Ajker Patrika

মিষ্টি মেয়েটির চলে যাওয়ার এক বছর

আজাদ আবুল কাশেম
আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ২৮
মিষ্টি মেয়েটির চলে যাওয়ার এক বছর

অসংখ্য কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী, দেশবরেণ্য কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা, সবার অতি প্রিয় মিষ্টিমেয়েখ্যাত কবরী। এই মহান অভিনেত্রীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। প্রয়াণ দিবসে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।

কবরী (মিনা পাল/ধর্মান্তরিত নাম সারাহ বেগম কবরী), ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল, মায়ের নাম শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল।

পারিবারিকভাবে শিল্প-সংস্কৃতির আবহে বেড়ে ওঠা কবরীর জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে। ১৯৬৩ সালে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব হয় কবরীর।

মিষ্টিমেয়েখ্যাত কবরীচট্টগ্রামের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহার মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয়জীবন শুরু হয় নায়িকা কবরীর। ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি ‘সুতরাং’ অর্জন করেছিল আন্তর্জাতিক পুরস্কারও।

কবরী অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- বাহানা, হীরামন, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, নিশি হলো ভোর, সাত ভাই চম্পা, আবির্ভাব, বাঁশরি, অরুণ বরুণ কিরণমালা, শীত বসন্ত, চোরাবালি, পারুলের সংসার, প্রতিকার, ময়নামতি, আগন্তুক, নীল আকাশের নিচে, পদ্মানদীর মাঝি, মেহেরবান, নতুন ফুলের গন্ধ, যে আগুনে পুড়ি, আঁকাবাঁকা, সন্তান, নায়িকা, দ্বীপ নেভে নাই, দর্পচূর্ণ, ক খ গ ঘ ঙ, বিনিময়, রং বদলায়, কত যে মিনতি, অধিকার, ঢেউয়ের পরে ঢেউ, আপন পর, পিতা পুত্র, ঘূর্ণিঝড়, সাধারণ মেয়ে, কাঁচকাটা হীরে, জলছবি, সুখদুঃখ, গাঁয়ের বধূ, স্মৃতিটুকু থাক, শেষ রাতের তারা, কমলরাণীর দীঘি, নিজেরে হারায়ে খুঁজি, লালন ফকির, রক্তাক্ত বাংলা, রংবাজ, খেলাঘর, বলাকা মন, যাহা বলিব সত্য বলিব, কে তুমি, তিতাস একটি নদীর নাম, অনির্বাণ, আমার জন্মভুমি, অঙ্গীকার, চোখের জলে, চাবুক, উৎস্বর্গ, মাসুদ রানা, ভুল যখন ভাঙল, বেঈমান, অবাক পৃথিবী, পরিচয়, দুইপর্ব, ত্রিরত্ন, সুজন সখী, ধন্যি মেয়ে, ডাকপিয়ন, লাভ ইন সিমলা, উপহার, জালিয়াত, চলো ঘর বাঁধি, রংবেরং, রক্তের ডাক, গুন্ডা, গোপন কথা, অনুরোধ, মতিমহল, সাগরভাসা, তৃষ্ণা, মমতা, কুয়াশা, ফরিয়াদ, রক্তশপথ, অঙ্গার, আগুনের আলো, সারেং বৌ, বধু বিদায়, দিন যায় কথা থাকে, মধুমতি, ছোট মা, আরাধনা, শহর থেকে দূরে, ঈমান, নওজোয়ান, সোনার হরিণ, সোনার তরী, কলমীলতা, লাল সবুজের পালা, স্বামীর সোহাগ, দেবদাস, আরশিনগর, আশা, প্রেমবন্ধন, সোনালী আকাশ, দুই জীবন, চেতনা, ছোট বৌ, লাখে একটা, দয়ামায়া, অপরাজিত নায়ক, দেমাগ, বিয়ের ফুল, আামাদের সন্তান, জীবনের গল্প, আয়না, মেঘের কোলে রোদ, পিতা মাতার আমানত, তুমি আমার স্বামী ইত্যাদি। 

অভিনয়ে হাজার হাজার ভক্তকে কাদাতেন কবরীচলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নায়িকা কবরী যেসব পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ছবি-সারেং বৌ (১৯৭৮), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা-২০১৩ বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ছবি- লালন ফকির (১৯৭৩), সুজন সখী (১৯৭৫), সারেং বৌ (১৯৭৮), দুই জীবন (১৯৮৮) ও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার আজীবন সম্মাননা-২০০৯ পান। এ ছাড়াও প্রযোজক সমিতি চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক নানা পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

কবরী টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। পরিচালনাও করেছেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়না’ মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। সরকারি অনুদানে ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামে আরেকটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছিলেন তিনি। এই ছবিটির শুটিং শেষ করে সম্পাদনার কাজ করছিলেন।

নায়িকা কবরী একসময় সরাসরি রাজনীতিতে আসেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট’-এর প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

রাজ্জাক-কবরী জুটি২০১৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় কবরীর আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশিত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে কবরী, দুইবার বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে করেন চলচ্চিত্র প্রযোজক চিত্ত চৌধুরীকে। কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে ১৯৭৮ সালে কবরী বগুড়ার এক দরবেশের কাছে গিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। সেখানেই তিনি সফিউদ্দীন সরোয়ার বাবুর সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ ৩০ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালে তাঁদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরীর পাঁচ ছেলে সন্তান রয়েছে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অসম্ভব জনপ্রিয় অভিনেত্রী কোটি কোটি ভক্ত-দর্শকদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন নায়িকা কবরী। আমাদের দেশের চলচ্চিত্রশিল্পকে বাণিজ্যিকভাবে সুদৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করাতে চিত্রনায়িকা কবরীর বিশেষ অবদান রয়েছে। এ দেশের চলচ্চিত্রের সফল রোমান্টিক চিত্রনায়িকা তিনি। তখনকার সময়ে সিনেমা দর্শকদের হৃদয়ে অন্যরকম এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, রাজ্জাক-কবরী জুটি। যাঁদের অভিনয় প্রতিভায়, হিন্দি-উর্দু সিনেমার দাপটের সঙ্গে টক্কর দিয়ে টিকে থাকে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমা। 

ফারুক-কবরী জুটিস্বাধীনতার পর রাজ্জাক-কবরী জুটি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনপ্রিয়তা ও সফলতার শীর্ষে অবস্থান করেন কবরী। বাংলাদেশের সিনেমার যথার্থ চিত্রনায়িকা হিসেবে জয় করে নেন কোটি মানুষের ভালোবাসা।

কবরী সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বছর শেষে তানজিকার দুই ওয়েব ফিল্ম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তানজিকা। ছবি: সংগৃহীত
তানজিকা। ছবি: সংগৃহীত

মিডিয়ায় কাজ করছেন প্রায় দুই দশক। তবে ওটিটি আসার পর নতুন করে নিজেকে চিনিয়েছেন তানজিকা আমিন। দুই বছর আগে আশফাক নিপুনের ‘মহানগর ২’ ওয়েব সিরিজ রিলিজের পর নজর কাড়েন তানজিকা আমিন। শোবিজের মানুষ থেকে সাধারণ দর্শক—সবার কাছ থেকে পেয়েছেন বাহবা। এরপর ওটিটিতে অভিনয় করেছেন আরও বেশ কয়েকটি কনটেন্টে। এই ডিসেম্বরে ভিন্ন দুই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে তানজিকা আমিন অভিনীত দুটি ওয়েব ফিল্ম। একটি শরাফ আহমেদ জীবনের ‘ডিমলাইট’, অন্যটি রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’।

বছরের শেষ দিকে দুই ওয়েব ফিল্ম মুক্তির খবরে দারুণ খুশি তানজিকা। জানালেন, দুটি ওয়েব ফিল্মে ভিন্ন দুই চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। তানজিকা বলেন, ‘বছরের শেষ মাসে ওটিটিতে আমার অভিনীত দুটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পাচ্ছে। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। দুটি ভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে আসছি। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্র দুটি ফুটিয়ে তুলতে। কেমন করেছি তা দর্শক বলবে দেখার পর। তাঁদের ভালো লাগলে আমার ভালো লাগবে।’

ডিমলাইট সিনেমায় মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহিণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিকা। সিনেমাটি নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিমলাইট। এটা আসলে আমাদের সবার গল্প। মিডলাইফ ক্রাইসিসের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার কাহিনি। আমার চরিত্রের নাম তানিয়া। আমার স্বামীর চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। ১১ ডিসেম্বর চরকিতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।’

অমীমাংসিত ওয়েব ফিল্মে তানজিকা অভিনয় করেছিলেন দুই বছর আগে। সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার কারণে এটি এত দিন আটকে ছিল। অবশেষে এই ডিসেম্বরে আইস্ক্রিনে মুক্তি পাবে অমীমাংসিত। তানজিকা বলেন, ‘পুরোনো হলেও এটি আমার অনেক পছন্দের একটি কাজ। এখানে আমাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে। আমার স্বামীর চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। সেও একজন সাংবাদিক। এক রাতে ওই দম্পতি নিজ বাসায় খুন হয়। কে বা কারা কেন তাদের খুন করল, সেই রহস্য নিয়েই এই সিনেমার গল্প।’

ধারণা করা হচ্ছে, অমীমাংসিত নির্মিত হয়েছে আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। সিনেমার টিজারেও এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আছে আলাদা আগ্রহ। দর্শকের এই প্রত্যাশার কারণে কিছুটা হলেও ভয়ে আছেন তানজিকা। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, এমন চরিত্রে অভিনয় খুব চ্যালেঞ্জিং। একে তো সাংবাদিক, তার ওপর চরিত্রটি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই কাজটি নিয়ে সবার এত বেশি প্রত্যাশা, এটা কতটুকু পূরণ করতে পারব, সেটা নিয়ে কিছুটা ভয় কাজ করছে মনে। তবে, আমার আত্মবিশ্বাস আছে। নির্মাতা থেকে শুরু করে কলাকুশলী—সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েই কাজটি করেছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আতিফের সঙ্গে একই মঞ্চে গাইবে ব্যান্ড নেমেসিস ও ফুয়াদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) নেমেসিসের জোহাদ রেজা, আতিফ আসলাম ও ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) নেমেসিসের জোহাদ রেজা, আতিফ আসলাম ও ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। কনসার্টটি আয়োজন করছে মেইন স্টেজ। তারা জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা রেসিডেনশিয়াল এরিয়ায় গান শোনাবেন আতিফ। এদিন আতিফের সঙ্গে আরও পারফর্ম করবে নেমেসিস ব্যান্ড এবং ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি কেবল কনসার্ট নয়, তরুণদের জন্য একটি উৎসব। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের সঙ্গে একটি অবিস্মরণীয় রাতের অভিজ্ঞতা হবে সবার। আতিফের সঙ্গে আমাদের দেশের ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এবং নেমেসিসও থাকবেন সেই মঞ্চে।

এই কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন টিকিট প্ল্যাটফর্ম চলোঘুড়ি ওয়েবসাইটে। আতিফের গানের শিরোনামের সঙ্গে মিল রেখে তিন ক্যাটাগরিতে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দুরি এরিয়া (২ হাজার ৪৯৯ টাকা), আদাত এরিয়া (৪ হাজার ৯৯৯ টাকা) এবং পেহলি নাজার এরিয়া (৯ হাজার ৯৯৯ টাকা)। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আদাত এরিয়ার টিকিট বিক্রি। আয়োজকেরা আশা করছেন প্রায় ৩৫ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন এই কনসার্টে।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েনস অব বাংলাদেশের মাধ্যমে আতিফ আসলামের এই কনসার্টের টিকিট বিক্রির একটি অংশ প্রদান করা হবে জুলাই আন্দোলনে হতাহত ও তাঁদের পরিবারকে।

তবে, যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকলেও এই কনসার্ট নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, সম্প্রতি বাতিল হয়েছে বিদেশি শিল্পীদের একাধিক কনসার্ট। নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশ-বিদেশের শিল্পীদের নিয়ে হাফ ডজন কনসার্টের ঘোষণা দিয়েছিল বিভিন্ন আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এই তালিকায় দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীদের সঙ্গে ছিলেন ভারত ও পাকিস্তানের শিল্পীরা। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় একের পর এক কনসার্ট বাতিল হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থগিতের ঘোষণা এসেছে তিনটি কনসার্টের।

গত সপ্তাহে আতিফের এই কনসার্ট বাতিলেরও গুঞ্জন ওঠে। তবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেইন স্টেজ নিশ্চিত করেছে, নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ‘ইভেন্ট যেন সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও নিরাপদে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মমাফিক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তরুণদের এই ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অ্যাভাটারে এআই ব্যবহার করেননি ক্যামেরন

বিনোদন ডেস্ক
অ্যাভাটারে এআই ব্যবহার করেননি ক্যামেরন

সময়টা এখন প্রযুক্তির। সিনেমায়ও বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার। অনেকের ধারণা, জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ সিনেমায়ও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। তবে মুক্তির আগে জেমস ক্যামেরন সাফ জানিয়ে দিলেন, অ্যাভাটার সিনেমার কোনো পর্বেই শিল্পীদের বিকল্প হিসেবে এআই ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পীদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছেন জেমস ক্যামেরন। বিশেষ করে পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তির জাদুতে অ্যাভাটার সিনেমার নীলাভ চরিত্রগুলো যেন কল্পনার আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তাই সবাই ধারণা করেছিলেন এবার এআইয়ের সাহায্য নিয়ে তিনি আরও চমকে দেবেন দর্শকদের। তবে এ পথে হাঁটেননি নির্মাতা। তাই সিনেমা মুক্তির আগে বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার করতে চাইলেন ক্যামেরন।

কমিকবুক ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘আমি জেনারেটিভ এআইয়ের বিপক্ষে নই। আমি শুধু এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই, অ্যাভাটার সিনেমায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অভিনেতাদের সম্মান করি, তাঁদের প্রতিস্থাপন করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে মানুষের মনে ধারণা ছিল, কম্পিউটার দিয়ে আমরা অদ্ভুত কিছু করছি, যেখানে অভিনেতাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছে। পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তি অভিনেতাদের বদলে দিচ্ছে না, বরং অভিনেতার দক্ষতা ও পরিচালকের ভাবনাকে একত্র করে নতুন এক শিল্প তৈরি করছে। এই প্রযুক্তির একদম উল্টো দিকে রয়েছে এআই। যেখানে ঠিকঠাক লিখে নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি চরিত্র, অভিনেতা বা সম্পূর্ণ দৃশ্যটি বানিয়ে দিতে পারে এআই। এটা আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়। তাই আমরা এমন কাজ করছি না।’

১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। এবারের গল্পে আগুন এসেছে ভয়াবহতার রূপ নিয়ে। আগ্নেয়গিরির আশপাশে অ্যাশ পিপলদের বসবাস। আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে তারা। এই হিংস্র জাতির বিরুদ্ধে লড়াই চলে জ্যাক সুলি-নেতিরিদের। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি। ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৃত্যুর ৪ দিন পর প্রকাশিত হলো জেনস সুমনের নতুন গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জেনস সুমন। ছবি: সংগৃহীত
জেনস সুমন। ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর গানে ফিরেছিলেন জেনস সুমন। এরপর নিয়মিত গান প্রকাশ করছিলেন। জেনস সুমন জানিয়েছিলেন, লম্বা বিরতি শেষে নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করেছেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারের নতুন এই ইনিংস দীর্ঘ হয়নি তাঁর। গত ২৮ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এর চার দিন পর প্রকাশ পেল জেনস সুমনের নতুন গান।

‘কেউ জানলো না কেউ বুঝলো না’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন ফারুক আসাদ। সুর ও সংগীত পরিচালনায় অমিত কর। জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন এই গান নিয়ে অমিত কর বলেন, ‘সুমন আমার খুব কাছের একজন ভাই-বন্ধু ছিলেন। তাঁর জন্য কয়েকটি গান করেছি। এগুলো নিয়ে আমাদের দুজনের কিছু পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আশা করছি, সুমনের ভক্তদের ভালো লাগবে গানটি।’

গত সেপ্টেম্বরে আজকের পত্রিকাকে সুমন জানিয়েছিলেন, নতুন করে গানে ফেরা তাঁর কাছে পুনর্জন্মের মতো। ক্যারিয়ারের এই ইনিংসে অভিজ্ঞ সুরকারদের পাশাপাশি কাজ করতে চান নতুন প্রজন্মের সঙ্গে। পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকটি গান রেকর্ডিংও করেছিলেন। এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে বেশ কয়েকটি গান। সেই গানগুলোর একটি কেউ জানলো না কেউ বুঝলো না।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন জেনস সুমন। পরিচিতি পান ‘একটা চাদর হবে’ গান দিয়ে। ২০০২ সালে বি‌টিভির একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে। রাতারাতি আলোচনায় চ‌লে আসেন জেনস সুমন।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯৭ সা‌লে। একে একে প্রকাশ পেয়েছে ‘আকাশ কেঁদে‌ছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি অ্যালবাম। ২০০৮ সা‌লে ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’ অ্যালবামের পর বিরতিতে চলে যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত