মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
নদীমাতৃক এই দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মুর্শিদি, জারি, সারি গান হলো সংস্কৃতির অংশ। এই গানে রয়েছে গ্রামবাংলার কথা। এমন একসময় ছিল, যখন এলাকাভেদে গ্রামগঞ্জে শোনা যেত এই গান।
শাহ আবদুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান’ গানের একটি অংশ হলো–
‘হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইতো
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান
আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম’…
সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। নৌকার ওপরের গান। এই গান এককভাবে গাওয়া হয় না। নৌকায় কয়েকজন মিলে এই গান করতে হয়। শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস হলো সারি গানের সময়।
গানের সাধক সাইদুর রহমান বয়াতি। মানিকগঞ্জের কোনো এক গ্রামে এই বয়াতির শৈশব কেটেছে। তিনি মানিকগঞ্জের এক কিংবদন্তি। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে। ৯০ বছর বয়সেও তিনি ভরাট কণ্ঠে জারি, সারি ও বাউল গান শোনান। লোকসংগীতে অবদানের জন্য শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
এই সাধক তাঁর বাজানের (বাবা) কাছ থেকে দোতারা, সারিন্দা বাজিয়ে শেখেন গান। সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। এরপর তিনি পাকিস্তান আমলে আর স্বাধীন বাংলাদেশে গান করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে গান তাঁকে অদ্ভুতভাবে কাছে টানত। এ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গানসহ অনেক গান লিখেছেন।
সাইদুর রহমান বয়াতির একবার ব্যাংকে চাকরি হলো। সে সময় দেশে এল রূপবান গান। তিনি ছিলেন গানের মানুষ। ব্যাংকের হিসাবের খাতায় লিখলেন ‘সাগরপাড়ের নাইয়া’ গানের কয়েকটা লাইন। সে কারণে চাকরি হারান তিনি।
দীর্ঘসময় ধরে সারি গান করছেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, ‘সারি গানের মর্মকথা হলো এই যে আমাদের দেহ, এটা হলো একটা নৌকা। আর যে কাঠের নৌকায় আমরা উঠি, তা হলো মানবতরি। পানিকে বলা হয় মা গঙ্গা। সেই গঙ্গাতে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য সারি গানের শুরুতে বলা হয় ‘মা গঙ্গির নামে কইরা সার, নৌকা ধরি ভব পার দেয়, নৌকা ছাড়িল ছাড়িল রে’। সারি গান একেক এলাকায় একেক সুরের হয়। তবে মানিকগঞ্জের সারি গানের সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার সারি গানের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
যাঁরা গান করেন, তাঁদের বলা হয় গায়ক বা বয়াতি। গানের অর্থ হলো জ্ঞান লাভ করা। সাইদুর রহমান বয়াতি মনে করেন, ‘এখন নৌকা নাই, পানি নাই, নাই আগের দিনের মতো শৌখিন মানুষ। তাই সারি গানও নাই। এখন কেউ আর আগের মতো দল বেঁধে সারি গান করেন না। পাকিস্তান আমলে আমাকে সারি গান গাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। সারি গান কয়েক প্রকারের হয়। তার মধ্যে এক প্রকারের সারি গান হলো সারি বাঁধা। মানে সিরিয়াল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ …। এর মধ্যে যদি বলি ১, ৫, ৩, ২—তাহলে তো সারিবদ্ধ হলো না।’
‘সারি গানের নৌকার নাম খান্জী নৌকা। এখন আর এই নৌকা দেখা যায় না। এই নৌকা মালিকের ঘাট থেকে মেলা বা বাজারের উদ্দেশে ছাড়ার আগে আমার কমপক্ষে ছয়জন মানুষের সারি দেওয়া লাগব। সামনের দুজন গায়ক। তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন থাকেন। যেমন আমি। আর দোহার লাগব আরও চারজন। সারি গানে বাদ্যযন্ত্র থাকে বামা আর খঞ্জনি। আর কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে না। প্রথম যে গানটা আমাকে ওঠাতে হয়, সেটা হলো, “সাজাইয়া দেও মা তোমার গোপালরে। তোমার গোপাল যদি না যায় গোষ্ঠে, আমরা যাব না। গোপাল সাজাই দাও মা”।
‘এটা প্রথম গান। এই গান গাইলে পরে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা আবার গাইব “একা আসলা বড় নগরীতে, মাগো ভাগ্যবতী। একা আসলা বড় নগরীতে।” এরপর নৌকা কিছু দূর গেলে গাইব “নৌকা ছাড়িল, ছাড়িল রে। সোনার তরণি রণে ছাড়িল রে”। আরও কিছু দূর গেলে গাইব “উজান ছাড়িল, ছাড়িল রে। খোপের কবুতরগুইলা ছাড়িল ছাড়িল রে”। এভাবে নৌকা চলতে থাকল। তারপর আরও দূরে গেলে গাইব “যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া, সাত বন্ধুরে। যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া”। এভাবে সারিবদ্ধভাবে সারি গান চলতে থাকে। এরপর নৌকা যখন মেলা বা বাজারে গিয়ে পৌঁছায়, তখন “সাম্পান আইসাছে কদমতলে, ও ললিতে। সাম্পান আইসাছে কদমতলে। কীসে আমার রান্ধাবাড়া, কিসের হলুদ বাটা। আরে দুই নয়নের জলে আমার ভাইসা চলে পাতা। ও ললিতে সাম্পান আইসাছে কদমতলে”—এই গান গাইব।
‘এরপর বাইচের সময় আমরা যারা সারি গান করি, তারা নৌকা থেকে নেবে যাব। শুধু নৌকার মাঝিরা তখন নৌকায় উঠে বাইচে অংশগ্রহণ করবে। নৌকাবাইচ শেষ হলে জেতা না-জেতা সেটা তাদের ভাগ্যের বিষয়। এরপর আবার সারি গান দিয়ে শুরু হয় ফেরার পালা। শুরুতে করা হয় “মার কথা মনে পড়েছে এখন ভাইরে, চল এখন ঘরে ফিরে যাই”। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে গাইব “দুধে–ভাত মাখাইয়া মা বসে আছে পথে, শোনো ভাইয়ে, চল যাই মার কোলে গিয়ে দুধ-ভাত খাই”। এ রকম গাইতে গাইতে যখন মালিকের ঘাটে নৌকা নিয়ে ফিরি, তখন গাইতে থাকি “তোমার গোপাল আনইয়া দিলাম জননী, তোমার গোপাল বুইঝা নাও ঘরে”। এখানে সারি গানের সমাপ্তি ঘটে। এরপর যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।’
গানের সাধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে অনেক সারি গান আছে, যা বাংলাদেশে আর কারও কাছে নাই। গান হলো দেশের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, সে দেশের অঙ্গহানি হয়। বর্তমান সরকারের উচিত এসব গানের রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, আমি মরে যাওয়ার পর সারি গান এ দেশে থাকবে না। এখন তেমন কেউ জানেই না, সারি গান কী। ছোট একটা ঘটনা বলি, কোনো এক বছর ঢাকা থেকে ফোন দিল আমারে; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গান গাওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি এক বয়াতি সারি গান বলে যা শুনাইল, তা সারি গানের মধ্যে পড়ে না। তিনি গাইলেন “নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে”। এগুলো হলো সায়রের গান। আমি বললাম এগুলো সারি গান না। আমি সারি গান গাইতে পারব। তবে তার জন্য আমার কমপক্ষে চারজন লোক মানে দোহার লাগবে। কিন্তু পরে আমাকে আর সেখানে গাইতে দিল না। আমরা আর সারি গান শুনাইতে পারলাম না।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
নদীমাতৃক এই দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মুর্শিদি, জারি, সারি গান হলো সংস্কৃতির অংশ। এই গানে রয়েছে গ্রামবাংলার কথা। এমন একসময় ছিল, যখন এলাকাভেদে গ্রামগঞ্জে শোনা যেত এই গান।
শাহ আবদুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান’ গানের একটি অংশ হলো–
‘হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইতো
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান
আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম’…
সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। নৌকার ওপরের গান। এই গান এককভাবে গাওয়া হয় না। নৌকায় কয়েকজন মিলে এই গান করতে হয়। শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস হলো সারি গানের সময়।
গানের সাধক সাইদুর রহমান বয়াতি। মানিকগঞ্জের কোনো এক গ্রামে এই বয়াতির শৈশব কেটেছে। তিনি মানিকগঞ্জের এক কিংবদন্তি। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে। ৯০ বছর বয়সেও তিনি ভরাট কণ্ঠে জারি, সারি ও বাউল গান শোনান। লোকসংগীতে অবদানের জন্য শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।
এই সাধক তাঁর বাজানের (বাবা) কাছ থেকে দোতারা, সারিন্দা বাজিয়ে শেখেন গান। সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। এরপর তিনি পাকিস্তান আমলে আর স্বাধীন বাংলাদেশে গান করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে গান তাঁকে অদ্ভুতভাবে কাছে টানত। এ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গানসহ অনেক গান লিখেছেন।
সাইদুর রহমান বয়াতির একবার ব্যাংকে চাকরি হলো। সে সময় দেশে এল রূপবান গান। তিনি ছিলেন গানের মানুষ। ব্যাংকের হিসাবের খাতায় লিখলেন ‘সাগরপাড়ের নাইয়া’ গানের কয়েকটা লাইন। সে কারণে চাকরি হারান তিনি।
দীর্ঘসময় ধরে সারি গান করছেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, ‘সারি গানের মর্মকথা হলো এই যে আমাদের দেহ, এটা হলো একটা নৌকা। আর যে কাঠের নৌকায় আমরা উঠি, তা হলো মানবতরি। পানিকে বলা হয় মা গঙ্গা। সেই গঙ্গাতে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য সারি গানের শুরুতে বলা হয় ‘মা গঙ্গির নামে কইরা সার, নৌকা ধরি ভব পার দেয়, নৌকা ছাড়িল ছাড়িল রে’। সারি গান একেক এলাকায় একেক সুরের হয়। তবে মানিকগঞ্জের সারি গানের সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার সারি গানের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
যাঁরা গান করেন, তাঁদের বলা হয় গায়ক বা বয়াতি। গানের অর্থ হলো জ্ঞান লাভ করা। সাইদুর রহমান বয়াতি মনে করেন, ‘এখন নৌকা নাই, পানি নাই, নাই আগের দিনের মতো শৌখিন মানুষ। তাই সারি গানও নাই। এখন কেউ আর আগের মতো দল বেঁধে সারি গান করেন না। পাকিস্তান আমলে আমাকে সারি গান গাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। সারি গান কয়েক প্রকারের হয়। তার মধ্যে এক প্রকারের সারি গান হলো সারি বাঁধা। মানে সিরিয়াল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ …। এর মধ্যে যদি বলি ১, ৫, ৩, ২—তাহলে তো সারিবদ্ধ হলো না।’
‘সারি গানের নৌকার নাম খান্জী নৌকা। এখন আর এই নৌকা দেখা যায় না। এই নৌকা মালিকের ঘাট থেকে মেলা বা বাজারের উদ্দেশে ছাড়ার আগে আমার কমপক্ষে ছয়জন মানুষের সারি দেওয়া লাগব। সামনের দুজন গায়ক। তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন থাকেন। যেমন আমি। আর দোহার লাগব আরও চারজন। সারি গানে বাদ্যযন্ত্র থাকে বামা আর খঞ্জনি। আর কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে না। প্রথম যে গানটা আমাকে ওঠাতে হয়, সেটা হলো, “সাজাইয়া দেও মা তোমার গোপালরে। তোমার গোপাল যদি না যায় গোষ্ঠে, আমরা যাব না। গোপাল সাজাই দাও মা”।
‘এটা প্রথম গান। এই গান গাইলে পরে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা আবার গাইব “একা আসলা বড় নগরীতে, মাগো ভাগ্যবতী। একা আসলা বড় নগরীতে।” এরপর নৌকা কিছু দূর গেলে গাইব “নৌকা ছাড়িল, ছাড়িল রে। সোনার তরণি রণে ছাড়িল রে”। আরও কিছু দূর গেলে গাইব “উজান ছাড়িল, ছাড়িল রে। খোপের কবুতরগুইলা ছাড়িল ছাড়িল রে”। এভাবে নৌকা চলতে থাকল। তারপর আরও দূরে গেলে গাইব “যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া, সাত বন্ধুরে। যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া”। এভাবে সারিবদ্ধভাবে সারি গান চলতে থাকে। এরপর নৌকা যখন মেলা বা বাজারে গিয়ে পৌঁছায়, তখন “সাম্পান আইসাছে কদমতলে, ও ললিতে। সাম্পান আইসাছে কদমতলে। কীসে আমার রান্ধাবাড়া, কিসের হলুদ বাটা। আরে দুই নয়নের জলে আমার ভাইসা চলে পাতা। ও ললিতে সাম্পান আইসাছে কদমতলে”—এই গান গাইব।
‘এরপর বাইচের সময় আমরা যারা সারি গান করি, তারা নৌকা থেকে নেবে যাব। শুধু নৌকার মাঝিরা তখন নৌকায় উঠে বাইচে অংশগ্রহণ করবে। নৌকাবাইচ শেষ হলে জেতা না-জেতা সেটা তাদের ভাগ্যের বিষয়। এরপর আবার সারি গান দিয়ে শুরু হয় ফেরার পালা। শুরুতে করা হয় “মার কথা মনে পড়েছে এখন ভাইরে, চল এখন ঘরে ফিরে যাই”। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে গাইব “দুধে–ভাত মাখাইয়া মা বসে আছে পথে, শোনো ভাইয়ে, চল যাই মার কোলে গিয়ে দুধ-ভাত খাই”। এ রকম গাইতে গাইতে যখন মালিকের ঘাটে নৌকা নিয়ে ফিরি, তখন গাইতে থাকি “তোমার গোপাল আনইয়া দিলাম জননী, তোমার গোপাল বুইঝা নাও ঘরে”। এখানে সারি গানের সমাপ্তি ঘটে। এরপর যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।’
গানের সাধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে অনেক সারি গান আছে, যা বাংলাদেশে আর কারও কাছে নাই। গান হলো দেশের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, সে দেশের অঙ্গহানি হয়। বর্তমান সরকারের উচিত এসব গানের রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, আমি মরে যাওয়ার পর সারি গান এ দেশে থাকবে না। এখন তেমন কেউ জানেই না, সারি গান কী। ছোট একটা ঘটনা বলি, কোনো এক বছর ঢাকা থেকে ফোন দিল আমারে; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গান গাওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি এক বয়াতি সারি গান বলে যা শুনাইল, তা সারি গানের মধ্যে পড়ে না। তিনি গাইলেন “নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে”। এগুলো হলো সায়রের গান। আমি বললাম এগুলো সারি গান না। আমি সারি গান গাইতে পারব। তবে তার জন্য আমার কমপক্ষে চারজন লোক মানে দোহার লাগবে। কিন্তু পরে আমাকে আর সেখানে গাইতে দিল না। আমরা আর সারি গান শুনাইতে পারলাম না।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।
পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।
বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।
ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’
২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জল আর বেশি দূর গড়াতে না দিয়ে গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পূর্ণিমা জানালেন, তাঁর সংসার ভাঙার খবর সত্য নয়। স্বামীর সঙ্গে সুখে আছেন তিনি। বিচ্ছেদের খবর তাঁকে বিস্মিত করেছে।
পূর্ণিমার বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে তাঁর দেওয়া এক ফেসবুক পোস্ট থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ।’ এরপরেই শুরু হয় গুঞ্জন।
বিষয়টি টের পেয়ে ২২ অক্টোবর স্বামীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন পূর্ণিমা। কিন্তু তাতেও থামছিল না গুঞ্জন। অবশেষে গতকাল বিষয়টি পরিষ্কার করেন অভিনেত্রী।
ফেসবুকে পূর্ণিমা লেখেন, ‘সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার! কিছুদিন আগে আমার দেওয়া স্ট্যাটাসটি থেকে এমনটাই বোঝানো হয়েছিল। আসলে প্রতিটি মানুষের চারপাশে যা কিছু ঘটে, এসবকে কেন্দ্র করেই স্ট্যাটাসটা লেখা হয়েছিল। দিন শেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে। এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে-পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে সত্যতা নিশ্চিত না করে অনেকটা চটকদার শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সঙ্গে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসারজীবন নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।’
২০২২ সালের ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা। রবিন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন পূর্ণিমা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান আছে।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’
সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’
মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’
মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। এটা শেষ করেই শুটিং করবেন দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ কয়েকটি নাটকের। মনোজ বলেন, ‘বুসানে সাতটি মাস অভিনয়টা খুব মিস করেছি। ওখানে থাকতেই এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কথা হয়েছে। সাত মাস পর আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। খুব ভালো লাগছে।’
সাত মাসের এই কোর্স সম্পর্কে মনোজ বলেন, ‘এই কোর্সে মূলত প্রযোজনা বিষয়ে পড়াশোনা হয়েছে। এ ছাড়া প্র্যাকটিকালি শেখানো হয়েছে কীভাবে একটি সিনেমাকে মার্কেটে উপস্থাপন করতে হয়। বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যে মার্কেট আছে সেখানে আমাদের পিচিং করানো হয়। এটা খুব এক্সাইটিং ছিল। এ ছাড়া পড়াশোনার ধরন, শিক্ষক, বিষয়—সবই ভালো ছিল।’
মনোজ আরও বলেন, ‘এই কোর্সে এশিয়ার ১৫টি দেশ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকা, রান্না করা, খাওয়া, ক্লাস অ্যাটেন্ড করা—মনে হচ্ছিল আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গিয়েছি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতির দারুণ একটা আদান-প্রদান হয়েছে। ১৫টি দেশের নতুন বন্ধু পেয়েছি। এ এক বিশাল পাওয়া।’
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত মনোজ। মনপাচিত্র নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে তাঁর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘সেয়ানা’ নামের সিনেমা নির্মাণের জন্য প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন তিনি। এই কোর্সের অভিজ্ঞতা প্রযোজক হিসেবে অনেক কাজে দেবে বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক হিসেবে কোর্সটি আমার অনেক উপকারে আসবে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কীভাবে সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করতে হয়, কীভাবে একটি প্রজেক্ট উপস্থাপন করতে হয়, ফান্ড কালেক্ট করতে হয়—এসব বিষয়ে এই কোর্সে জোর দেওয়া হয়েছে।’
মনোজ জানিয়েছেন, তাঁর সেয়ানা সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত করে আগামী বছরের প্রথম ভাগে শুরু করতে চান শুটিং। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন ইকবাল হাসান খান।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

মবল্যান্ড
রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

ব্ল্যাক র্যাবিট
জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

ওজার্ক
আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।

মবল্যান্ড
রোনান বেনেট পরিচালিত ব্রিটিশ ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘মবল্যান্ড’-এর কেন্দ্রে আছে দুটি পরিবার—দ্য হারিগানস ও দ্য স্টিভেনসন। সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। নিজেদের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবিলা করতে হ্যারি দা সুজা নামের একজনকে নিয়োগ দেয় হারিগানস পরিবার। স্টিভেনসন পরিবারের সব রকমের হামলা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামে সে। মবল্যান্ড সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম হার্ডি, পিয়ার্স ব্রসনান, হেলেন মিরেন প্রমুখ। গত ৩০ মার্চ সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট প্লাসে। মবল্যান্ড নিয়ে আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণ চিত্রনাট্য, অনবদ্য নির্মাণ। এই সিরিজে সবচেয়ে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো, অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আর টানটান গল্প।’

ব্ল্যাক র্যাবিট
জ্যাক ও ভিন্স—দুই ভাইয়ের গল্প। এক ভাই নিউইয়র্ক শহরে রেস্টুরেন্ট চালায়। ব্ল্যাক র্যাবিট নামের রেস্টুরেন্টটি যখন জমজমাট, তখন একদিন হঠাৎ ফিরে আসে ভিন্সের ভাই জ্যাক। সে ঋণে জর্জরিত। জ্যাক আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের বিপদও আসে। মিথ্যা, সহিংসতা, বিশ্বাসঘাতকতায় তাদের জীবন ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। এ দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুড ল এবং জেসন বেটম্যান। নেটফ্লিক্সে ‘ব্ল্যাক র্যাবিট’ সিরিজটি প্রচার শুরু হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে সিরিজটি। গল্প কোথাও গতি হারায়নি, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল।’

ওজার্ক
আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ ‘ওজার্ক’। নেটফ্লিক্সে এই পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে চারটি সিজন। প্রতি সিজনে ১০টি করে পর্ব। তবে সবশেষ ২০২২ সালে প্রচারিত চতুর্থ সিজনে ১৪টি পর্ব ছিল। বড় অঙ্কের একটি অর্থ পাচারের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যাওয়ার পর অর্থ উপদেষ্টা মার্টি বার্ড ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। স্ত্রীকে নিয়ে মিসৌরির ওকার্ড হ্রদ অঞ্চলে পাড়ি জমায়। সেখানে গিয়ে স্থানীয় মাফিয়া ও অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মার্টি বার্ড। আরশাদ ওয়ারসি বলেন, ‘নির্মাতারা খুবই কৌশলী। প্রথম পর্ব এমন নাটকীয়ভাবে তৈরি করেছে যে বাকি পর্বগুলো দেখার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথম পর্ব যেভাবে মনোযোগ কেড়ে নেয়, তাতে পুরোটা না দেখে ওঠা কঠিন।’

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।
ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।
টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।
গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

প্রায় ১০ বছরের বিরতি কাটিয়ে এ বছর বাংলা সিনেমা নির্মাণে ফিরেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। গত জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘ডিয়ার মা’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান। এবার এই নির্মাতার সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশের দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণকে। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন চঞ্চল ও ফারিণ।
ব্রাত্য বসুর ‘শেকড়’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন চঞ্চল চৌধুরী। গত শুক্রবার কোয়েল মল্লিকের ডাকে গিয়েছিলেন ‘স্বার্থপর’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফারিণ। সেখানেই চঞ্চল জানান, তাঁরা দুজনেই সেদিন সিনেমা নিয়ে আলাপ করেছেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে। তবে আগে থেকে তাঁরা জানতেন না অনিরুদ্ধ তাঁদের একসঙ্গে ডেকেছেন। তাই একে অপরকে দেখে দুজনেই চমকে গিয়েছিলেন।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কেউ জানতাম না দুজনেই কলকাতায় আছি, পুরোটাই কাকতালীয়। সিনেমার শুটিং আর টোনিদা অর্থাৎ অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে একটি মিটিং করার জন্য আমি কলকাতায় আসি। আর ও (ফারিণ) এখানে টোনিদার সঙ্গে মিটিং করতে আসে। দুজনেই যাওয়ার পর দেখা হয় এবং তখন জানতে পারি দুজনেই এখানে আছি।’
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দুজনকে একই সিনেমায় দেখা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল বলেন, ‘সেটা এখনো নিশ্চিত না। তবে কথাবার্তা চলছে। সম্ভাবনা আছে। আশা করি আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
চঞ্চলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফারিণকেও বলতে শোনা যায়, ‘কথা হচ্ছে। দেখা যাক। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তাসনিয়া ফারিণের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে খুদে বার্তায় ফারিণ জানান, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চান না তিনি।
টালিউড সিনেমা ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় ফারিণের। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা পুরস্কার। এরপর বিপ্লব গোস্বামীর ‘পাত্রী চাই’ এবং অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপ্রতি ২’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল ফারিণের। ভিসা জটিলতার কারণে দুটি সিনেমা থেকেই সরে আসেন তিনি।
গত বছর সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে যাত্রা শুরু চঞ্চল চৌধুরীর। এতে তিনি অভিনয় করেন কিংবদন্তি নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে। সম্প্রতি চঞ্চল শেষ করেছেন শেকড় সিনেমার শুটিং। তাঁর হাতে রয়েছে অমিতাভ ভট্টাচার্যের ‘ত্রিধারা’। এতে প্রথমবার চঞ্চলের সঙ্গে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা।
২৩ এপ্রিল ২০২৩
হঠাৎ করেই আলোচনায় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তবে অভিনয় নয়, ব্যক্তিজীবন নিয়ে। কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, আশফাকুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যজীবনে চলছে ভাঙনের সুর। দুজনের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে—এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
চলচ্চিত্র প্রযোজনাবিষয়ক কোর্স করতে গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মনোজ প্রামাণিক। বুসান এশিয়ান ফিল্ম স্কুলের ‘প্রডিউসিং ট্র্যাক’ প্রোগ্রাম শেষ করে সাত মাস পর ২২ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন তিনি। গতকাল অংশ নিয়েছেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে।
৫ ঘণ্টা আগে
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি নিজে কমেডি চরিত্র বেশি করেন। তবে দর্শক হিসেবে তাঁর পছন্দের শীর্ষে থাকে ক্রাইম ও থ্রিলার গল্প। সম্প্রতি দেখা তিনটি সিরিজের নাম জানালেন আরশাদ ওয়ারসি, ভক্তদের দেখার জন্যও সাজেস্ট করলেন।
৫ ঘণ্টা আগে