আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত দর্শকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। কারণ, মার্কিন সমাজ ইউরোপের মতো সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নয়।
ম্যাকসিম কট্রে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বিদেশি চলচ্চিত্রের জন্য বরাবরই কঠিন। এর প্রধান কারণ ভাষা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা সাবটাইটেল বা ডাবিংয়ে অভ্যস্ত নন। তাই তাঁরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র খুব একটা দেখতে চান না। তবে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ডাবিং প্রযুক্তি এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত-চালিত ডাবিং প্রযুক্তি দিয়ে ডাবিং করা সুইডিশ সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্র ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’। চলচ্চিত্রটির অডিও ও ভিডিও প্রক্রিয়াজাত করা হয় ‘ডিপএডিটর’ নামের একটি ডিজিটাল টুলে, যা এমনভাবে সংলাপকে রূপ দেয় যে, মনে হয়, অভিনেতারা ওই ভাষাতেই কথা বলছেন।
এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে বলেন, ‘প্রথম যখন এ প্রযুক্তির ফলাফল দেখেছিলাম, তখন ভালো লেগেছিল। কিন্তু সর্বশেষ সংস্করণ দেখে আমি অভিভূত। আমি নিশ্চিত, সাধারণ দর্শক বুঝতেই পারবেন না এটি ডাব করা—তাঁরা ধরে নেবেন অভিনেতারাই ওই ভাষায় কথা বলছেন।’
এ বছরের মে মাসে ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’-এর ইংরেজি সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১১০টি এএমসি থিয়েটারে মুক্তি পায়। কট্রে জানান, ইংরেজিতে ডাব না করা হলে এই ছবি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। ফলে মার্কিন দর্শকেরা এমন একটি সুইডিশ স্বাধীন চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছেন, যা অন্যথায় কেবল সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকত। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এএমসি একই ধরনের আরও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করছে।
ডিপএডিটর প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে ফ্ললেস নামের লন্ডনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালে ফ্ললেস প্রতিষ্ঠা করেন লেখক ও পরিচালক স্কট ম্যান। তিনি হেইস্ট, দ্য টুর্নামেন্ট, ফাইনাল স্কোরসহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
স্কট ম্যান জানান, আন্তর্জাতিক সংস্করণের জন্য প্রচলিত ডাবিং কৌশল তাঁর চলচ্চিত্রগুলোর আসল আবেগ ও প্রভাবকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে হেইস্ট ছবিতে রবার্ট ডি নিরোসহ দুর্দান্ত একটি কাস্ট নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু যখন সে ছবিটি অন্য ভাষায় ডাব করা সংস্করণে দেখলাম, তখনই বুঝলাম, কেন সিনেমা আর টেলিভিশন আন্তর্জাতিকভাবে তেমন সাড়া পায় না। কারণ, পুরোনো ধাঁচের ডাবিং আসলে পুরো চলচ্চিত্রের আবেগ ও অনুভূতি নষ্ট করে দেয়। সবকিছু তালছাড়া হয়ে যায়, অভিনয়ও ভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আমি বলব, ডাবিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক দর্শকেরা প্রকৃত মান তো পানই না, বরং নিম্নমানের সংস্করণ তাঁদের কাছে পৌঁছায়।’
অভিনয়ের আবেগ অক্ষুণ্ন রেখে বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্রটি উপস্থাপন করতে সক্ষম ডিপএডিটর। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয় ‘ডিপএডিটর’। স্কটম্যান জানান, ফেস ডিটেকশন, ফেসিয়াল রিকগনিশন, ল্যান্ডমার্ক শনাক্তকরণ ও থ্রিডি ফেস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি দৃশ্যে অভিনেতার চেহারা, অঙ্গভঙ্গি ও আবেগ অক্ষুণ্ন রাখা হয়। এতে নতুন করে শুটিং বা ডাবিং ছাড়াই অভিনয়ের মূল আবেগ ধরে রেখে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা সম্ভব হয়। স্কট বলেন, ‘ওয়াচ দ্য স্কাইজ’ ছিল বিশ্বের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভিজ্যুয়ালি-ডাবড ফিচার ফিল্ম। শুধু অন্য ভাষায় উপস্থাপনই নয়, একই দৃশ্যের অন্য টেক থেকে উন্নত অভিনয় এনে ব্যবহার করতে পারে এই প্রযুক্তি।
শিল্পবিশ্লেষকদের মতে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেমন নেটফ্লিক্স ও অ্যাপল টিভির প্রসারের কারণে বৈশ্বিক ডাবিং বাজার ২০২৪ সালের ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩৩ সালে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। স্কট বলেন, ডিপএডিটর দিয়ে ডাবিংয়ে যে খরচ হয়, তা প্রচলিত শুটিং বা ডাবিংয়ে খরচের প্রায় দশভাগের একভাগ। তিনি আরও জানান, তাঁর গ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মই রয়েছে।
প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে স্কট বলেন, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সিনেমা ও টিভি শো রয়েছে, যা ইংরেজিভাষী দর্শকেরা দেখেন না। কারণ, অনেকেই সাবটাইটেল বা ডাবিং পছন্দ করেন না। এ প্রযুক্তি সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি অভিনেতাদের বিকল্প নয়। এখানে সিনথেটিক ভয়েসের পরিবর্তে শুধু অভিনেতাদের আসল কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রযুক্তিটির নেতিবাচক দিক কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কিতও অনেকে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমের সহকারী অধ্যাপক নেত্তা আলেকজান্ডার বলেন, বিদেশি চলচ্চিত্রকে কৃত্রিমভাবে ইংরেজি ভাষায় রূপান্তর করলে ভাষা, সংস্কৃতি ও অঙ্গভঙ্গির স্বকীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। তাঁর ভাষ্য, যদি সব বিদেশি ছবি ইংরেজি ভাষার মতো শোনায় ও দেখায়, তাহলে দর্শকদের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে কৃত্রিম ও নির্জীব। এতে আন্তসাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সাবটাইটেল বা মূল ভাষায় সিনেমা দেখার প্রবণতাও কমে যাবে।
আলেকজান্ডার আরও সতর্ক করেন, সাবটাইটেল সরিয়ে দেওয়ার ফলে ভাষাশিক্ষার্থী, অভিবাসী, শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ নানা দর্শক বঞ্চিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ক্লোজড ক্যাপশনিং শুধু একটি বিকল্প নয়, বরং এটি ভিজ্যুয়াল ও অডিও—উভয় দিকের গল্প বলাকে সবার জন্য অক্ষুণ্ন রাখার উপায়। বিদেশি সিনেমাকে সহজভাবে ইংরেজিভাষীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেয়ে বরং ভাবা উচিত—কীভাবে দর্শকদের ভিন্ন সংস্কৃতির সিনেমা তাঁদের নিজস্ব শর্তে গ্রহণে উৎসাহিত করা যায়।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে
মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য। তিনি লিখেছেন ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে’, ‘আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘যতীন স্যারের ক্লাসে’, ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ‘সময় যেন কাটে না’র মতো কালজয়ী অনেক গান। লিখছেন এখনো। আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ হবে শহীদ মাহমুদের ৭০ বছর। গান ও আড্ডায় এই গীতিকবির সাত দশকের জীবন পরিক্রমা উদ্যাপন করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। ১২ ডিসেম্বর ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আজব কারখানা।
ধানমন্ডির রাশান হাউসে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। সূচনা বক্তব্য এবং গীতিকারকে নিয়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণার পর মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ নামের স্মৃতিচারণা গ্রন্থের। জয় শাহরিয়ারের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে গীতিকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন নকীব খান, সামিনা চৌধুরী, ফয়সাল সিদ্দিকী বগি, ফোয়াদ নাসের বাবু, কুমার বিশ্বজিৎ, পিলু খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া, লিটন অধিকারী রিন্টু, গোলাম মোরশেদ, বাপ্পী খানসহ অনেকে। এতে উঠে এসেছে গীতিকারের জীবনের নানা ঘটনা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা গান শোনাবেন রফিকুল আলম, নাসিম আলী খান, বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, সুমন কল্যাণ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাশ, ব্যান্ড সোলস, রেনেসাঁসহ অনেকে।
উৎসব উদ্যাপন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, পিলু খান, জয় শাহরিয়ার, শামীম আহমেদ, এনাম এলাহী টন্টি, সুমন কল্যাণ, শাকিল খান, হাসান আসাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য। তিনি লিখেছেন ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে’, ‘আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘যতীন স্যারের ক্লাসে’, ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ‘সময় যেন কাটে না’র মতো কালজয়ী অনেক গান। লিখছেন এখনো। আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ হবে শহীদ মাহমুদের ৭০ বছর। গান ও আড্ডায় এই গীতিকবির সাত দশকের জীবন পরিক্রমা উদ্যাপন করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। ১২ ডিসেম্বর ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আজব কারখানা।
ধানমন্ডির রাশান হাউসে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। সূচনা বক্তব্য এবং গীতিকারকে নিয়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণার পর মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ নামের স্মৃতিচারণা গ্রন্থের। জয় শাহরিয়ারের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে গীতিকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন নকীব খান, সামিনা চৌধুরী, ফয়সাল সিদ্দিকী বগি, ফোয়াদ নাসের বাবু, কুমার বিশ্বজিৎ, পিলু খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া, লিটন অধিকারী রিন্টু, গোলাম মোরশেদ, বাপ্পী খানসহ অনেকে। এতে উঠে এসেছে গীতিকারের জীবনের নানা ঘটনা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা গান শোনাবেন রফিকুল আলম, নাসিম আলী খান, বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, সুমন কল্যাণ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাশ, ব্যান্ড সোলস, রেনেসাঁসহ অনেকে।
উৎসব উদ্যাপন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, পিলু খান, জয় শাহরিয়ার, শামীম আহমেদ, এনাম এলাহী টন্টি, সুমন কল্যাণ, শাকিল খান, হাসান আসাদ প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্ত
১৮ আগস্ট ২০২৫
মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং।
৭ ঘণ্টা আগেরন্ধনশিল্পীকে নিয়ে সিনেমা
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে টমি মিয়াস হসপিটালিটি ইনস্টিটিউট থেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শেফ। এবার এই রন্ধনশিল্পীর জীবনী আসছে বড় পর্দায়। ‘সিটিএম’ নামের এই বায়োপিক পরিচালনা করবেন মনিরুজ্জামান মনির।
আগামী বছর টমি মিয়া এমবিইর সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘টমি মিয়াস ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৬’। অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দেশের একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গতকাল এ উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নিজের বায়োপিকের ঘোষণা দেন টমি মিয়া।
পর্দায় টমি মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসেন। অভিনয়ে আসার আগে যিনি নিজেও কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। ২০০৭ সালে টমি মিয়াস ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট থেকে ট্রেনিং করেন সাজ্জাদ। এরপর লন্ডনের রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে অভিনয়ের টানে চলে আসেন দেশে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে কোর্স করার সময় টমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এই পরিচয় তাঁর জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে কাজে লাগবে আমার। এ ছাড়া শেফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় পর্দায় তাঁর চরিত্রটি উপস্থাপন করা একটু সহজ হবে আমার জন্য।’
সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘এটি বায়োপিক হলেও সুন্দর একটি গল্প আছে, প্রেম আছে, ট্র্যাজেডি আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের জন্য উপভোগ্য একটি সিনেমা হবে। চেষ্টা করব পর্দায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে টমি মিয়া হিসেবে উপস্থাপন করতে। ইতিমধ্যে টমি ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছি।’
‘এমআরনাইন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক সাজ্জাদের। এরপর অভিনয় করেছেন ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাজ্জাদ অভিনীত ‘প্রেম পুরাণ’ সিনেমাটি।
জানা গেছে, লন্ডনে বড় একটি অংশের শুটিং হবে সিটিএম সিনেমার। টমি মিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনায় থাকবেন বাংলাদেশ ও লন্ডনের কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে মহরত অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এই সিনেমার।

মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে টমি মিয়াস হসপিটালিটি ইনস্টিটিউট থেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শেফ। এবার এই রন্ধনশিল্পীর জীবনী আসছে বড় পর্দায়। ‘সিটিএম’ নামের এই বায়োপিক পরিচালনা করবেন মনিরুজ্জামান মনির।
আগামী বছর টমি মিয়া এমবিইর সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘টমি মিয়াস ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৬’। অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দেশের একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গতকাল এ উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নিজের বায়োপিকের ঘোষণা দেন টমি মিয়া।
পর্দায় টমি মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসেন। অভিনয়ে আসার আগে যিনি নিজেও কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। ২০০৭ সালে টমি মিয়াস ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট থেকে ট্রেনিং করেন সাজ্জাদ। এরপর লন্ডনের রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে অভিনয়ের টানে চলে আসেন দেশে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে কোর্স করার সময় টমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এই পরিচয় তাঁর জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে কাজে লাগবে আমার। এ ছাড়া শেফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় পর্দায় তাঁর চরিত্রটি উপস্থাপন করা একটু সহজ হবে আমার জন্য।’
সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘এটি বায়োপিক হলেও সুন্দর একটি গল্প আছে, প্রেম আছে, ট্র্যাজেডি আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের জন্য উপভোগ্য একটি সিনেমা হবে। চেষ্টা করব পর্দায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে টমি মিয়া হিসেবে উপস্থাপন করতে। ইতিমধ্যে টমি ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছি।’
‘এমআরনাইন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক সাজ্জাদের। এরপর অভিনয় করেছেন ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাজ্জাদ অভিনীত ‘প্রেম পুরাণ’ সিনেমাটি।
জানা গেছে, লন্ডনে বড় একটি অংশের শুটিং হবে সিটিএম সিনেমার। টমি মিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনায় থাকবেন বাংলাদেশ ও লন্ডনের কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে মহরত অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এই সিনেমার।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্ত
১৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। অমিত হাসান, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, মাহিয়া মাহি, সাজু খাদেমসহ বর্তমান সময়ের অনেক শিল্পী রয়েছেন এ তালিকায়। শিল্পীদের বিদেশে যাওয়া নিয়ে কথা বললেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। জানালেন কাজ কমে যাওয়ার কারণেই শিল্পীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
মিশা সওদাগরের পরিবারের সদস্যরাও স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি নিজেও বছরের অর্ধেক সময় কাটান মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেতা। তাঁর মতে, দেশে কাজ থাকলে শিল্পীদের বিদেশে যেতে হতো না।
মিশা বলেন, ‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী আর করার আছে। একসময় এক দিনে চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টায় শুরু করেছি, সেটা চলেছে রাত ২টা পর্যন্ত। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ। যে শিল্পীরা দেশের বাইরে গেছে, তাদের কি কারও মন চাইছিল দেশ ছেড়ে যেতে? আমার বন্ধু অমিত হাসান কত সিনেমার নায়ক, সেও বাইরে চলে গেছে। এ ছাড়া মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বো গেছে। অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছেড়েছে। মাহিয়া মাহিও যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমার কথাই যদি বলি, অভিনয় ছাড়া আমি তো কিছু পারি না। যাঁরা গেছে তাদেরকে দোষ দেওয়া যাবে না। কাজ যদি থাকত তাহলে তো তারা এখানেই কাজ করত।’
মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদের কাজ থাকুক না থাকুক, অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। চেহারায় একটা গেটআপ রাখতে হয়, একটা গাড়ি রাখতে হয়, একটা ভালো মোবাইল ব্যবহার করতে হয়, ভালো পোশাক পরতে হয়, ড্রয়িংরুম সাজিয়ে রাখতে হয়। তা ছাড়া আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য। পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার জন্য। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একজন শিল্পী কী করবে? শিল্পীদের সেক্রিফাইসগুলো সবাই বুঝবে না। ওইখানে (বিদেশে) গেলে অন্তত কাজ করে পরিবার নিয়ে সারভাইভ করতে পারবে।’

বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। অমিত হাসান, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, মাহিয়া মাহি, সাজু খাদেমসহ বর্তমান সময়ের অনেক শিল্পী রয়েছেন এ তালিকায়। শিল্পীদের বিদেশে যাওয়া নিয়ে কথা বললেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। জানালেন কাজ কমে যাওয়ার কারণেই শিল্পীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
মিশা সওদাগরের পরিবারের সদস্যরাও স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি নিজেও বছরের অর্ধেক সময় কাটান মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেতা। তাঁর মতে, দেশে কাজ থাকলে শিল্পীদের বিদেশে যেতে হতো না।
মিশা বলেন, ‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী আর করার আছে। একসময় এক দিনে চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টায় শুরু করেছি, সেটা চলেছে রাত ২টা পর্যন্ত। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ। যে শিল্পীরা দেশের বাইরে গেছে, তাদের কি কারও মন চাইছিল দেশ ছেড়ে যেতে? আমার বন্ধু অমিত হাসান কত সিনেমার নায়ক, সেও বাইরে চলে গেছে। এ ছাড়া মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বো গেছে। অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছেড়েছে। মাহিয়া মাহিও যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমার কথাই যদি বলি, অভিনয় ছাড়া আমি তো কিছু পারি না। যাঁরা গেছে তাদেরকে দোষ দেওয়া যাবে না। কাজ যদি থাকত তাহলে তো তারা এখানেই কাজ করত।’
মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদের কাজ থাকুক না থাকুক, অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। চেহারায় একটা গেটআপ রাখতে হয়, একটা গাড়ি রাখতে হয়, একটা ভালো মোবাইল ব্যবহার করতে হয়, ভালো পোশাক পরতে হয়, ড্রয়িংরুম সাজিয়ে রাখতে হয়। তা ছাড়া আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য। পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার জন্য। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একজন শিল্পী কী করবে? শিল্পীদের সেক্রিফাইসগুলো সবাই বুঝবে না। ওইখানে (বিদেশে) গেলে অন্তত কাজ করে পরিবার নিয়ে সারভাইভ করতে পারবে।’

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্ত
১৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে
মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ।
৬ ঘণ্টা আগে
দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং।
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং। কিশোর বয়সের ওই অপরাধের জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা।
মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন জো জিন উং। ২০০৪ সালে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। ‘দ্য হ্যান্ডমেইডেন’, ‘দ্য শেরিফ ইন টাউন’, ‘দ্য স্পাই গন নর্থ’, ‘বিলিভার’, ‘ইনটিমেট স্ট্রেঞ্জার’, ‘ব্ল্যাক মানি’সহ অনেক আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া দেখা দিয়েছেন ‘ডিপ রুটেড ট্রি’, ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’, ‘সিগন্যাল’, ‘দ্য গুড ব্যাড মাদার’সহ অনেক সিরিয়ালে। কোরিয়ান সিনেমা ও কে-ড্রামার এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে এবার বিতর্কের জেরে অভিনয় ছাড়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
সম্প্রতি একটি কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, হাইস্কুলে পড়ার সময় গাড়ি চুরির দায়ে জো জিন উংকে একবার কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল। এ ছাড়া ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল সিনেমার শুটিং চলাকালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। স্থগিত করা হয়েছিল তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স। অভিনেতার এসব পুরোনো অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর নতুন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় জো জিন উংকে। অন্য সব অভিযোগ মেনে নিলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। সেই সঙ্গে নাবালক অবস্থায় ঘটা এসব অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
এক বিবৃতিতে জো জিন উং বলেন, ‘অতীতের এসব ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আপনাদের সব সমালোচনা মাথা পেতে নিলাম। সেই সঙ্গে আমার অভিনয় ক্যারিয়ারকে এখানেই বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।’
বিতর্কের জেরে এরই মধ্যে ‘ওয়ার অন ক্রাইম’ ডকুমেন্টারি সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জো জিন উংকে। এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল গত ৩০ নভেম্বর। নতুন পর্বে আর শোনা যাবে না তাঁর কণ্ঠ। জো জিন উং অভিনীত আলোচিত সিরিজ ‘সিগন্যাল ২’ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিরিজটির শুটিং শেষ হলেও এতে তাঁর উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
প্রবল সমালোচনার মধ্যেও জো জিন উংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তাঁদের মতে, কিশোর বয়সে ঘটা অপরাধের জন্য ওই সময়ই শাস্তি পেয়েছিলেন জো জিন উং। তাহলে এত বছর পর কেন নতুন করে তাঁকে হেনস্তা করা হবে! বরং একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার অন্ধকার অতীত টেনে আনায় মিডিয়ার সমালোচনা করছেন তাঁরা।

দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং। কিশোর বয়সের ওই অপরাধের জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা।
মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন জো জিন উং। ২০০৪ সালে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। ‘দ্য হ্যান্ডমেইডেন’, ‘দ্য শেরিফ ইন টাউন’, ‘দ্য স্পাই গন নর্থ’, ‘বিলিভার’, ‘ইনটিমেট স্ট্রেঞ্জার’, ‘ব্ল্যাক মানি’সহ অনেক আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া দেখা দিয়েছেন ‘ডিপ রুটেড ট্রি’, ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’, ‘সিগন্যাল’, ‘দ্য গুড ব্যাড মাদার’সহ অনেক সিরিয়ালে। কোরিয়ান সিনেমা ও কে-ড্রামার এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে এবার বিতর্কের জেরে অভিনয় ছাড়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
সম্প্রতি একটি কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, হাইস্কুলে পড়ার সময় গাড়ি চুরির দায়ে জো জিন উংকে একবার কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল। এ ছাড়া ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল সিনেমার শুটিং চলাকালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। স্থগিত করা হয়েছিল তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স। অভিনেতার এসব পুরোনো অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর নতুন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় জো জিন উংকে। অন্য সব অভিযোগ মেনে নিলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। সেই সঙ্গে নাবালক অবস্থায় ঘটা এসব অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
এক বিবৃতিতে জো জিন উং বলেন, ‘অতীতের এসব ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আপনাদের সব সমালোচনা মাথা পেতে নিলাম। সেই সঙ্গে আমার অভিনয় ক্যারিয়ারকে এখানেই বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।’
বিতর্কের জেরে এরই মধ্যে ‘ওয়ার অন ক্রাইম’ ডকুমেন্টারি সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জো জিন উংকে। এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল গত ৩০ নভেম্বর। নতুন পর্বে আর শোনা যাবে না তাঁর কণ্ঠ। জো জিন উং অভিনীত আলোচিত সিরিজ ‘সিগন্যাল ২’ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিরিজটির শুটিং শেষ হলেও এতে তাঁর উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
প্রবল সমালোচনার মধ্যেও জো জিন উংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তাঁদের মতে, কিশোর বয়সে ঘটা অপরাধের জন্য ওই সময়ই শাস্তি পেয়েছিলেন জো জিন উং। তাহলে এত বছর পর কেন নতুন করে তাঁকে হেনস্তা করা হবে! বরং একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার অন্ধকার অতীত টেনে আনায় মিডিয়ার সমালোচনা করছেন তাঁরা।

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার বাজারে পৌঁছে দেওয়ার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভিজ্যুয়াল ডাবিং প্রযুক্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক স্বাধীন প্রযোজনা সংস্থা এক্সওয়াইজেড ফিল্মসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ম্যাকসিম কট্রে জানান, এত দিন বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র যুক্ত
১৮ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে
মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
৬ ঘণ্টা আগে