বিনোদন ডেস্ক

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’
বিনোদন ডেস্ক

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে। বিশ্ব চলচ্চিত্রশিল্পে আয়ারল্যান্ড এখন অন্যতম প্রধান এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশন কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে সেখানে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেগুলো যথেষ্ট সাড়া ফেলছে। এ ছাড়া শুটিং লোকেশন ও প্রযোজনা কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে আয়ারল্যান্ড।
গত কয়েক বছরে যেসব আইরিশ সিরিজ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে, সেগুলোর মধ্যে ‘ব্যাড সিস্টারস’, ‘নরমাল পিপল’ ও ‘বোডকিন’ অন্যতম। ব্যাড সিস্টারসের পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ডিয়ারভা ওয়ালশ। এ সিরিজে অভিনয় করে দ্বিতীয়বারের মতো এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আইরিশ অভিনেত্রী শ্যারন হরগান। সিরিজের পাশাপাশি আইরিশ সিনেমাও বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিল ‘দ্য ব্যানশিজ অব ইনিশেরিন’ ও ‘দ্য কোয়েট গার্ল’। সাওয়ার্স রোনান ও পল মেসকালের মতো আইরিশ শিল্পীরাও বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আইরিশ সিনেমা, টিভি সিরিজ, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রিকে ঋণ সুবিধা দিতে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে স্ক্রিন আয়ারল্যান্ড নামের একটি এজেন্সি। এ প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সিনেমা ও টিভি সেক্টর আইরিশ অর্থনীতিতে প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি অবদান রাখছে। তৈরি করেছে ১০ হাজারের বেশি ফুলটাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ। এ খাতে টেকসই বিনিয়োগ, সরকারি সহায়তা আর প্রশিক্ষণ ছাড়াও এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে উদার কর প্রণোদনা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় আয়ারল্যান্ডে নির্মাণ খরচ অনেক কম। সিনেমা, সিরিজ ও অ্যানিমেশনের জন্য আইরিশ সরকার বর্তমানে ৩২ শতাংশ কর ছাড় দিচ্ছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আয়ারল্যান্ডের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন খরচের ৩২ শতাংশ ফেরত দাবি করতে পারে সরকারের কাছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় যার পরিমাণ মাত্র ২০ শতাংশ। হলিউড অভিনেতা রব লো তাঁর জনপ্রিয় কুইজ শো ‘দ্য ফ্লোর’-এর শুটিং করেছেন দক্ষিণ ডাবলিনের ব্রে শহরে। তিনি বলেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করার চেয়ে আয়ারল্যান্ডে ১০০ লোক নিয়ে গিয়ে শুটিং করার খরচ অনেক কম।’
কম বাজেটের সিনেমার জন্য আরও বেশি সুযোগ পান নির্মাতারা। গত মে মাস থেকে লো বাজেটের সিনেমার ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ইউরো করেছে সরকার। যার ফলে আরও বেশিসংখ্যক লেখক, নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কনটেন্ট নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। স্ক্রিন আয়ারল্যান্ডের সিইও ডেসিরি ফিনেগান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হলো ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে গড়ে তোলা। নির্মাতারা যেন এখানে এসে তাঁদের মনের মতো গল্প তৈরি করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’
আইরিশ-ব্রিটিশ-কানাডিয়ান সিনেমা ‘ব্রুকলিন’-এর নির্বাহী প্রযোজক অ্যালান মোলোনি জানান, প্রধানত দুটি কারণে আইরিশ ইন্ডাস্ট্রি এত দ্রুত বিকশিত হয়েছে। প্রথমত, স্থানীয় প্রতিভা ও গল্পের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। আর দ্বিতীয়ত, এ দেশে এসে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও স্টুডিওগুলোকে নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ওয়েডনেসডে’সহ বিভিন্ন সিরিজ ও সিনেমার নিয়মিত শুটিং হচ্ছে দেশটিতে।
তবে ইদানীং আইরিশ ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এনে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয়, এমন সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে গত মে মাসে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বাধা টপকে যাওয়ার মতো ক্ষমতা আইরিশ ইন্ডাস্ট্রির আছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক অ্যালান মোলোনি।
মোলোনি বলেন, ‘আমরা কোভিডের ক্ষত কাটিয়ে উঠেছি। হলিউডের লেখক ও শিল্পীদের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিও উতরে গেছি। এই শুল্কের বাধাও পেরিয়ে যেতে পারব।’ আয়ারল্যান্ডের আরেক খ্যাতনামা প্রযোজক রুথ ট্রেসিও একই রকম আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘এই শুল্কের হুমকি শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা আছে। আমি সহকর্মীদের সব সময় বলি, আতঙ্কিত হবেন না। কারণ আতঙ্ক তৈরি হলে শিল্প আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।’

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে।
১ দিন আগে
তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
১ দিন আগে
‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।
লেখকের মতে, রুনা লায়লাকে নিয়ে লেখা মায়ার সিংহাসন শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সুরের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের যাত্রা। রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা অনুভব, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে নিয়ে যাবে এক মায়াবী সুরের ভুবনে। লেখকের কলমে ভর করে শব্দগুলো যেন সুরে রূপ নেয়, আর সেই সুরের ভেতর থেকে জন্ম নেয় গল্প।
লেখক আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, ‘রুনা লায়লা জনপ্রিয় শিল্পী, গুণীজন। তাঁর গান শ্রোতার মনকে আন্দোলিত করে। যখনই রুনা লায়লার কণ্ঠে গান শুনি, মনে হয় আমি অন্য এক সময়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে মানুষ ছিল কম, সুর ছিল বেশি। এই উপন্যাস আসলে সেই যাত্রারই গল্প।’
এক ভিডিও বার্তায় মায়ার সিংহাসন উপন্যাসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘মায়ার সিংহাসন বইটি আমাকে নিয়ে লিখেছে। আমার জন্যই লিখেছে। সবাই পড়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।’ মায়ার সিংহাসন উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখেছেন আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির। ‘মায়ার সিংহাসন’ উপন্যাসটির উপজীব্য বাংলাদেশের জনসংস্কৃতিতে রুনা লায়লার আবির্ভাব, সংগ্রাম ও বিবর্তন। ১৭ নভেম্বর রুনা লায়লার জন্মদিনে প্রকাশিত হবে উপন্যাসটি। প্রকাশ করছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।
লেখকের মতে, রুনা লায়লাকে নিয়ে লেখা মায়ার সিংহাসন শুধু একটি উপন্যাস নয়, এটি সুরের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের যাত্রা। রুনা লায়লার গানে লুকিয়ে থাকা অনুভব, সময়ের আবেশ, প্রেম ও একাকিত্ব—সব মিলিয়ে উপন্যাসটি পাঠককে নিয়ে যাবে এক মায়াবী সুরের ভুবনে। লেখকের কলমে ভর করে শব্দগুলো যেন সুরে রূপ নেয়, আর সেই সুরের ভেতর থেকে জন্ম নেয় গল্প।
লেখক আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির বলেন, ‘রুনা লায়লা জনপ্রিয় শিল্পী, গুণীজন। তাঁর গান শ্রোতার মনকে আন্দোলিত করে। যখনই রুনা লায়লার কণ্ঠে গান শুনি, মনে হয় আমি অন্য এক সময়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে মানুষ ছিল কম, সুর ছিল বেশি। এই উপন্যাস আসলে সেই যাত্রারই গল্প।’
এক ভিডিও বার্তায় মায়ার সিংহাসন উপন্যাসের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘মায়ার সিংহাসন বইটি আমাকে নিয়ে লিখেছে। আমার জন্যই লিখেছে। সবাই পড়ে দেখবেন, আশা করি ভালো লাগবে।’ মায়ার সিংহাসন উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে।
২০ জুলাই ২০২৫
তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
১ দিন আগে
‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে। সে সময় অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু সিনেমায়। এসবের মধ্যে এমন কয়েকটি সিনেমা আছে, যেগুলোর শুটিং শেষ হয়নি, আবার কিছু সিনেমার শুটিং শেষ হলেও মুক্তি পায়নি। তেমন একটি সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। এই সিনেমায় তমা অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। শুটিং শুরুর এক যুগ পর ৭ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে বদলে গেছে সিনেমার নাম। শুধু তা-ই নয়, বদল হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকও।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। সিনেমাটি প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের বানানোর কথা থাকলেও শুটিং শুরুর আগে তিনি সরে আসেন। দ্য রেইন পিকচার্সের ব্যানারে সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে থাকা ফয়েজুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশনায় শুরু হয় শুটিং। দেশে ফিরে তিনি এই সিনেমার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।
এরপর তাঁর নির্দেশনাতেই চলে শুটিং। ২০১৬ সালের দিকে শুটিং শেষের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে নেই পুরোনো কেউ। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা যাচ্ছে, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, মন যে বোঝে না।

সিনেমা মুক্তির খবর জানিয়ে পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে আমরা চেষ্টা করেছি সমাজ, জীবন আর মানুষের অনুভূতির গল্প তুলে ধরতে। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনই আমাদের এই যাত্রাকে সার্থক করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষে তিনি সরে আসেন। পরে আয়েশা সিদ্দিকা এটি শেষ করেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে যখন এই সিনেমার শুটিং হচ্ছিল, তখন আমি অনেক ব্যস্ত। একের পর এক সিনেমা ছিল আমার হাতে। কিন্তু এই সিনেমার শুটিং বিরতি দিয়ে হচ্ছিল। শিডিউল মেলাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রায় ৪০ ভাগ শুটিংয়ের পর আমি বের হয়ে আসি।’
সিনেমার মাঝপথে সরে এলেও মন যে বোঝে না সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন।

তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে। সে সময় অভিনয় করেছিলেন বেশ কিছু সিনেমায়। এসবের মধ্যে এমন কয়েকটি সিনেমা আছে, যেগুলোর শুটিং শেষ হয়নি, আবার কিছু সিনেমার শুটিং শেষ হলেও মুক্তি পায়নি। তেমন একটি সিনেমা ‘মন যে বোঝে না’। এই সিনেমায় তমা অভিনয় করেছিলেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। শুটিং শুরুর এক যুগ পর ৭ নভেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে বদলে গেছে সিনেমার নাম। শুধু তা-ই নয়, বদল হয়েছে পরিচালক ও প্রযোজকও।
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। তখন নাম ছিল ‘লাভলী: মন বোঝে না’। সিনেমাটি প্রয়াত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের বানানোর কথা থাকলেও শুটিং শুরুর আগে তিনি সরে আসেন। দ্য রেইন পিকচার্সের ব্যানারে সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে থাকা ফয়েজুল ইসলাম শাহিনের নির্দেশনায় শুরু হয় শুটিং। দেশে ফিরে তিনি এই সিনেমার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।
এরপর তাঁর নির্দেশনাতেই চলে শুটিং। ২০১৬ সালের দিকে শুটিং শেষের খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আলোর মুখ দেখছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের দায়িত্বে নেই পুরোনো কেউ। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্রে দেখা যাচ্ছে, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে, মন যে বোঝে না।

সিনেমা মুক্তির খবর জানিয়ে পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা ফেসবুকে লেখেন, ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায়, আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় আসছে এক হৃদয়ছোঁয়া রোমান্টিক ও পারিবারিক গল্প ‘মন যে বোঝে না’। মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে আমরা চেষ্টা করেছি সমাজ, জীবন আর মানুষের অনুভূতির গল্প তুলে ধরতে। আপনাদের ভালোবাসা আর সমর্থনই আমাদের এই যাত্রাকে সার্থক করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন লিটন আজকের পত্রিকাকে জানান, সিনেমার কিছু অংশের কাজ শেষে তিনি সরে আসেন। পরে আয়েশা সিদ্দিকা এটি শেষ করেন। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। শাহাদাৎ হোসেন লিটন বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে যখন এই সিনেমার শুটিং হচ্ছিল, তখন আমি অনেক ব্যস্ত। একের পর এক সিনেমা ছিল আমার হাতে। কিন্তু এই সিনেমার শুটিং বিরতি দিয়ে হচ্ছিল। শিডিউল মেলাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই প্রায় ৪০ ভাগ শুটিংয়ের পর আমি বের হয়ে আসি।’
সিনেমার মাঝপথে সরে এলেও মন যে বোঝে না সিনেমার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন শাহাদাৎ হোসেন লিটন।

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে।
২০ জুলাই ২০২৫
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
১ দিন আগে
‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
মানবতার জয় হোক গানটি নিয়ে শফিক তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আস্থা, ভরসা ও গর্বের জায়গা। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছি। গানটি করতে গিয়ে যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
প্রত্যয় খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এই গান। চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগবে—এমন একটি সুর করতে, সুন্দর করে গাইতে। আশা করি, গানটি আমাদের ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
গীতিকার শফিক তুহিন লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দেন এবং সুর করেন। গানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
অন্যদিকে, বাবা রিপন খান ও বড় ভাই হৃদয় খানের পথ ধরে মিউজিকে আসা প্রত্যয় খানের। গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত আয়োজন করেন তিনি। অভিনয়েও দেখা গেছে তাঁকে। ২০১২ সালে অপূর্ব ও পড়শীর সঙ্গে ‘রিদম’ নামের নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যয়। এরপর মডেল হয়েছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও গানে। চলতি বছরে তিনি অভিনয় করেছেন সম্রাট জাহাঙ্গীর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। এতে একজন মিউজিশিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রত্যয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
মানবতার জয় হোক গানটি নিয়ে শফিক তুহিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের আস্থা, ভরসা ও গর্বের জায়গা। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গান করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। প্রকাশের পর থেকে গানটি নিয়ে বেশ সাড়া পাচ্ছি। গানটি করতে গিয়ে যাঁদের সহযোগিতা পেয়েছি, সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
প্রত্যয় খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। তাদের নিয়ে এই গান। চেষ্টা করেছি সবার ভালো লাগবে—এমন একটি সুর করতে, সুন্দর করে গাইতে। আশা করি, গানটি আমাদের ক্যারিয়ারে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
গীতিকার শফিক তুহিন লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠ দেন এবং সুর করেন। গানের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
অন্যদিকে, বাবা রিপন খান ও বড় ভাই হৃদয় খানের পথ ধরে মিউজিকে আসা প্রত্যয় খানের। গান গাওয়ার পাশাপাশি সুর ও সংগীত আয়োজন করেন তিনি। অভিনয়েও দেখা গেছে তাঁকে। ২০১২ সালে অপূর্ব ও পড়শীর সঙ্গে ‘রিদম’ নামের নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রত্যয়। এরপর মডেল হয়েছেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও গানে। চলতি বছরে তিনি অভিনয় করেছেন সম্রাট জাহাঙ্গীর পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটকে। এতে একজন মিউজিশিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রত্যয়।

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে।
২০ জুলাই ২০২৫
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে।
১ দিন আগে
তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে।
১ দিন আগে
‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।
পরিচালনার পাশাপাশি ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, মনিরা আক্তার মিঠু, নাদের চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, ডিকন নূর, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ জানান, এটা আমাদের গল্প ধারাবাহিকটিতে পারিবারিক বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের মূল শক্তি হলো পরিবার। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারকে কেন্দ্র করে বলা গল্পগুলো দর্শকের হৃদয়ে সব সময় গভীরভাবে দাগ কাটে। তাই এই সিরিজের ট্যাগলাইন রেখেছি “পরিবারই শুরু, পরিবারই শেষ”। গল্পে আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব আর মমত্ববোধ। দর্শক যেন নিজের জীবনের টুকরা টুকরা অংশ এখানে খুঁজে পান, সেটাই আমাদের মূল চেষ্টা।’
এই ধারাবাহিকের জন্য তিনটি গান তৈরি হয়েছে। মাহমুদ মানজুরের লেখা টাইটেল গানটি সুর করেছেন আরফিন রুমি, কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান ও আরফিন রুমি। তারিক তুহিনের লেখা ‘সে মানালে’ শিরোনামের গানটি নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে গেয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল। সিয়াম সরকারের লেখা ‘জানি না’ শিরোনামের একটি গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন প্রত্যয় খান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সুস্মিতা।

‘গ্র্যাজুয়েট’, ‘মাইক’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস রিলোডেড’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার তিনি নিয়ে আসছেন পারিবারিক গল্পে লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। ৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের প্রতি বুধ ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে এই ধারাবাহিকের নতুন পর্ব।
পরিচালনার পাশাপাশি ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, কেয়া পায়েল, খায়রুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ইন্তেখাব দিনার, দীপা খন্দকার, মনিরা আক্তার মিঠু, নাদের চৌধুরী, শিল্পী সরকার অপু, ডিকন নূর, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ জানান, এটা আমাদের গল্প ধারাবাহিকটিতে পারিবারিক বন্ধন আর সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজের মূল শক্তি হলো পরিবার। আমি বিশ্বাস করি, পরিবারকে কেন্দ্র করে বলা গল্পগুলো দর্শকের হৃদয়ে সব সময় গভীরভাবে দাগ কাটে। তাই এই সিরিজের ট্যাগলাইন রেখেছি “পরিবারই শুরু, পরিবারই শেষ”। গল্পে আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব আর মমত্ববোধ। দর্শক যেন নিজের জীবনের টুকরা টুকরা অংশ এখানে খুঁজে পান, সেটাই আমাদের মূল চেষ্টা।’
এই ধারাবাহিকের জন্য তিনটি গান তৈরি হয়েছে। মাহমুদ মানজুরের লেখা টাইটেল গানটি সুর করেছেন আরফিন রুমি, কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান ও আরফিন রুমি। তারিক তুহিনের লেখা ‘সে মানালে’ শিরোনামের গানটি নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে গেয়েছেন শাহরিয়ার মার্সেল। সিয়াম সরকারের লেখা ‘জানি না’ শিরোনামের একটি গান সুর করেছেন ও গেয়েছেন প্রত্যয় খান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সুস্মিতা।

আশির দশকে আইরিশ পরিচালক ডিয়ারভা ওয়ালশ যখন ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে তখন পরিচালক হতে চাওয়া ছিল কল্পনার মতো। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা একেবারেই বদলে গেছে।
২০ জুলাই ২০২৫
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা। ইতিমধ্যে তিনি পার করেছেন সংগীত ক্যারিয়ারের ষাট দশক। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিন শর বেশি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। গানের ভুবনে তাঁর এই পথচলা এখনো চলছে।
১ দিন আগে
তমা মির্জার জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আশীর্বাদস্বরূপ। এই মাধ্যমে ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সাত নম্বর শুটিং ফ্লোর’ দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে। এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘দাগি’ দিয়ে বড় পর্দাতেও মেলে ধরেছেন তিনি। অথচ, সিনেমায় তাঁর অভিষেক হয় দেড় দশক আগে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে তৈরি হলো গান। বিশেষ এই গান লিখেছেন শফিক তুহিন। ‘মানবতার জয় হোক’ শিরোনামের গানটির সুর করেছেন এবং কণ্ঠ দিয়েছেন প্রত্যয় খান। গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন কীশোর নীল।
১ দিন আগে