বিনোদন ডেস্ক
আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’
আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’
দুজন হাতে হাত ধরে ঢোকেন অনুষ্ঠানে। সারাক্ষণ তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। সুস্মিতাকে মুহূর্তের জন্যও চোখের আড়াল করতে চাইছিলেন না সৃজিত। সুস্মিতার হাত ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে দেখা যায়নি পরিচালককে।
৩৬ মিনিট আগেগুজব রটে, ‘কিং’ সিনেমার শুটিংয়ে আহত হয়েছেন শাহরুখ। চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে, এমন খবরও আসে। তবে ভিন্ন তথ্য উঠেছে এসেছে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেগত কোরবানির ঈদে বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিষেক হয় সাবিলা নূরের। রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় তাঁকে দেখা গেছে শাকিব খানের বিপরীতে। ইন্ডাস্ট্রির নতুন মুখ হিসেবে সাবিলা হতে পারেন নির্মাতাদের ভরসার নাম। তাই অনেকের মত, সাবিলার উচিত সিনেমায় নিয়মিত হওয়া।
৫ ঘণ্টা আগেহাস্যরসাত্মক গল্পে নাসির উদ্দিন মাসুদ বানিয়েছেন দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘নামে চালাক কামে বোকা’। গ্রামের বোকা মানুষদের গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। রচনা করেছেন সুজিত বিশ্বাস।
৫ ঘণ্টা আগে