ঈদে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ এবং ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন রাকিব হোসেন ইভন। বোহেমিয়ান ঘোড়ায় মোশাররফ করিমের সাগরেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইভন আর তাণ্ডবে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। দুটি কাজ নিয়ে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি সবাই খুব খুশি। পরের দিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছো একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগিরই মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।
‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও ‘তাণ্ডব’ দুটি কাজেই আপনার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
প্রত্যেক শিল্পী প্রত্যাশা করেন তাঁর কাজটা মানুষ দেখবে, ভালো-খারাপ বিচার করবে। অনেক সময় আমরা প্রত্যাশা করতে করতে হতাশ হয়ে যাই। এই দুটি কাজ আমার সেই হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে। মন দিয়ে কাজ করলে এলোমেলো কাজ না করেও সঠিক পথে এগোনো যায়। এই বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় হয়েছে। মনে হচ্ছে অভিনয় নিয়ে আমার স্বপ্নটা ঠিক পথেই আছে।
দুটি কাজই মাল্টিকাস্টিং। এত অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করার কোনো চাপ অনুভব করেছেন?
দুটি কাজেই দেশের গুণী শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করার বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। বোহেমিয়ান ঘোড়ার শুটিং আগে করেছি। মোশাররফ ভাইসহ এখানে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের প্রায় সবাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি বোধ হয় চাপ বেশি নিয়ে ফেলছি। নিজেকে বোঝালাম, সেটে তো পরিচালক থাকবেন। যদি না পারি, তাহলে তিনিই নির্দেশনা দেবেন। প্রথম দিন শুটিং শেষে দেখি সবাই খুব খুশি। পরের দিন সকালে নির্মাতা অমিতাভ ভাই বললেন, বিউটিফুল। যেটা করছো একেবারে ঠিক আছে। মোশাররফ ভাই বললেন, ‘যে চেষ্টাটা আছে সেটা ধরে রাখিস। আর মনে রাখবি সততা একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় সম্পদ।’ কথাটা শোনার পর মনের মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পাই। তাণ্ডবের ক্ষেত্রে বোহেমিয়ান ঘোড়ার অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দিয়েছে।
বোহেমিয়ান ঘোড়ায় আপনি মোশাররফ করিমের সাগরেদ। স্ক্রিনে গুরু-শিষ্যের রসায়ন নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। শুটিংয়ের আগে আলাদা কোনো প্রস্তুতি ছিল?
বোহেমিয়ান ঘোড়ার আগে ‘দুই দুনিয়া’ ওয়েব ফিল্মে ট্রাকের হেলপারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তাই একটু চিন্তা ছিল, দুটি কাজে যেন একই রকম চরিত্র না হয়ে উঠি। তাই স্ক্রিপ্ট রিডিংয়ের পর মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। প্রথম কথোপকথনে উনি বললেন, ‘চলো মজা করে আমরা কাজটি করে ফেলি।’ এর পর থেকে মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ফ্রি হয়ে যাই। আলাদা কোনো প্রেশার মনে হয়নি। আমাদের মাঝে দারুণ একটা বন্ডিং তৈরি হয়। কখনো মনে হয়েছে, উনি আমাকে বাবার মতো টেককেয়ার করেছেন, কখনো মনে হয়েছে ওস্তাদের মতোই তিনি আমাকে ফুলের মতো ফোটার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাণ্ডব সিনেমায় আপনি যে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছেন, ঠিক সেই দৃশ্যে আগে শাকিব খানকে দেখা গেছে। এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আপনার জন্য?
সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল শাকিব ভাইয়ের অভিনয়টা ধারণ করা। তাঁর করা একই চরিত্রে অভিনয় করাটা অবশ্যই আমার মতো শিল্পীর জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ ছিল। বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শকের যদি ভালো না লাগে! আমার অংশের পুরোটা শাকিব ভাইয়ের সঙ্গেই শুটিং হয়েছে। আগে শাকিব ভাই অভিনয় করেছেন, পরে আমি। শাকিব ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চূড়ান্তটা দিয়ে সেটা ডেলিভার করার চেষ্টা করেছি। সেটে তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে ভয়টা সিনেমা মুক্তির আগপর্যন্ত ছিল। মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া সেই ভয় পুরোপুরি কাটিয়ে দিয়েছে।
আপনি ‘ইতি চিত্রা’, ‘মেঘের কপাট’ সিনেমার নায়ক। যাঁরা নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করেন, তাঁরা অন্য চরিত্রে অভিনয়ে আগ্রহ দেখান না। কিন্তু ‘অগোচরা’, ‘নিকষ’, ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ কিংবা ‘তাণ্ডবে’ আপনি নায়ক না হয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কারণটা বলবেন?
যে কাজগুলোর কথা বললেন সেগুলো সব ইতি চিত্রা রিলিজের আগে করা। এরপর শুধু বোহেমিয়ান ঘোড়া ও তাণ্ডবে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম ও শাকিব খান। তাঁদের দেখে আমি কাজের প্রতি আরও প্যাশনেট হয়েছি, তাঁদের সঙ্গে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার পাল্লা ভারী করার সুযোগটা কোনোভাবেই মিস করতে চাইনি। তবে এটাও সত্যি, চরিত্রের গুরুত্ব না থাকলে হয়তো এই কাজগুলো করা হতো না।
তাহলে কি বড় অভিনেতা না থাকলে আপনাকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে পাওয়া যাবে না?
যদি চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই করব। অভিনয় করতেই তো ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তবে এখন আমি নিজের ক্যারিয়ার গ্রাফ তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমারও একটা গন্তব্য আছে। সেটা লক্ষ্য করেই এগিয়ে যেতে চাই। যেমন সম্প্রতি চারটি সিনেমার প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। যেখানে দুটি সিনেমায় বলা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, আমি যে গন্তব্যে হাঁটছি সে অনুযায়ী এখন এমন চরিত্রে অভিনয় না করাই উত্তম।
নতুন অভিনয়শিল্পীদের অনেক স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার স্ট্রাগলটা কেমন?
এটা একটা জটিল প্রশ্ন। এককথায় যদি বলি এখন পর্যন্ত ভালো আছি। কিন্তু আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটু সততা থাকলে বা কাজের প্রতি সবার প্যাশনটা থাকলে ভালো হতো। আমি আমার শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রফেশনাল জায়গাটা স্বচ্ছ রেখে সবাইকে যদি কাজ দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়, তাহলে শুধু নতুনদের জন্যই নয়, সিনিয়রদের জন্যও ভালো।
আপনার দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সেগুলো নিয়ে বলুন।
ফরহাদ হোসেনের ‘নাদান’ ও রফিকুল ইসলাম অনিকের ‘চারুলতা’ সিনেমা দুটি শিগগিরই মুক্তি পাবে। নাদানে আমরা চেষ্টা করেছি দর্শকদের ফুল কমার্শিয়াল একটা সিনেমা উপহার দিতে। আর চারুলতা আমাদের দেখা প্রাত্যহিক জীবনের গল্প। নিউমার্কেট এলাকার প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছে এটি। দুটি সিনেমা নিয়েই আমি খুব আশাবাদী।
মঞ্চ দিয়ে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত সময় দিচ্ছেন মঞ্চে?
২০১২ সালে নাট্যদল দৃষ্টিপাতের হাত ধরে অভিনয় শুরু। ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো সময় দিতে পারি না। যখন কোনো প্রদর্শনী থাকে বা আমার ইনভলভমেন্টের প্রয়োজন পড়ে, তখন চেষ্টা করি থাকার। একজন পারফরমার হিসেবে থিয়েটারের জায়গাটা কোনোভাবেই মিস করতে চাই না।
একসময় বিটিভির নাটকে নিয়মিত দেখা যেত সোহেল আরমানকে। চ্যানেলটির অনেক নাটকও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় বিটিভির কোনো নাটকের কাজ করেননি সোহেল আরমান। বিরতি কাটিয়ে গত রোজার ঈদে বিটিভির জন্য নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘জলপরী’। এবার তিনি নির্মাণ করছেন ধারাবাহিক নাটক। নাম ‘জল জোছনা’...
৪ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় কোরিয়ান সিরিজ স্কুইড গেমের শেষ সিজনে কোন টুইস্ট অপেক্ষা করছে, তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। তবে এমন টুইস্ট যে আসতে পারে, সেটি ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি কেউ। সিরিজের একেবারে শেষে দর্শকদের চমকে দিল অস্কারজয়ী হলিউড অভিনেত্রী কেট ব্লানচেটের উপস্থিতি। এই সিরিজে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয়...
৫ ঘণ্টা আগেঅনেক কিছু ঘটে গেছে জেমস বন্ডকে ঘিরে গত কয়েক বছরে। ‘ক্যাসিনো রয়েল’ থেকে ‘নো টাইম টু ডাই’—সর্বশেষ পাঁচটি সিনেমায় জেমস বন্ড হিসেবে হাজির হওয়ার পর এ চরিত্র থেকে অবসর নিয়েছেন ড্যানিয়েল ক্রেগ। ঘরও বদলেছে জেমস বন্ডের। দীর্ঘ ৬০ বছর একটি পরিবারের হাতে ছিল জেমস বন্ডের নিয়ন্ত্রণ। ১৯৬২ সালে নির্মিত জেমস বন্ড...
৫ ঘণ্টা আগেবলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ খ্যাত শেফালি জরিওয়ালা আর নেই। মাত্র ৪২ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে