বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে হয়ে গেল শাকিব খান অভিনীত ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এর সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী, প্রযোজক আলফা আইয়ের এমডি শাহরিয়ার শাকিল, চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি, সিনেমার অভিনেতা শাকিব খান, জয়া আহসান, সাবিলা নূরসহ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আজকের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। শাকিব, জয়া আর সাবিলা নূর ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, সালাহউদ্দীন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সিয়াম আহমেদ, শিবা শানু, ডা. এজাজ, এফ এস নাঈম, রোজি সিদ্দিকীসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করেছি কীভাবে আরেকটু ভালো করা যায়। আশা করছি এবারও ভালো ফল আসবে। এবার ৭ তারিখে ঈদ, আর এটা আমার ৭ নম্বর সিনেমা। লাকি সেভেন বলতে পারেন। এক বছর ধরে পরিকল্পনা করে সিনেমাটি বানিয়েছি। সিনেমাটা বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সিনেমাকে, কমার্শিয়াল সিনেমার গল্প বলার ধরনকে একটু হলেও বদলে দেবে। অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা এর আগে বাংলা সিনেমায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে অনেক চমক থাকবে। চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব বাংলাদেশে শুটিং করতে, আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি বাংলাদেশেই ভালো সিনেমা বানানো যায়।’
তান্ডবে অভিনয় করে মুগ্ধ হয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। নিজের সেই মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশির ভাগ শিল্পী যারা এই সিনেমায় অভিনয় করেছি, প্রত্যেকেই মঞ্চ বা টেলিভিশনের নিয়মিত অভিনেতা। যখন স্টুডিওতে তাণ্ডবের শুটিংয়ে রয়েছি, আমি চারদিকের আয়োজন দেখছিলাম, আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম—এটা কি আমার দেশ! যখন রায়হান রাফীকে দেখছি—একজন নির্দেশক কি এভাবে কাজ করেন? একটা দারুণ টিমকে দেখেছি। আমি কাজ করতে চাইনি, যদি না করতাম, তাহলে এসব মিস করতাম।’
চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আফজাল বলেন, ‘সবেচেয়ে অবাক হয়ে দেখেছি ২০০ সিনেমার অভিনেতা (শাকিব খান)। (আগে) কেমন ছিলেন আমি জানি না, কিন্তু স্টুডিওতে দেখেছি, কোনো মুহূর্তে, কোনো দিকে তাঁর মন নেই, কেবল তাঁর সংলাপ আর সে কী করবে—এটা করার চেষ্টা করছে।’
নির্মাতা ও সহশিল্পীদের প্রসঙ্গে আফজাল বলেন, ‘একটা মানুষ যে তাঁর ভাবনার এতটা বদল ঘটাতে পারে, সেটা রায়হান রাফীর কাজ দেখলে বোঝা যায়। তাঁর যে অভিযাত্রা তা ক্রমশই শক্তিশালী। জয়াকে আপনারা আগে বহুভাবে দেখেছেন। জয়াকে এবার নতুনভাবে দেখবেন। সাবিলা নূরের কোনো অভিনয় আমি দেখেনি। কিন্তু প্রথম যখন শাকিব আর সাবিলাকে একটা স্থিরচিত্রে দেখেছি, আমার মনে হয়েছে এই সিদ্ধান্তটি অসাধারণ। ইতিমধ্যেই আপানারা লিচু বাগানের গান শুনেছেন, মুগ্ধ হওয়ার মতো সবকিছুই এতে রয়েছে।’
তান্ডব সিনেমার নির্মাণ কৌশলেরও প্রশংসা করেছেন আফজাল। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, তাণ্ডব বাংলাদেশে তান্ডব ঘটিয়ে দেবে। আমি অভিনয় করেছি বলে বলছি না, আমি এই সিনেমার নির্মাণ দেখেছি, প্রত্যেক শিল্পীর অভিনয় দেখেছি, চিত্রনাট্য ভালো করে খেয়াল করেছি, আগে কোনো সিনেমায় সবকিছু এত সুন্দরভাবে হয়ে উঠতে পারেনি।’
তান্ডব সিনেমার নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘তাণ্ডব অসম্ভব পরিশ্রমের একটা সিনেমা। এর ফাইট যেমন অসাধারণ হয়েছে, গানগুলোও অসাধারণ হয়েছে, গল্পটাও অসাধারণ। তান্ডবের শিল্পী হয়েও আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সিনেমাটি দেখেছি।’
সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এত বড় মাপের শিল্পীরা এখানে কাজ করেছেন, যে আমি নিজেই মাঝেমধ্যে ভাবতাম, আমি কি ঠিক করছি? রাফীকে জিজ্ঞেস করতাম, ঠিক আছে তো আমার? কার কথা বলব তাণ্ডবের! এই যে আমার সামনে আফজাল ভাই, রাকায়েত ভাই, মুকিত ভাই, লাভলু ভাই, সব্রতদা বসে আছেন! আর আমার পাশে যিনি বসা জয়া, জয়ার তুলনা তো জয়া নিজেই। প্রত্যেকেই কী অসাধারণ অ্যাক্টিং করেছেন! এই পাশে আরেকজন যিনি (সাবিলা নূর) বসে আছে, অলরেডি লিচুর বাগান দিয়ে পাগল করে রেখেছে সবাইকে।’
অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ আগে শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। শাকিব খান খুবই লক্ষ্মী একজন অভিনেতা। এবারও তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে আমার ভালো লেগেছে।’
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে হয়ে গেল শাকিব খান অভিনীত ঈদের সিনেমা ‘তাণ্ডব’-এর সংবাদ সম্মেলন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী, প্রযোজক আলফা আইয়ের এমডি শাহরিয়ার শাকিল, চরকির প্রধান নির্বাহী রেদওয়ান রনি, সিনেমার অভিনেতা শাকিব খান, জয়া আহসান, সাবিলা নূরসহ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আজকের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। শাকিব, জয়া আর সাবিলা নূর ছাড়াও এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, সালাহউদ্দীন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সিয়াম আহমেদ, শিবা শানু, ডা. এজাজ, এফ এস নাঈম, রোজি সিদ্দিকীসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি সব সময় চেষ্টা করেছি কীভাবে আরেকটু ভালো করা যায়। আশা করছি এবারও ভালো ফল আসবে। এবার ৭ তারিখে ঈদ, আর এটা আমার ৭ নম্বর সিনেমা। লাকি সেভেন বলতে পারেন। এক বছর ধরে পরিকল্পনা করে সিনেমাটি বানিয়েছি। সিনেমাটা বাংলাদেশের কমার্শিয়াল সিনেমাকে, কমার্শিয়াল সিনেমার গল্প বলার ধরনকে একটু হলেও বদলে দেবে। অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা এর আগে বাংলা সিনেমায় পাওয়া যায়নি। সবকিছু মিলিয়ে অনেক চমক থাকবে। চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব বাংলাদেশে শুটিং করতে, আমি প্রমাণ করতে চেয়েছি বাংলাদেশেই ভালো সিনেমা বানানো যায়।’
তান্ডবে অভিনয় করে মুগ্ধ হয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। নিজের সেই মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশির ভাগ শিল্পী যারা এই সিনেমায় অভিনয় করেছি, প্রত্যেকেই মঞ্চ বা টেলিভিশনের নিয়মিত অভিনেতা। যখন স্টুডিওতে তাণ্ডবের শুটিংয়ে রয়েছি, আমি চারদিকের আয়োজন দেখছিলাম, আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম—এটা কি আমার দেশ! যখন রায়হান রাফীকে দেখছি—একজন নির্দেশক কি এভাবে কাজ করেন? একটা দারুণ টিমকে দেখেছি। আমি কাজ করতে চাইনি, যদি না করতাম, তাহলে এসব মিস করতাম।’
চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে আফজাল বলেন, ‘সবেচেয়ে অবাক হয়ে দেখেছি ২০০ সিনেমার অভিনেতা (শাকিব খান)। (আগে) কেমন ছিলেন আমি জানি না, কিন্তু স্টুডিওতে দেখেছি, কোনো মুহূর্তে, কোনো দিকে তাঁর মন নেই, কেবল তাঁর সংলাপ আর সে কী করবে—এটা করার চেষ্টা করছে।’
নির্মাতা ও সহশিল্পীদের প্রসঙ্গে আফজাল বলেন, ‘একটা মানুষ যে তাঁর ভাবনার এতটা বদল ঘটাতে পারে, সেটা রায়হান রাফীর কাজ দেখলে বোঝা যায়। তাঁর যে অভিযাত্রা তা ক্রমশই শক্তিশালী। জয়াকে আপনারা আগে বহুভাবে দেখেছেন। জয়াকে এবার নতুনভাবে দেখবেন। সাবিলা নূরের কোনো অভিনয় আমি দেখেনি। কিন্তু প্রথম যখন শাকিব আর সাবিলাকে একটা স্থিরচিত্রে দেখেছি, আমার মনে হয়েছে এই সিদ্ধান্তটি অসাধারণ। ইতিমধ্যেই আপানারা লিচু বাগানের গান শুনেছেন, মুগ্ধ হওয়ার মতো সবকিছুই এতে রয়েছে।’
তান্ডব সিনেমার নির্মাণ কৌশলেরও প্রশংসা করেছেন আফজাল। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, তাণ্ডব বাংলাদেশে তান্ডব ঘটিয়ে দেবে। আমি অভিনয় করেছি বলে বলছি না, আমি এই সিনেমার নির্মাণ দেখেছি, প্রত্যেক শিল্পীর অভিনয় দেখেছি, চিত্রনাট্য ভালো করে খেয়াল করেছি, আগে কোনো সিনেমায় সবকিছু এত সুন্দরভাবে হয়ে উঠতে পারেনি।’
তান্ডব সিনেমার নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘তাণ্ডব অসম্ভব পরিশ্রমের একটা সিনেমা। এর ফাইট যেমন অসাধারণ হয়েছে, গানগুলোও অসাধারণ হয়েছে, গল্পটাও অসাধারণ। তান্ডবের শিল্পী হয়েও আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সিনেমাটি দেখেছি।’
সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শাকিব খান বলেন, ‘এত বড় মাপের শিল্পীরা এখানে কাজ করেছেন, যে আমি নিজেই মাঝেমধ্যে ভাবতাম, আমি কি ঠিক করছি? রাফীকে জিজ্ঞেস করতাম, ঠিক আছে তো আমার? কার কথা বলব তাণ্ডবের! এই যে আমার সামনে আফজাল ভাই, রাকায়েত ভাই, মুকিত ভাই, লাভলু ভাই, সব্রতদা বসে আছেন! আর আমার পাশে যিনি বসা জয়া, জয়ার তুলনা তো জয়া নিজেই। প্রত্যেকেই কী অসাধারণ অ্যাক্টিং করেছেন! এই পাশে আরেকজন যিনি (সাবিলা নূর) বসে আছে, অলরেডি লিচুর বাগান দিয়ে পাগল করে রেখেছে সবাইকে।’
অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ আগে শাকিব খানের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। শাকিব খান খুবই লক্ষ্মী একজন অভিনেতা। এবারও তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে আমার ভালো লেগেছে।’
ঈদের দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা এসব ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
৪ ঘণ্টা আগে‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার ব্যর্থতার পর অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খান। তবে, তিন বছর পর ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন আমির। অথচ, এই সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল ফারহান আখতারের। শেষ পর্যন্ত আমিরের হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে হতাশ হয়েছিলেন ফারহান।
৫ ঘণ্টা আগেসেরা নৃত্যশিল্পী হিসেবে এ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ট্র্যাব মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন উম্মে তাবাসসুম খান মিতিন। নৃত্যের জন্য এটাই মিতিনের প্রথম পুরস্কার নয়। এর আগেও দেশে ও ভারতের মাটিতে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
৬ ঘণ্টা আগে২০২০-২১ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায় ‘জলরঙ’। কবিরুল ইসলাম রানা পরিচালিত সিনেমাটি ২০২৩ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলেও মুক্তি পায়নি এতদিন। অবশেষে প্রায় দুই বছর পর মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে প্রেক্ষাগৃহে নয়, ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে দেখা যাবে জলরঙ।
৭ ঘণ্টা আগে