
আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।
ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।
ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ।
৩ ঘণ্টা আগে
সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।
মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।
দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।
পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।
দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন পূজা চেরি। তবে গতকাল সকাল থেকে খবর ছড়ায়, দম সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জন ঘুচিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সিনেমার মহরতে দম-এর নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করা হলো পূজা চেরির নাম।
মহরত অনুষ্ঠানে পূজা চেরিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় নাটকীয়ভাবে। অনুষ্ঠানে দুই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো কথা বলা শেষ করলে, পালকিতে চড়ে প্রবেশ করেন নায়িকা। পর্দা দিয়ে ঘেরা সেই পালকি থেকে পূজাকে নামিয়ে আনেন নিশো।
দম সিনেমা নিয়ে কথা বলার সময় রীতিমতো নার্ভাস লাগছিল পূজাকে। নায়িকা জানালেন, অনেক কথা সাজিয়ে এসেছিলেন বলার জন্য, কিন্তু অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে সব গুলিয়ে ফেলেছেন। এ সময় পূজা জানান, দম সিনেমায় অডিশন দিয়েই চূড়ান্ত হয়েছেন তিনি।
পূজা চেরি বলেন, ‘দম সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে এই সিনেমায় যুক্ত করার জন্য। এই সিনেমার চরিত্রটির জন্য আমাকে অডিশন দিতে হয়েছে। এরপর আমাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে ছোটবেলায় চঞ্চল দাদার সঙ্গে কাজ করলেও, নিশো ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করা হবে। আশা করছি সবাই মিলে ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারব।’
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় সারভাইভাল গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে দমের কাহিনি। দুই বছর আগে প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গিয়েছিল, চারপাশে পাহাড়বেষ্টিত মরুভূমিতে একটি গাধার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে এক ছেলে। তার চোখ বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেওয়া প্রবাসীদের সংগ্রামের গল্প ফুটে উঠবে সিনেমায়।
দম সিনেমার শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব, জর্ডানের নাম শোনা গেলেও কাজাখস্তানেই দৃশ্যায়নের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন নির্মাতারা। শিগগিরই শুরু হবে শুটিং। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড ও চরকি। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে দম।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ।
৩ ঘণ্টা আগে
সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নাট্যকার সাদাত রাসেল। একাধিকবার নির্মাতার কাছে পারিশ্রমিক চাইলেও তাঁকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নাট্যকার।
নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাদাত রাসেল বলেন, ‘একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে—শিরোনামে আমার লেখা গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে শুটিং করা হয়। পরবর্তী সময়ে নির্মাতার সিদ্ধান্তে শিরোনাম পরিবর্তন করে গত বছর ১২ এপ্রিল ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে “তুই আমারই” নামে প্রকাশ করা হয়। নাটকটি দ্রুত ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে আসে এবং এখনো উল্লেখযোগ্য হারে এর ভিউ বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রকাশের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমার লেখক সম্মানী পাইনি। যদিও শুটিং শুরুর আগেই নির্মাতা আমাকে অ্যাডভান্স পেমেন্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শুটিং শেষে নাটকটি মুক্তি দেওয়ার পরেও কোনো রকম পেমেন্ট করা হয়নি আমাকে। আরও অবাক হয়েছি, রয়্যালটির যে অ্যাগ্রিমেন্টের কথা বলা হয়— সেখানে আমার কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নাট্যকার বা লেখকের আইনগত অনুমতি ছাড়া কনটেন্ট প্রকাশিত হওয়া কতটা বৈধ, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ।’
নাট্যকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ, তাই তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করা হবে। তা না হলে লিগ্যালওয়ে তো আছে। অভিযোগ থাকলে সেভাবে সমাধান হবে।’
নাট্যকারের পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি জানেন সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। নাট্যকার সাদাত রাসেল কয়েক দিন আগে আমাকে জানিয়েছেন। আমি পরিচালক তৌফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে ফেলবেন।’
শাহেদ আলী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটক নির্মাণ হয়। অনেক সময় চুক্তি ভিত্তিতে নির্মাতাদের কাজগুলো দিয়ে থাকি। সে ক্ষেত্রে শিল্পী-কলাকুশলীসহ সবার পারিশ্রমিকের বিষয়টিও তাঁরা দেখেন। তুই আমারই নাটক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মোটেও কাম্য নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি হয়। সিএমভির পক্ষ থেকে এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি পরিচালককে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি, তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত তাঁকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নাট্যকার সাদাত রাসেল। একাধিকবার নির্মাতার কাছে পারিশ্রমিক চাইলেও তাঁকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নাট্যকার।
নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাদাত রাসেল বলেন, ‘একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে—শিরোনামে আমার লেখা গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে শুটিং করা হয়। পরবর্তী সময়ে নির্মাতার সিদ্ধান্তে শিরোনাম পরিবর্তন করে গত বছর ১২ এপ্রিল ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে “তুই আমারই” নামে প্রকাশ করা হয়। নাটকটি দ্রুত ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে আসে এবং এখনো উল্লেখযোগ্য হারে এর ভিউ বাড়ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রকাশের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমার লেখক সম্মানী পাইনি। যদিও শুটিং শুরুর আগেই নির্মাতা আমাকে অ্যাডভান্স পেমেন্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শুটিং শেষে নাটকটি মুক্তি দেওয়ার পরেও কোনো রকম পেমেন্ট করা হয়নি আমাকে। আরও অবাক হয়েছি, রয়্যালটির যে অ্যাগ্রিমেন্টের কথা বলা হয়— সেখানে আমার কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় নাট্যকার বা লেখকের আইনগত অনুমতি ছাড়া কনটেন্ট প্রকাশিত হওয়া কতটা বৈধ, সেটা প্রশ্নবিদ্ধ।’
নাট্যকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ, তাই তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করা হবে। তা না হলে লিগ্যালওয়ে তো আছে। অভিযোগ থাকলে সেভাবে সমাধান হবে।’
নাট্যকারের পারিশ্রমিক না পাওয়ার বিষয়টি জানেন সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী পাপ্পু। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি। নাট্যকার সাদাত রাসেল কয়েক দিন আগে আমাকে জানিয়েছেন। আমি পরিচালক তৌফিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে ফেলবেন।’
শাহেদ আলী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক নাটক নির্মাণ হয়। অনেক সময় চুক্তি ভিত্তিতে নির্মাতাদের কাজগুলো দিয়ে থাকি। সে ক্ষেত্রে শিল্পী-কলাকুশলীসহ সবার পারিশ্রমিকের বিষয়টিও তাঁরা দেখেন। তুই আমারই নাটক নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মোটেও কাম্য নয়। এতে প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি হয়। সিএমভির পক্ষ থেকে এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি পরিচালককে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি, তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত তাঁকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেছি এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ।
৩ ঘণ্টা আগে
সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ। অনলাইন টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম থেকে অরিজিতের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন কনসার্টের দৃশ্য কোলাজ করে তৈরি সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্টেজে পারফর্ম করছেন অরিজিৎ। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে তাঁর গাওয়া ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার ‘ইলাহি মেরা’ গানটি। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অরিজিৎ সিং লাইভ ইন ঢাকা।
ঢাকায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের এই ঘোষণার পর থেকেই তুমুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ভক্তদের মাঝে। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অসংখ্য মন্তব্য, প্রায় সবারই এক জিজ্ঞাসা—কবে আসবেন অরিজিৎ, কবে মিলবে কনসার্টের টিকিট। তবে, অরিজিৎ সিংয়ের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি জানালেও কনসার্টের ভেন্যু, তারিখ ও আয়োজকদের নাম প্রকাশ করেনি টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম।
এ বিষয়ে জানতে প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই আয়োজনের টিকিট পার্টনার হিসেবে আছে টিকিট টুমোরো। এই প্লাটফর্মেই পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট, যথাসময়ে জানানো হবে তারিখ। এ ছাড়া আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বিস্তারিত। কারা আয়োজন করছে জানতে চাইলে, পলিসিগত কারণে তা প্রকাশ করতে চাইল না প্রতিষ্ঠানটি।
টিকিট টুমোরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে জানানো হবে সব। এরই মধ্যে অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে কনসার্ট নিয়ে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের পর সুবিধাজনক সময়ে কনসার্টটি আয়োজন করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে টিকিট টুমোরো।
সবশেষ ২০১৬ সালে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘অরিজিৎ সিং সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ শিরোনামের কনসার্টে পারফর্ম করেন অরিজিৎ। এদিকে আগামী নভেম্বরে ঢাকা মাতাতে আসছেন আরেক ভারতীয় শিল্পী অনুভ জৈন। অরোরা নাইট শীর্ষক কনসার্টটি আয়োজন করছে হাইপ ন্যাশন। এই কনসার্টেরও তারিখ ও ভেন্যু এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ। অনলাইন টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম থেকে অরিজিতের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। বিভিন্ন কনসার্টের দৃশ্য কোলাজ করে তৈরি সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্টেজে পারফর্ম করছেন অরিজিৎ। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে তাঁর গাওয়া ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার ‘ইলাহি মেরা’ গানটি। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অরিজিৎ সিং লাইভ ইন ঢাকা।
ঢাকায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের এই ঘোষণার পর থেকেই তুমুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ভক্তদের মাঝে। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অসংখ্য মন্তব্য, প্রায় সবারই এক জিজ্ঞাসা—কবে আসবেন অরিজিৎ, কবে মিলবে কনসার্টের টিকিট। তবে, অরিজিৎ সিংয়ের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি জানালেও কনসার্টের ভেন্যু, তারিখ ও আয়োজকদের নাম প্রকাশ করেনি টিকিট টুমোরো প্ল্যাটফর্ম।
এ বিষয়ে জানতে প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই আয়োজনের টিকিট পার্টনার হিসেবে আছে টিকিট টুমোরো। এই প্লাটফর্মেই পাওয়া যাবে অগ্রিম টিকিট, যথাসময়ে জানানো হবে তারিখ। এ ছাড়া আয়োজকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বিস্তারিত। কারা আয়োজন করছে জানতে চাইলে, পলিসিগত কারণে তা প্রকাশ করতে চাইল না প্রতিষ্ঠানটি।
টিকিট টুমোরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধাপে ধাপে জানানো হবে সব। এরই মধ্যে অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে কনসার্ট নিয়ে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের পর সুবিধাজনক সময়ে কনসার্টটি আয়োজন করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে টিকিট টুমোরো।
সবশেষ ২০১৬ সালে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘অরিজিৎ সিং সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা’ শিরোনামের কনসার্টে পারফর্ম করেন অরিজিৎ। এদিকে আগামী নভেম্বরে ঢাকা মাতাতে আসছেন আরেক ভারতীয় শিল্পী অনুভ জৈন। অরোরা নাইট শীর্ষক কনসার্টটি আয়োজন করছে হাইপ ন্যাশন। এই কনসার্টেরও তারিখ ও ভেন্যু এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক...
৩ ঘণ্টা আগে
সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ফেরেশতে। বানিয়েছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। গল্পে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। শুটিং হয়েছে এমন সব লোকেশনে, যেখানে আলো ঝলমল সাজসজ্জার পরিবর্তে ধরা দিয়েছে নিখাদ বাস্তবতা। ফলে গল্পটি দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছে আরও কাছের, আরও বিশ্বাসযোগ্য।
ফেরেশতে সিনেমায় স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। ২০২২ সালে নির্মাণ শেষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে ফেরেশতে।
এদিকে, ১৯ অক্টোবর থেকে আরেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে জয়া অভিনীত ‘নকশীকাঁথার জমিন’। হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে এই সিনেমায়। বানিয়েছেন আকরাম খান। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প নিয়েই এর কাহিনি। এতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি। আরও আছেন ইরেশ যাকের, রওনক হাসান, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি প্রমুখ।

সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এবার ফেরেশতে দেখা যাবে ঘরে বসে। আগামী ২ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ফেরেশতে। বানিয়েছেন ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম। গল্পে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। শুটিং হয়েছে এমন সব লোকেশনে, যেখানে আলো ঝলমল সাজসজ্জার পরিবর্তে ধরা দিয়েছে নিখাদ বাস্তবতা। ফলে গল্পটি দর্শকদের কাছে হয়ে উঠেছে আরও কাছের, আরও বিশ্বাসযোগ্য।
ফেরেশতে সিনেমায় স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। ২০২২ সালে নির্মাণ শেষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে ফেরেশতে।
এদিকে, ১৯ অক্টোবর থেকে আরেক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে জয়া অভিনীত ‘নকশীকাঁথার জমিন’। হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে এই সিনেমায়। বানিয়েছেন আকরাম খান। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প নিয়েই এর কাহিনি। এতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি। আরও আছেন ইরেশ যাকের, রওনক হাসান, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি প্রমুখ।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
প্রায় দুই বছর আগে নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি। জানিয়েছিলেন, ‘দম’ নামের সিনেমায় অভিনয় করবেন চঞ্চল চৌধুরী। গত জুলাইয়ে জানানো হয়, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এতে থাকবেন আফরান নিশো। এর পর থেকেই চর্চা শুরু হয় দমের নায়িকা নিয়ে। জয়া আহসান, স্বস্তিকা মুখার্জিসহ অনেকের নাম শোনা যাচ্ছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোজার ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছিল নাটক ‘তুই আমারই’। তৌফিকুল ইসলামের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও সাদিয়া আয়মান। ইতিমধ্যে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটির ভিউ হয়েছে ২৮ মিলিয়নের বেশি। তবে নাটক প্রকাশের দেড় বছর পার হলেও এখনো পারিশ্রমিক...
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অরিজিৎ সিং। হিন্দি কিংবা বাংলা—দুই ভাষার দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের বাইরেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তাঁর কনসার্ট মানেই ভক্তদের উন্মাদনা, উপচে পড়া ভিড়। প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে গান শোনাতে আসছেন অরিজিৎ।
৩ ঘণ্টা আগে