খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। প্রিয় শিল্পীর জন্য নিয়ে এসেছেন পাঞ্জাবি ও রসগোল্লা। ভক্তদের সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে, ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ দিয়ে ফিরে এলেন অনুপম রায়। বসলেন মুখোমুখি। কয়েক বছর পর শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। রাতে শো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সাক্ষাৎকারটি শেষ করেই শোয়ের উদ্দেশে বেরোবেন। হাতে তাই সময় খুব কম।
এবার খুব টাইট শিডিউল, নাকি?
প্রতিবারই তাই হয়।
আপনার নতুন অ্যালবাম ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’-এর দুটো গান শুনলাম…
সবে রিলিজ করেছে।
ছয় বছরের মাথায় আপনার পঞ্চম অ্যালবাম?
হ্যাঁ।
অ্যালবামের দুটো গান ‘কেমন আছো অ্যানি হল’ ও ‘অবস’ শুনে মনে হয়েছে, কথায়-সুরে এই গানগুলো আরো ব্যক্তিগত, আরো গভীর। আপনার ভাবনা কী রকম ছিল ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামটি করার সময়?
আসলে বহু দিন ধরে সিনেমার কাজ করছি। তারপর সিঙ্গেলের কাজ। আজকাল তো অ্যালবাম তেমন আর হয় না। আমরা আর্টিস্টরা সবাই সিঙ্গেল রিলিজ করি, কারণ মানুষের গোটা অ্যালবাম শোনার ধৈর্য চলে গেছে। তো অনেক গান আমি করেছি বিভিন্ন মিউজিক লেবেলের জন্য। সেখানে একটা বাধ্যবাধকতা থাকে যে, একটু আনন্দের কিংবা মানুষকে একটু এন্টারটেইন করার। এন্টারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টরটা খুব ইমপরটেন্ট থাকে আমরা যখন কারো জন্য গান করি। কারণ মানুষ গানবাজনা থেকে এন্টারটেইনমেন্ট চায়। আবার এমন অনেক গান তৈরি হয়, সেখানে কোনো এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালু নেই। বিনোদন দেওয়ার জন্য এই গানগুলো (‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামের গান) করিনি আমি। কারণ আমি তো আমার জীবন থেকে, আমার দর্শন থেকে গানগুলো বানাচ্ছি। আমার সব সময় দায়বদ্ধতা থাকে না যে মানুষকে বিনোদন দিতেই হবে। সেই জায়গা থেকে অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল একটা অ্যালবাম করতে চাই, যেখানে এমন কিছু গান থাকবে, যেগুলো মানুষকে বিনোদন দেবে না। সেই রকম কিছু গান নিয়ে এই অ্যালবাম তৈরি করেছি।
বিনোদন যদি কেউ পেতে চায়, সেটা তাঁর ব্যাপার…
হ্যাঁ, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
[দ্য অনুপম রায় ব্যান্ডের ম্যানেজার রানা সিংহ রায় এগিয়ে এলেন। অনুপমকে জিজ্ঞেস করলেন, কফি বা স্ন্যাকস কিছু চান কি না। অনুপম ‘না’ সূচক জবাব দিলেন। বলে দিলেন, ‘পারলে সঙ্গে করে একটা জলের বোতল নিস।’ রানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করে আবার সাক্ষাৎকারে ফিরে এলেন অনুপম]
‘অবস’ গানের ভিডিওতে একটা মানুষ দার্জিলিংয়ের নির্জনতার মধ্যে সারাক্ষণ কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। একটা তারবিহীন টেলিফোনে কথা বলছে। এটা কি অনেকটা নিজের সঙ্গে নিজের কথা? নিজেকে খুঁজে ফেরা?
‘অবস’ আসলে আমার এক দশক আগের লেখা গান। যে ছেলেটির সঙ্গে কাজ করেছি, রাতুল, ও গিটার বাজায়, মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতে আমাকে সাহায্য করেছে। ওর সঙ্গে বহু দিন ধরে কাজ করার কথা ছিল। এ গানটা পড়েই ছিল। এটা আমার খুব প্রিয় গান। গানটার মূল যে বক্তব্য, যে ফিল, সেটা হচ্ছে—মানুষ জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। হিউম্যান রিলেশন নিয়ে গান। (একটা মানুষ) তার কোনো অনুভূতি থেকে গানটা গাইছে এবং সে অবস হয়ে পড়ছে। একটা বিষণ্নতা চেপে ধরছে। কী কারণ, ওগুলো তো ইলাবরেটলি গানের মধ্যে নেই। কিন্তু তার অনুভূতিগুলোই গানের মধ্য দিয়ে বেরিয়েছে। সে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথাই হয়তো বলছে। এখান থেকেই খুব একটা ডার্ক, একটা মেলানকলি সুর তৈরি হয়েছিল। সেটাই রেখেছি ইচ্ছে করে। কারণ আমি জানি, এটার থেকে কেউ খুব একটা এন্টারটেইন হয়তো হবে না।
অ্যালবামের দুটো গান তো বেরিয়ে গেল। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রতিক্রিয়া খুবই ভালো পাচ্ছি। কারণ আমার বহু ভক্ত আছে, বহু শ্রোতা আছে, যারা শোনে আমার গান। যারা আমার ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে। এবং কোনো একটা শিল্প কনজিউম করার সময় তারাও হয়তো বিশ্বাস করে, সব সময় যে বিনোদন পেতে কনজিউম করছে তা নয়। নিজেকে ভাবাতে, নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে এবং হয়তো এ গানগুলো সেটাতে সাহায্য করছে।
‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামে ৯টি গান থাকছে?
আটটা মনে হয় থাকবে শেষ পর্যন্ত।
গানগুলো কি এক সপ্তাহ পরপর রিলিজ হবে?
হ্যাঁ, দুই সপ্তাহ পর ‘অবস’ বেরিয়েছে। এবার দেখি পরের গানটা কবে রিলিজ করে।
গান তো রেডি হয়ে আছে। তাহলে রিলিজ নিয়ে এত অনিশ্চয়তা কেন?
গান রেডি হয়ে আছে। তবে সমস্যা হলো, আজকাল গান রিলিজ করা খুব ঝামেলার। প্রতি গানের জন্য ভিডিও লাগে। সেগুলো করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সেটার জন্য অনেকটা এফোর্ট যায়। সেগুলো করছি, দেখি কবে পারি! কমিট করছি না এখনই কিছু।
অ্যালবামের নাম দিয়েছেন ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এই অদৃশ্য নাগরদোলা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
আমাদের জীবনের কথাই বলা হচ্ছে। আমরা নিজের অজান্তে কখন চড়ে বসেছি এই জীবনের নাগরদোলায় এবং দুলে চলেছি, ঘুরে চলেছি। যখন আমি নাগরদোলার কথা বলছি, সেটা আমি দেখতে পাই। যখনই তার সামনে একটা ‘অদৃশ্য’ শব্দ বসিয়ে দেওয়া হয়, সেটা যেন চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল। কিন্তু আসলে সেটা আছে। আমাদের জীবনে এ রকম বহু কিছু আছে, যেগুলো হয়তো আছে অথচ নেই। কিংবা নেই মনে হচ্ছে, কিন্তু আসলে আছে। এই সাবজেক্টটা নিয়ে বিভিন্ন গান তৈরি হয়েছে।
আরেকটা গান আছে ‘বিচার’ বলে। সব দেশেই বিচারব্যবস্থা আছে। আইন আছে। দেশের অনেক মানুষ সেই আইন সম্বন্ধে জানেই না। জানলেও তারা সেই বিচারব্যবস্থার সুফল জীবনে পায় না। এ রকম ছোট ছোট জিনিস তুলেছি আমি, যেগুলো সমাজে আমরা দেখতে পাই। এবং নিজেরাই বুঝতে পারি না, সেগুলো আছে নাকি নেই! সেই অদৃশ্য নাগরদোলার কথাই অ্যালবামের মধ্যে বলা আছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে আপনার গান শুনছেন দুই বাংলার শ্রোতারা। নিজেদের প্রেম, বিরহ, উদ্যাপন—সবকিছুতে আপনার গানের কাছে একটা আশ্রয় খোঁজেন তাঁরা। নতুন গান তৈরির সময় শ্রোতাদের এই প্রত্যাশা কীভাবে সামলান?
আমি যখন গান বানাচ্ছি, আমি তো জানি না, আমার যে অনুভূতি তার সঙ্গে আরেকজন একাত্ম হবেন কি না। কারো মনে হতেই পারে আমার অনুভূতিটা ফালতু। আমার সঙ্গে তার কোনো যোগই নেই। সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি একাত্ম হয়ে যায়, সেটাই বরং অ্যাকসিডেন্ট। সেখান থেকে ডেফিনেটলি একটা প্রেসার তৈরি হয় যে, আগেরবার আমি কানেক্ট করতে পেরেছিলাম, এবার পারছি কি না। ফলে আমার ওই দায়বদ্ধতাটা থাকা উচিত না যে, কে কানেক্ট করতে পারছে আর কে পারছে না। আমি গান করছি। যদি কেউ কানেক্ট করতে পারে করবে, যদি কেউ না পারে করবে না।
এই কানেকশনটা আপনি বলছেন ‘অ্যাকসিডেন্ট’। তবে আপনার গানের সঙ্গে ব্যাপারটা বেশিই ঘটে। এটা চাপ হয়ে যায় কি না?
ডেফিনেটলি। যখন জীবন শুরু করেছিলাম, তখন কোনো প্রেশারই ছিল না। কেউ শোনেইনি আমার গান। এখন অনেক মানুষ শুনেছে, অনেক মানুষের অনেক রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে ফিরে আসছে।
সমাজের নানা ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনা, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা—সবকিছু আপনাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করে। আপনার গান কিংবা কবিতা লিখতে ইন্সপায়ারিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে কোন বিষয়গুলো?
একেক দিন একেকটা করে আরকি। একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে বেশি ভাবিত হই। একেকটা ছবি দেখি বা বই পড়ি, সেটার মধ্যে বেশি ডুবে থাকি। সুতরাং কোনো একটা জিনিস নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
[অনুপম যতক্ষণ ছিলেন না, হোটেলের লবি ছিল নির্জন। সেই পিনপতন নীরবতা উধাও তিনি লবিতে আসার পরে। এখানে-ওখানে অনেকে জড়ো হয়েছেন, হয়তো অনুপমের সঙ্গে একটু কথা বা একটা ছবি তোলার ইচ্ছা নিয়ে। লবি এখন গমগম করছে। কথা বলতে ও শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। গলার আওয়াজ খানিকটা চড়িয়ে দেন অনুপম রায়]
আমি দীর্ঘদিন বাদে বাংলাদেশে এসেছি এবার, এটা হওয়ার কথা নয়। চার-পাঁচ বছর হয়ে গেছে আমি বাংলাদেশ, ঢাকা, চট্টগ্রামে আসতে পারিনি। এটার থেকে একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে। দেশভ্রমণ বা নতুন জায়গা দেখা বা নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার অদ্ভুত খিদে আমার আছে। একটা পিপাসা আছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেটা আমাকে অনেক বেশি তাড়িত করছে। এই যে এসেছি, এটা আমার খুব ভালো লাগছে, এত দিন বাদে আমি ঢাকা শহরে এলাম। এয়ারপোর্টের রোডটা বেশি পাল্টে গেছে। সেটার খবর আমার কাছে ছিল না। রাস্তায় তো কনস্ট্রাকশনে দেখলাম ভরে গেছে। বলুন আর কী জানতে চান…
সোশ্যাল মিডিয়ায় তো আমরা নানা রকম কনটেন্ট দেখছি এখন। প্রচুর গান, রিলস, ভিডিও। মানুষকে হঠাৎ করে অনেক রকম কনটেন্টের মধ্যে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর ভিড়ে ভালো গান কিংবা যে কোনো ভালো কনটেন্টের প্রতি মুগ্ধতা কীভাবে বজায় থাকবে?
আসলে দিনের শেষে মানুষের যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই করবে। তার হাতে এখন কন্ট্রোল। আগে যে রকম ছিল, গানের ক্ষেত্রে যদি বলি, রেডিওতে যে গান বাজানো হবে, তাই-ই মানুষকে শুনতে হবে। বাড়িতে যে গ্রামোফোন রেকর্ড কেনা হবে, সে রেকর্ডই বাজবে। এর বাইরে অন্য গান সে শুনতে পাবে না। এখন মানুষের হাতে এত অপশন! ফলে তার সিনেমা দেখার ধরন, গান শোনার ধরন সব পাল্টে গেছে। আগে সিনেমা দেখতে গেলে প্রেক্ষাগৃহে যেতে হতো এবং সিনেমা হলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন মানুষ মোবাইল ফোনে দেখে। যদি কোনো সিন ভালো না লাগে স্ক্রল করে যায়, ফার্স্ট ফরোয়ার্ড করে দেয়।
সুতরাং দেখার অভ্যাস পাল্টে গেছে। গান শোনার অভ্যাস পাল্টে গেছে। আগে ক্যাসেটে যেটা হতো, খারাপ লাগলেও গানটা শুনতে হতো, তারপর পরের গানে যেতে হতো। এখন কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টে দেওয়া যায়। সুতরাং আমরা যারা শিল্প তৈরি করার চেষ্টা করি, আমাদের জন্য এটা সমস্যার। কারণ মানুষের হাতে এত পাওয়ার চলে গেছে! যার ফলে আমরা কোনো একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারি না। আমাদের প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপ ঠিক হতে হবে, না হলে মানুষ আমাদের গানও পাল্টে দেবে।
আপনি বললেন মানুষের দেখার ধরন পাল্টে গেছে। বড় কনটেন্ট দেখার বা শোনার ধৈর্য কমে যাচ্ছে। তো এখন যে দৈর্ঘ্যের গান তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটা আরো ছোট হয়ে যেতে পারে কি?
হতে পারে। ভবিষ্যতে কী লেখা আছে আমরা জানি না। এগুলো সবই বিনোদন এবং আনন্দ পাওয়ার জিনিস হয়ে যাচ্ছে। তাতে যদি বিনোদন পায় সে পাবে। সে ওইটাই শুনবে। কিন্তু ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে অতটা ভাবলে চলবে না। আমি যখন কোনো গান বানাচ্ছি, আমি তো অনুভূতিকে কথায়-সুরে প্রকাশ করছি। সেইটা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। এবার গান তিন মিনিটের হলো, নাকি সাত মিনিটের হলো, আমি তো জানি না। কারণ আমার লেখা যত হবে, গানটার লেন্থ তা-ই হবে। তারপর মানুষ কী করবে, সেটা মানুষের হাতে।
এই যে নানা সময়ে হুটহাট এক-দুটো গান উড়ে আসে। যেটা হয়তো এক-দুই সপ্তাহ ধরে মানুষ শোনে। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলতে থাকে। তারপর সেগুলো অতি দ্রুত হারিয়েও যায়। এই ‘ভাইরাল’ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
শিল্পীরাও চায় যে ভাইরাল হোক। নিজেরাই গান বানিয়ে নিজেরাই হ্যাশট্যাগ ভাইরাল লিখে পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া মানে কী? খুব জনপ্রিয় হওয়া। মানুষ জনপ্রিয়তা পছন্দ করে। কারণ জনপ্রিয় হওয়ার অনেক সুবিধা আছে। একটা অদ্ভুত আনন্দ দেয় যে, এত মানুষ ভালো বলছে। তবে শিল্পের খাতিরে যে গান বানাচ্ছি, সব গান ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়, সব শিল্প ভাইরাল হওয়ার নয়। কিছু হবে, কিছু হবে না। এবং মেজরিটিই হবে না। তার মানে যে সেগুলো ফেলনা, তা নয়। সেগুলো কোনো মানুষকে কোন সময়ে কী দিয়েছে, সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারে না। আমি বলতেই পারি, আমার অনেক প্রিয় শিল্পীর গান যেগুলো অতটা জনপ্রিয় না, কিন্তু আমার কোনো জ্বরের সময় হয়তো সেগুলো শুনেছি এবং সেই গানের মধ্যে ডুবে গিয়েছি। এমন হয়েছে, আমার সারা দিন ভালো যায়নি, তারপর কোনো উপন্যাস পড়েছি। সেই উপন্যাসের মধ্যে এমন ডুবে গেছি, ওই লেখার মধ্যে আমি একটা আলাদা জগৎ, আলাদা জীবন খুঁজে পেয়েছি। সেগুলোর মূল্য কী? সেগুলোকে তো ভাইরাল বা এসব দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। সেগুলো তো আমার জীবনে ঘটেছে। যে শিল্পের মধ্য দিয়ে এটা ঘটেছে, সেই শিল্প তো আমার কাছে অত্যন্ত কাছের। এবং সেটা আজকে দশটা লোক খারাপ বললেও আমার কাছে ভালো লাগার জায়গাতেই থাকবে। সুতরাং আমি অত চিন্তিত নই ভাইরাল নিয়ে। কারণ এর কোনো শেষ নেই। এটা একটা অসম্ভব রাক্ষুসে খিদের মতো ব্যাপার। এ কোনো দিন মেটানো যাবে না।
[হোটেলের বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অনুপমের ব্যান্ডের সবাই গাড়িতে উঠে পড়েছেন। অনুপম এলেই গাড়ি ছুটবে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে। সেখানে রাতে পারফর্ম করবে অনুপমের ব্যান্ড। ম্যানেজার রানা এসে নিচু স্বরে অনুপমকে বললেন, ‘আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা রওনা দেব।’ অর্থাৎ আলাপ শেষ করতে হবে। একটু হালকা চালেই তাই শেষ প্রশ্নটা করা হলো]
বসন্ত এলেই চারদিকে আপনার ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি বাজতে শোনা যায়। আপনার বসন্ত কেমন কাটছে এবার?
বসন্ত ভালো শুরু হয়েছে, তার কারণ আমি বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। এর আগে প্রতি বছর বা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার করে রিকোয়েস্ট আসত, তারপর সেই অনুষ্ঠান হতো না। ফাইনালি এই যে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে, স্টেজে গেলে বুঝতে পারব হচ্ছে কি না, সেটার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার খুব পছন্দের জায়গা, পছন্দের শহর, পছন্দের মানুষজন। ইচ্ছে করে এখানে এসে অনেক দিন থাকি। সব সময় হয়ে ওঠে না। এইভাবে দেখতে গেলে বসন্ত আমার ভালোই শুরু হয়েছে।
[আমাদের বিদায় দিয়ে, আরো কয়েকটি সেলফির আবদার মিটিয়ে, হোটেলের সামনে রাখা গাড়িতে গিয়ে বসলেন অনুপম রায়। যাওয়ার আগে বললেন, সকালেই ফিরতে হবে। এবার তো বেশি সময় পাওয়া গেল না। পরেরবার এসে ঘোরাঘুরিটা আরেকটু জমিয়ে হবে।]

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। প্রিয় শিল্পীর জন্য নিয়ে এসেছেন পাঞ্জাবি ও রসগোল্লা। ভক্তদের সঙ্গে মিনিট দশেক কথা বলে, ছবি তুলে ও অটোগ্রাফ দিয়ে ফিরে এলেন অনুপম রায়। বসলেন মুখোমুখি। কয়েক বছর পর শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। রাতে শো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। সাক্ষাৎকারটি শেষ করেই শোয়ের উদ্দেশে বেরোবেন। হাতে তাই সময় খুব কম।
এবার খুব টাইট শিডিউল, নাকি?
প্রতিবারই তাই হয়।
আপনার নতুন অ্যালবাম ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’-এর দুটো গান শুনলাম…
সবে রিলিজ করেছে।
ছয় বছরের মাথায় আপনার পঞ্চম অ্যালবাম?
হ্যাঁ।
অ্যালবামের দুটো গান ‘কেমন আছো অ্যানি হল’ ও ‘অবস’ শুনে মনে হয়েছে, কথায়-সুরে এই গানগুলো আরো ব্যক্তিগত, আরো গভীর। আপনার ভাবনা কী রকম ছিল ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামটি করার সময়?
আসলে বহু দিন ধরে সিনেমার কাজ করছি। তারপর সিঙ্গেলের কাজ। আজকাল তো অ্যালবাম তেমন আর হয় না। আমরা আর্টিস্টরা সবাই সিঙ্গেল রিলিজ করি, কারণ মানুষের গোটা অ্যালবাম শোনার ধৈর্য চলে গেছে। তো অনেক গান আমি করেছি বিভিন্ন মিউজিক লেবেলের জন্য। সেখানে একটা বাধ্যবাধকতা থাকে যে, একটু আনন্দের কিংবা মানুষকে একটু এন্টারটেইন করার। এন্টারটেইনমেন্ট ফ্যাক্টরটা খুব ইমপরটেন্ট থাকে আমরা যখন কারো জন্য গান করি। কারণ মানুষ গানবাজনা থেকে এন্টারটেইনমেন্ট চায়। আবার এমন অনেক গান তৈরি হয়, সেখানে কোনো এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালু নেই। বিনোদন দেওয়ার জন্য এই গানগুলো (‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামের গান) করিনি আমি। কারণ আমি তো আমার জীবন থেকে, আমার দর্শন থেকে গানগুলো বানাচ্ছি। আমার সব সময় দায়বদ্ধতা থাকে না যে মানুষকে বিনোদন দিতেই হবে। সেই জায়গা থেকে অনেক দিন ধরে মনে হচ্ছিল একটা অ্যালবাম করতে চাই, যেখানে এমন কিছু গান থাকবে, যেগুলো মানুষকে বিনোদন দেবে না। সেই রকম কিছু গান নিয়ে এই অ্যালবাম তৈরি করেছি।
বিনোদন যদি কেউ পেতে চায়, সেটা তাঁর ব্যাপার…
হ্যাঁ, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
[দ্য অনুপম রায় ব্যান্ডের ম্যানেজার রানা সিংহ রায় এগিয়ে এলেন। অনুপমকে জিজ্ঞেস করলেন, কফি বা স্ন্যাকস কিছু চান কি না। অনুপম ‘না’ সূচক জবাব দিলেন। বলে দিলেন, ‘পারলে সঙ্গে করে একটা জলের বোতল নিস।’ রানার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলাপ শেষ করে আবার সাক্ষাৎকারে ফিরে এলেন অনুপম]
‘অবস’ গানের ভিডিওতে একটা মানুষ দার্জিলিংয়ের নির্জনতার মধ্যে সারাক্ষণ কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। একটা তারবিহীন টেলিফোনে কথা বলছে। এটা কি অনেকটা নিজের সঙ্গে নিজের কথা? নিজেকে খুঁজে ফেরা?
‘অবস’ আসলে আমার এক দশক আগের লেখা গান। যে ছেলেটির সঙ্গে কাজ করেছি, রাতুল, ও গিটার বাজায়, মিউজিক অ্যারেঞ্জ করতে আমাকে সাহায্য করেছে। ওর সঙ্গে বহু দিন ধরে কাজ করার কথা ছিল। এ গানটা পড়েই ছিল। এটা আমার খুব প্রিয় গান। গানটার মূল যে বক্তব্য, যে ফিল, সেটা হচ্ছে—মানুষ জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। হিউম্যান রিলেশন নিয়ে গান। (একটা মানুষ) তার কোনো অনুভূতি থেকে গানটা গাইছে এবং সে অবস হয়ে পড়ছে। একটা বিষণ্নতা চেপে ধরছে। কী কারণ, ওগুলো তো ইলাবরেটলি গানের মধ্যে নেই। কিন্তু তার অনুভূতিগুলোই গানের মধ্য দিয়ে বেরিয়েছে। সে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথাই হয়তো বলছে। এখান থেকেই খুব একটা ডার্ক, একটা মেলানকলি সুর তৈরি হয়েছিল। সেটাই রেখেছি ইচ্ছে করে। কারণ আমি জানি, এটার থেকে কেউ খুব একটা এন্টারটেইন হয়তো হবে না।
অ্যালবামের দুটো গান তো বেরিয়ে গেল। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
প্রতিক্রিয়া খুবই ভালো পাচ্ছি। কারণ আমার বহু ভক্ত আছে, বহু শ্রোতা আছে, যারা শোনে আমার গান। যারা আমার ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে। এবং কোনো একটা শিল্প কনজিউম করার সময় তারাও হয়তো বিশ্বাস করে, সব সময় যে বিনোদন পেতে কনজিউম করছে তা নয়। নিজেকে ভাবাতে, নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছে এবং হয়তো এ গানগুলো সেটাতে সাহায্য করছে।
‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’ অ্যালবামে ৯টি গান থাকছে?
আটটা মনে হয় থাকবে শেষ পর্যন্ত।
গানগুলো কি এক সপ্তাহ পরপর রিলিজ হবে?
হ্যাঁ, দুই সপ্তাহ পর ‘অবস’ বেরিয়েছে। এবার দেখি পরের গানটা কবে রিলিজ করে।
গান তো রেডি হয়ে আছে। তাহলে রিলিজ নিয়ে এত অনিশ্চয়তা কেন?
গান রেডি হয়ে আছে। তবে সমস্যা হলো, আজকাল গান রিলিজ করা খুব ঝামেলার। প্রতি গানের জন্য ভিডিও লাগে। সেগুলো করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং সেটার জন্য অনেকটা এফোর্ট যায়। সেগুলো করছি, দেখি কবে পারি! কমিট করছি না এখনই কিছু।
অ্যালবামের নাম দিয়েছেন ‘অদৃশ্য নাগরদোলার ট্রিপ’। এই অদৃশ্য নাগরদোলা বলতে কী বুঝিয়েছেন?
আমাদের জীবনের কথাই বলা হচ্ছে। আমরা নিজের অজান্তে কখন চড়ে বসেছি এই জীবনের নাগরদোলায় এবং দুলে চলেছি, ঘুরে চলেছি। যখন আমি নাগরদোলার কথা বলছি, সেটা আমি দেখতে পাই। যখনই তার সামনে একটা ‘অদৃশ্য’ শব্দ বসিয়ে দেওয়া হয়, সেটা যেন চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে গেল। কিন্তু আসলে সেটা আছে। আমাদের জীবনে এ রকম বহু কিছু আছে, যেগুলো হয়তো আছে অথচ নেই। কিংবা নেই মনে হচ্ছে, কিন্তু আসলে আছে। এই সাবজেক্টটা নিয়ে বিভিন্ন গান তৈরি হয়েছে।
আরেকটা গান আছে ‘বিচার’ বলে। সব দেশেই বিচারব্যবস্থা আছে। আইন আছে। দেশের অনেক মানুষ সেই আইন সম্বন্ধে জানেই না। জানলেও তারা সেই বিচারব্যবস্থার সুফল জীবনে পায় না। এ রকম ছোট ছোট জিনিস তুলেছি আমি, যেগুলো সমাজে আমরা দেখতে পাই। এবং নিজেরাই বুঝতে পারি না, সেগুলো আছে নাকি নেই! সেই অদৃশ্য নাগরদোলার কথাই অ্যালবামের মধ্যে বলা আছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে আপনার গান শুনছেন দুই বাংলার শ্রোতারা। নিজেদের প্রেম, বিরহ, উদ্যাপন—সবকিছুতে আপনার গানের কাছে একটা আশ্রয় খোঁজেন তাঁরা। নতুন গান তৈরির সময় শ্রোতাদের এই প্রত্যাশা কীভাবে সামলান?
আমি যখন গান বানাচ্ছি, আমি তো জানি না, আমার যে অনুভূতি তার সঙ্গে আরেকজন একাত্ম হবেন কি না। কারো মনে হতেই পারে আমার অনুভূতিটা ফালতু। আমার সঙ্গে তার কোনো যোগই নেই। সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদি একাত্ম হয়ে যায়, সেটাই বরং অ্যাকসিডেন্ট। সেখান থেকে ডেফিনেটলি একটা প্রেসার তৈরি হয় যে, আগেরবার আমি কানেক্ট করতে পেরেছিলাম, এবার পারছি কি না। ফলে আমার ওই দায়বদ্ধতাটা থাকা উচিত না যে, কে কানেক্ট করতে পারছে আর কে পারছে না। আমি গান করছি। যদি কেউ কানেক্ট করতে পারে করবে, যদি কেউ না পারে করবে না।
এই কানেকশনটা আপনি বলছেন ‘অ্যাকসিডেন্ট’। তবে আপনার গানের সঙ্গে ব্যাপারটা বেশিই ঘটে। এটা চাপ হয়ে যায় কি না?
ডেফিনেটলি। যখন জীবন শুরু করেছিলাম, তখন কোনো প্রেশারই ছিল না। কেউ শোনেইনি আমার গান। এখন অনেক মানুষ শুনেছে, অনেক মানুষের অনেক রকম অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তারা তাদের প্রত্যাশা নিয়ে ফিরে ফিরে আসছে।
সমাজের নানা ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনা, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা—সবকিছু আপনাকে নিশ্চয়ই প্রভাবিত করে। আপনার গান কিংবা কবিতা লিখতে ইন্সপায়ারিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে কোন বিষয়গুলো?
একেক দিন একেকটা করে আরকি। একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে বেশি ভাবিত হই। একেকটা ছবি দেখি বা বই পড়ি, সেটার মধ্যে বেশি ডুবে থাকি। সুতরাং কোনো একটা জিনিস নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
[অনুপম যতক্ষণ ছিলেন না, হোটেলের লবি ছিল নির্জন। সেই পিনপতন নীরবতা উধাও তিনি লবিতে আসার পরে। এখানে-ওখানে অনেকে জড়ো হয়েছেন, হয়তো অনুপমের সঙ্গে একটু কথা বা একটা ছবি তোলার ইচ্ছা নিয়ে। লবি এখন গমগম করছে। কথা বলতে ও শুনতে অসুবিধা হচ্ছে। গলার আওয়াজ খানিকটা চড়িয়ে দেন অনুপম রায়]
আমি দীর্ঘদিন বাদে বাংলাদেশে এসেছি এবার, এটা হওয়ার কথা নয়। চার-পাঁচ বছর হয়ে গেছে আমি বাংলাদেশ, ঢাকা, চট্টগ্রামে আসতে পারিনি। এটার থেকে একটা ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়েছে। দেশভ্রমণ বা নতুন জায়গা দেখা বা নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার অদ্ভুত খিদে আমার আছে। একটা পিপাসা আছে। এখন এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেটা আমাকে অনেক বেশি তাড়িত করছে। এই যে এসেছি, এটা আমার খুব ভালো লাগছে, এত দিন বাদে আমি ঢাকা শহরে এলাম। এয়ারপোর্টের রোডটা বেশি পাল্টে গেছে। সেটার খবর আমার কাছে ছিল না। রাস্তায় তো কনস্ট্রাকশনে দেখলাম ভরে গেছে। বলুন আর কী জানতে চান…
সোশ্যাল মিডিয়ায় তো আমরা নানা রকম কনটেন্ট দেখছি এখন। প্রচুর গান, রিলস, ভিডিও। মানুষকে হঠাৎ করে অনেক রকম কনটেন্টের মধ্যে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর ভিড়ে ভালো গান কিংবা যে কোনো ভালো কনটেন্টের প্রতি মুগ্ধতা কীভাবে বজায় থাকবে?
আসলে দিনের শেষে মানুষের যেটা ভালো লাগবে, সে সেটাই করবে। তার হাতে এখন কন্ট্রোল। আগে যে রকম ছিল, গানের ক্ষেত্রে যদি বলি, রেডিওতে যে গান বাজানো হবে, তাই-ই মানুষকে শুনতে হবে। বাড়িতে যে গ্রামোফোন রেকর্ড কেনা হবে, সে রেকর্ডই বাজবে। এর বাইরে অন্য গান সে শুনতে পাবে না। এখন মানুষের হাতে এত অপশন! ফলে তার সিনেমা দেখার ধরন, গান শোনার ধরন সব পাল্টে গেছে। আগে সিনেমা দেখতে গেলে প্রেক্ষাগৃহে যেতে হতো এবং সিনেমা হলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন মানুষ মোবাইল ফোনে দেখে। যদি কোনো সিন ভালো না লাগে স্ক্রল করে যায়, ফার্স্ট ফরোয়ার্ড করে দেয়।
সুতরাং দেখার অভ্যাস পাল্টে গেছে। গান শোনার অভ্যাস পাল্টে গেছে। আগে ক্যাসেটে যেটা হতো, খারাপ লাগলেও গানটা শুনতে হতো, তারপর পরের গানে যেতে হতো। এখন কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টে দেওয়া যায়। সুতরাং আমরা যারা শিল্প তৈরি করার চেষ্টা করি, আমাদের জন্য এটা সমস্যার। কারণ মানুষের হাতে এত পাওয়ার চলে গেছে! যার ফলে আমরা কোনো একটা ভুল পদক্ষেপ নিতে পারি না। আমাদের প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপ ঠিক হতে হবে, না হলে মানুষ আমাদের গানও পাল্টে দেবে।
আপনি বললেন মানুষের দেখার ধরন পাল্টে গেছে। বড় কনটেন্ট দেখার বা শোনার ধৈর্য কমে যাচ্ছে। তো এখন যে দৈর্ঘ্যের গান তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটা আরো ছোট হয়ে যেতে পারে কি?
হতে পারে। ভবিষ্যতে কী লেখা আছে আমরা জানি না। এগুলো সবই বিনোদন এবং আনন্দ পাওয়ার জিনিস হয়ে যাচ্ছে। তাতে যদি বিনোদন পায় সে পাবে। সে ওইটাই শুনবে। কিন্তু ক্রিয়েটর হিসেবে আমাকে অতটা ভাবলে চলবে না। আমি যখন কোনো গান বানাচ্ছি, আমি তো অনুভূতিকে কথায়-সুরে প্রকাশ করছি। সেইটা যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। এবার গান তিন মিনিটের হলো, নাকি সাত মিনিটের হলো, আমি তো জানি না। কারণ আমার লেখা যত হবে, গানটার লেন্থ তা-ই হবে। তারপর মানুষ কী করবে, সেটা মানুষের হাতে।
এই যে নানা সময়ে হুটহাট এক-দুটো গান উড়ে আসে। যেটা হয়তো এক-দুই সপ্তাহ ধরে মানুষ শোনে। সেটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক চলতে থাকে। তারপর সেগুলো অতি দ্রুত হারিয়েও যায়। এই ‘ভাইরাল’ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
শিল্পীরাও চায় যে ভাইরাল হোক। নিজেরাই গান বানিয়ে নিজেরাই হ্যাশট্যাগ ভাইরাল লিখে পোস্ট করে। ভাইরাল হওয়া মানে কী? খুব জনপ্রিয় হওয়া। মানুষ জনপ্রিয়তা পছন্দ করে। কারণ জনপ্রিয় হওয়ার অনেক সুবিধা আছে। একটা অদ্ভুত আনন্দ দেয় যে, এত মানুষ ভালো বলছে। তবে শিল্পের খাতিরে যে গান বানাচ্ছি, সব গান ভাইরাল হওয়ার জন্য নয়, সব শিল্প ভাইরাল হওয়ার নয়। কিছু হবে, কিছু হবে না। এবং মেজরিটিই হবে না। তার মানে যে সেগুলো ফেলনা, তা নয়। সেগুলো কোনো মানুষকে কোন সময়ে কী দিয়েছে, সেটা কেউ বুঝে উঠতে পারে না। আমি বলতেই পারি, আমার অনেক প্রিয় শিল্পীর গান যেগুলো অতটা জনপ্রিয় না, কিন্তু আমার কোনো জ্বরের সময় হয়তো সেগুলো শুনেছি এবং সেই গানের মধ্যে ডুবে গিয়েছি। এমন হয়েছে, আমার সারা দিন ভালো যায়নি, তারপর কোনো উপন্যাস পড়েছি। সেই উপন্যাসের মধ্যে এমন ডুবে গেছি, ওই লেখার মধ্যে আমি একটা আলাদা জগৎ, আলাদা জীবন খুঁজে পেয়েছি। সেগুলোর মূল্য কী? সেগুলোকে তো ভাইরাল বা এসব দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। সেগুলো তো আমার জীবনে ঘটেছে। যে শিল্পের মধ্য দিয়ে এটা ঘটেছে, সেই শিল্প তো আমার কাছে অত্যন্ত কাছের। এবং সেটা আজকে দশটা লোক খারাপ বললেও আমার কাছে ভালো লাগার জায়গাতেই থাকবে। সুতরাং আমি অত চিন্তিত নই ভাইরাল নিয়ে। কারণ এর কোনো শেষ নেই। এটা একটা অসম্ভব রাক্ষুসে খিদের মতো ব্যাপার। এ কোনো দিন মেটানো যাবে না।
[হোটেলের বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অনুপমের ব্যান্ডের সবাই গাড়িতে উঠে পড়েছেন। অনুপম এলেই গাড়ি ছুটবে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দিকে। সেখানে রাতে পারফর্ম করবে অনুপমের ব্যান্ড। ম্যানেজার রানা এসে নিচু স্বরে অনুপমকে বললেন, ‘আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা রওনা দেব।’ অর্থাৎ আলাপ শেষ করতে হবে। একটু হালকা চালেই তাই শেষ প্রশ্নটা করা হলো]
বসন্ত এলেই চারদিকে আপনার ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি বাজতে শোনা যায়। আপনার বসন্ত কেমন কাটছে এবার?
বসন্ত ভালো শুরু হয়েছে, তার কারণ আমি বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। এর আগে প্রতি বছর বা প্রতি তিন মাস অন্তর একবার করে রিকোয়েস্ট আসত, তারপর সেই অনুষ্ঠান হতো না। ফাইনালি এই যে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে, স্টেজে গেলে বুঝতে পারব হচ্ছে কি না, সেটার জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এটা আমার খুব পছন্দের জায়গা, পছন্দের শহর, পছন্দের মানুষজন। ইচ্ছে করে এখানে এসে অনেক দিন থাকি। সব সময় হয়ে ওঠে না। এইভাবে দেখতে গেলে বসন্ত আমার ভালোই শুরু হয়েছে।
[আমাদের বিদায় দিয়ে, আরো কয়েকটি সেলফির আবদার মিটিয়ে, হোটেলের সামনে রাখা গাড়িতে গিয়ে বসলেন অনুপম রায়। যাওয়ার আগে বললেন, সকালেই ফিরতে হবে। এবার তো বেশি সময় পাওয়া গেল না। পরেরবার এসে ঘোরাঘুরিটা আরেকটু জমিয়ে হবে।]

গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
১ দিন আগে
দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে...
১ দিন আগে
‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন...
১ দিন আগে
‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
সস্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, ‘মেলবোর্নের কনসার্টে যখন গান ছাড়ার কথাটা বলেছি, সে সময় খুব কম মানুষ ছিল। সেটা যে এভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে ভাবিনি। অভিনয় থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়েছি, সেভাবে গান থেকেও বিরতি নেব। আমি তো একটু ইমোশনাল, কবি মানুষ। এমনভাবে বলে ফেলেছি যে ছড়িয়ে গেছে। আমার ওই একটা কথার ফলে অনেক কিছু হয়ে গেছে। একটা জায়গায় দেখলাম, আমার ছবিতে টুপি দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি নাকি রাজনীতি করছি!’
ভাইরাল হওয়ার নেশা থেকেই এমনটা করা হয়েছে বলে মত তাহসানের। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এগুলো পার্ট অব দ্য গেম। একটা খেলার মতো। এখন কিছু মানুষ ভাইরাল হওয়ার নেশায় থাকে। এটা পৃথিবীজুড়েই চলছে। এ কারণে খুব চিন্তা করে কথা বলতে হয়। কোন কথাটা নিয়ে কখন কী হয়ে যাবে, এটা ভাবতে হয়।’
গান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাহসান বলেন, ‘এটা প্রথম না। ক্যারিয়ারে কয়েকবার বিরতি নিয়েছি। ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে একক ক্যারিয়ার শুরুর সময় কয়েক বছর লাইভ পারফরম্যান্স বন্ধ রেখেছিলাম। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে যখন মাস্টার্স করতে যাই, ওই সময় দুই বছর কোনো গান রিলিজ করিনি। কনসার্টও করিনি। এখন আরও একটি বিরতিতে যাচ্ছি। আমার মনে হয়েছে, গত ২৫ বছরে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। এভাবে কন্টিনিউ করতে থাকলে বিষয়টি একঘেয়ে হয়ে যাবে। আরেকটি জায়গায় অন্য একটি উত্তর দিয়েছি। সেটাও সত্যি। আরও একটা উত্তর আছে। কিন্তু সেটা পাবলিকলি দিতে পারব না। কারণ, প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হয়, যা এতটাই অবিশ্বাস্য, যেটা সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারে না। এমন কোনো কথা বলতে চাই না যেটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়।’
এখন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান তাহসান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের জীবনে নানা অধ্যায় থাকে। প্রথম অধ্যায়ে মনে হয় কিছু জানি না। দ্বিতীয় অধ্যায়ে মনে হয়, অনেক জেনে ফেলেছি, আর জানার নেই। আমি ওই অধ্যায়ে ছিলাম। সম্প্রতি মনে হয়েছে, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে আরও অনেক পড়াশোনা করতে হবে।’

গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
সস্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, ‘মেলবোর্নের কনসার্টে যখন গান ছাড়ার কথাটা বলেছি, সে সময় খুব কম মানুষ ছিল। সেটা যে এভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে ভাবিনি। অভিনয় থেকে যেভাবে ধীরে ধীরে বিরতি নিয়েছি, সেভাবে গান থেকেও বিরতি নেব। আমি তো একটু ইমোশনাল, কবি মানুষ। এমনভাবে বলে ফেলেছি যে ছড়িয়ে গেছে। আমার ওই একটা কথার ফলে অনেক কিছু হয়ে গেছে। একটা জায়গায় দেখলাম, আমার ছবিতে টুপি দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি নাকি রাজনীতি করছি!’
ভাইরাল হওয়ার নেশা থেকেই এমনটা করা হয়েছে বলে মত তাহসানের। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এগুলো পার্ট অব দ্য গেম। একটা খেলার মতো। এখন কিছু মানুষ ভাইরাল হওয়ার নেশায় থাকে। এটা পৃথিবীজুড়েই চলছে। এ কারণে খুব চিন্তা করে কথা বলতে হয়। কোন কথাটা নিয়ে কখন কী হয়ে যাবে, এটা ভাবতে হয়।’
গান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাহসান বলেন, ‘এটা প্রথম না। ক্যারিয়ারে কয়েকবার বিরতি নিয়েছি। ব্ল্যাক ব্যান্ড ছেড়ে একক ক্যারিয়ার শুরুর সময় কয়েক বছর লাইভ পারফরম্যান্স বন্ধ রেখেছিলাম। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে যখন মাস্টার্স করতে যাই, ওই সময় দুই বছর কোনো গান রিলিজ করিনি। কনসার্টও করিনি। এখন আরও একটি বিরতিতে যাচ্ছি। আমার মনে হয়েছে, গত ২৫ বছরে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাওয়ার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। এভাবে কন্টিনিউ করতে থাকলে বিষয়টি একঘেয়ে হয়ে যাবে। আরেকটি জায়গায় অন্য একটি উত্তর দিয়েছি। সেটাও সত্যি। আরও একটা উত্তর আছে। কিন্তু সেটা পাবলিকলি দিতে পারব না। কারণ, প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হয়, যা এতটাই অবিশ্বাস্য, যেটা সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারে না। এমন কোনো কথা বলতে চাই না যেটা জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়।’
এখন পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান তাহসান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের জীবনে নানা অধ্যায় থাকে। প্রথম অধ্যায়ে মনে হয় কিছু জানি না। দ্বিতীয় অধ্যায়ে মনে হয়, অনেক জেনে ফেলেছি, আর জানার নেই। আমি ওই অধ্যায়ে ছিলাম। সম্প্রতি মনে হয়েছে, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমাকে আরও অনেক পড়াশোনা করতে হবে।’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে...
১ দিন আগে
‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন...
১ দিন আগে
‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের আরেক ব্যান্ড কাভিশ। ‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের কনসার্টে কাভিশের সঙ্গে পারফর্ম করবে দেশের দুই ব্যান্ড শিরোনামহীন ও মেঘদল।
ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার কনসার্টটি আয়োজন করেছে প্রাইম ওয়েভ কমিউনিকেশন। কনসার্টের খবর জানিয়ে আয়োজকদের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘কিছু গান কখনো ম্লান হয় না, আমাদের সঙ্গে বাঁচে। ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছে কাভিশ, মনে করিয়ে দিতে সুর কীভাবে আত্মাকে স্পর্শ করে। সঙ্গে থাকছে শিরোনামহীন ও মেঘদল।’
জানা গেছে, ঢাকার মাদানি অ্যাভিনিউর কোর্টসাইডে বিকেল ৫টায় শুরু হবে এই আয়োজন। দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ৩টায়। ইতিমধ্যে টকটিকি নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দুই ক্যাটাগরিতে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৯ টাকা (সাধারণ) ও ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা (ভিআইপি)।
১৯৯৮ সালে গায়ক জাফর জাইদি এবং মাজ মাওদুদের হাত ধরে গড়ে ওঠে কাভিশ ব্যান্ড। দলটির প্রথম অ্যালবাম ‘গুনকালি’ প্রকাশ পেয়েছিল ২০০৯ সালে। ব্যান্ডটির পরিচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘বাচপান’, ‘তেরে পেয়ার মে’, ‘মোরে সাইয়া’, ‘নিন্দিয়া রে’, ‘ফাসলে’ ইত্যাদি। এ বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবার বাংলাদেশে গান শোনাতে এসেছিল কাভিশ। বছরের শেষে আবারও ঢাকার শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে আসছে ব্যান্ডটি।
এদিকে নতুন গান ও দেশ-বিদেশে কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে শিরোনামহীন। সম্প্রতি কানাডার টরন্টোতে পারফর্ম করেছে তারা। ১০ নভেম্বর শিরোনামহীন গান শোনাবে চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে। ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার কনসার্টের আগের দিন ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে ব্যান্ডের নতুন গান ‘এই অবেলায় ২’। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম ‘বাতিঘর’-এর শেষ গান।
কনসার্টে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে মেঘদল ব্যান্ডেরও। আজ ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের ক্যাম্পাসে গান শোনাবে তারা। এরপর ১০ নভেম্বর ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ গ্রাউন্ডে পারফর্ম করার কথা রয়েছে মেঘদলের।

দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের আরেক ব্যান্ড কাভিশ। ‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের কনসার্টে কাভিশের সঙ্গে পারফর্ম করবে দেশের দুই ব্যান্ড শিরোনামহীন ও মেঘদল।
ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার কনসার্টটি আয়োজন করেছে প্রাইম ওয়েভ কমিউনিকেশন। কনসার্টের খবর জানিয়ে আয়োজকদের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, ‘কিছু গান কখনো ম্লান হয় না, আমাদের সঙ্গে বাঁচে। ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছে কাভিশ, মনে করিয়ে দিতে সুর কীভাবে আত্মাকে স্পর্শ করে। সঙ্গে থাকছে শিরোনামহীন ও মেঘদল।’
জানা গেছে, ঢাকার মাদানি অ্যাভিনিউর কোর্টসাইডে বিকেল ৫টায় শুরু হবে এই আয়োজন। দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ৩টায়। ইতিমধ্যে টকটিকি নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দুই ক্যাটাগরিতে। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৯ টাকা (সাধারণ) ও ৪ হাজার ৯৯৯ টাকা (ভিআইপি)।
১৯৯৮ সালে গায়ক জাফর জাইদি এবং মাজ মাওদুদের হাত ধরে গড়ে ওঠে কাভিশ ব্যান্ড। দলটির প্রথম অ্যালবাম ‘গুনকালি’ প্রকাশ পেয়েছিল ২০০৯ সালে। ব্যান্ডটির পরিচিত গানের মধ্যে রয়েছে ‘বাচপান’, ‘তেরে পেয়ার মে’, ‘মোরে সাইয়া’, ‘নিন্দিয়া রে’, ‘ফাসলে’ ইত্যাদি। এ বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবার বাংলাদেশে গান শোনাতে এসেছিল কাভিশ। বছরের শেষে আবারও ঢাকার শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে আসছে ব্যান্ডটি।
এদিকে নতুন গান ও দেশ-বিদেশে কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে শিরোনামহীন। সম্প্রতি কানাডার টরন্টোতে পারফর্ম করেছে তারা। ১০ নভেম্বর শিরোনামহীন গান শোনাবে চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে। ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার কনসার্টের আগের দিন ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে ব্যান্ডের নতুন গান ‘এই অবেলায় ২’। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম ‘বাতিঘর’-এর শেষ গান।
কনসার্টে ব্যস্ততা শুরু হয়েছে মেঘদল ব্যান্ডেরও। আজ ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের ক্যাম্পাসে গান শোনাবে তারা। এরপর ১০ নভেম্বর ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ গ্রাউন্ডে পারফর্ম করার কথা রয়েছে মেঘদলের।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
১ দিন আগে
‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন...
১ দিন আগে
‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। একদম ভিন্ন লুকে, ভিন্ন রূপে।
মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা পৃথ্বীরাজ। প্রায় এক শ সিনেমার এ নায়ক যখন ভিলেন হিসেবে দেখা দেন, সেটা নিয়ে তো উত্তেজনা ছড়াবেই। সেটা মাথায় রেখেই হয়তো পৃথ্বীরাজকে দিয়েই নতুন সিনেমার লুক প্রকাশ শুরু করলেন রাজামৌলি। গ্লোব ট্রটর সিনেমায় পৃথ্বীরাজকে দেখা গেছে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায়, প্রযুক্তিনির্ভর রোবোটিক আর্মযুক্ত এক ভবিষ্যৎ চরিত্রে।
রাজামৌলির শেয়ার করা পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, পৃথ্বীরাজের চোখমুখে হিংস্রতা। রয়েছে শীতল হুমকির আভাস। চরিত্রটির নাম কুম্ভ। এই লুকেই স্পষ্ট যে তিনি কোনো সাধারণ প্রতিপক্ষ নন, বরং গোটা সিনেমার ভয়ের প্রতীক। এক্সে রাজামৌলি লিখেছেন, ‘প্রথম শটের পরেই আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি আমার দেখা অন্যতম সেরা অভিনেতা। এই নির্মম, ক্ষমতাশালী ও অন্ধকার চরিত্র কুম্ভকে সামনে আনতে পেরে আমি খুবই খুশি।’ এ সিনেমায় নায়ক হিসেবে দেখা যাবে তেলুগু সুপারস্টার মহেশ বাবুকে। পৃথ্বীরাজের লুক শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এবার কুম্ভর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ এই এক বাক্যেই বোঝা যাচ্ছে, দুই শক্তিশালী চরিত্রের মধ্যে হতে চলেছে ব্যাপক সিনেম্যাটিক লড়াই।
গ্লোব ট্রটরে মহেশ বাবু ও পৃথ্বীরাজের সঙ্গে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এই তিনজনকে নিয়েই রাজামৌলির নতুন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার এগোচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে। শোনা যাচ্ছে, এটি এমন এক গল্প, যা পৃথিবীর নানা প্রান্ত ঘুরে তৈরি। এককথায়, বিস্ময়, যুদ্ধ, বিজ্ঞান আর মানবিক আবেগের মিশেলে এক বিশ্বব্যাপী অভিযান। সব মিলিয়ে, ‘আরআরআর’-এর পর ‘গ্লোব ট্রটর’ হতে চলেছে রাজামৌলির সবচেয়ে সাহসী সিনেমা। যেখানে নায়ক আর খলনায়ক—উভয়েই প্রবল ক্ষমতার প্রতীক।

‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। একদম ভিন্ন লুকে, ভিন্ন রূপে।
মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা পৃথ্বীরাজ। প্রায় এক শ সিনেমার এ নায়ক যখন ভিলেন হিসেবে দেখা দেন, সেটা নিয়ে তো উত্তেজনা ছড়াবেই। সেটা মাথায় রেখেই হয়তো পৃথ্বীরাজকে দিয়েই নতুন সিনেমার লুক প্রকাশ শুরু করলেন রাজামৌলি। গ্লোব ট্রটর সিনেমায় পৃথ্বীরাজকে দেখা গেছে হুইলচেয়ারে বসা অবস্থায়, প্রযুক্তিনির্ভর রোবোটিক আর্মযুক্ত এক ভবিষ্যৎ চরিত্রে।
রাজামৌলির শেয়ার করা পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, পৃথ্বীরাজের চোখমুখে হিংস্রতা। রয়েছে শীতল হুমকির আভাস। চরিত্রটির নাম কুম্ভ। এই লুকেই স্পষ্ট যে তিনি কোনো সাধারণ প্রতিপক্ষ নন, বরং গোটা সিনেমার ভয়ের প্রতীক। এক্সে রাজামৌলি লিখেছেন, ‘প্রথম শটের পরেই আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি আমার দেখা অন্যতম সেরা অভিনেতা। এই নির্মম, ক্ষমতাশালী ও অন্ধকার চরিত্র কুম্ভকে সামনে আনতে পেরে আমি খুবই খুশি।’ এ সিনেমায় নায়ক হিসেবে দেখা যাবে তেলুগু সুপারস্টার মহেশ বাবুকে। পৃথ্বীরাজের লুক শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এবার কুম্ভর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।’ এই এক বাক্যেই বোঝা যাচ্ছে, দুই শক্তিশালী চরিত্রের মধ্যে হতে চলেছে ব্যাপক সিনেম্যাটিক লড়াই।
গ্লোব ট্রটরে মহেশ বাবু ও পৃথ্বীরাজের সঙ্গে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এই তিনজনকে নিয়েই রাজামৌলির নতুন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার এগোচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে। শোনা যাচ্ছে, এটি এমন এক গল্প, যা পৃথিবীর নানা প্রান্ত ঘুরে তৈরি। এককথায়, বিস্ময়, যুদ্ধ, বিজ্ঞান আর মানবিক আবেগের মিশেলে এক বিশ্বব্যাপী অভিযান। সব মিলিয়ে, ‘আরআরআর’-এর পর ‘গ্লোব ট্রটর’ হতে চলেছে রাজামৌলির সবচেয়ে সাহসী সিনেমা। যেখানে নায়ক আর খলনায়ক—উভয়েই প্রবল ক্ষমতার প্রতীক।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
১ দিন আগে
দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে...
১ দিন আগে
‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। আগামীকাল ৯ নভেম্বর একই স্থান ও সময়ে রয়েছে নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, সম্রাট শাহরিয়ার তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারিত হয়। ধীরে ধীরে এক নারীবিদ্বেষী শাসকে পরিণত হয় সে। প্রতিদিন রাজ্যের একজন করে অবিবাহিত নারীকে বিয়ে করে এবং তাকে শর্ত দেয়, গল্প শুনিয়ে তাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে না পারলে ভোরে তাকে হত্যা করা হবে। একে একে নিহত হয় রাজ্যের প্রায় সব নারী, বাকি রইল কেবল উজিদের দুই কন্যা। বড় কন্যার নাম শেহেরজাদ। এবার আসে তার পালা। বুদ্ধিমতী শেহেরজাদ শুরু করে গল্প বলা।
নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর চ্যালেঞ্জে পূর্ণ একটি নাট্য অভিযাত্রা। কারণ, প্রায়-স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চল্লিশের অধিক কুশীলব (২১ জন অভিনয় কুশীলব এবং ২০ জন নেপথ্য কুশীলব) সহযোগে, বৃহৎ পরিসরে, নিয়মিত প্রদর্শনীর লক্ষ্যে, একটি নাট্য সৃজনে একত্র করা বাংলাদেশের নাট্যদলগুলোর জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজে পরিণত হয়েছে। সব কুশীলবের উপস্থিতিতে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, মহড়ার জন্য বড় আয়তন খুঁজে বের করা এবং সর্বোপরি প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান—সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আরব্য রজনীর গল্প থেকে উম্মে হানী রূপায়িত নাটক আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর প্রযোজনা করেছে পদাতিক নাট্য সংসদ।’
আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল ইসলাম, মেঘা ঘোষ, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিয়াউল হক, জিনিয়া আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন, বর্ষা ঘোষ, সবুজ খান, তপু চন্দ্র দাস প্রমুখ।

‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নতুনভাবে মঞ্চে আনছে পদাতিক নাট্য সংসদ। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে এটির নাট্যরূপ দিয়েছেন উম্মে হানী, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় সুদীপ চক্রবর্তী। এটি দলের ৪৫তম প্রযোজনা। আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় হবে এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। আগামীকাল ৯ নভেম্বর একই স্থান ও সময়ে রয়েছে নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, সম্রাট শাহরিয়ার তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারিত হয়। ধীরে ধীরে এক নারীবিদ্বেষী শাসকে পরিণত হয় সে। প্রতিদিন রাজ্যের একজন করে অবিবাহিত নারীকে বিয়ে করে এবং তাকে শর্ত দেয়, গল্প শুনিয়ে তাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে না পারলে ভোরে তাকে হত্যা করা হবে। একে একে নিহত হয় রাজ্যের প্রায় সব নারী, বাকি রইল কেবল উজিদের দুই কন্যা। বড় কন্যার নাম শেহেরজাদ। এবার আসে তার পালা। বুদ্ধিমতী শেহেরজাদ শুরু করে গল্প বলা।
নির্দেশক সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর চ্যালেঞ্জে পূর্ণ একটি নাট্য অভিযাত্রা। কারণ, প্রায়-স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চল্লিশের অধিক কুশীলব (২১ জন অভিনয় কুশীলব এবং ২০ জন নেপথ্য কুশীলব) সহযোগে, বৃহৎ পরিসরে, নিয়মিত প্রদর্শনীর লক্ষ্যে, একটি নাট্য সৃজনে একত্র করা বাংলাদেশের নাট্যদলগুলোর জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজে পরিণত হয়েছে। সব কুশীলবের উপস্থিতিতে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, মহড়ার জন্য বড় আয়তন খুঁজে বের করা এবং সর্বোপরি প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান—সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আরব্য রজনীর গল্প থেকে উম্মে হানী রূপায়িত নাটক আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর প্রযোজনা করেছে পদাতিক নাট্য সংসদ।’
আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল ইসলাম, মেঘা ঘোষ, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিয়াউল হক, জিনিয়া আজাদ, শাখাওয়াত হোসেন, বর্ষা ঘোষ, সবুজ খান, তপু চন্দ্র দাস প্রমুখ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎকারের সময় দিয়েছিলেন অনুপম রায়। ৬টা থেকে হোটেল লবিতে অপেক্ষা। সঙ্গে আজকের পত্রিকার আরও দুই সাংবাদিক নাঈম হক ও তুষার পাল। নির্দিষ্ট সময়ের মিনিট দশেক পরে ব্যান্ড সদস্যদের নিয়ে লবিতে এলেন অনুপম রায়। সেখানে আমরা ছাড়া অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনুপমের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা
১২ মার্চ ২০২৩
গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনায় তাহসান। নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্ক চলছে তাঁকে ঘিরে। অনেকে বলেছেন, ধর্মের টানে গান ছেড়েছেন তিনি। ধর্মভিত্তিক এক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। অবশেষে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তাহসান।
১ দিন আগে
দরজায় কড়া নাড়ছে শীতকাল। এ সময়কে বলা হয় কনসার্টের মৌসুম। এবার শীতের শুরুতেই ঢাকায় গান শোনাতে আসছে দেশের বাইরের একাধিক ব্যান্ড ও সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যে এসেছে পাকিস্তানের ব্যান্ড জাল, জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত ও ভারতের অনুভ জৈনের কনসার্টের ঘোষণা। এবার জানা গেল আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গান শোনাতে আসছে...
১ দিন আগে
‘আরআরআর’-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর নতুন সিনেমার কাজ শুরু করেছেন এস এস রাজামৌলি। এবার তাঁর গল্পের পরিসর আরও বড়। তাঁর পরবর্তী মেগা প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে ‘গ্লোব ট্রটর’। গতকাল প্রকাশ্যে এল সিনেমার প্রথম ঝলক। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে ছড়িয়ে গেল উত্তাপ। কারণ, এই সিনেমার প্রধান ভিলেন...
১ দিন আগে