Ajker Patrika

দেশে আসছে ভারতীয় ছবি

খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৪৮
দেশে আসছে ভারতীয় ছবি

করোনার কারণে প্রায় দুই বছর আলো জ্বলেনি দেশের সিনেমা হলে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর হলগুলো খুলতে শুরু করলেও পড়েছে মানসম্মত ছবিসংকটে। বড় বাজেটের একাধিক ছবি তৈরি হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে দর্শক হলে আসবেন কি না, এমন শঙ্কায় ছবিগুলো মুক্তি দিতে সাহস করছেন না প্রযোজকেরা। শুরুর দিকে পুরোনো ছবি চালিয়ে হলে দর্শক টানার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। গত দুই সপ্তাহে নতুন দুটি ছবি ‘চোখ’ ও ‘পদ্মাপুরাণ’ মুক্তি পেলেও অতটা সাড়া মিলছে না। তাই প্রযোজক-পরিবেশক-হলমালিকেরা বলছেন, এখন হল বাঁচাতে ভরসা বিদেশি ছবি।

গত কয়েক মাস বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি এবং হলমালিকেরা দাবি করে আসছিলেন, দেশের হলে ভারতীয় ছবি চালানোর অনুমতির জন্য। বছরে অন্তত ১০টি ভারতীয় ছবি যেন বাংলাদেশে মুক্তি পায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। এমনকি ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি ভাষার ছবি আনতে আমদানির শর্ত সহজ করারও দাবি ছিল তাদের।

তবে এখনই হিন্দি ছবি আনার প্রক্রিয়া চালু না হলেও বিনিময় চুক্তিতে আসছে ‘বাজি’। জিৎ-মিমি অভিনীত এ ছবিটি ভারতে মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। পরিকল্পনা ছিল, একই দিনে বাংলাদেশেও ‘বাজি’ দেখানোর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। জিতের ‘বাজি’ ছবির বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছে ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘রাত্রির যাত্রী’।

‘বাজি’ ছবিতে জিৎ ও মিমি চক্রবর্তী। ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি‘বাজি’ ছবির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তিতাস কথাচিত্রের কর্ণধার আবুল কালাম বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতে যদি একইসঙ্গে মুক্তি দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো কিছু আউটপুট পাওয়া যেতে পারে।       “বাজি” ছবির ব্যবসা করতে গিয়ে দেখলাম, অবস্থা খুবই খারাপ। সারা দেশ মিলিয়ে ৬০টা হলও খোলা নেই।’ ‘বাজি’র ব্যবসায়িক ফলাফল দেখে পরবর্তী ছবি আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানালেন তিনি।

অন্যদিকে ‘বাজি’ দিয়ে দীর্ঘদিন পর খুলছে মধুমিতা সিনেমা হল। ‘মধুমিতা’র কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘এ ছবিটা এসেছে বিনিময়ের মাধ্যমে। সরাসরি আসেনি। সরাসরি আমদানির পথ খুলে দিতে হবে। ছবি নেই তো। হল চলবে কীভাবে? আমাদের ভালো ছবি দরকার। বছরে ৩২ সপ্তাহ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত ছবি যদি পাই, তাহলে আমাদের ভারতীয় ছবি লাগবে না। কিন্তু অত ছবি কোথায়, যেগুলো দেখতে দর্শক হলে আসবে? ফলে ভারতীয় ছবির ওপর নির্ভর করা ছাড়া উপায় দেখছি না।’

বিগত বছরগুলোয় আমদানি করা ভারতীয় ছবির দিকে তাকালে দেখা যায়, বেশির ভাগ ছবিই বক্স অফিসে অত ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। তাই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের শূন্য হল আবার পূর্ণ করতে পারবে ভারতীয় ছবি? জবাবে প্রদর্শক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘কী করে বলি, হল আবার সচল হবে কিনা! তবে আমরা আশা করছি। যদি দর্শক যায়, তাহলেই সিনেমা হল সচল হবে। এখন ছবির অভাব সবচেয়ে বেশি। দর্শক তো হলে নাই। হল থেকে বেরিয়ে গেছেন তাঁরা। তাঁদের ফেরানোর জন্য মানসম্মত ছবির বিকল্প নেই।’

‘বাজি’ ছবিতে জিৎ ও মিমি চক্রবর্তী। ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটিপরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, ‘হল বাঁচাতে যে পরিমাণ বাণিজ্যিক ছবি প্রয়োজন, তা তৈরি করা যাচ্ছে না। কাজেই বর্তমান বাস্তবতাটাই এমন দাঁড়িয়েছে যে হল বাঁচাতে হলে বিদেশি ছবি আনতেই হবে বলে মনে করছি।’

ছবির অভাবে ব্যবসায়িক মন্দার কারণে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। তাই হল বাঁচাতে বাণিজ্যিক ছবি চান হলমালিকেরা। তাঁদের প্রথম পছন্দ দেশীয় চলচ্চিত্র। কিন্তু দেশীয় নির্মাতারা হলের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না বলেই বিদেশি ছবির কথা ভাবছেন হলমালিকেরা। যেহেতু ভারতে বড় বাজেটের বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে, সেগুলোর দর্শকও আছে এখানে, তাই আমদানি করা ছবিগুলো দর্শকদের হলে ফেরাতে পারবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রুনা লায়লাকে নিয়ে উপন্যাস ‘মায়ার সিংহাসন’ প্রকাশিত হবে শিল্পীর জন্মদিনে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত
রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।

লেখকের মতে, রুনা লায়লাকে নিয়ে লেখা মায়ার সিংহাসন শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সুরের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের যাত্রা। রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা অনুভব, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে নিয়ে যাবে এক মায়াবী সুরের ভুবনে। লেখকের কলমে ভর করে শব্দগুলো যেন সুরে রূপ নেয়, আর সেই সুরের ভেতর থেকে জন্ম নেয় গল্প।

লেখক আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, ‘রুনা লায়লা জনপ্রিয় শিল্পী, গুণীজন। তাঁর গান শ্রোতার মনকে আন্দোলিত করে। যখনই রুনা লায়লার কণ্ঠে গান শুনি, মনে হয় আমি অন্য এক সময়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে মানুষ ছিল কম, সুর ছিল বেশি। এই উপন্যাস আসলে সেই যাত্রারই গল্প।’

এক ভিডিও বার্তায় মায়ার সিংহাসন উপন্যাসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘মায়ার সিংহাসন বইটি আমাকে নিয়ে লিখেছে। আমার জন্যই লিখেছে। সবাই পড়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।’ মায়ার সিংহাসন উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরিচালক, প্রযোজক বদলে এক যুগ পর আসছে শুভ ও তমা অভিনীত সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত
তমা মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে। সে সময় অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু সিনেমায়। এসবের মধ্যে এমন কয়েকটি সিনেমা আছে, যেগুলোর শুটিং শেষ হয়নি, আবার কিছু সিনেমার শুটিং শেষ হলেও মুক্তি পায়নি। তেমন একটি সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। এই সিনেমায় তমা অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। শুটিং শুরুর এক যুগ পর ৭ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে বদলে গেছে সিনেমার নাম। শুধু তা-ই নয়, বদল হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকও।

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। সিনেমাটি প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের বানানোর কথা থাকলেও শুটিং শুরুর আগে তিনি সরে আসেন। দ্য রেইন পিকচার্সের ব্যানারে সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে থাকা ফয়েজুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশনায় শুরু হয় শুটিং। দেশে ফিরে তিনি এই সিনেমার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।

এরপর তাঁর নির্দেশনাতেই চলে শুটিং। ২০১৬ সালের দিকে শুটিং শেষের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে নেই পুরোনো কেউ। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা যাচ্ছে, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, মন যে বোঝে না।

‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা
‘মন যে বোঝে না’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ও তমা মির্জা

সিনেমা মুক্তির খবর জানিয়ে পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে আমরা চেষ্টা করেছি সমাজ, জীবন আর মানুষের অনুভূতির গল্প তুলে ধরতে। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনই আমাদের এই যাত্রাকে সার্থক করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষে তিনি সরে আসেন। পরে আয়েশা সিদ্দিকা এটি শেষ করেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে যখন এই সিনেমার শুটিং হচ্ছিল, তখন আমি অনেক ব্যস্ত। একের পর এক সিনেমা ছিল আমার হাতে। কিন্তু এই সিনেমার শুটিং বিরতি দিয়ে হচ্ছিল। শিডিউল মেলাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রায় ৪০ ভাগ শুটিংয়ের পর আমি বের হয়ে আসি।’

সিনেমার মাঝপথে সরে এলেও মন যে বোঝে না সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে তুহিন ও প্রত্যয়ের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত
শফিক তুহিন ও প্রত্যয় খান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।

মানবতার জয় হোক গানটি নিয়ে শফিক তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আস্থা, ভরসা ও গর্বের জায়গা। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছি। গানটি করতে গিয়ে যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’

প্রত্যয় খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এই গান। চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগবে—এমন একটি সুর করতে, সুন্দর করে গাইতে। আশা করি, গানটি আমাদের ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

গীতিকার শফিক তুহিন লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দেন এবং সুর করেন। গানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

অন্যদিকে, বাবা রিপন খান ও বড় ভাই হৃদয় খানের পথ ধরে মিউজিকে আসা প্রত্যয় খানের। গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত আয়োজন করেন তিনি। অভিনয়েও দেখা গেছে তাঁকে। ২০১২ সালে অপূর্ব ও পড়শীর সঙ্গে ‘রিদম’ নামের নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যয়। এরপর মডেল হয়েছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও গানে। চলতি বছরে তিনি অভিনয় করেছেন সম্রাট জাহাঙ্গীর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। এতে একজন মিউজিশিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রত্যয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পারিবারিক গল্পে নতুন ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
‘এটা আমাদেরই গল্প’ ধারাবাহিকের অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।

পরিচালনার পাশাপাশি ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, মনিরা আক্তার মিঠু, নাদের চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, ডিকন নূর, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ জানান, এটা আমাদের গল্প ধারাবাহিকটিতে পারিবারিক বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের মূল শক্তি হলো পরিবার। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারকে কেন্দ্র করে বলা গল্পগুলো দর্শকের হৃদয়ে সব সময় গভীরভাবে দাগ কাটে। তাই এই সিরিজের ট্যাগলাইন রেখেছি “পরিবারই শুরু, পরিবারই শেষ”। গল্পে আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব আর মমত্ববোধ। দর্শক যেন নিজের জীবনের টুকরা টুকরা অংশ এখানে খুঁজে পান, সেটাই আমাদের মূল চেষ্টা।’

এই ধারাবাহিকের জন্য তিনটি গান তৈরি হয়েছে। মাহমুদ মানজুরের লেখা টাইটেল গানটি সুর করেছেন আরফিন রুমি, কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান ও আরফিন রুমি। তারিক তুহিনের লেখা ‘সে মানালে’ শিরোনামের গানটি নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে গেয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল। সিয়াম সরকারের লেখা ‘জানি না’ শিরোনামের একটি গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন প্রত্যয় খান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সুস্মিতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত