এম এস রানা

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।
এম এস রানা

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা। এবার আর রাখঢাক রাখলেন না, পৃথিবীকে জানিয়ে দিলেন তাঁদের প্রেমের খবর।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় কেটিকে নিয়ে ক্রেজি হর্স প্যারিস নামের এক থিয়েটারে যান ট্রুডো। সেখানে তাঁরা ক্যাবারে শো উপভোগ করেন। বের হওয়ার সময় পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন তাঁরা। এক ভক্ত কেটিকে এক জোড়া গোলাপ দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান। বাইরে গাড়ি অপেক্ষা করছিল। ভক্ত ও সাংবাদিকদের ভিড় ঠেলে কেটিকে আগলে গাড়িতে তুলে দেন ট্রুডো। পুরোটা সময় পরস্পরের হাত ধরাধরি করে ছিলেন তাঁরা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর চুমুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল আরও আগে থেকে। জুলাইয়ের শেষ দিকে মন্ট্রিয়লের বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ল্য ভিয়লোঁতে কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডোর একসঙ্গে ডিনারের ছবি প্রকাশ্যে আসে। ৩০ জুলাই দ্য লাইফটাইম ট্যুরের অংশ হিসেবে মন্ট্রিয়লে আয়োজিত এক কনসার্টে পারফর্ম করেন কেটি পেরি। সেখানেও দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে কেটির গান উপভোগ করেন ট্রুডো। কয়েক দিনের ব্যবধানে ওই শহরের মাউন্ট রয়্যাল পার্কে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের।
মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুজনই বিচ্ছেদের যন্ত্রণাদায়ক অধ্যায় পেরিয়ে এসেছেন। দুজনই খুঁজছেন জীবনসঙ্গী। সংসারে আবার থিতু হওয়ার তীব্র ইচ্ছা দুজনের মনেই। এ বছরের জুনে অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় কেটি পেরির। অন্যদিকে, ট্রুডোর ১৮ বছরের সংসার ভাঙে ২০২৩ সালে। কেটির বিচ্ছেদের পরের মাস থেকেই গুঞ্জন ছড়ায়, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন গায়িকা! এত দিনে এসে সে গুঞ্জনে সিলমোহর দিলেন তাঁরা।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা জানালেন আসিফ।
কনসার্টের গ্রিন রুমে বেজবাবা সুমনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে ফেসবুকে আসিফ লেখেন, ‘বিগত বছরগুলোতে সৌভাগ্য হয়েছে মিউজিক লিজেন্ডদের সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করার। গ্রিন রুম শেয়ার করেছি তরুণদের সঙ্গেও। আমি সংগীতের মানুষ নই, তবু নিয়তি আমাকে এখানেই সফলতা দিয়েছে। এ কারণেই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। বোস্টনে এসে একই স্টেজ শেয়ার করেছি স্বনামখ্যাত ব্যান্ড অর্থহীনের সঙ্গে। লিভিং লিজেন্ড সুমন (বেজবাবা) ভাইয়ের সঙ্গে আগেও একই স্টেজে পারফর্ম করা হয়েছে। তিনি সব সময়ই আমার ব্যাপারে উচ্ছ্বসিত, আজকেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি, ব্যাকস্টেজে দাঁড়িয়ে আমার পারফরম্যান্স দেখেছেন।’
আসিফ আরও লেখেন, ‘সুমন ভাইয়ের জীবনের ওপর দিয়ে স্টিম রোলার চললেও, তিনি এমন আস্থায়ও অবিচল। এ ধরনের মানুষের জন্য সংগীত জগৎটা এখনো ভালো লাগে। কিছু লেসপেন্সার অবশ্য তাদের হিপোক্রেসি নিয়ে এখনো জীবন্মৃত অবস্থায় টিকে আছে, থাকুক। সুমন ভাই আপনার জন্য অনেক দোয়া আর শুভকামনা। আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি। আপনার সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট করতে গেছে অর্থহীন। অন্যদিকে ১৭ বছর পর মার্কিন মুলুকে গান শোনাচ্ছেন আসিফ।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। গত বছর মুক্তি পাওয়া নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘বহুরূপী’ সিনেমায় ভাবা হয়েছিল তাঁকে। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই পডকাস্ট প্রচারের দুই মাস পর মেহজাবীনকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেন নির্মাতা নন্দিতা রায়।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে নন্দিতা রায় বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে এ রকম কোনো প্রস্তাব পাঠানো হয়নি।’ তবে শিবপ্রসাদ মুখার্জির থেকে মেহজাবীন প্রস্তাব পেয়েছেন কি না, সেটা তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন। নন্দিতার ভাষ্যমতে, ‘আমি আর শিবপ্রসাদ সব কাজ একসঙ্গে করি। পরিচালনা-প্রযোজনা সবটাই। শিবুও বহুরূপীর ক্ষেত্রে সমান দায়িত্ব পালন করেছে। আর বাংলাদেশে ওর অনেক চেনাজানা। ওর পক্ষ থেকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল কি না, সেটা জানি না। তবে আমি কোনো প্রস্তাব পাঠাইনি।’
সেই পডকাস্টে জানা যায়, শুধু বহুরূপী নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির এক সুপারস্টারের সিনেমাও ফিরিয়ে দেন মেহজাবীন। অভিনেত্রী বলেন, ‘অফার এলেই যে গ্রহণ করে নিতে হবে, সেটা নয়। কথা হয়তো ওই পর্যায়ে এগিয়ে যায়নি, তাই কাজ করা হয়নি।’

একাধিক প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও টালিউডে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেহজাবীন। তিনি মনে করেন, সংস্কৃতির আদান-প্রদান হলে দুই ইন্ডাস্ট্রির জন্য তা হবে ইতিবাচক। মেহজাবীন বলেন, ‘ওপার বাংলা-এপার বাংলা করে আমরা যে ভেদাভেদটা করি, সেটা আসলে দরকার নেই। বাংলা মানে বাংলা। আমরা সবাই বাঙালি। দুই জায়গার ভাষাটাও একই রকম। ওরা যেমন আমাদের নাটক দেখে, আমরাও ওদের সিনেমা দেখি। সত্যি বলতে ইন্ডাস্ট্রি যত বড় হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো। ওদের দর্শক যদি আমরা পাই, একইভাবে আমাদেরটা ওরা; তাহলে কিন্তু বেটার বাণিজ্য হবে, যেটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আর ক্রিয়েটিভিটি যত শেয়ার করা যায়, তত বাড়ে। নিজেদের সীমাবদ্ধ করে রাখা বা বাউন্ডারি ক্রিয়েট করে রাখলে ক্রিয়েটিভিটি ছড়ায় না।’/
এদিকে, মেহজাবীন অভিনীত ‘সাবা’ এখনো চলছে প্রেক্ষাগৃহে। পঞ্চম সপ্তাহে এসে মাকসুদ হোসেন পরিচালিত সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ৩টি সিনেপ্লেক্সে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সাবা।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, এ বছর ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হলো কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত এই স্মৃতি পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকা এবং পরিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তরীয়। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, নির্মাতা মতিন রহমান, অভিনেতা আফজাল হোসেন, রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখানো হয় ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন মতিন রহমান, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মুকিত মজুমদার বাবু, কেকা ফেরদৌসী, আফজাল হোসেন, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমি, সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, নির্মাতা ছটকু আহমেদ, অভিনেতা কেরামত মওলা, অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জানান, শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশের শাখাগুলোতে ফজলুল হককে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচনা পর্বের পরেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় নির্মাতা রায়হান রাফী ও সাংবাদিক আলিমুজ্জামানের হাতে। রায়হান রাফীর সঙ্গে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি ছেলের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক ও বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে গত ২২ বছর এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
কেটি পেরির জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শনিবার সন্ধ্যাটি তাই বিশেষ হয়ে ধরা দিল জাস্টিন ট্রুডোর জন্যও। প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন প্যারিসের রাস্তায়। এত দিন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করলেও এবারই প্রথম প্রকাশ্যে একে অপরের হাত ধরে ঘুরলেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় দুই মাস সংগীতসফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি দেশটিতে সংগীতসফরে গেছে অর্থহীন ব্যান্ড। ২৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরে একই মঞ্চে পারফর্ম করেছে অর্থহীন ও আসিফ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থহীন ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনের (বেজবাবা সুমন) সঙ্গে স্টেজ শেয়ারের অভিজ্ঞতা...
৪ ঘণ্টা আগে
নাটক, ওটিটির পর সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত দুটি সিনেমা—‘প্রিয় মালতী’ ও ‘সাবা’। গত আগস্ট মাসে প্রচারিত এক পডকাস্টে মেহজাবীন বলেছিলেন, টালিউড থেকেও সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে