Ajker Patrika

‘প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি’

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৭: ০০
‘প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি’

আজকের পত্রিকা : ওয়েব সিরিজ ‘ঊনলৌকিক’-এর নতুন পর্ব ‘মিসেস প্রহেলিকা’য় আপনার চরিত্রটি নিয়ে বলুন…
চঞ্চল চৌধুরী:
সিরিজের এই গল্পে আমি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। আজকের গল্পে আরও অভিনয় করেছেন তিশা। তাঁর চরিত্রের নাম হুমায়রা। আমার চেম্বারে আসে। চেম্বারে এসে হুমায়রা কিছু অদ্ভুত ঘটনা বলে, অদ্ভুত আচরণ করে। পুরো বিষয়টাই একধরনের ঘোর তৈরি করে। হুমায়রা যা কিছু বলে, তার সবটাই কি কল্পনা, নাকি বাস্তব? গল্পের ধরন, চিত্রনাট্যের মোড় আর প্রেজেন্টেশনের ভিন্নতা এই সিরিজের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ ইতিমধ্যে তৈরি করেছে। পরিচালক রবিউল আলম রবি, গল্পে শিবব্রত বর্মণ আর চিত্রনাট্য ও প্রোডাকশন ডিজাইনে সৈয়দ আহমদ শাওকিসহ পুরো টিম যেভাবে সিরিজটি বানিয়েছে, তা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

আজকের পত্রিকা: চরকির আর কোনো কাজ করছেন?
চঞ্চল: অমিতাভ রেজার ওয়েব ফিল্ম ‘মুন্সিগিরি’র শুটিং করেছি। আমার অংশের পুরো কাজই শেষ, কেবল এক দিনের প্যাচওয়ার্ক আছে। ঈদের আগেই করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে করা হয়নি। লকডাউন শিথিল হলেই সেটা করা হবে।

আজকের পত্রিকা: যেকোনো চরিত্রেই আপনার ড্রেসআপ–গেটআপ চোখে পড়ার মতো। চরিত্রগুলোর চলনবলনও আলাদাভাবে নজর কাড়ে। এই যে চরিত্র নিয়ে আপনার পূর্ব প্রস্তুতি, এ বিষয়ে বলুন
চঞ্চল: আমি যখন কোনো চরিত্র পাই, তখন চরিত্রটাকে নিজের মাঝে ধারণ করার চেষ্টা করি। যদিও নাটকে সময়টা বেশি পাওয়া যায় না, তবু চেষ্টা করি চরিত্রটা নিয়ে একধরনের হোমওয়ার্ক করতে। এর জন্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করে চারুকলার শিক্ষাটা। কারণ একটা চরিত্র পাওয়ার পর কল্পনায় ইমেজটা আঁকতে পারি। যদি লেখাটা ঠিকঠাক থাকে, চরিত্র তো আসলে চোখের সামনে ভাসে। পড়তে পড়তেই বোঝা যায় চরিত্রটা এভাবে হাঁটছে, ওভাবে কথা বলছে। ওইটা আমি ফিল করার চেষ্টা করি। সেভাবেই আমার একটা প্রস্তুতি হয়ে যায়।

আজকের পত্রিকা: মেকআপ–গেটআপ কি আপনার অভিনয়কে ফুটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করে?
চঞ্চল:
একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিনয়ের পাশাপাশি চরিত্রটির মেকআপ–গেটআপ অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্ট। সব মিলিয়েই একটা চরিত্র পূর্ণতা পায়। তবে মেকআপ–গেটআপ অবশ্যই আমার অভিনয়কে এক ধাপ এগিয়ে দেয়।

আজকের পত্রিকা: চরিত্র নিয়ে নতুন কোনো চমক আসছে নাকি?
চঞ্চল: দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। একটি গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘পাপপুণ্য’। আরেকটি মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। এ দুটি ছবির গেটআপ দেখেও মানুষ চমকে যাবে। আগে যা করেছি তা থেকে ভিন্ন। আমার মেকআপ–গেটআপ দেখে দারুণ এক ধাক্কা খাবে দর্শক।

চঞ্চল চৌধুরীআজকের পত্রিকা: চরিত্র তৈরির জন্য পূর্বপ্রস্তুতিটা কত দিন ধরে চলে?
চঞ্চল:
নাটকে তো অতটা সময় পাওয়া যায় না। তার পরও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করি যতটা সময় নিয়ে চরিত্রটাকে নিজের মাঝে ধারণ করা যায়। এ ছাড়া আমি যতগুলো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি, ওসব ছবির শুটিং শুরুর আগে কমপক্ষে এক বছর করে সময় পেয়েছি। এই এক বছরে চরিত্র নিয়ে, ছবির গল্প নিয়ে, নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ধীরে ধীরে চরিত্রটাকেও পুরোপুরি চিনতে শুরু করি। বুঝতে শুরু করি। এই যেমন ধরুন, সামনে মুক্তির অপেক্ষায় আছে আমার অভিনীত ‘হাওয়া’। এই ছবির শুটিং শুরুর প্রায় দেড় বছর আগে নির্মাতার সঙ্গে আমার আলোচনা শুরু হয়েছে। শুটিং শুরুর পর প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে। প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি।

আজকের পত্রিকা: নতুন কাজের খবর কী?
চঞ্চল:
করোনার কারণে তো এখন খুব বেশি কাজ করা হচ্ছে না। কিছু প্ল্যানিং চলছে। সেগুলো বলার মতো অবস্থায় নেই। তবে এসব কাজের মধ্যে ওয়েবের জন্যই বেশি। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের ওটিটি প্ল্যাটফর্মেরও কাজ আছে কিছু। কোভিডের কারণে কাজগুলো বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে সংখ্যা বিবেচনায় এখন টেলিভিশনের কাজ খুব বেশি করা হচ্ছে না। ওয়েবের কাজগুলোতে বেশি বাজেট থাকে, তাই যত্ন নিয়ে কাজটাও করা যায়। ভালো পরিচালক, ক্যামেরাম্যানসহ কাজটা হয়। তাড়াহুড়াটা কম থাকে। টেলিভিশনে চার–পাঁচ শ নাটক না বানিয়ে হয়তো সংখ্যাটা কমিয়ে মানটার দিকে নজর দিলে আরও ভালো কাজ সম্ভব।

আজকের পত্রিকা: এবার ঈদেও বেশ কিছু নাটকে আপনার অভিনয় দেখা গেছে। কোভিডের জন্য কাজ করতে সমস্যা হয়নি?
চঞ্চল:
সমস্যা তো কিছু হয়েছে। তবু ইন্ডাস্ট্রিকেও তো সচল রাখতে হবে। ঈদের সময় চ্যানেলের প্রোগ্রাম তো লাগবে। দুই ঈদে ইন্ডাস্ট্রিতে যে পরিমাণ কাজ হয়, তা থেকে পেছনের অনেক মানুষ সারা বছর চলে। এটা দর্শকের জন্য বিনোদন, কিন্তু আমাদের জন্য তো রুটিরুজি। প্রডাকশন বয় থেকে শুরু করে লাইটের ছেলে, ক্যামেরার ছেলে—এরা বাঁচবে কীভাবে? ঈদ করবে কীভাবে? এদের জীবনযাপনের জন্য তো কাজ দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতনভাবেই কাজগুলো করেছি।

আজকের পত্রিকা: লকডাউনের সময়টা কীভাবে কাটছে?
চঞ্চল:
বাসায় খাইদাই ঘুমাই। অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। রাত জেগে সিনেমা দেখি। এইতো চলছে জীবন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটি পেরি ও ট্রুডোর একান্ত সময়

বিনোদন ডেস্ক
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।

মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে একই মঞ্চে অর্থহীন ও আসিফ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।

কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ‍্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ‍্যাত ব‍্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব‍্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব‍্যত‍্যয় ঘটেনি, ব‍্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’

আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন‍্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ‍্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন‍্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ‍্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বহুরূপী’ সিনেমায় প্রস্তাব পাওয়ার কথা বলেছিলেন মেহজাবীন, অস্বীকার করলেন নির্মাতা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’

সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/

এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামানের হাতে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।

পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত