Ajker Patrika

মিউজিক্যাল চেয়ার, দৌড়, ক্রিকেট খেলায় অনন্য প্রি-ওয়েডিং রাঘবণীতির

আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২: ৫৪
মিউজিক্যাল চেয়ার, দৌড়, ক্রিকেট খেলায় অনন্য প্রি-ওয়েডিং রাঘবণীতির

গত সপ্তাহে রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা। কয়েক দিন ধরেই চলেছে তাঁদের বিয়ের উৎসব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পরিণীতি তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সাধারণ রীতি মেনে যেভাবে প্রি-ওয়েডিংয় হয়, রাঘব-পরিণীতির অনুষ্ঠান এর ধারেকাছেও ছিল না।

দুই পরিবারের সবাই মিলে মিউজিক্যাল চেয়ার, চামচে লেবু রেখে দৌড়, তিন পায়ে দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটও খেলা হয়েছে। বরপক্ষের হয়ে দেখা গেছে রাঘবের বন্ধু ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংকে।

চাড্ডা ভার্সেস চোপড়া। পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার বিয়ের আগে প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। দুই পরিবারের সদস্যরা চাড্ডা গ্রুপ ও চোপড়া গ্রুপে ভাগ হয়ে গিয়ে একাধিক খেলা খেলেন। পরিণীতি নিজেই ইনস্টাগ্রামে সেই খেলার ঝলক শেয়ার করে এ কথা জানিয়েছেন।

পরিণীতি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জেতা-হারার চেয়ে বেশি ছিল দুই পরিবারের যোগসাধন, মজা, হাসি, আনন্দের মুহূর্ত। চাড্ডা-চোপড়া পরিবারের এই মহারণে দুই পক্ষই জয়ী অন্তত হৃদয় জয় করার ক্ষেত্রে।’ ক্যাপশনের সঙ্গে প্রকাশ করা ছবিতে ক্রিকেটার হরভজন সিং, পরিণীতির শাশুড়ি এবং রাঘবের পদক জয়ের মুহূর্তও শেয়ার করেন পরিণীতি।

বরপক্ষের হয়ে দেখা গেছে রাঘবের বন্ধু ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংকে। ছবি: ইনস্টাগ্রামএদিকে বিয়ের মুহূর্তের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরিণীতি চোপড়া। ভিডিওতে প্রতিটি মুহূর্তে পরিণীতিকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। এমনকি স্বামী রাঘবের জন্য ভিডিওটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাঘব চাড্ডা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে এমন উপহার পাব, তবে আমি অনুমান করতে পারি আমার গায়িকা স্ত্রী আমাকে অবাক করে দিতে ভালোবাসে! আমি সত্যিই অভিভূত। আপনার কণ্ঠ এখন সাউন্ডট্র্যাক হয়ে উঠেছে আমার জীবনে, ধন্যবাদ মিসেস চাড্ডা। আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ মনে করি যে আপনাকে পাশে পেয়েছি।’

চামচে লেবু রেখে দৌড় প্রতিযোগীতায় পরিণীতি। ছবি: ইনস্টাগ্রামগত ২৫ সেপ্টেম্বর পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে রাজস্থানের উদয়পুরের পিচোলা হ্রদের তীরে অবস্থিত তাজ লীলা প্যালেসে রূপকথার বিয়ে সারেন রাঘব-পরিণীতি। লেক প্যালেস থেকে নৌকায় চড়ে পরিণীতিকে বিয়ে করতে আসেন রাঘব। আইভরি রঙের শেরওয়ানি পরেছিলেন তিনি। মাথায় অফ হোয়াইট পাগড়ি। গলায় মুক্তার মালা। আর পরিণীতি পরেছিলেন বেইজ রঙের লেহেঙ্গা। দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতোই মাথায় লম্বা ওড়না বা ভেইল।

বিয়ের ছবি শেয়ার করে পরিণীতি লিখেন, ‘সকালের নাশতার টেবিলের প্রথম আড্ডা থেকেই আমাদের হৃদয় জানত। এই দিনটির জন্য কতই না অপেক্ষা করলাম, অবশেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হতে পেরে ধন্য! একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতাম না, এখন থেকে আমাদের চিরকালের জার্নি শুরু হলো।’

রাঘবের পদক জয়ের মুহূর্তও শেয়ার করেন পরিণীতি। ছবি: ইনস্টাগ্রামবিয়ে শেষে উদয়পুরের এই সাত তারা হোটেলেই বসে রাঘব-পরিণীতির রিসেপশনের আসর। সেখানে গোলাপি রঙা শিমারি শাড়ি আর ডিপ কাট ব্লাউজে ফ্রেমবন্দী হন পরিণীতি। হাতে ছিল গোলাপি রঙের চূড়া আর সিঁথি রাঙানো রাঘবের নামের সিঁদুরে।

উদয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল একটি ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে। তার পরে গায়েহলুদ, সংগীত ও মেহেন্দি। রাঘব ও পরিণীতির সংগীতের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন গায়ক নবরাজ হংস। সংগীতের অনুষ্ঠানের জন্য নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিয়া জড়ানো থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন হবু দম্পতি। সেই পার্টিতেই ছিল ম্যাগি ও ক্যানডি ফ্লসের কাউন্টারও।

গুঞ্জনটা শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁ থেকে। মুম্বাইয়ের এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা যায় পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডাকে। পরদিন আরেকটি রেস্তোরাঁয় লাঞ্চের জন্য যান তাঁরা। সেখান থেকেই জোরালো গুঞ্জন ছড়ায়, প্রেমের সম্পর্কে আছেন তাঁরা। সেদিন রাঘব চাড্ডাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে মিষ্টি হেসে তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন, পরিণীতিকে নিয়ে নয়।’ পরদিন ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার বাড়িতে পরিণীতিকে যেতে দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পোশাকের জন্যই কি ডিজাইনারের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী?

চাড্ডা গ্রুপ ও চোপড়া গ্রুপে ভাগ হয়ে গিয়ে একাধিক খেলা খেলেন দুই পরিবারের সদস্যরা। ছবি: ইনস্টাগ্রামসব মিলিয়ে বিষয়টি ধোঁয়াশায় ছিল। তবে গত এপ্রিলে রাঘব-পরিণীতির প্রেমের খবরে একপ্রকার সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জীব অরোরা। টুইট করে নিজের দলের তরুণ সাংসদ রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়াকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। সঞ্জীব টুইটারে লেখেন, ‘রাঘব আর পরিণীতিকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা। তাঁদের এই মিলন যেন প্রেম, আনন্দ আর সাহচর্যের প্রাচুর্যে ভরে ওঠে।’

এরপর গত ১৩ মে নয়াদিল্লির কপূরথলা হাউসে রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটি পেরি ও ট্রুডোর একান্ত সময়

বিনোদন ডেস্ক
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত
কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো। ছবি: সংগৃহীত

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।

জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।

অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।

মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে একই মঞ্চে অর্থহীন ও আসিফ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে
আসিফ ও সুমন ছবি: ফেসবুক থেকে

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।

কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ‍্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ‍্যাত ব‍্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব‍্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব‍্যত‍্যয় ঘটেনি, ব‍্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’

আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন‍্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ‍্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন‍্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ‍্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বহুরূপী’ সিনেমায় প্রস্তাব পাওয়ার কথা বলেছিলেন মেহজাবীন, অস্বীকার করলেন নির্মাতা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’

সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/

এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামানের হাতে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট হাতে রায়হান রাফী ও আলিমুজ্জামান ছবি: চ্যানেল আইয়ের সৌজন্যে

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।

পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত