Ajker Patrika

তরুণদের বন্ধুত্বের গল্পে আসছে ‘উড়াল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘উড়াল’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে
‘উড়াল’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

তরুণদের বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা উড়াল। পর্দায় দেখা যাবে তিন বন্ধু এবং এক তরুণীর গল্প। এতে অভিনয় করেছেন একদল নতুন মুখ। বানিয়েছেন জোবায়দুর রহমান। ২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সিনেমার শুটিং। অবশেষে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্মাতা। গত বৃহস্পতিবার সিনেমার একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, শিগগিরই সিনেমাটি দেখা যাবে প্রেক্ষাগৃহে। নির্মাতা জানালেন, কোরবানির ঈদের পরে উড়াল মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

কেন্দ্রীয় চরিত্রের প্রায় সব অভিনয়শিল্পীর বয়স ২০ থেকে ২৩ বছর। বেশির ভাগেরই পর্দায় অভিষেক হচ্ছে এ সিনেমা দিয়ে। এটি নির্মাতা জোবায়দুর রহমানেরও প্রথম সিনেমা। শুধু তা-ই নয়, উড়াল দিয়ে প্রযোজনায় অভিষেক হচ্ছে অভিনেতা শরীফ সিরাজের। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল হালিম প্রামাণিক। সিনেমায় তাঁরও এটি প্রথম কাজ।

তরুণ অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে নির্মাতা জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প যখন চূড়ান্ত হয়, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নতুনদের নিয়ে কাজ করার। মূলত গল্পের কারণেই তরুণ অভিনয়শিল্পীদের নেওয়া। পরিচিত শিল্পী নিলে হয়তো আমরা অনেক সুবিধা পেতাম। কিন্তু আমরা চেয়েছি পর্দায় তাঁদের দেখলে যেন দর্শক চরিত্রটিকেই দেখেন। পরিচিত শিল্পী হলে তেমনটা হওয়া কঠিন।’

ঢাকায় অডিশনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্পীদের। সৈয়দপুর ও পার্বতীপুর থেকে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে বাকি শিল্পীদের। এতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ মুন্না, সোহেল তৌফিক, শান্ত চন্দ্র সূত্রধর, কাব্যকথা, কে এম আবদুর রাজ্জাক, কবরী দাশ, রোশেন শরিফ, মীর সরওয়ার আলী মুকুল প্রমুখ।

অভিনয়শিল্পী বাছাই প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের সিনেমায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার আছে। চেষ্টা করেছি যে এলাকার গল্প সেখানে শুটিং করার। তাই সেখানকার স্থানীয় নাট্যদল থেকে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিল্পী বাছাই করা হয়েছে। আর যাঁরা কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তাঁদের গ্রুমিং করানো হয়েছে। এটা যেহেতু বন্ধুত্বের গল্প, তাই গ্রুমিং সেশন থেকেই অভিনয়শিল্পীদের মাঝে বন্ধুত্ব তৈরির চেষ্টা করেছি। শুটিংয়েও তাঁরা একসঙ্গে থেকেছেন, ভাগ করে খাবার খেয়েছেন। পর্দায় বন্ধুত্বের সেই রসায়নটা দেখতে পাবেন দর্শকেরা।’

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘নতুনদের নিয়ে কাজ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অভিজ্ঞতা। সবাই যেহেতু নতুন, তাই পুরো প্রক্রিয়াটা আগে বোঝাতে হয়েছে। আমাদের বাজেটের সীমাবদ্ধতা ছিল। শুটিংয়ে বিলাসিতার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে, সবার মধ্যেই ভালো করার আগ্রহ ছিল। সবার সহযোগিতায় আমরা একটি ভালো কাজের চেষ্টা করেছি। এবার দর্শকের দেখার পালা। তাঁদের ভালো লাগলেই আমরা সার্থক।’

ঈদের পরেই সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান নির্মাতা। বন্ধুত্বের গল্পের সিনেমা বলে বন্ধু দিবসেও মুক্তি দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত