Ajker Patrika

বদল এল চলচ্চিত্র অনুদানের নীতিমালায়

  • বাড়ানো হয়েছে অনুদানের সিনেমার সংখ্যা।
  • অগ্রাধিকার পাবেন পেশাদার নির্মাতারা।
  • সিনেমা বানানোর জন্য দ্বিগুণ সময় দেওয়া হবে।
  • গল্প লেখক ২ লাখ ও চিত্রনাট্যকার পাবেন ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার।
  • সিনেমা হলে অগ্রাধিকার পাবে অনুদানের সিনেমা।
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বদল এল চলচ্চিত্র অনুদানের নীতিমালায়

প্রতিবছর সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না বেশির ভাগ সিনেমার কাজ। নির্মাতারা অভিযোগ করেন, সিনেমা নির্মাণের জন্য যে সময় বেঁধে দেয় সরকার, তা যথেষ্ট নয়। সে কারণে সময়মতো সিনেমা মুক্তি দিতে পারেন না তাঁরা। এত দিনে নির্মাতাদের সেই সমস্যার একটা সমাধান হলো। এখন থেকে অনুদানের সিনেমা বানানোর জন্য দ্বিগুণ সময় পাবেন নির্মাতারা। সময়, চেক প্রদান, মুক্তির নিয়মসহ অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও বেশ কিছু নিয়মে বদল এনেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

৬ মার্চ ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার জন্য বিবেচনা করা হবে। এর আগের নীতিমালায় এ সংখ্যা ছিল ১০। এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রতিবছর ১০টির পরিবর্তে অনুদানের জন্য বিবেচিত হবে ২০টি চলচ্চিত্র।

আগের নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হলেও নতুন নীতিমালায় উপেক্ষিত এই বিভাগ। নতুন নীতিমালায় প্রস্তাবিত শাখায় আছে অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে কমপক্ষে প্রামাণ্যচিত্র একটি, শিশুতোষ ন্যূনতম একটি; রাজনৈতিক ইতিহাস তথা আবহমান বাংলার সকল রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, আন্দোলন ও বিপ্লব; যা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের নিয়ামকসংক্রান্ত কমপক্ষে একটি এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস তথা বাংলার ঐতিহ্য, মিথ ও ফোকলোর-সংক্রান্ত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

নতুন নীতিমালায় বেড়েছে লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের সম্মানী। গল্প লেখককে ২ লাখ এবং চিত্রনাট্যকারকে ৩ লাখ টাকা উৎসাহ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগে গল্প লেখক ও চিত্রনাট্যকারকে দেওয়া হতো ৫০ হাজার টাকা করে। পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য—দুই বিভাগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নির্মাতা/পরিচালকের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা। প্রস্তাবকারী পরিচালককে পূর্ব নির্মিত কমপক্ষে একটি চলচ্চিত্র অথবা নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক চলচ্চিত্রে তাঁর ভূমিকা থাকতে হবে।

আগের নীতিমালায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সময় বেঁধে দেওয়া হতো ৯ মাস। এখন অনুদানের প্রথম চেক পাওয়ার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এ সময় বেড়েছে ১৮ মাস। সময় বেড়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও। স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণে ১২ মাস এবং প্রামাণ্যচিত্রের জন্য ২৪ মাস সময় পাবেন নির্মাতারা। তবে যৌক্তিক বিবেচনায় পূর্ণদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে ছয় মাস ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে তিন মাস করে সর্বোচ্চ দুবার সময় বাড়ানো যাবে।

পরিবর্তন এসেছে অর্থ প্রদানের নিয়মেও। এখন প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে অনুদানের ২০ শতাংশ। এই অর্থ প্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে শুটিং শিডিউল, প্রোডাকশন প্ল্যান, লোকেশন ব্যবহারের অনুমতি, শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সম্পাদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি জমা দিতে হবে। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি সন্তুষ্ট হলে দেওয়া হবে অনুদানের ৫০ শতাংশ অর্থ। অনুদানের সিনেমার পারিশ্রমিক নিয়ে অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী চিত্রায়িত অংশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ রাফকাট এবং শিল্পীদের সম্মানী প্রাপ্তির প্রমাণপত্র দেখানোর পর মিলবে আরও ২০ শতাংশ অর্থ। সিনেমা মুক্তির পর মিলবে বাকি ১০ শতাংশ অর্থ।

অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের চিত্রায়ণ, এডিটিং, ডাবিং ইত্যাদি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে বিএফডিসি সার্ভিস চার্জের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রযোজক/নির্মাতা/আবেদনকারীর কোনো সমিতির সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রেও এসেছে নতুন নিয়ম। কমপক্ষে দেশের পাঁচটি হলে অথবা কমপক্ষে ১০টি জেলা তথ্য কমপ্লেক্স/শিল্পকলা একাডেমি/পাবলিক অডিটরিয়াম/ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া অনুদানের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য চলচ্চিত্রের চেয়ে অগ্রাধিকার পাবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সিনেমা হলের মালিককে কর রেয়াতসহ অন্যান্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করবে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চলচ্চিত্র জমা দিতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। নির্মীয়মাণ বা মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো সিনেমার চিত্রনাট্য জমা দেওয়া যাবে না। অনুদান পাওয়া কোনো চলচ্চিত্র যদি মৌলিক নয় বলে প্রমাণিত হয় অথবা নির্মাতা চুক্তি ভঙ্গ করেন, তাহলে অনুদানের টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। অনুদান পেতে আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রুনা লায়লাকে নিয়ে উপন্যাস ‘মায়ার সিংহাসন’ প্রকাশিত হবে শিল্পীর জন্মদিনে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।

লেখকের মতে, রুনা লায়লাকে নিয়ে লেখা মায়ার সিংহাসন শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সুরের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের যাত্রা। রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা অনুভব, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে নিয়ে যাবে এক মায়াবী সুরের ভুবনে। লেখকের কলমে ভর করে শব্দগুলো যেন সুরে রূপ নেয়, আর সেই সুরের ভেতর থেকে জন্ম নেয় গল্প।

লেখক আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, ‘রুনা লায়লা জনপ্রিয় শিল্পী, গুণীজন। তাঁর গান শ্রোতার মনকে আন্দোলিত করে। যখনই রুনা লায়লার কণ্ঠে গান শুনি, মনে হয় আমি অন্য এক সময়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে মানুষ ছিল কম, সুর ছিল বেশি। এই উপন্যাস আসলে সেই যাত্রারই গল্প।’

এক ভিডিও বার্তায় মায়ার সিংহাসন উপন্যাসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘মায়ার সিংহাসন বইটি আমাকে নিয়ে লিখেছে। আমার জন্যই লিখেছে। সবাই পড়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।’ মায়ার সিংহাসন উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিচালক, প্রযোজক বদলে এক যুগ পর আসছে শুভ ও তমা অভিনীত সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে। সে সময় অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু সিনেমায়। এসবের মধ্যে এমন কয়েকটি সিনেমা আছে, যেগুলোর শুটিং শেষ হয়নি, আবার কিছু সিনেমার শুটিং শেষ হলেও মুক্তি পায়নি। তেমন একটি সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। এই সিনেমায় তমা অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। শুটিং শুরুর এক যুগ পর ৭ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে বদলে গেছে সিনেমার নাম। শুধু তা-ই নয়, বদল হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকও।

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। সিনেমাটি প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের বানানোর কথা থাকলেও শুটিং শুরুর আগে তিনি সরে আসেন। দ্য রেইন পিকচার্সের ব্যানারে সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে থাকা ফয়েজুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশনায় শুরু হয় শুটিং। দেশে ফিরে তিনি এই সিনেমার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।

এরপর তাঁর নির্দেশনাতেই চলে শুটিং। ২০১৬ সালের দিকে শুটিং শেষের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে নেই পুরোনো কেউ। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা যাচ্ছে, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, মন যে বোঝে না।

‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা
‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা

সিনেমা মুক্তির খবর জানিয়ে পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে আমরা চেষ্টা করেছি সমাজ, জীবন আর মানুষের অনুভূতির গল্প তুলে ধরতে। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনই আমাদের এই যাত্রাকে সার্থক করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষে তিনি সরে আসেন। পরে আয়েশা সিদ্দিকা এটি শেষ করেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে যখন এই সিনেমার শুটিং হচ্ছিল, তখন আমি অনেক ব্যস্ত। একের পর এক সিনেমা ছিল আমার হাতে। কিন্তু এই সিনেমার শুটিং বিরতি দিয়ে হচ্ছিল। শিডিউল মেলাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রায় ৪০ ভাগ শুটিংয়ের পর আমি বের হয়ে আসি।’

সিনেমার মাঝপথে সরে এলেও মন যে বোঝে না সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে তুহিন ও প্রত্যয়ের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।

মানবতার জয় হোক গানটি নিয়ে শফিক তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আস্থা, ভরসা ও গর্বের জায়গা। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছি। গানটি করতে গিয়ে যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’

প্রত্যয় খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এই গান। চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগবে—এমন একটি সুর করতে, সুন্দর করে গাইতে। আশা করি, গানটি আমাদের ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

গীতিকার শফিক তুহিন লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দেন এবং সুর করেন। গানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

অন্যদিকে, বাবা রিপন খান ও বড় ভাই হৃদয় খানের পথ ধরে মিউজিকে আসা প্রত্যয় খানের। গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত আয়োজন করেন তিনি। অভিনয়েও দেখা গেছে তাঁকে। ২০১২ সালে অপূর্ব ও পড়শীর সঙ্গে ‘রিদম’ নামের নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যয়। এরপর মডেল হয়েছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও গানে। চলতি বছরে তিনি অভিনয় করেছেন সম্রাট জাহাঙ্গীর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। এতে একজন মিউজিশিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রত্যয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পারিবারিক গল্পে নতুন ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।

পরিচালনার পাশাপাশি ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, মনিরা আক্তার মিঠু, নাদের চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, ডিকন নূর, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ জানান, এটা আমাদের গল্প ধারাবাহিকটিতে পারিবারিক বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের মূল শক্তি হলো পরিবার। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারকে কেন্দ্র করে বলা গল্পগুলো দর্শকের হৃদয়ে সব সময় গভীরভাবে দাগ কাটে। তাই এই সিরিজের ট্যাগলাইন রেখেছি “পরিবারই শুরু, পরিবারই শেষ”। গল্পে আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব আর মমত্ববোধ। দর্শক যেন নিজের জীবনের টুকরা টুকরা অংশ এখানে খুঁজে পান, সেটাই আমাদের মূল চেষ্টা।’

এই ধারাবাহিকের জন্য তিনটি গান তৈরি হয়েছে। মাহমুদ মানজুরের লেখা টাইটেল গানটি সুর করেছেন আরফিন রুমি, কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান ও আরফিন রুমি। তারিক তুহিনের লেখা ‘সে মানালে’ শিরোনামের গানটি নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে গেয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল। সিয়াম সরকারের লেখা ‘জানি না’ শিরোনামের একটি গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন প্রত্যয় খান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সুস্মিতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত