আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
২১ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
২১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।
আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।
ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।
এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।
আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।
ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।
এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
২১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।
এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।
গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’
দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।
এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।
গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’
দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
২১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২১ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২১ ঘণ্টা আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)
লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)
দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)
লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)
দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
২১ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
২১ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’
সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।
২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।
কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’
সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।
২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।
কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
২১ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
২১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২১ ঘণ্টা আগে