মনিরুল ইসলাম রানা, গীতিকার
স্কুল শেষ করেছি। ক্রিকেটের অতিদ্রুত মুনাফা ফরমেট টি-টোয়েন্টি তখনও চালু হয়নি । জাভেদ ওমরের কাছ থেকে একটা ড্রাইভের স্বপ্নে যখন পুরো কৈশোর কেটে যাচ্ছিল, তখন দুটো নতুন শব্দ আমাদের মধ্যে চমকের মতো করে উড়ে এসেছিল। আমরা ভীষণ আলোড়িত হয়েছিলাম। প্রথম শব্দটি ছিলো ‘ছবিয়াল’, অন্যটি ‘ভাইব্রাদার’।
আমার বন্ধুদের অনেকেই এখন ব্যাংকার, ডাক্তার, উকিল কিন্তু দুর্দান্ত চলচ্চিত্র সমালোচক (খাওয়ার টেবিলে বউ-বাচ্চার সাথে); বা ফুলটাইম মুভিগোজার। আমাদের শুরু হয়েছিল কিন্তু ছবিয়াল থেকে। আমরা যে কোনো আড্ডায় ছবিয়াল নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলাম।
সারা দুনিয়ার যে কোনো সিনেমার পর্দার পেছনের মানুষকে চিনতে ও জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। অ্যাক্টর, যাদেরকে দেখা যায় সামনে; তাঁদেরকে ছাপিয়ে আমরা কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলাম কার সিনেমা, কে বানিয়েছে, তার রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপট।
আজ যখন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেখা শুরু করলাম ছবিয়াল লোগোটা দেখে কত কী যে মনে পড়লো! আমাদের গোটা সময়টা!
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেখার পর, দুই বাক্যে আমার ভাবনা– এটা বাংলাদেশি তৈরি সুন্দরতম মার্ডার মিস্ট্রি, আর এমন নিপুণ এক সাসপেন্স থ্রিলার যেমনটা এখানে আগে দেখা যায়নি। যেটাতে ‘বিদেশি থেকে অনুপ্রাণিত’-র ঘ্রাণ নেই। এ বঙ্গের, এখানকার যাপনের দাগ আছে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ এর গায়ে।
অনেকদিন পর একটি যোগ্য চরিত্রে, ঠিকঠাক অভিনয়টা করার যথেষ্ঠ সুযোগ দিয়ে, সত্যিকারের অভিনেতা আফজাল হোসেনকে আবারও আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফারুকীকে ধন্যবাদ।
মামুনুর রশীদের শুধু তাকিয়ে থাকা অথবা শূন্য ছাদে একা দাঁড়িয়ে থাকা, যে কারও বুকে পাহাড় জমাতে পারে কিংবা মনে করিয়ে দিতে পারে আশ্রয় খোঁজা কোনো কবিতার লাইন।
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’- এর গল্পটা মধ্যবিত্তের জীবন থেকে নেওয়া। তাসনিয়া ফারিণ যিনি মুল গল্পে মামুনুর রশীদের মেয়ে, সারাজীবন চাকুরি করা অসুস্থ বাবাকে শেষ বয়সে সেইভ করা ও করতে চাওয়ার যে গল্প; তা অভিজ্ঞতা দিয়ে উপলদ্ধি না করলে কেউ লিখতে পারে বা ভাবতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না। এত কথার কারণ একটাই- যেটুকু চরিত্র যতটুকু জায়গা দিয়ে বুনলে গল্প জীবনকে যতভাবে কানেক্ট করে, গল্প সেভাবে লেখা, ভাবা ও দেখানো।
মোস্তফা মনোয়ারের ক্ষেত্রে বলতে হয় দুটোই– একটি চরিত্র যোগ্য অভিনেতা পেয়েছে এবং একজন অভিনেতা যোগ্য চরিত্র পেয়েছেন।
হাসান মাসুদ,যিনি আপনাকে গল্পে নানা প্যারালাল রিয়েলিটি ফেইস করাবেন এবং সেই জার্নি আপনার উপভোগ্য হবে। পার্থ বড়ুয়া, মুকিত জাকারিয়া, ইরেশ যাকের, মারিয়া নূর- সবাই আপনাকে পরিমিতি বোধের সাথেও পরিচয় করাবে।
দৃশ্যায়ন, নির্মাতার অতীতে দেখা যেকোন কাজের থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কানে আরাম দেবে।
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেশের ওটিটিতে রিলিজ হওয়া আমার এখনও অব্দি দেখা সবচেয়ে সুন্দর সিরিজ। মিস করলে আপনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে সবচেয়ে দুর্দান্ত নির্মাতাদলের মিশেলে যে সিনেম্যাটিক বিউটি তৈরি হয়েছে– তা দেখা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
স্কুল শেষ করেছি। ক্রিকেটের অতিদ্রুত মুনাফা ফরমেট টি-টোয়েন্টি তখনও চালু হয়নি । জাভেদ ওমরের কাছ থেকে একটা ড্রাইভের স্বপ্নে যখন পুরো কৈশোর কেটে যাচ্ছিল, তখন দুটো নতুন শব্দ আমাদের মধ্যে চমকের মতো করে উড়ে এসেছিল। আমরা ভীষণ আলোড়িত হয়েছিলাম। প্রথম শব্দটি ছিলো ‘ছবিয়াল’, অন্যটি ‘ভাইব্রাদার’।
আমার বন্ধুদের অনেকেই এখন ব্যাংকার, ডাক্তার, উকিল কিন্তু দুর্দান্ত চলচ্চিত্র সমালোচক (খাওয়ার টেবিলে বউ-বাচ্চার সাথে); বা ফুলটাইম মুভিগোজার। আমাদের শুরু হয়েছিল কিন্তু ছবিয়াল থেকে। আমরা যে কোনো আড্ডায় ছবিয়াল নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলাম।
সারা দুনিয়ার যে কোনো সিনেমার পর্দার পেছনের মানুষকে চিনতে ও জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। অ্যাক্টর, যাদেরকে দেখা যায় সামনে; তাঁদেরকে ছাপিয়ে আমরা কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলাম কার সিনেমা, কে বানিয়েছে, তার রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপট।
আজ যখন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেখা শুরু করলাম ছবিয়াল লোগোটা দেখে কত কী যে মনে পড়লো! আমাদের গোটা সময়টা!
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেখার পর, দুই বাক্যে আমার ভাবনা– এটা বাংলাদেশি তৈরি সুন্দরতম মার্ডার মিস্ট্রি, আর এমন নিপুণ এক সাসপেন্স থ্রিলার যেমনটা এখানে আগে দেখা যায়নি। যেটাতে ‘বিদেশি থেকে অনুপ্রাণিত’-র ঘ্রাণ নেই। এ বঙ্গের, এখানকার যাপনের দাগ আছে ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ এর গায়ে।
অনেকদিন পর একটি যোগ্য চরিত্রে, ঠিকঠাক অভিনয়টা করার যথেষ্ঠ সুযোগ দিয়ে, সত্যিকারের অভিনেতা আফজাল হোসেনকে আবারও আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফারুকীকে ধন্যবাদ।
মামুনুর রশীদের শুধু তাকিয়ে থাকা অথবা শূন্য ছাদে একা দাঁড়িয়ে থাকা, যে কারও বুকে পাহাড় জমাতে পারে কিংবা মনে করিয়ে দিতে পারে আশ্রয় খোঁজা কোনো কবিতার লাইন।
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’- এর গল্পটা মধ্যবিত্তের জীবন থেকে নেওয়া। তাসনিয়া ফারিণ যিনি মুল গল্পে মামুনুর রশীদের মেয়ে, সারাজীবন চাকুরি করা অসুস্থ বাবাকে শেষ বয়সে সেইভ করা ও করতে চাওয়ার যে গল্প; তা অভিজ্ঞতা দিয়ে উপলদ্ধি না করলে কেউ লিখতে পারে বা ভাবতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না। এত কথার কারণ একটাই- যেটুকু চরিত্র যতটুকু জায়গা দিয়ে বুনলে গল্প জীবনকে যতভাবে কানেক্ট করে, গল্প সেভাবে লেখা, ভাবা ও দেখানো।
মোস্তফা মনোয়ারের ক্ষেত্রে বলতে হয় দুটোই– একটি চরিত্র যোগ্য অভিনেতা পেয়েছে এবং একজন অভিনেতা যোগ্য চরিত্র পেয়েছেন।
হাসান মাসুদ,যিনি আপনাকে গল্পে নানা প্যারালাল রিয়েলিটি ফেইস করাবেন এবং সেই জার্নি আপনার উপভোগ্য হবে। পার্থ বড়ুয়া, মুকিত জাকারিয়া, ইরেশ যাকের, মারিয়া নূর- সবাই আপনাকে পরিমিতি বোধের সাথেও পরিচয় করাবে।
দৃশ্যায়ন, নির্মাতার অতীতে দেখা যেকোন কাজের থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কানে আরাম দেবে।
‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’ দেশের ওটিটিতে রিলিজ হওয়া আমার এখনও অব্দি দেখা সবচেয়ে সুন্দর সিরিজ। মিস করলে আপনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে সবচেয়ে দুর্দান্ত নির্মাতাদলের মিশেলে যে সিনেম্যাটিক বিউটি তৈরি হয়েছে– তা দেখা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
নতুন গান প্রকাশ করল ব্যান্ড মেঘদল। শিরোনাম ‘গোলাপের নাম’। এটি মেঘদলের নতুন অ্যালবাম ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’র ৭ম গান। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন শিবু কুমার শীল। ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌরভ সরকার।
১৩ ঘণ্টা আগেএত দিনে ২০২৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের ঘরে থাকার কথা ছিল। তবে বাস্তবতা হলো, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে সময়মতো আসেনি জাতীয় পুরস্কারের ঘোষণা, আয়োজন করা যায়নি অনুষ্ঠানের। শোনা যাচ্ছে, আগামী মাসেই ২০২৩ সালের বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। গত আগস্টের আগেও সবার...
১৩ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি...
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের কাছে নতুন বিস্ময় এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা কণ্ঠের মিথস্ক্রিয়ায় নতুন গান তৈরি হচ্ছে দেদার। সেলিব্রিটিদের কণ্ঠ নকল করে ইউটিউব ও টিকটকে এসব মিউজিক ছাড়া হচ্ছে। তবে অনেক সংগীতশিল্পী এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে বিরক্ত। রীতিমতো অস্তিত্ব সংকটে...
১৩ ঘণ্টা আগে