরস্রষ্টা, গায়ক। আর বড়দা বিমল দাশগুপ্ত, যিনি ১৯২২ সাল থেকে ওস্তাদ জমিরউদ্দিন খাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করেন এবং সংগীত শিক্ষক হিসেবে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেডে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর কাছেই কমল দাশগুপ্তের সংগীতশিক্ষার হাতেখড়ি। বিমল দাশগুপ্ত তাঁকে মাঝে মাঝে কোম্পানির মহড়া কক্ষে নিয়ে যেতেন রেকর্ডের গানে কীভাবে সুর দেওয়া হয়, সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। এই নিয়ে যাওয়ার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল। সে সময় জাদুকর হিসেবে বিমল দাশগুপ্তের ছিল বেশ নামডাক। বাবার মৃত্যুর পর পুরো সংসারের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। তাই অর্থের প্রয়োজনে অনেক সময় রেকর্ডিং থাকলেও জাদু দেখানোর জন্য তাঁকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হতো। বড়দার এই অনুপস্থিতিতে গানে সুর দিতেন কমল দাশগুপ্ত। এমনকি শিল্পীদের সেই গান তুলিয়েও দিতেন তিনি। এভাবেই তাঁর সুরসৃষ্টির জগতে প্রবেশ।
কমল দাশগুপ্তের সুরে প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৩২ সালের এপ্রিল মাসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ‘মাস্টার কমল’ নামে তাঁর নিজের লেখা ও সুরে গাওয়া রেকর্ড বের হয়। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে’, ‘তুমি হাতখানি যবে রাখো মোর’, ‘গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙে যায়’ গানগুলো তাঁর সুর করা ও গাওয়া। অর্থাৎ, চাইলে তিনি গীতিকার কিংবা কণ্ঠশিল্পীও হতে পারতেন। কিন্তু তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সুর সৃজনেই তাঁর সাবলীলতা। সুরের মাধ্যমেই তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ করতে সক্ষম। ফলে কমল দাশগুপ্তের সুর করা অসংখ্য গান এখনো সংগীতানুরাগী বাঙালি গুনগুন করে গায়। তাঁর কালজয়ী গানগুলোর মধ্য রয়েছে ‘এমনই বরষা ছিল সেদিন’, ‘সাঁঝের তারকা আমি পথ হারায়ে’, ‘মেনেছি গো হার মেনেছি’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘ভুলি নাই ভুলি নাই’, ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’, ‘আমি দুরন্ত বৈশাখী ঝড়’, ‘জেগে আছি একা জেগে আছি কারাগারে’, ‘পৃথিবী আমারে চায়’, ‘দুটি পাখি দুটি তীরে’, ‘ঘুমের ছায়া চাঁদের চোখে’, ‘এই কি গো শেষ দান’, ‘সেদিন নিশীথে বরিষন শেষে’।
কমল দাশগুপ্ত সেই বিরলপ্রজ শিল্পীদের একজন, যাঁদের নিজের প্রতিভা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস থাকে তুঙ্গে। তাঁর সুর কালোত্তীর্ণ বলেই ‘কত দিন দেখিনি তোমায়’ গানটি ১৯৮৪ সালে এসে মান্না দে পুনরায় রেকর্ড করেন, যা শ্রোতারা এখনো তন্ময় হয়ে শোনে। বলা জরুরি, প্রণব রায়ের লেখা গানটির মূল শিল্পী কিন্তু কমল দাশগুপ্ত নিজেই। কিংবা বলা যায় কুমার শানুর গাওয়া ‘এই কি গো শেষ দান’ গানের কথা। তাঁর সুর করা এ রকম অসংখ্য গান এখনো শিল্পীরা নতুনভাবে রেকর্ড করে চলেছেন। সুরের সজীবতা না থাকলে এত বছর পরও সেসব গান আবার রেকর্ড করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হতো না।
কমল দাশগুপ্তের সুর দক্ষতার প্রতি কাজী নজরুল ইসলামের ছিল অগাধ বিশ্বাস। তাই আধুনিক গানের এই অসামান্য গীতিকার নিজের লেখা গানের খাতা অবলীলায় তাঁর কাছে দিয়ে দিতেন সুর করার জন্য। কমল দাশগুপ্তও সে বিশ্বাসের প্রতিদান দিতেন শ্রুতিমধুর, অবিস্মরণীয় সব সুর সৃষ্টির মাধ্যমে। আর সে কারণেই নজরুল ইসলাম বাদে সবচেয়ে বেশি নজরুল সংগীতের সুরকার কমল দাশগুপ্ত। ‘আমার ভুবন কান পেতে রয়’, ‘আমি যার নূপুরের ছন্দ’, ‘ওরে নীল যমুনার জল’, ‘মোর না মিটিতে আশা’, ‘যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়’, ‘সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়’, ‘আসিল রে প্রিয় আসিল রে’, ‘মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে’ ইত্যাদি অসংখ্য অবিস্মরণীয় নজরুলগীতির সুরস্রষ্টা তিনি। তবে শুধু নজরুলগীতি কিংবা বেসিক গান নয়, অসংখ্য সিনেমায় সংগীত পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার। এর মধ্যে বিশেষভাবে স্মরণ করা যায় ‘গরমিল’, ‘দম্পতি’, ‘শেষ উত্তর’, ‘যোগাযোগ’ ইত্যাদি চলচ্চিত্রের কথা। ‘শেষ উত্তর’ সিনেমায় নায়িকা-গায়িকা কানন দেবীর গাওয়া ‘আমি বনফুল গো’, ‘লাগুক দোলা’, ‘যদি আপনার মনের মাধুরী মিশায়ে’ ইত্যাদি গানের সুর এখনো শ্রোতাদের হৃদয়স্পর্শী।
ধারণা করা হয়, প্রায় সাত হাজার গানে কমল দাশগুপ্ত সুরারোপ করেছেন। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে যূথিকা রায়, জগন্ময় মিত্র, সত্য চৌধুরী, রবীন মজুমদার, কানন দেবী, ফিরোজা বেগম, তালাত মাহমুদ, সন্তোষ সেনগুপ্ত, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা তাঁর সুরারোপিত গানে কণ্ঠ দিতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। গানের কথার মর্ম অনুধাবন করে সুর সৃজনের অসামান্য ক্ষমতা ছিল কমল দাশগুপ্তের। তা ছাড়া কোন সুর কোন শিল্পীর কণ্ঠে বেশি মানাবে, সে সম্পর্কে তাঁর ছিল খুব স্বচ্ছ ধারণা। কথা ও সুর অনুযায়ী ইন্টারল্যুড-প্রিলিউড সৃজনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ফলে একটানা কাজ করে গেলেও তাঁর সুর সৃষ্টিতে কোনো ক্লিষ্টতার ছাপ পড়েনি।
এমনই যার সৃজনক্ষমতা, তাঁর জীবনের শেষাংশের দিনগুলো মোটেও সুখকর ছিল না। চল্লিশের দশকের টালমাটাল বৈশ্বিক ও দৈশিক পরিস্থিতির কারণে কমল দাশগুপ্তের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। যে ব্যাংকে তিনি সারা জীবনের আয় গচ্ছিত রেখেছিলেন, সেই নাথ ব্যাংক (সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ বইয়ে বলছেন পাইওনিয়ার ব্যাংক) দেউলিয়া হয়ে যায়। কয়েক বছরের মধ্যে মা ও ছোট ভাই সুবল দাশগুপ্তকেও হারান তিনি। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে চরম অর্থকষ্ট—সব মিলিয়ে কমল দাশগুপ্ত মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এ রকম চরম দুর্দিনে এইচএমভিও তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
দুর্ভাগ্যপীড়িত, আশাহত, নিঃসম্বল কমল দাশগুপ্ত এ সময় জীবনসঙ্গী হিসেবে পান ফিরোজা বেগমকে। ১৯৫৫ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর চার বছর পর ধর্মান্তরিত হলে তাঁর নাম হয় কাজী কামালউদ্দিন। চরম আর্থিক দৈন্য ও প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে বাধ্য হন কমল দাশগুপ্ত। কিন্তু তাতেও তাঁর দুঃখ-বেদনা এতটুকু কমেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংগীতজগতে কোথাও তাঁকে এতটুকু স্থান দেওয়া হয়নি। কলকাতা-ঢাকা দুই জায়গাতেই তিনি শেষ জীবনে চরম উপেক্ষা ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। অর্থকষ্ট থেকে মুক্তির জন্য শেষ জীবনে মুদি দোকানও দিয়েছিলেন তিনি। ভাবতে অবাক লাগে, যে কমল দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে আয়কর হিসেবে দিয়েছিলেন ৩৭ হাজার টাকা, চড়তেন দামি গাড়ি; শেষ জীবনে হাসপাতালে একটা বেডও জোটেনি তাঁর কপালে। চরম অবহেলায় ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই মারা যান তিনি।
শেষ করছি পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা দিয়ে, ‘কাজী নজরুল ইসলামের পর যদি বাংলা গানের বাণিজ্যিক খতিয়ান নেওয়া হয়, তাহলে সর্বাগ্রে আসা উচিত কমল দাশগুপ্তর নাম। সে যুগে হিট আধুনিক গানের সুরকার বললেই বোঝাত কমল দাশগুপ্ত।’ বাংলা গানে এমনই যার অবদান, তাঁর প্রাপ্য সম্মান কি আমরা আজও দিতে পেরেছি?

একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে তানজিন তিশার নামে মামলা করেছে ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে।
১ দিন আগে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং।
১ দিন আগে
রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

একদিকে প্রথম সিনেমার শুটিং, অন্যদিকে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ—সব মিলিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তাঁর বিরুদ্ধে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগ ওঠে গত মাসে। তবে অভিনেত্রীর দাবি, সেই শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছেন তিনি। এ মাসের শুরুতে তিশার নামে মামলা করেছে ওই অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
আজ রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে তিশার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সানায়া কুটিয়র ফ্যাশন হাউসের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার আয়েশাহ আনুম ফায়যাহ সানায়া চৌধুরী। জিডিতে এই উদ্যোক্তা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাঁর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা দামের একটি শাড়ি অনুষ্ঠানে পরার জন্য নেন তানজিন তিশা। শাড়িটি পরা শেষে পরের দিন ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তিনি শাড়িটি ফেরত দেননি। ১৫ ডিসেম্বর তিশার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে শাড়িটি ফেরত চাইলে ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিশা। এমনকি ডিবির মাধ্যমে হেনস্তা করবেন বলেও হুমকি দেন। এরপর এ বছরের ১৩ মার্চ এবং ১৮ মে এই উদ্যোক্তাকে তিশা জানান, তিনি শাড়ি ফেরত দেবেন না। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিশার বিরুদ্ধে একটি শাড়িবিষয়ক মামলার কথা জেনে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আবারও শাড়িটি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন এই উদ্যোক্তা। কিন্তু তিশা এবারও মামলার হুমকিসহ সম্মানহানি ও সমাজে হেয় করে ভাইরাল করার হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিশার সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ও মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট তুলে রাখা আছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সানায়া।

সানায়া বলেন, ‘তিশা আগেও আমার কাছ থেকে পোশাক নিয়েছেন, তবে ফেরত পেতে সব সময় অনেক অনুরোধ করতে হয়েছে। এবার ৭৫ হাজার টাকার একটি শাড়ি নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না; বরং উল্টো হুমকি দিচ্ছেন। এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তিশা জানান, একটি চক্র ইচ্ছা করে তাঁর বিরুদ্ধে এসব করছে। সবকিছু জেনে বিস্তারিত কথা বলবেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তাদের অভিযোগে তিশা যখন সমালোচিত, সেই সময়ে অভিনেত্রী ব্যস্ত তাঁর প্রথম সিনেমার শুটিংয়ে। সাকিব ফাহাদের পরিচালনায় ‘সোলজার’ নামের সিনেমায় তিশার বিপরীতে আছেন শাকিব খান।

একদিকে প্রথম সিনেমার শুটিং, অন্যদিকে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ—সব মিলিয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তাঁর বিরুদ্ধে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগ ওঠে গত মাসে। তবে অভিনেত্রীর দাবি, সেই শাড়ি উপহার হিসেবে পেয়েছেন তিনি। এ মাসের শুরুতে তিশার নামে মামলা করেছে ওই অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
আজ রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে তিশার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সানায়া কুটিয়র ফ্যাশন হাউসের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার আয়েশাহ আনুম ফায়যাহ সানায়া চৌধুরী। জিডিতে এই উদ্যোক্তা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাঁর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা দামের একটি শাড়ি অনুষ্ঠানে পরার জন্য নেন তানজিন তিশা। শাড়িটি পরা শেষে পরের দিন ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তিনি শাড়িটি ফেরত দেননি। ১৫ ডিসেম্বর তিশার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে শাড়িটি ফেরত চাইলে ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিশা। এমনকি ডিবির মাধ্যমে হেনস্তা করবেন বলেও হুমকি দেন। এরপর এ বছরের ১৩ মার্চ এবং ১৮ মে এই উদ্যোক্তাকে তিশা জানান, তিনি শাড়ি ফেরত দেবেন না। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিশার বিরুদ্ধে একটি শাড়িবিষয়ক মামলার কথা জেনে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আবারও শাড়িটি ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন এই উদ্যোক্তা। কিন্তু তিশা এবারও মামলার হুমকিসহ সম্মানহানি ও সমাজে হেয় করে ভাইরাল করার হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিশার সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড ও মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট তুলে রাখা আছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সানায়া।

সানায়া বলেন, ‘তিশা আগেও আমার কাছ থেকে পোশাক নিয়েছেন, তবে ফেরত পেতে সব সময় অনেক অনুরোধ করতে হয়েছে। এবার ৭৫ হাজার টাকার একটি শাড়ি নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না; বরং উল্টো হুমকি দিচ্ছেন। এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।’
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তিশা জানান, একটি চক্র ইচ্ছা করে তাঁর বিরুদ্ধে এসব করছে। সবকিছু জেনে বিস্তারিত কথা বলবেন তিনি।
নারী উদ্যোক্তাদের অভিযোগে তিশা যখন সমালোচিত, সেই সময়ে অভিনেত্রী ব্যস্ত তাঁর প্রথম সিনেমার শুটিংয়ে। সাকিব ফাহাদের পরিচালনায় ‘সোলজার’ নামের সিনেমায় তিশার বিপরীতে আছেন শাকিব খান।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে।
১ দিন আগে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং।
১ দিন আগে
রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে। গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পর্ব। ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামে এই আয়োজন চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
গত বছর রিয়াদ সিজনের কনসার্টে প্রথম অংশ নিয়েছিলেন ব্যান্ড তারকা নগর বাউল জেমস। শুধু রিয়াদ নয়, দেশটির বিভিন্ন শহরে থাকা বাংলাদেশিরা ভিড় করেছিলেন প্রিয় শিল্পীর কনসার্ট উপভোগ করতে। জেমস ছাড়া পারফর্ম করেছেন হাবিব ওয়াহিদ, পড়শিসহ অনেকে। এবারও থাকছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের উপস্থিতি। অংশগ্রহণ করছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, মনির খান, বেলাল খান, আকাশ মাহমুদ, ইশরাত জাহান জুঁই, পুষ্পিতা মিত্র, হুমায়রা ইশিকা, ডিজে তুরিন, অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিসহ অনেকে।
গতকাল প্রথম দিনে রিয়াদের আল সুওয়াইদি পার্কে গান শোনান আকাশ মাহমুদ, মুহাম্মদ ইমরান, হুমায়রা ঈশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর। আজ গান শোনাবেন বেলাল খান, পুষ্পিতা মিত্র, ইশরাত জাহান জুঁই এবং ডিজে তুরিন এমএনআর।
১৩ নভেম্বরও মঞ্চে থাকবেন বেলাল খান, মুহাম্মদ ইমরান, হুমায়রা ঈশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর। ওই দিনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গাইবেন মনির খান।
শেষ দিনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গান শোনাবেন আসিফ আকবর। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই মাসের সংগীত সফর করে এসেছেন তিনি। এবার সৌদি আরবে মুগ্ধতা ছড়াবেন। শেষ দিনের আয়োজনে আরও গাইবেন আকাশ মাহমুদ, ডিজে তুরিন এমএনআর, পুষ্পিতা মিত্র ও ইশরাত জাহান জুঁই। এই আয়োজনে বিশেষ পারফর্মে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী দীঘি। তবে তিনি কোন ইভেন্টে পারফর্ম করবেন, তা জানা যায়নি।
১১ থেকে ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ কালচার পর্বে সংগীত ছাড়া তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের নানা ঐতিহ্য। থাকছে নৃত্য, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, খাবারসহ নানা শিল্প ও সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী।
২০১৯ সাল থেকে সৌদি সরকার নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘রিয়াদ সিজন’। বিনোদন, সংস্কৃতি, খেলাসহ নানা আয়োজনে অংশ নিতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রিয়াদে একত্র হন বিনোদনপ্রেমীরা।

সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে। গতকাল শুরু হয়েছে বাংলাদেশ পর্ব। ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামে এই আয়োজন চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
গত বছর রিয়াদ সিজনের কনসার্টে প্রথম অংশ নিয়েছিলেন ব্যান্ড তারকা নগর বাউল জেমস। শুধু রিয়াদ নয়, দেশটির বিভিন্ন শহরে থাকা বাংলাদেশিরা ভিড় করেছিলেন প্রিয় শিল্পীর কনসার্ট উপভোগ করতে। জেমস ছাড়া পারফর্ম করেছেন হাবিব ওয়াহিদ, পড়শিসহ অনেকে। এবারও থাকছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকাদের উপস্থিতি। অংশগ্রহণ করছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, মনির খান, বেলাল খান, আকাশ মাহমুদ, ইশরাত জাহান জুঁই, পুষ্পিতা মিত্র, হুমায়রা ইশিকা, ডিজে তুরিন, অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিসহ অনেকে।
গতকাল প্রথম দিনে রিয়াদের আল সুওয়াইদি পার্কে গান শোনান আকাশ মাহমুদ, মুহাম্মদ ইমরান, হুমায়রা ঈশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর। আজ গান শোনাবেন বেলাল খান, পুষ্পিতা মিত্র, ইশরাত জাহান জুঁই এবং ডিজে তুরিন এমএনআর।
১৩ নভেম্বরও মঞ্চে থাকবেন বেলাল খান, মুহাম্মদ ইমরান, হুমায়রা ঈশিকা ও ডিজে তুরিন এমএনআর। ওই দিনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গাইবেন মনির খান।
শেষ দিনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গান শোনাবেন আসিফ আকবর। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই মাসের সংগীত সফর করে এসেছেন তিনি। এবার সৌদি আরবে মুগ্ধতা ছড়াবেন। শেষ দিনের আয়োজনে আরও গাইবেন আকাশ মাহমুদ, ডিজে তুরিন এমএনআর, পুষ্পিতা মিত্র ও ইশরাত জাহান জুঁই। এই আয়োজনে বিশেষ পারফর্মে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী দীঘি। তবে তিনি কোন ইভেন্টে পারফর্ম করবেন, তা জানা যায়নি।
১১ থেকে ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ কালচার পর্বে সংগীত ছাড়া তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের নানা ঐতিহ্য। থাকছে নৃত্য, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, খাবারসহ নানা শিল্প ও সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী।
২০১৯ সাল থেকে সৌদি সরকার নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘রিয়াদ সিজন’। বিনোদন, সংস্কৃতি, খেলাসহ নানা আয়োজনে অংশ নিতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রিয়াদে একত্র হন বিনোদনপ্রেমীরা।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে তানজিন তিশার নামে মামলা করেছে ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
৮ ঘণ্টা আগে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং।
১ দিন আগে
রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং। এবার দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরুর আগে জানা গেল নায়ক পরিবর্তনের খবর। ইমনের পরিবর্তে দেনা পাওনা সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন শিপন মিত্র। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা সাদেক সিদ্দিকী।
প্রথম লটের শুটিংয়ের সময় নির্মাতা জানিয়েছিলেন, দীঘি না থাকলেও ইমন থাকছেন নায়ক হিসেবে। তবে গতকাল ইমনের জায়গায় শিপন মিত্রের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন নির্মাতা। ইমনকে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নির্মাতা জানান, বিদেশে থাকায় শিডিউলজনিত সমস্যায় শুটিং করতে পারছেন না ইমন, তাঁর পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে শিপনকে।
সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন ইমন। এ কারণে প্রথম লটের শুটিং তাঁকে ছাড়া করতে হয়েছে। এখন দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু করতে হবে। এটি সরকারি অনুদানের সিনেমা। তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার তাড়া থাকে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু ইমন জানিয়েছেন, ওই সময়ের মধ্যে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। তাই তাঁর সঙ্গে আলাপ করেই নায়ক পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিপনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এ সিনেমায় সে ভালো করবে।’
মামনুন ইমনের মতো একই কারণে এই সিনেমায় দীঘির পরিবর্তে প্রভাকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। সে সময় নির্মাতা জানিয়েছিলেন, দেশের বাইরে থাকার কারণে সময় দিতে না পারায় দীঘিকে পরিবর্তন করা হয়েছে।
দেনা পাওনা সিনেমায় শিপন অভিনয় করবেন জমিদারের ছেলের চরিত্রে। যে কলকাতায় ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি করে। গ্রামের মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে নিরুপমার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু অসচ্ছল পিতা বিয়ের পণ দিতে না পারায় লজ্জায় আত্মহত্যা করে নিরুপমা। নিরুপমার চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রভা। এতে আরও অভিনয় করছেন ইরা শিকদার, তানিন সুবাহ, সুমনা সোমা, রিপা, অভি, সাব্বির প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে দেনা পাওনা সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিং।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং। এবার দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরুর আগে জানা গেল নায়ক পরিবর্তনের খবর। ইমনের পরিবর্তে দেনা পাওনা সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন শিপন মিত্র। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা সাদেক সিদ্দিকী।
প্রথম লটের শুটিংয়ের সময় নির্মাতা জানিয়েছিলেন, দীঘি না থাকলেও ইমন থাকছেন নায়ক হিসেবে। তবে গতকাল ইমনের জায়গায় শিপন মিত্রের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন নির্মাতা। ইমনকে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নির্মাতা জানান, বিদেশে থাকায় শিডিউলজনিত সমস্যায় শুটিং করতে পারছেন না ইমন, তাঁর পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে শিপনকে।
সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন ইমন। এ কারণে প্রথম লটের শুটিং তাঁকে ছাড়া করতে হয়েছে। এখন দ্বিতীয় লটের শুটিং শুরু করতে হবে। এটি সরকারি অনুদানের সিনেমা। তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার তাড়া থাকে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু ইমন জানিয়েছেন, ওই সময়ের মধ্যে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। তাই তাঁর সঙ্গে আলাপ করেই নায়ক পরিবর্তন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিপনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি এ সিনেমায় সে ভালো করবে।’
মামনুন ইমনের মতো একই কারণে এই সিনেমায় দীঘির পরিবর্তে প্রভাকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। সে সময় নির্মাতা জানিয়েছিলেন, দেশের বাইরে থাকার কারণে সময় দিতে না পারায় দীঘিকে পরিবর্তন করা হয়েছে।
দেনা পাওনা সিনেমায় শিপন অভিনয় করবেন জমিদারের ছেলের চরিত্রে। যে কলকাতায় ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি করে। গ্রামের মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে নিরুপমার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু অসচ্ছল পিতা বিয়ের পণ দিতে না পারায় লজ্জায় আত্মহত্যা করে নিরুপমা। নিরুপমার চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রভা। এতে আরও অভিনয় করছেন ইরা শিকদার, তানিন সুবাহ, সুমনা সোমা, রিপা, অভি, সাব্বির প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে দেনা পাওনা সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিং।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে তানজিন তিশার নামে মামলা করেছে ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে।
১ দিন আগে
রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে কোরিয়ান ড্রামার। রাশমিকা নিজেও এসব সিরিজের ভক্ত। তাঁর খুব ইচ্ছা কোরিয়ান ড্রামায় অভিনয় করার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাশমিকা বলেন, ‘কোভিডের সময় কোরিয়ান ড্রামার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল আমার। ওই সময় থেকে কে-ড্রামা দেখা শুরু করেছিলাম। হাতে তখন অনেক সময় ছিল। প্রতিটি কে-ড্রামা সাধারণত ১৬ পর্বের। ফলে ১৬ ঘণ্টা খুব আনন্দে কাটানো যেত।’ অভিনেত্রী জানান, ‘ইটস ওকে টু নট বি ওকে’, ‘লাভ স্কাউট’, ‘আন্ডারকভার হাইস্কুল’, ‘হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিন’সহ অনেক কোরিয়ান সিরিজ রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়।
কোরিয়ান সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পেলে লুফে নেবেন বলে জানান রাশমিকা। তিনি বলেন, ‘যদি সুযোগ পাই, ব্যাপারটা খুব মজার হবে। সেই অপেক্ষায় আছি। তবে কোন ধরনের চরিত্রে অফার পাচ্ছি, সেটাও দেখার বিষয়। কারণ, সবাই জানে, চরিত্র নিয়ে আমি কতটা খুঁতখুঁতে।’
কোরিয়ান সিরিজ ছাড়াও জাপানি অ্যানিমের ভীষণ ভক্ত রাশমিকা। ছোটবেলা থেকে এখনো নিয়ম করে অ্যানিমে দেখেন তিনি। ‘নারুতো শিপুডেন’ দেখে বড় হয়েছেন। ২২টি সিজনে ৬০০-র বেশি পর্ব আছে এ অ্যানিমে সিরিজে। সবই দেখেছেন। নারুতো উজুমাকি তাঁর খুবই পছন্দের চরিত্র। এ ছাড়া ‘জুজুৎসু কাইসেন’, ‘ডিমন স্লেয়ার’, ‘উইন্ড ব্রেকার’, ‘দ্য অ্যাপোথেক্যারি ডায়েরিজ’ অ্যানিমেগুলোও নিয়মিত দেখেন। তাঁর ভাষায়, ‘অ্যানিমে দেখেই বড় হয়েছি। এটা আমার কমফোর্ট জোন’।
সিনেমা আর ব্যক্তিজীবন—সব মিলিয়ে বছরজুড়ে আলোচনায় আছেন রাশমিকা মান্দানা। বিজয় দেবরাকোন্ডার সঙ্গে বাগদান নিয়ে আলোচনা তো আছেই। প্রেক্ষাগৃহেও একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। গত ২১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ভৌতিক সিনেমা ‘থাম্মা’ এরই মধ্যে বক্স অফিসে ২০৬ কোটি রুপি পেরিয়েছে। এতে রাশমিকা ছাড়াও আছেন আয়ুষ্মান খুরানা ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। এ সাফল্যের মাঝেই ৭ নভেম্বর হলে এসেছে তাঁর আরও এক সিনেমা ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’। এটিও ভালো সাড়া পাচ্ছে।

রহস্য, রোমান্স কিংবা অ্যাকশন—সব গল্পেই সমানভাবে মানিয়ে যান রাশমিকা মান্দানা। কন্নড়, তেলুগু, তামিল, হিন্দি—বিভিন্ন ভাষার নানা ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে অভ্যস্ত তিনি। রাশমিকার নজর এবার কোরিয়ান ভাষার দিকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে কোরিয়ান ড্রামার। রাশমিকা নিজেও এসব সিরিজের ভক্ত। তাঁর খুব ইচ্ছা কোরিয়ান ড্রামায় অভিনয় করার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাশমিকা বলেন, ‘কোভিডের সময় কোরিয়ান ড্রামার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল আমার। ওই সময় থেকে কে-ড্রামা দেখা শুরু করেছিলাম। হাতে তখন অনেক সময় ছিল। প্রতিটি কে-ড্রামা সাধারণত ১৬ পর্বের। ফলে ১৬ ঘণ্টা খুব আনন্দে কাটানো যেত।’ অভিনেত্রী জানান, ‘ইটস ওকে টু নট বি ওকে’, ‘লাভ স্কাউট’, ‘আন্ডারকভার হাইস্কুল’, ‘হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিন’সহ অনেক কোরিয়ান সিরিজ রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়।
কোরিয়ান সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পেলে লুফে নেবেন বলে জানান রাশমিকা। তিনি বলেন, ‘যদি সুযোগ পাই, ব্যাপারটা খুব মজার হবে। সেই অপেক্ষায় আছি। তবে কোন ধরনের চরিত্রে অফার পাচ্ছি, সেটাও দেখার বিষয়। কারণ, সবাই জানে, চরিত্র নিয়ে আমি কতটা খুঁতখুঁতে।’
কোরিয়ান সিরিজ ছাড়াও জাপানি অ্যানিমের ভীষণ ভক্ত রাশমিকা। ছোটবেলা থেকে এখনো নিয়ম করে অ্যানিমে দেখেন তিনি। ‘নারুতো শিপুডেন’ দেখে বড় হয়েছেন। ২২টি সিজনে ৬০০-র বেশি পর্ব আছে এ অ্যানিমে সিরিজে। সবই দেখেছেন। নারুতো উজুমাকি তাঁর খুবই পছন্দের চরিত্র। এ ছাড়া ‘জুজুৎসু কাইসেন’, ‘ডিমন স্লেয়ার’, ‘উইন্ড ব্রেকার’, ‘দ্য অ্যাপোথেক্যারি ডায়েরিজ’ অ্যানিমেগুলোও নিয়মিত দেখেন। তাঁর ভাষায়, ‘অ্যানিমে দেখেই বড় হয়েছি। এটা আমার কমফোর্ট জোন’।
সিনেমা আর ব্যক্তিজীবন—সব মিলিয়ে বছরজুড়ে আলোচনায় আছেন রাশমিকা মান্দানা। বিজয় দেবরাকোন্ডার সঙ্গে বাগদান নিয়ে আলোচনা তো আছেই। প্রেক্ষাগৃহেও একের পর এক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। গত ২১ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ভৌতিক সিনেমা ‘থাম্মা’ এরই মধ্যে বক্স অফিসে ২০৬ কোটি রুপি পেরিয়েছে। এতে রাশমিকা ছাড়াও আছেন আয়ুষ্মান খুরানা ও নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। এ সাফল্যের মাঝেই ৭ নভেম্বর হলে এসেছে তাঁর আরও এক সিনেমা ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’। এটিও ভালো সাড়া পাচ্ছে।

ফলের নির্যাস আস্বাদনে বাঙালি যতটা আগ্রহী, গাছের পরিচর্যায় ঠিক ততটা নয়। সে জন্যই বোধ হয়, নামমাত্র অনেক কিছুই বর্তমানের উদ্যাপন অনুষঙ্গ হিসেবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলেও বিস্মৃতির অতলে ধীরে-ধীরে হারিয়ে যায় গৌরবময় অতীত ও তার স্রষ্টারা।
২৮ জুলাই ২০২১
একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস থেকে শাড়ি নিয়ে প্রচার না করার অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে তানজিন তিশার নামে মামলা করেছে ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়া। এবার শাড়ি নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার নতুন অভিযোগ উঠল তিশার বিরুদ্ধে।
৮ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ সিজন। গত ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দেশ। প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বিশেষ কয়েকটি দিন। ওই দিনগুলোয় নির্দিষ্ট দেশ তাদের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবার উপস্থাপন করবে।
১ দিন আগে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘দেনা পাওনা’ অবলম্বনে একই নামে সিনেমা বানাচ্ছেন সাদেক সিদ্দিকী। সরকারি অনুদানের এই সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করার কথা ছিল মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। তবে শুটিংয়ের আগে বদলে যায় নায়িকা। দীঘির পরিবর্তে সাদিয়া জাহান প্রভাকে নিয়ে গত আগস্টে শুরু হয় শুটিং।
১ দিন আগে