নিজের কর্মদোষে একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়ছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। কিছুতেই যেন সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না তাঁর। বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বিতর্কিত প্রশ্নের উপস্থাপন করে নানা সময়ে সমালোচিত হন জয়। অবশ্য, সেই সমালোচনার জের ধরে অনুষ্ঠানের ভিউ বাড়ায় বিষয়টি সচেতনভাবেই উপভোগ করেন তিনি।
এবার সামনে এলো আরও এক ঘটনা। পূর্বাচলে জায়গা পেতে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন জয়। সেই চিঠিতে এক খণ্ড জমি পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা বলে সম্বোধন করেছেন জয়। সেই চিঠির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। অসংখ্যজন সেই চিঠি শেয়ার দিচ্ছেন, নানা ধরনের মন্তব্যও করছেন।
আবেদনের শুরুতেই শাহরিয়ার নাজিম জয় সম্বোধন করেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা’। এরপর তিনি লিখছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’
শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রশংসা জানিয়ে জয় লেখেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন, তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে।’
আবেদনের তৃতীয় প্যারায় তিনি নিজের চাওয়া স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা, ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’
আবেদনপত্রটি তিনি শেষ করেছেন পূর্বাচলে একটি প্লটের জোরালো দাবি জানিয়ে। তিনি লেখেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন- আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)।’
এমন আবেগঘন আবেদনের প্রেক্ষিতে জয় তার কাঙ্খিত প্লটটি পেয়েছেন কিনা তা জানতে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি জয়।
অন্যদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কদিন আগেই শাহরিয়ার নাজিম জয়সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জয় বলেছিলেন, ‘মামলার ঘটনায় খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনো কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাইনি। কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুরো দেশ যখন উত্তপ্ত, জয় তখন যেন একেবারেই নির্লিপ্ত। তাঁর এমন ভূমিকা বিস্মিত করে সবাইকে, সমালোচনার মুখে পড়েন জয়। সেই সমালোচনা এড়াতে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারায় এক ভিডিও বার্তায় জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। জয় বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারার জন্য জাতির কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ আর কিছু নাই। আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন।’
২০০৭ সালে ‘গোধুলি লগ্নে’ নাটক দিয়ে টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয় শাহরিয়ার নাজিম জয়ের। অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। এ ছাড়া এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টকশো ‘সেন্স অব হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’, একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইয়ে ‘৩০০ সেকেন্ড’ নামের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নানা ধরনের বিতর্কিত প্রশ্ন করে তারকাদের বিব্রত করার অভিযোগ রয়েছে জয়ের বিরুদ্ধে।
নিজের কর্মদোষে একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়ছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। কিছুতেই যেন সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না তাঁর। বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বিতর্কিত প্রশ্নের উপস্থাপন করে নানা সময়ে সমালোচিত হন জয়। অবশ্য, সেই সমালোচনার জের ধরে অনুষ্ঠানের ভিউ বাড়ায় বিষয়টি সচেতনভাবেই উপভোগ করেন তিনি।
এবার সামনে এলো আরও এক ঘটনা। পূর্বাচলে জায়গা পেতে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন জয়। সেই চিঠিতে এক খণ্ড জমি পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা বলে সম্বোধন করেছেন জয়। সেই চিঠির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। অসংখ্যজন সেই চিঠি শেয়ার দিচ্ছেন, নানা ধরনের মন্তব্যও করছেন।
আবেদনের শুরুতেই শাহরিয়ার নাজিম জয় সম্বোধন করেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা’। এরপর তিনি লিখছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’
শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রশংসা জানিয়ে জয় লেখেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন, তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে।’
আবেদনের তৃতীয় প্যারায় তিনি নিজের চাওয়া স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা, ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’
আবেদনপত্রটি তিনি শেষ করেছেন পূর্বাচলে একটি প্লটের জোরালো দাবি জানিয়ে। তিনি লেখেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন- আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)।’
এমন আবেগঘন আবেদনের প্রেক্ষিতে জয় তার কাঙ্খিত প্লটটি পেয়েছেন কিনা তা জানতে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি জয়।
অন্যদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কদিন আগেই শাহরিয়ার নাজিম জয়সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জয় বলেছিলেন, ‘মামলার ঘটনায় খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনো কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাইনি। কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুরো দেশ যখন উত্তপ্ত, জয় তখন যেন একেবারেই নির্লিপ্ত। তাঁর এমন ভূমিকা বিস্মিত করে সবাইকে, সমালোচনার মুখে পড়েন জয়। সেই সমালোচনা এড়াতে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারায় এক ভিডিও বার্তায় জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। জয় বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারার জন্য জাতির কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ আর কিছু নাই। আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন।’
২০০৭ সালে ‘গোধুলি লগ্নে’ নাটক দিয়ে টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয় শাহরিয়ার নাজিম জয়ের। অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। এ ছাড়া এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টকশো ‘সেন্স অব হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’, একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইয়ে ‘৩০০ সেকেন্ড’ নামের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নানা ধরনের বিতর্কিত প্রশ্ন করে তারকাদের বিব্রত করার অভিযোগ রয়েছে জয়ের বিরুদ্ধে।
কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরের দ্বিতীয় দিন ওয়ার্ল্ড উইমেন কানস অ্যাজেন্ডা ডিসকাশন পর্বে অংশ নিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও প্রযোজক বর্ষা। ‘নিউ এরা অব আইডেন্টি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড গ্লোবাল সিনেমা’ শীর্ষক এই সেমিনারে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন বর্ষা।
২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের নভেম্বরে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালের রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। তবে ঈদের আগে টিজার প্রকাশ করে জানানো হয় রোজা নয়, কোরবানির ঈদে আসছে সিনেমাটি। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। এরপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নির্মাতা ও প্রযোজকেরাও নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগেরোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ৬টি সিনেমা, যার ৪টিই দর্শকপ্রিয় হয়েছিল। এখনো বিভিন্ন হলে চলছে ‘বরবাদ’, ‘দাগি’, ‘চক্কর’ ও ‘জংলি’। অবশেষে দেড় মাস পর প্রেক্ষাগৃহে আলোর মুখ দেখছে নতুন সিনেমা। আজ থেকে দেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘জয়া আর শারমিন’।
২ ঘণ্টা আগেঢাকায় অবস্থিত জার্মান কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে ‘সিনে সন্ধ্যা’ আয়োজনে প্রদর্শিত হবে গোলাম রাব্বানী পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘ছুরত’ ও ‘আনটং’। ১৮ মে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত স্বল্পদৈর্ঘ্য দুটি। মানুষের বাক্স্বাধীনতা ও কথা বলার মৌলিক অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে আনটাং। ছুরত নির্মিত হয়েছে মানুষের
৩ ঘণ্টা আগে