Ajker Patrika

হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

গুঞ্জন রহমান
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২৮
হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

হ্যাপী আখান্দ্‌ (জিয়া হাসান আখন্দ্‌ হ্যাপী, ১২ অক্টোবর ১৯৬০-২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭) নামটা আমি প্রথম শুনি ফিডব্যাকের ‘মেলা’ অ্যালবামে। সেই অ্যালবামে পালকি শিরোনামে একটা গান আছে, যেটা আসলে হ্যাপী আখান্দ্‌কে নিয়ে লেখা। গানের শুরুতে ছোট্ট একটি সংলাপ আছে, যা থেকে জানা যায়, হ্যাপী আখান্দের অকালপ্রয়াণের কষ্ট থেকেই তাঁর সহকর্মী, গুণমুগ্ধ বন্ধুরা এই গান করছেন তাঁকে উৎসর্গ করে। ‘...শিল্পীর মৃত্যু নেই। আমাদের বিশ্বাস হ্যাপী আখান্দের মৃত্যু নেই। অন্য সুরের ভুবনে বর বেশে এ যেন হ্যাপীর পালকি চড়ে মহাপ্রস্থান! কানে এখনো বাজে, তার শেষ যাওয়ার সুর...’—এভাবে হ্যাপীর কথা বলেছিলেন ফিডব্যাক ব্যান্ডে তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা। 

নামটা দেরিতে শুনলেও তাঁর গান অনেক আগেই শোনা হয়ে গিয়েছিল সিনেমার বদৌলতে। আমার আব্বু-আম্মু সিনেমাপাগল মানুষ ছিলেন। নতুন সিনেমা এলেই সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন তাঁরা। ছোটকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে আমিও সাথ ধরতাম। তখনই প্রথম ‘ঘুড্ডি’ ছবিতে শুনি ‘কে বাঁশি বাজায় রে’। কিন্তু, সেই সময়ের যা রীতি, নায়ক-নায়িকা আর প্রধান চরিত্রগুলো ছাড়া বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোঁজ কে রাখে? তাই নায়িকার ভাইয়ের চরিত্র রূপায়ণকারী, যে গিটার বাজিয়ে বোনকে গান শোনাতে শোনাতে গেয়ে ফেলে এক কালজয়ী গানের মুখটুকু, ওই শিল্পীই যে তুমুল আলোচিত হ্যাপী আখান্দ্‌, তা তখন কীভাবে জানব? খুব সম্ভবত তখনো আমি সেভাবে পড়তে শিখিনি। তাই সিনেমার স্ক্রিনে হ্যাপী আখান্দের নাম পড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর সিনেমায় দেখারও আগে, ওই সিনেমারই আরেক সুপার হিট গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ পিকনিক সং হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। তখন ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ছাড়া বন্ধুদের আড্ডা অকল্পনীয়। ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ হ্যাপীর নিজেরই লেখা ও সুর করা। ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ অবশ্য তাঁর লেখা বা সুর করা নয়, এর গীতিকার এস এম হেদায়েত এবং সুরকার লাকী আখান্দ। কিন্তু গানটা নির্মিত হয় হ্যাপী আখান্দের সংগীতায়োজনে। গাওয়ার সময় হ্যাপী ও লাকী দুই ভাই-ই গেয়েছেন একসঙ্গে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালে এই গান তাঁর সংগীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভির তৎকালীন প্রযোজক ও পরবর্তীতে পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি সেই পরিবেশনা শুনে মুগ্ধ হন। তাই যখন তিনি ‘ঘুড্ডি’ ছবিটি তৈরি করতে শুরু করেন, ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন লাকী আখান্দকে; অবশ্যই ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটিসহ। 

হ্যাপীর রেকর্ড করা গানের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়। মাত্র ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ-ছয়টি গানের বেশি রেকর্ড তিনি করতে পারেননি। পারার কথাও নয়। এখনকার মতো তখন গান প্রকাশের এত মাধ্যম যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থাও। হাতে গোনা অল্প কয়েকটি স্টুডিও, যেখানে সিনেমা, টিভি, রেডিও, রেকর্ড—সব মাধ্যমের জন্য রেকর্ডিং চলছে অবিরাম। এত এত গুণী মিউজিশিয়ানের মাঝে সময় বের করে নিজেদের একটা শিফট নিতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়। এই ভিড় ঠেলে কোনো শিল্পীরই পর্যাপ্ত গান তখন রেকর্ড করা যেত না। 

লাকী আখান্দবড় ভাই লাকী তখন পুরোদস্তুর সংগীত পরিচালক। তিনি বিটিভির নিয়মিত তালিকাভুক্ত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক, সিনেমাতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, রেডিও তো আছেই। নিজের গান করার চেয়ে লাকী বরং অন্য শিল্পীদের জন্যই গান করেন বেশি। বড় ভাইকে দেখে সেই চর্চাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেলেন হ্যাপী। তিনিও নিজে গাওয়ার চেয়ে অন্যদের গান কম্পোজ করতেই বেশি মনোযোগী হলেন। তাঁর সংগীতায়োজনে সবচেয়ে বেশি গান করেছেন ফিরোজ সাঁই। সাঁইজির বিখ্যাত মাইজভান্ডারি ক্ল্যাসিক গান—‘ইশকুল খুইলাছে রে মওলা’র সংগীতায়োজন হ্যাপীর করা। ফেরদৌস ওয়াহিদের বিখ্যাত ‘এমন একটা মা দে না’ গানেরও সংগীত পরিচালক হ্যাপী আখান্দ। এভাবে অনেক শিল্পীর অনেক বিখ্যাত গান তিনি করেছেন। আরেকটি গানের কথা মনে পড়ছে, সোলস ব্যান্ডের তৎকালীন লিড ভোকালিস্ট কুমার বিশ্বজিতের জন্য তিনি কম্পোজ করেছিলেন ‘তোকে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি। পরে অবশ্য বিশ্বজিৎ সেই গানটি তাঁর নিজের সলো অ্যালবামে প্রকাশ করেন। সোলসও বহুদিন গানটি স্টেজে পারফর্ম করেছে। 

হ্যাপীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছিলেন তাঁর সমবয়সী ব্যান্ড তারকা মাকসুদুল হক, যিনি শুরুতে বলা পালকি গানটি সৃষ্টি করেছিলেন হ্যাপীর স্মৃতির উদ্দেশে। ইউটিউব আবিষ্কারেরও অনেক আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম এক সাইটে, এখন সেটি আর খুঁজে পেলাম না কোথাও। সেই ভিডিওতে মাকসুদ হ্যাপীর ইন্টারকনে পিয়ানো বাজানোর ঘটনা স্মরণ করেন। হোটেল ইন্টারকনের অধুনালুপ্ত চাম্বেলি হাউসে একটি গ্র্যান্ড পিয়ানো ছিল, যা সাধারণত ইন্টারকনের কমিশন্ড মিউজিশিয়ান এবং বিদেশি অতিথিদের কেউ বাজাতে পারতেন, সর্বসাধারণের সেই পিয়ানো বাজানোর অনুমতি নেই। 

ফিডব্যাক তখন ইন্টারকনের রেসিডেন্ট ব্যান্ড হিসেবে নিয়মিত বাজায়। হ্যাপীর প্রতিষ্ঠা করা মাইলস ব্যান্ডও এনলিস্ট হয়েছে। তাই বলে সেই হাইলি ডিস্টিংগুইশড গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দেওয়ার অনুমতি এঁদের কারও নেই। কিন্তু সেটা মানতে পারতেন না সদ্য কৈশোর পেরোনো হ্যাপী। প্রায়ই তিনি বলতেন, একদিন আমি ওই পিয়ানো বাজাবই। এবং সত্যিই তিনি একদিন বসে গেলেন কাছেপিঠে কেউ নেই দেখে। মাকসুদ বলছেন, ‘আমি তাকে বাধা দেওয়ার আগেই সে এগিয়ে গেল এবং বসে পড়ল পিয়ানোর সামনে। স্ট্যান্ডে একটা খাতা ছিল, স্টাফ নোটেশন লেখা। সেটা খুলেই হ্যাপী বাজাতে শুরু করল।’ এর পর যা হলো, তা অভাবনীয়। প্রথম কিছুক্ষণ কেউ খেয়াল করল না, কে বাজাচ্ছে, কারণ এতটাই নিখুঁত ছিল সে বাজনা যে, কারও সন্দেহ হয়নি যে, নিয়মিত পিয়ানো বাদকের বাইরে অন্য কেউ বাজাচ্ছে। কিন্তু একটু পরই যখন বাজনা শুনে লোকজন জড়ো হতে শুরু করল, তখন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল। কিন্তু তারা কেউ হ্যাপীকে থামাতে গেলেন না। কারণ, ততক্ষণে সমঝদার শ্রোতারা তন্ময় হয়ে গেছেন হ্যাপির বাদনে। বয়স্ক এক বিদেশি ভদ্রলোক মাকসুদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘যে ছেলেটি বাজাচ্ছে, তুমি কি তাকে চেনো?’ মাকসুদ ‘হ্যাঁ’ বলতেই, তিনি বললেন, ‘অনেক বছরের সাধনা ছাড়া গ্র্যান্ড পিয়ানোর রিডে এভাবে আঙুল চালানো যায় না।’ মাকসুদ তাঁকে বললেন যে, ‘ওর নাম হ্যাপী এবং ও আজই প্রথম গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দিল। এর আগে সে কিবোর্ড বাজিয়েছে। কিন্তু অরিজিনাল পিয়ানো বলতে যা বোঝায়, মানে এখন যেটা বাজাচ্ছে, সেটাতে হাত দেওয়ার সুযোগ তার কোনো দিন হয়নি!’ বলাই বাহুল্য, সেই বিদেশি বিশ্বাস করলেন না। কারণ, স্টাফ নোটেশন দেখে দেখে হ্যাপী তাঁর সুনিপুণ হাতে বাজাচ্ছিলেন কোনো কালজয়ী শিল্পীর অমর সৃষ্টি (মাকসুদ বলেছিলেন সেটি কোনো বিখ্যাত সুরস্রষ্টার সৃষ্টিকর্ম, এত দিন পর আমার এখন তা মনে পড়ছে না)। 

বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয়ের কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল আরও অনেক কিছুহ্যাপী মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দেন ‘উইন্ডি সাইড অব কেয়ার’ নামক বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ডে। এই ব্যান্ড সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, পাকিস্তানিদেরই হাতে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে সেই ব্যান্ডের বাংলাদেশি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাকে আবারও গড়ে তোলেন হ্যাপী। সেই সময়ে বড় ভাই লাকীর সঙ্গে কলকাতার এইচএমভি স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ে অংশ নেন হ্যাপী। মাত্র ১২ বছর বয়সে। তিনি সেখানে তবলা বাজিয়েছিলেন। তবলার শুধু বাঁয়া বা ডুগি ব্যবহার করে তিনি ড্রামবিট দিচ্ছিলেন, যার অভিনব কায়দায় অবাক হয়ে রেকর্ডিং চলার সময়েই রেকর্ডিং রুমে ঢুকে পড়েছিলেন বিখ্যাত সংগীত পরিচালক কলিম শরাফিও। রেকর্ডিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে শুনেছিলেন তাঁর বাজানো। এর কিছুদিন পর লাকী আবারও কলকাতা গেলে হ্যাপীর কণ্ঠে রেকর্ড করা এবং তাঁর সংগীতায়োজনে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটির রেকর্ড নিয়ে যান। সেই রেকর্ড বাজানো হয় বিখ্যাত শিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তার বাসায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী মান্না দে এবং সংগীত পরিচালক আর ডি বর্মণ। তাঁরা মুগ্ধ হন এইটুকু ছেলের এত পরিণত সৃষ্টিকর্ম শুনে। তাঁরা আমন্ত্রণ জানান হ্যাপীকে কলকাতায় বাজানোর জন্য। হ্যাপী কলকাতা যান ১৯৭৫ সালে, বীরভূমের দুর্গাপুরে কনসার্টে অংশ নেন, যে কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিলেন আশা ভোসলে এবং আর ডি বর্মণ। তাঁদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উঠে হ্যাপী গেয়ে শোনান টানা ১১টি গান। আশা ভোসলের গান শুনতে আসা দর্শক বিমোহিত হয়ে শোনেন হ্যাপীর গান। পরে স্টেজে উঠে আশা ও আর ডি বর্মণ আশীর্বাদ করেন ছোট্ট হ্যাপীকে। আর হ্যাপী পেয়ে যান তাঁর এক অন্ধ ভক্তকে, যিনি পরে বিখ্যাত হন অনেক সাড়া জাগানো সব অ্যালবামের সংগীতায়োজন করে; নাম মধু মুখোপাধ্যায়। হ্যাপী আখন্দের এই ছাত্রের কম্পোজিশনেই প্রকাশ পায় সুমন চট্টোপাধ্যায় ও নচিকেতার প্রথম দিককার সব অ্যালবাম। 

বাংলাদেশের পপ-রক ঘরানার পাশ্চাত্য সংগীতের সবচেয়ে প্রতিভাবান শিল্পী ছিলেন হ্যাপী আখান্দ্‌। তাঁর বড় ভাই লাকী আখান্দ শুধু নয়, সমসাময়িক সব শিল্পীই দাবি করেন, তিনি আসলে সংগীতের একজন প্রডিজি ছিলেন। সময়ের অনেক আগে জন্মে যাওয়া অসামান্য এক প্রতিভা, যার বিকাশের উপযুক্ত সময়টা আসার আগেই তাঁকে চলে যেতে হয় অন্য সুরের ভুবনে। হ্যাপীর অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি লাকী। দিনের পর দিন তিনি সেই শোকে মুহ্যমান থেকেছেন, দূরে থেকেছেন সংগীত থেকে। এও আমাদের বাংলা গানের আরেক ক্ষতি। হ্যাপীর চলে যাওয়ায় আমরা হ্যাপীর সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছি যেমন, তেমনি বঞ্চিত হয়েছি লাকীর সৃষ্টি থেকেও। বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয় যদি পূর্ণ আয়ুষ্কালের শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারতেন, নিঃসন্দেহে আমাদের গান আরও অনেক অনেক সমৃদ্ধ হতো। 

আজ ২৮ ডিসেম্বর হ্যাপী আখান্দের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। যেখানেই থাকুন তিনি, ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। তাঁর সুরেলা স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লম্বা বিরতির পর সিনেমায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।

আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।

কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।

এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।

ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।

এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আজ ‘গানওয়ালাদের গান ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘গানওয়ালাদের গান ২’ কনসার্টের শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
‘গানওয়ালাদের গান ২’ কনসার্টের শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।

এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।

গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’

দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।

গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘কানতারা’, ‘লোকাহ’, ‘উইচার’ ঘরে বসেই দেখুন এবার

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
‘লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান’ সিনেমার দৃশ্য
‘লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান’ সিনেমার দৃশ্য

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: জয়া আহসান, সুমন ফারুক, রিকিতা নন্দিনী শিমু
  • মুক্তি: বঙ্গ (২ নভেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ঢাকার এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি।

ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)

  • অভিনয়: ধানুশ, নিথিয়া মেনন, সত্যরাজ
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৯ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: শহরে সবই আছে মুরুগানের—ভালো চাকরি, অর্থ, সম্মান। বাবার মৃত্যুর পর সব ছেড়ে সে গ্রামে ফিরে আসে। বাবার ইডলির দোকান নতুনভাবে শুরুর চেষ্টা করে। পথে আসে নানা বাধা। তবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার পণ করে মুরুগান।

কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)

  • অভিনয়: ঋষভ শেঠি, জয়ারাম, রুক্মিনী বসন্ত
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৩১ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ২০২২ সালে এসেছিল ‘কানতারা’। সেই সিনেমার আগের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রিকুয়েল ‘কানতারা চ্যাপ্টার ১’। এই গল্পের প্রধান চরিত্র বার্মি, কানতারা উপজাতির নেতা। বাংরা রাজ্যের রাজা কুলশেখরের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে বার্মি। দুই গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। কানতারা গোত্রের হয়ে যুদ্ধের জন্য জাগ্রত হয় পাঞ্জুরলি ও গুলিগা নামের দুই আত্মা।

লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)

  • অভিনয়: কল্যাণী প্রিয়দর্শন, নাসলেন
  • মুক্তি: জিও হটস্টার (৩১ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা লোকাহ। চন্দ্রা নামের এক রহস্যময় তরুণীর গল্প। শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য বেঙ্গালুরুতে চলে আসে সে। নিজের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা ব্যবহার করে এক সহকর্মীকে অঙ্গ পাচারকারী চক্রের হাত থেকে বাঁচায়। এ বিষয়টি দেখে ফেলে প্রতিবেশী সানি। এর পর শুরু হয় নানা সংকট।

দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)

  • অভিনয়: লিয়াম হেমসওয়ার্থ, ফ্রেয়া অ্যালান
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৩০ অক্টোবর)
  • গল্পসংক্ষেপ: আগের সিজনে প্রলয়ংকরী সব ঘটনার পর আলাদা হয়ে গিয়েছিল জেরাল্ট, ইয়েনেফার ও সিরি। সেখান থেকে আবার মিলিত হওয়ার চেষ্টা করবে প্রত্যেকেই। শত্রুদের মোকাবিলা করতে করতে সিরিকে খুঁজতে থাকে জেরাল্ট। ইয়েনেফার জাদুকরি সম্প্রদায় গড়ে তোলে। অন্যদিকে সিরি যোগ দেয় এক অপরাধী দলের সঙ্গে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজানের সময় গান থামিয়ে বাহবা পেলেন সনু নিগম

বিনোদন ডেস্ক
সনু নিগম। ছবি: সংগৃহীত
সনু নিগম। ছবি: সংগৃহীত

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।

২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’

সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।

২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।

কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত