সমালোচক এবং দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ‘জোরাম’। তবে বক্স অফিসে পুরোপুরি ব্যর্থ সিনেমাটি। এমনকি নির্মাণ খরচও ওঠেনি বলে দাবি করছেন পরিচালক দেবাশীষ মাখিজা। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন, সিনেমাটি বানিয়ে তিনি কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেছেন।
একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সিনেমাগুলো সবার ভালো লাগে, কিন্তু ব্যবসা সফল হয় না। তাঁর পরিচালিত ‘আজি’ এবং ‘জোরাম’ থেকে খরচ তুলতে পারেননি। উল্টো দেউলিয়া হয়ে গেছেন। এখন তাঁর কাছে একটি সাইকেল কেনার টাকাও নেই! পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া বকেয়া। আক্ষরিক অর্থেই বাড়ির মালিকের হাতে পায়ে ধরে থামিয়ে রেখেছেন বলে জানান দেবাশীষ।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার কোনও সিনেমা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারিনি। আমি বাড়ি ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছি। কারণ ‘‘জোরাম’’ খরচের কিছু অংশও ফিরিয়ে দিতে পারেনি। আমি এখন দেউলিয়া। গত পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া এখনো দিইনি।’
এই নির্মাতা ও প্রযোজক আরও বলেন, তিনি এখন বাড়িওয়ালার হাতে–পায়ে ধরছেন, যাতে তাঁকে বাড়ি থেকে না বের করে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘আর এই মূল্যটাই আপনাকে দিতে হবে যদি আপনি শিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে চান।’
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও দেবাশীষ মাখিজা নিজের জন্য কিছুই করতে পারেননি। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও কিছু কষ্টের স্মৃতি সামনে এনেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা করাতে পারেননি। এমনকি প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়েও তিনি শুটিং চালিয়ে গেছেন। তাঁর কথায়, ‘৩১ বছর বয়সে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, কিন্তু পেসমেকারের জন্য আমি ৭ লাখ রুপি জোগাড় করতে পারিনি। পাঁচ দিন পরে, আমি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করা শুরু করি, সময়মতো খেতেও পারতাম না।’
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের স্মৃতি স্মরণ করে দেবাশীষ বলেন, ‘আজি সিনেমার শুটিংয়ের সময় আমার প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পরে। প্রতিদিন আমার পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ত। তবে আমার শর্টসার্কিট ব্রেকডাউন এবং পরিকল্পনা এতটাই শক্ত ছিল যে, আমি মারা গেলেও শুটিং বন্ধ হতো না। আমার সহকারী পরিচালককে একটি স্থায়ী নির্দেশনা দেওয়া ছিল, ‘‘আমি যদি আজ মারা যাই, আপনি সিনেমাটি বন্ধ করতে পারবেন না। ক্রেডিট লাইনে মরণোত্তর পরিচালক দ্বারা পরিচালিত দিয়ে দেবেন।” এভাবেই তৈরি হয়েছে “আজি”।’
এক সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন দেবাশীষ। দেবাশীষের কথায়, ‘২০১৪ সালের মার্চ মাসে, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে আমি বন্দুক কিনেছিলাম।’
‘ভোঁসলে’ সিনেমার আগ পর্যন্ত দেবাশীষ মাখিজা বিরতি নেননি। তবে বাবার অনুপ্রেরণায় সিনেমাটি বানালেও সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় দেবাশীষ মাখিজা এক বছর বাবাকে দেখতে যাননি। সিনেমাটি যখন শেষ হয়, মাখিজা বুঝতে পারেন তাঁর বাবা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। দেবাশীষ বলেন, ‘মারা যাওয়ার সময় ছয় ফুট উচ্চতার একজন লোকের ওজন ছিল মাত্র ২৬ কেজি। তখনই এই সংগ্রাম আমার কাছে নিরর্থক মনে হতে শুরু করে।’
সবশেষ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ২০টির বেশি চিত্রনাট্য পড়ে আছে। কিন্তু কোনো প্রযোজক সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক নন। তাঁর পরিচালনায় অভিষেক ফিচার ‘আজি’তে কোনো তারকা ছিল না। সিনেমাটির নির্মাণে খরচ হয় ১ কোটি রুপির বেশি। তবে বক্স অফিস থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ১৫ লাখ রুপি।
অবশ্য দেবাশীষ মাখিজার চলচ্চিত্র ‘ভোঁসলে’ (২০১৮) এবং ‘জোরাম’ (২০২৩) একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে। দুটিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী। তাঁর মতো অভিনেতা থাকলেও এ দুটি সিনেমা থেকে শিল্পীর পারিশ্রমিকের টাকাও ওঠেনি।
অবশেষে দেবাশীষ মাখিজার উপলব্ধি হয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্যের মধ্যে ভারসাম্য রাখাটা কত জরুরি। এটি বুঝতে অবশ্য এরই মধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে!
সমালোচক এবং দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত ‘জোরাম’। তবে বক্স অফিসে পুরোপুরি ব্যর্থ সিনেমাটি। এমনকি নির্মাণ খরচও ওঠেনি বলে দাবি করছেন পরিচালক দেবাশীষ মাখিজা। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন, সিনেমাটি বানিয়ে তিনি কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেছেন।
একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সিনেমাগুলো সবার ভালো লাগে, কিন্তু ব্যবসা সফল হয় না। তাঁর পরিচালিত ‘আজি’ এবং ‘জোরাম’ থেকে খরচ তুলতে পারেননি। উল্টো দেউলিয়া হয়ে গেছেন। এখন তাঁর কাছে একটি সাইকেল কেনার টাকাও নেই! পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া বকেয়া। আক্ষরিক অর্থেই বাড়ির মালিকের হাতে পায়ে ধরে থামিয়ে রেখেছেন বলে জানান দেবাশীষ।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার কোনও সিনেমা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারিনি। আমি বাড়ি ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছি। কারণ ‘‘জোরাম’’ খরচের কিছু অংশও ফিরিয়ে দিতে পারেনি। আমি এখন দেউলিয়া। গত পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া এখনো দিইনি।’
এই নির্মাতা ও প্রযোজক আরও বলেন, তিনি এখন বাড়িওয়ালার হাতে–পায়ে ধরছেন, যাতে তাঁকে বাড়ি থেকে না বের করে দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘আর এই মূল্যটাই আপনাকে দিতে হবে যদি আপনি শিল্পকে অগ্রাধিকার দিতে চান।’
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও দেবাশীষ মাখিজা নিজের জন্য কিছুই করতে পারেননি। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও কিছু কষ্টের স্মৃতি সামনে এনেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা করাতে পারেননি। এমনকি প্রোস্টেট ক্যানসার নিয়েও তিনি শুটিং চালিয়ে গেছেন। তাঁর কথায়, ‘৩১ বছর বয়সে আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, কিন্তু পেসমেকারের জন্য আমি ৭ লাখ রুপি জোগাড় করতে পারিনি। পাঁচ দিন পরে, আমি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করা শুরু করি, সময়মতো খেতেও পারতাম না।’
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের স্মৃতি স্মরণ করে দেবাশীষ বলেন, ‘আজি সিনেমার শুটিংয়ের সময় আমার প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পরে। প্রতিদিন আমার পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ত। তবে আমার শর্টসার্কিট ব্রেকডাউন এবং পরিকল্পনা এতটাই শক্ত ছিল যে, আমি মারা গেলেও শুটিং বন্ধ হতো না। আমার সহকারী পরিচালককে একটি স্থায়ী নির্দেশনা দেওয়া ছিল, ‘‘আমি যদি আজ মারা যাই, আপনি সিনেমাটি বন্ধ করতে পারবেন না। ক্রেডিট লাইনে মরণোত্তর পরিচালক দ্বারা পরিচালিত দিয়ে দেবেন।” এভাবেই তৈরি হয়েছে “আজি”।’
এক সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন দেবাশীষ। দেবাশীষের কথায়, ‘২০১৪ সালের মার্চ মাসে, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে আমি বন্দুক কিনেছিলাম।’
‘ভোঁসলে’ সিনেমার আগ পর্যন্ত দেবাশীষ মাখিজা বিরতি নেননি। তবে বাবার অনুপ্রেরণায় সিনেমাটি বানালেও সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় দেবাশীষ মাখিজা এক বছর বাবাকে দেখতে যাননি। সিনেমাটি যখন শেষ হয়, মাখিজা বুঝতে পারেন তাঁর বাবা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। দেবাশীষ বলেন, ‘মারা যাওয়ার সময় ছয় ফুট উচ্চতার একজন লোকের ওজন ছিল মাত্র ২৬ কেজি। তখনই এই সংগ্রাম আমার কাছে নিরর্থক মনে হতে শুরু করে।’
সবশেষ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ২০টির বেশি চিত্রনাট্য পড়ে আছে। কিন্তু কোনো প্রযোজক সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক নন। তাঁর পরিচালনায় অভিষেক ফিচার ‘আজি’তে কোনো তারকা ছিল না। সিনেমাটির নির্মাণে খরচ হয় ১ কোটি রুপির বেশি। তবে বক্স অফিস থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ১৫ লাখ রুপি।
অবশ্য দেবাশীষ মাখিজার চলচ্চিত্র ‘ভোঁসলে’ (২০১৮) এবং ‘জোরাম’ (২০২৩) একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে। দুটিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী। তাঁর মতো অভিনেতা থাকলেও এ দুটি সিনেমা থেকে শিল্পীর পারিশ্রমিকের টাকাও ওঠেনি।
অবশেষে দেবাশীষ মাখিজার উপলব্ধি হয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্যের মধ্যে ভারসাম্য রাখাটা কত জরুরি। এটি বুঝতে অবশ্য এরই মধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে!
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
৩৪ মিনিট আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
৩৯ মিনিট আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
৪৩ মিনিট আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
১ ঘণ্টা আগে