Ajker Patrika

কানাডা থেকে বলিউড মাত

বিনোদন প্রতিবেদক
কানাডা থেকে বলিউড মাত

ঢাকা: ইন্দো-কানাডিয়ান শিল্পী জোনিতা গান্ধী বিভিন্ন ভাষায় গাইতে পারঙ্গম। হিন্দি, ইংরেজি ছাড়াও তিনি ফ্রেঞ্চ, তামিল, তেলুগু, বাংলা, পাঞ্জাবি, মারাঠি, কন্নড়, মালয়ালাম—কোন ভাষায় গাইতে জানেন না! ভারতের মতো বহুভাষী দেশে এমন গায়িকার কদর তো থাকবেই। হয়েছেও তাই। ইউটিউবে যখন নিজের গানগুলো প্রকাশ করতে থাকলেন, তুমুল সাড়া ফেলল শুরুতেই। তবে শুধু বিভিন্ন ভাষায় গাওয়ার সক্ষমতার কারণেই নয়, গায়কির জন্যও সমালোচকদের কাছে আলাদা কদর পেলেন জোনিতা। এটা দিয়েই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবির টাইটেল গাওয়ার সুযোগ পান। এরপর তিনি কাজ করেছেন এ আর রহমান, সনু নিগম, প্রীতম, বিশাল-শেখরসহ অনেকের সঙ্গেই। কণ্ঠ দিয়েছেন ‘ড্রিম গার্ল’, ‘দ্য স্কাই ইজ পিংক’, ‘মেড ইন চায়না’, ‘টাইম টু ড্যান্স’, ‘৯৯ সংগস’সহ হালের প্রায় সব হিন্দি ছবিতেই। গত ৯ বছরে সব মিলিয়ে ভারতের বিভিন্ন ভাষার সিনেমায় শখানেক গান হয়েছে জোনিতার! তবে বলিউড সাফল্যে গায়িকা এখনো ভোলেননি শুরুর দিনগুলোর কথা, ‘ইউটিউবের জন্যই আমি এ জায়গায় এসেছি। খুব কম বয়সে শুরু করেছিলাম। অনেক কিছুই বুঝতাম না। মানুষ ভালোবেসেছে বলেই এত দূর আসতে পেরেছি।’

জোনিতা গান্ধীকানাডার টরন্টোয় বেড়ে ওঠা বলে সেখানে ভারতীয়দের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন তিনি। এই গণ্ডি থেকে বের হয়ে অন্য শহর বা দেশের সংগীতশিল্পীদের কাছে নিজের গান পৌঁছানোর জন্য ইউটিউবে চ্যানেল খোলেন। এরপর একদিন এ আর রহমানের নজরে পড়ে তাঁর গান। এ আর রহমান নিজের টুইটার পেজে জোনিতার প্রশংসা করেন। এরপর জোনিতা ‘কোক স্টুডিও’র একটা এপিসোড করেন ক্লিনটন সেরিজোর সঙ্গে। ক্লিনটন সেরিজোর মাধ্যমেই এ আর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ হয় তার। পরে এ আর রহমানের সঙ্গে অনেক সফল কাজ করেছেন জোনিতা।

জোনিতা গান্ধীইন্টারনেটে জোনিতা গান্ধী সার্চ করলেই বেরিয়ে পড়বে কোক স্টুডিও, মিক্সটেপ, প্রচুর সিঙ্গল। লাইকের সংখ্যায় সবাইকে একেবারেই তাক লাগিয়েছেন জোনিতা। ইনস্টাগ্রামে রয়েছে তাঁর ১২ লাখ অনুসারী। তাঁর গাওয়া গান এখন সবার মুখে মুখে। জানিয়েছেন কীভাবে শুরু হলো এই জার্নি, ‘আমার বড় হওয়াটা একেবারেই টরন্টোতে। ভারত থেকে অনেকটাই দূরে। তবে আমার বাড়ির ভেতরের পরিবেশ, সেটা কখনো বুঝতে দেয়নি। আমাদের বাড়িতে ছোট থেকেই শুনেছি পুরোনো হিন্দি ছবি থেকে বর্তমান সময়ের বলিউডি গান বাজতে। এ ছাড়া আমার বাবা একজন শিল্পী, পেশায় নয়, নেশায়! বাবা বন্ধুদের নিয়ে একটা ব্যান্ডও খুলেছিল, যার গানের মহড়া আমাদের বাড়িতে হতো। বলতে পারেন, এভাবেই ধীরে ধীরে সংগীত আমার মনে জায়গা করে নিয়েছিল। তা ছাড়া আমি শাস্ত্রীয় সংগীত শিখেছি। পাশ্চাত্য সংগীতের প্রতিও আমার প্রথম থেকেই আলাদা আগ্রহ ছিল। এভাবেই গান এবং সুরে এসে পড়লাম।’

জোনিতা গান্ধীভাইরাল হওয়া, লাইকস, ডিজলাইক, ভিউয়ের নাম্বার! এগুলোকে তিনি ইতিবাচকভাবেই দেখেন। তিনি বলেন, ‘এগুলোর পেছনে আমার পরবর্তী কাজটা কেমন হওয়া উচিত তা প্রভাব ফেলে। তাই এই বিষয়গুলোকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। বরং ভালো হলে ভালো লাগে, মন্দ হলে, নিজেকে পরেরটার জন্য তৈরি করি।’

জোনিতা গান্ধী

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...