Ajker Patrika

প্লটের আশায় শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে লেখা জয়ের চিঠি ভাইরাল

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ০৪
প্লটের আশায় শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে লেখা জয়ের চিঠি ভাইরাল

নিজের কর্মদোষে একের পর এক সমালোচনার মুখে পড়ছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। কিছুতেই যেন সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না তাঁর। বিভিন্ন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বিতর্কিত প্রশ্নের উপস্থাপন করে নানা সময়ে সমালোচিত হন জয়। অবশ্য, সেই সমালোচনার জের ধরে অনুষ্ঠানের ভিউ বাড়ায় বিষয়টি সচেতনভাবেই উপভোগ করেন তিনি।

এবার সামনে এলো আরও এক ঘটনা। পূর্বাচলে জায়গা পেতে ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন জয়। সেই চিঠিতে এক খণ্ড জমি পাওয়ার আশায় প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা বলে সম্বোধন করেছেন জয়। সেই চিঠির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। অসংখ্যজন সেই চিঠি শেয়ার দিচ্ছেন, নানা ধরনের মন্তব্যও করছেন।

আবেদনের শুরুতেই শাহরিয়ার নাজিম জয় সম্বোধন করেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা’। এরপর তিনি লিখছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’

শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রশংসা জানিয়ে জয় লেখেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন, তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে।’

আবেদনের তৃতীয় প্যারায় তিনি নিজের চাওয়া স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা, ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’

আবেদনপত্রটি তিনি শেষ করেছেন পূর্বাচলে একটি প্লটের জোরালো দাবি জানিয়ে। তিনি লেখেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন- আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)।’
এমন আবেগঘন আবেদনের প্রেক্ষিতে জয় তার কাঙ্খিত প্লটটি পেয়েছেন কিনা তা জানতে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি জয়। 

চিঠি-২অন্যদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কদিন আগেই শাহরিয়ার নাজিম জয়সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে শিল্পী আসিফ ইমাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জয় বলেছিলেন, ‘মামলার ঘটনায় খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনো কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাইনি। কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল আমি শুটিংয়ের কাজে নেপালে ছিলাম।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুরো দেশ যখন উত্তপ্ত, জয় তখন যেন একেবারেই নির্লিপ্ত। তাঁর এমন ভূমিকা বিস্মিত করে সবাইকে, সমালোচনার মুখে পড়েন জয়। সেই সমালোচনা এড়াতে ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারায় এক ভিডিও বার্তায় জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। জয় বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা না রাখতে পারার জন্য জাতির কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। ক্ষমার চেয়ে বড় গুণ আর কিছু নাই। আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন।’

২০০৭ সালে ‘গোধুলি লগ্নে’ নাটক দিয়ে টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয় শাহরিয়ার নাজিম জয়ের। অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। এ ছাড়া এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টকশো ‘সেন্স অব হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’, একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি চ্যানেল আইয়ে ‘৩০০ সেকেন্ড’ নামের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নানা ধরনের বিতর্কিত প্রশ্ন করে তারকাদের বিব্রত করার অভিযোগ রয়েছে জয়ের বিরুদ্ধে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রুনা লায়লাকে নিয়ে উপন্যাস ‘মায়ার সিংহাসন’ প্রকাশিত হবে শিল্পীর জন্মদিনে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।

লেখকের মতে, রুনা লায়লাকে নিয়ে লেখা মায়ার সিংহাসন শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সুরের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের যাত্রা। রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা অনুভব, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে নিয়ে যাবে এক মায়াবী সুরের ভুবনে। লেখকের কলমে ভর করে শব্দগুলো যেন সুরে রূপ নেয়, আর সেই সুরের ভেতর থেকে জন্ম নেয় গল্প।

লেখক আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, ‘রুনা লায়লা জনপ্রিয় শিল্পী, গুণীজন। তাঁর গান শ্রোতার মনকে আন্দোলিত করে। যখনই রুনা লায়লার কণ্ঠে গান শুনি, মনে হয় আমি অন্য এক সময়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে মানুষ ছিল কম, সুর ছিল বেশি। এই উপন্যাস আসলে সেই যাত্রারই গল্প।’

এক ভিডিও বার্তায় মায়ার সিংহাসন উপন্যাসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘মায়ার সিংহাসন বইটি আমাকে নিয়ে লিখেছে। আমার জন্যই লিখেছে। সবাই পড়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।’ মায়ার সিংহাসন উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পরিচালক, প্রযোজক বদলে এক যুগ পর আসছে শুভ ও তমা অভিনীত সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে। সে সময় অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু সিনেমায়। এসবের মধ্যে এমন কয়েকটি সিনেমা আছে, যেগুলোর শুটিং শেষ হয়নি, আবার কিছু সিনেমার শুটিং শেষ হলেও মুক্তি পায়নি। তেমন একটি সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। এই সিনেমায় তমা অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। শুটিং শুরুর এক যুগ পর ৭ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে বদলে গেছে সিনেমার নাম। শুধু তা-ই নয়, বদল হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকও।

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। সিনেমাটি প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের বানানোর কথা থাকলেও শুটিং শুরুর আগে তিনি সরে আসেন। দ্য রেইন পিকচার্সের ব্যানারে সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে থাকা ফয়েজুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশনায় শুরু হয় শুটিং। দেশে ফিরে তিনি এই সিনেমার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।

এরপর তাঁর নির্দেশনাতেই চলে শুটিং। ২০১৬ সালের দিকে শুটিং শেষের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে নেই পুরোনো কেউ। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা যাচ্ছে, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, মন যে বোঝে না।

‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা
‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা

সিনেমা মুক্তির খবর জানিয়ে পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে আমরা চেষ্টা করেছি সমাজ, জীবন আর মানুষের অনুভূতির গল্প তুলে ধরতে। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনই আমাদের এই যাত্রাকে সার্থক করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষে তিনি সরে আসেন। পরে আয়েশা সিদ্দিকা এটি শেষ করেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে যখন এই সিনেমার শুটিং হচ্ছিল, তখন আমি অনেক ব্যস্ত। একের পর এক সিনেমা ছিল আমার হাতে। কিন্তু এই সিনেমার শুটিং বিরতি দিয়ে হচ্ছিল। শিডিউল মেলাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রায় ৪০ ভাগ শুটিংয়ের পর আমি বের হয়ে আসি।’

সিনেমার মাঝপথে সরে এলেও মন যে বোঝে না সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে তুহিন ও প্রত্যয়ের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।

মানবতার জয় হোক গানটি নিয়ে শফিক তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আস্থা, ভরসা ও গর্বের জায়গা। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছি। গানটি করতে গিয়ে যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’

প্রত্যয় খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এই গান। চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগবে—এমন একটি সুর করতে, সুন্দর করে গাইতে। আশা করি, গানটি আমাদের ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

গীতিকার শফিক তুহিন লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দেন এবং সুর করেন। গানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

অন্যদিকে, বাবা রিপন খান ও বড় ভাই হৃদয় খানের পথ ধরে মিউজিকে আসা প্রত্যয় খানের। গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত আয়োজন করেন তিনি। অভিনয়েও দেখা গেছে তাঁকে। ২০১২ সালে অপূর্ব ও পড়শীর সঙ্গে ‘রিদম’ নামের নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যয়। এরপর মডেল হয়েছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও গানে। চলতি বছরে তিনি অভিনয় করেছেন সম্রাট জাহাঙ্গীর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। এতে একজন মিউজিশিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রত্যয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পারিবারিক গল্পে নতুন ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।

পরিচালনার পাশাপাশি ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, মনিরা আক্তার মিঠু, নাদের চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, ডিকন নূর, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ জানান, এটা আমাদের গল্প ধারাবাহিকটিতে পারিবারিক বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের মূল শক্তি হলো পরিবার। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারকে কেন্দ্র করে বলা গল্পগুলো দর্শকের হৃদয়ে সব সময় গভীরভাবে দাগ কাটে। তাই এই সিরিজের ট্যাগলাইন রেখেছি “পরিবারই শুরু, পরিবারই শেষ”। গল্পে আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব আর মমত্ববোধ। দর্শক যেন নিজের জীবনের টুকরা টুকরা অংশ এখানে খুঁজে পান, সেটাই আমাদের মূল চেষ্টা।’

এই ধারাবাহিকের জন্য তিনটি গান তৈরি হয়েছে। মাহমুদ মানজুরের লেখা টাইটেল গানটি সুর করেছেন আরফিন রুমি, কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান ও আরফিন রুমি। তারিক তুহিনের লেখা ‘সে মানালে’ শিরোনামের গানটি নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে গেয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল। সিয়াম সরকারের লেখা ‘জানি না’ শিরোনামের একটি গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন প্রত্যয় খান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সুস্মিতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত