মীর রাকিব হাসান, ঢাকা

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৩ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৩ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৩ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৩ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে