নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। তাই এ খাতের বাজেট বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সংস্কৃতি খাতের বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা শীর্ষক সেমিনারে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্কৃতিকর্মীরা। থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড) শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এ আয়োজন করে।
বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তাবও তাঁরা পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে—অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী ও সংগঠনের ভাতা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা, সংস্কৃতি পেশাজীবীদের পেনশন সুবিধা দেওয়া, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে শিল্প সংস্কৃতি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করা, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আর্কাইভগুলোর ডিজিটালাইজেশন করা, লোকসংস্কৃতি উন্নয়নে আলাদা ইনস্টিটিউট তৈরি এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া।
সেমিনারে ধারণাপত্র পাঠ করেন থিয়েটারকর্মী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭৭৯ কোটি টাকা, যা মূল বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ০.০৯৭৭ শতাংশ। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে, কিন্তু সংস্কৃতির কাঠামো-পরিকাঠামো বাড়ছে না। যতটুকু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তা অবকাঠামো নির্মাণে সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। আর সেখানেও চলছে অবাধ লুটপাট। নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন না করতে পারায় প্রাক্কলন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জাতীয় বাজেট এবং জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিহীন থেকে যাচ্ছে।’
প্রধান অতিথি আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের দুটি কাজ করতে হবে—একটা হলো প্রতিষ্ঠান তৈরি; আরেকটা হলো সংস্কৃতিকর্মীদের টিকে থাকার জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা। একজন সুরকার, ওস্তাদ, তিনি যদি টিকেই থাকতে না পারেন, সংস্কৃতিচর্চা কীভাবে হবে। আমি আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত।’
সেমিনারের সভাপতি অভিনেতা ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘সংস্কৃতি খাতে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি উঠলেও তা সব সময় দাবিই থেকে যায়। এবার রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিক সরকার ক্ষমতায় নেই। সুতরাং বর্তমান সরকারের কাছে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাই।’
নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সঠিক করতে হবে। এ জন্য “ডেটা ফর কালচার” প্রয়োজন। আমরা অনুদানের জন্য বসে নেই, ডেটা প্রয়োজন। ডেটা ছাড়া আমাদের কথা কেউ শুনবে না।’
নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাহাত্তর থেকেই শাসকগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রতি একটা অবজ্ঞা রয়েছে। তারা সব সময় এটাকে তুচ্ছার্থক চোখে দেখেছে।’
অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘শুধু টাকা বাড়লেই যে সংস্কৃতির চর্চা বেগবান হবে, তা নয়। আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠান বানানো দরকার, যেখানে মুক্তভাবে সংস্কৃতির চর্চা করা যাবে।’
সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্পীরা অবহেলিত, অপমানিত একটা সমাজ। আমরা আরও বড় একটা হুমকির মুখে আছি, সেটা হলো ইন্টারনেটের বিস্তৃতি। ওটিটি, ইন্টারনেটে প্রচুর নাটক হচ্ছে। থিয়েটারে কয়জন আসে, সেটা আমি জানি না। নতুন কনসেপ্ট এসেছে ভাইরাল। অশিক্ষিত ছেলেমেয়েরা টিকটক করছে। রুচির মান নামতে নামতে কোথায় নেমেছে! এখন গান কেউ শোনে না। গান শোনার জন্য ভিজ্যুয়াল তৈরি করতে হয়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী অমিত রঞ্জন দে, আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। তাই এ খাতের বাজেট বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সংস্কৃতি খাতের বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা শীর্ষক সেমিনারে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্কৃতিকর্মীরা। থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড) শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এ আয়োজন করে।
বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তাবও তাঁরা পেশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে—অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী ও সংগঠনের ভাতা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা, সংস্কৃতি পেশাজীবীদের পেনশন সুবিধা দেওয়া, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে শিল্প সংস্কৃতি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যুক্ত করা, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বাঙালি সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আর্কাইভগুলোর ডিজিটালাইজেশন করা, লোকসংস্কৃতি উন্নয়নে আলাদা ইনস্টিটিউট তৈরি এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া।
সেমিনারে ধারণাপত্র পাঠ করেন থিয়েটারকর্মী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭৭৯ কোটি টাকা, যা মূল বাজেট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ০.০৯৭৭ শতাংশ। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি যে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে, কিন্তু সংস্কৃতির কাঠামো-পরিকাঠামো বাড়ছে না। যতটুকু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তা অবকাঠামো নির্মাণে সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। আর সেখানেও চলছে অবাধ লুটপাট। নির্ধারিত সময়ে কাজটি সম্পন্ন না করতে পারায় প্রাক্কলন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জাতীয় বাজেট এবং জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিহীন থেকে যাচ্ছে।’
প্রধান অতিথি আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের দুটি কাজ করতে হবে—একটা হলো প্রতিষ্ঠান তৈরি; আরেকটা হলো সংস্কৃতিকর্মীদের টিকে থাকার জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা। একজন সুরকার, ওস্তাদ, তিনি যদি টিকেই থাকতে না পারেন, সংস্কৃতিচর্চা কীভাবে হবে। আমি আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত।’
সেমিনারের সভাপতি অভিনেতা ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘সংস্কৃতি খাতে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি উঠলেও তা সব সময় দাবিই থেকে যায়। এবার রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিক সরকার ক্ষমতায় নেই। সুতরাং বর্তমান সরকারের কাছে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাই।’
নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম বলেন, ‘আমাদের সংস্কৃতির ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সঠিক করতে হবে। এ জন্য “ডেটা ফর কালচার” প্রয়োজন। আমরা অনুদানের জন্য বসে নেই, ডেটা প্রয়োজন। ডেটা ছাড়া আমাদের কথা কেউ শুনবে না।’
নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাহাত্তর থেকেই শাসকগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রতি একটা অবজ্ঞা রয়েছে। তারা সব সময় এটাকে তুচ্ছার্থক চোখে দেখেছে।’
অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘শুধু টাকা বাড়লেই যে সংস্কৃতির চর্চা বেগবান হবে, তা নয়। আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠান বানানো দরকার, যেখানে মুক্তভাবে সংস্কৃতির চর্চা করা যাবে।’
সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্পীরা অবহেলিত, অপমানিত একটা সমাজ। আমরা আরও বড় একটা হুমকির মুখে আছি, সেটা হলো ইন্টারনেটের বিস্তৃতি। ওটিটি, ইন্টারনেটে প্রচুর নাটক হচ্ছে। থিয়েটারে কয়জন আসে, সেটা আমি জানি না। নতুন কনসেপ্ট এসেছে ভাইরাল। অশিক্ষিত ছেলেমেয়েরা টিকটক করছে। রুচির মান নামতে নামতে কোথায় নেমেছে! এখন গান কেউ শোনে না। গান শোনার জন্য ভিজ্যুয়াল তৈরি করতে হয়।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী অমিত রঞ্জন দে, আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
১১ ঘণ্টা আগে‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা।
১৮ ঘণ্টা আগেনাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢালিউডের নামকরা অভিনেতা প্রয়াত সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল রাতেই রমনা থানায় তাঁর মামা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়াবাসা থেকে সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমান শাহের বাবা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়।
২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন।
পিবিআইয়ের সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন নীলা চৌধুরী। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন তিনি।
গতকাল নীলা চৌধুরীর সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ বছর আগের ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন আদালত; যা তদন্তের ভার দেওয়া হয় রমনা থানাকে।
এ অবস্থায় গতকাল রাতেই রমনা থানায় সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হলো।
ঢালিউডের নামকরা অভিনেতা প্রয়াত সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল রাতেই রমনা থানায় তাঁর মামা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়াবাসা থেকে সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমান শাহের বাবা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়।
২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন সালমানের মা নীলা চৌধুরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন।
পিবিআইয়ের সেই প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন নীলা চৌধুরী। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন তিনি।
গতকাল নীলা চৌধুরীর সেই আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ বছর আগের ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন আদালত; যা তদন্তের ভার দেওয়া হয় রমনা থানাকে।
এ অবস্থায় গতকাল রাতেই রমনা থানায় সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হলো।
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি...
১৯ এপ্রিল ২০২৫‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা।
১৮ ঘণ্টা আগেনাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া। আর পুরো গানটির পেছনের মানুষটির নাম শুভ, পুরো নাম শুভেন্দু দাস শুভ। গুলবাহারের প্রযোজক তিনি, সংগীতায়োজনটাও তাঁর। শুভ নিজেও কণ্ঠ দেন গানে, তবে গাওয়ার চেয়ে গাওয়াতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। গানগুলোকে নানা ঘরানায়, নানা আয়োজনের সুর-সংগীতে সাজিয়ে তোলার এক অদ্ভুত নেশা আছে তাঁর। এ ছাড়া, কোক স্টুডিও বাংলাতেও নিয়মিত কাজ করছেন শুভ। ‘মুড়ির টিন’, ‘বুলবুলি’, ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’, ‘দাঁড়ালে দুয়ারে’সহ কোক স্টুডিও বাংলার বেশকিছু গানে তাঁর সংগীত আয়োজন এবং গিটারবাদন দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। মুড়ির টিনসহ কয়েকটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।
শুভর কণ্ঠে প্রথম প্রকাশিত মৌলিক গান ছিল মৌমিতা রায়ের লেখা ও শুভর সুর করা ‘ফাগুন বেলায়’। গানের জগতে প্রায় দেড় যুগ সময় পেরিয়ে শুভ এখন হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় আর নির্ভরতার এক নাম। কাজ করছেন একগুচ্ছ নতুন গান নিয়ে। অন্যের গানের পাশাপাশি নিজেও গাইছেন কিছু গান। শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর গাওয়া ‘মেঘেদের ভেসে যাওয়া’, ‘মন খুঁজে প্রেম নেব’সহ একাধিক গান। মেঘেদের ভেসে যাওয়া গানটি লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান, মন খুঁজে প্রেম নেব লিখেছেন অটোমনাল মুন। দুটো গানেরই সুর-সংগীত করেছেন শুভ। নিজের সুর ও সংগীতে ‘শব্দকল্পদ্রুম’ নামে একটা প্রজেক্ট তৈরি করছেন শুভ। নিজের গাওয়ার পাশাপাশি অন্য শিল্পীদের গান থাকবে এই প্রজেক্টে। কণ্ঠশিল্পী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতার সঙ্গে গেয়েছেন ‘মিষ্টি করে বৃষ্টি ঝরে’ শিরোনামের গান, লিখেছেন অটোমনাল মুন।
নন্দিতার সঙ্গে এটাই শুভর প্রথম গান নয়। তাঁর কম্পোজিশনে নন্দিতার সঙ্গে দ্বৈত এবং নন্দিতার একক অনেক গান ইউটিউবসহ অনলাইনে শ্রোতাদের মন মাতিয়ে যাচ্ছে। মোজি অ্যান্ড কোং নামে একটা ব্যান্ডও গড়েছেন তাঁরা দুজন। গাইছেন সেই ব্যান্ডের গানও। পাশাপাশি শুধু গিটার বাজিয়ে ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘আকাশ এত মেঘলা’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’, ‘আহা আজি এ বসন্তে’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’সহ বেশ কিছু বাংলা গান কাভার করেছেন মোজি অ্যান্ড কোং নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
সিনেমার গানেও কাজ করছেন শুভ। তবে পলিসিগত কারণে এখনই সেই তথ্য প্রকাশ করতে চান না।
শুভর বড় ভাই সংগীতশিল্পী অটোমনাল মুন। তাঁর কাছেই গিটারের হাতেখড়ি শুভর। দুই ভাই-ই দারুণ গিটার বাজান।
শুভেন্দু দাস শুভ বলেন, ‘সংগীত পরিচালনার কাজটাই বেশি উপভোগ করি আমি। তবে অনেকে আমার গাওয়া গানও পছন্দ করেছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে নিজেই গাইছি কিছু গান। নানা ঘরানার মিউজিক সম্পর্কে জানাশোনা আছে আমার। চেষ্টা করছি আরও শিখতে এবং নিজের এই জানাশোনাটা দিয়ে নানা ঘরানার নতুন গান উপহার দিতে। নিজেকে কোনো বলয়ে আটকে রাখতে চাই না। শ্রোতারা যেহেতু আমার মিউজিক পছন্দ করছে, এই ধারাটা ধরে রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস শ্রোতা-দর্শক আমার পাশে থাকবেন।’
‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া। আর পুরো গানটির পেছনের মানুষটির নাম শুভ, পুরো নাম শুভেন্দু দাস শুভ। গুলবাহারের প্রযোজক তিনি, সংগীতায়োজনটাও তাঁর। শুভ নিজেও কণ্ঠ দেন গানে, তবে গাওয়ার চেয়ে গাওয়াতেই বেশি ভালোবাসেন তিনি। গানগুলোকে নানা ঘরানায়, নানা আয়োজনের সুর-সংগীতে সাজিয়ে তোলার এক অদ্ভুত নেশা আছে তাঁর। এ ছাড়া, কোক স্টুডিও বাংলাতেও নিয়মিত কাজ করছেন শুভ। ‘মুড়ির টিন’, ‘বুলবুলি’, ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’, ‘দাঁড়ালে দুয়ারে’সহ কোক স্টুডিও বাংলার বেশকিছু গানে তাঁর সংগীত আয়োজন এবং গিটারবাদন দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। মুড়ির টিনসহ কয়েকটি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি।
শুভর কণ্ঠে প্রথম প্রকাশিত মৌলিক গান ছিল মৌমিতা রায়ের লেখা ও শুভর সুর করা ‘ফাগুন বেলায়’। গানের জগতে প্রায় দেড় যুগ সময় পেরিয়ে শুভ এখন হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় আর নির্ভরতার এক নাম। কাজ করছেন একগুচ্ছ নতুন গান নিয়ে। অন্যের গানের পাশাপাশি নিজেও গাইছেন কিছু গান। শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর গাওয়া ‘মেঘেদের ভেসে যাওয়া’, ‘মন খুঁজে প্রেম নেব’সহ একাধিক গান। মেঘেদের ভেসে যাওয়া গানটি লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান, মন খুঁজে প্রেম নেব লিখেছেন অটোমনাল মুন। দুটো গানেরই সুর-সংগীত করেছেন শুভ। নিজের সুর ও সংগীতে ‘শব্দকল্পদ্রুম’ নামে একটা প্রজেক্ট তৈরি করছেন শুভ। নিজের গাওয়ার পাশাপাশি অন্য শিল্পীদের গান থাকবে এই প্রজেক্টে। কণ্ঠশিল্পী সানজিদা মাহমুদ নন্দিতার সঙ্গে গেয়েছেন ‘মিষ্টি করে বৃষ্টি ঝরে’ শিরোনামের গান, লিখেছেন অটোমনাল মুন।
নন্দিতার সঙ্গে এটাই শুভর প্রথম গান নয়। তাঁর কম্পোজিশনে নন্দিতার সঙ্গে দ্বৈত এবং নন্দিতার একক অনেক গান ইউটিউবসহ অনলাইনে শ্রোতাদের মন মাতিয়ে যাচ্ছে। মোজি অ্যান্ড কোং নামে একটা ব্যান্ডও গড়েছেন তাঁরা দুজন। গাইছেন সেই ব্যান্ডের গানও। পাশাপাশি শুধু গিটার বাজিয়ে ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘আকাশ এত মেঘলা’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল ঝিলের জলে’, ‘আহা আজি এ বসন্তে’, ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’সহ বেশ কিছু বাংলা গান কাভার করেছেন মোজি অ্যান্ড কোং নামের ইউটিউব চ্যানেলে।
সিনেমার গানেও কাজ করছেন শুভ। তবে পলিসিগত কারণে এখনই সেই তথ্য প্রকাশ করতে চান না।
শুভর বড় ভাই সংগীতশিল্পী অটোমনাল মুন। তাঁর কাছেই গিটারের হাতেখড়ি শুভর। দুই ভাই-ই দারুণ গিটার বাজান।
শুভেন্দু দাস শুভ বলেন, ‘সংগীত পরিচালনার কাজটাই বেশি উপভোগ করি আমি। তবে অনেকে আমার গাওয়া গানও পছন্দ করেছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে নিজেই গাইছি কিছু গান। নানা ঘরানার মিউজিক সম্পর্কে জানাশোনা আছে আমার। চেষ্টা করছি আরও শিখতে এবং নিজের এই জানাশোনাটা দিয়ে নানা ঘরানার নতুন গান উপহার দিতে। নিজেকে কোনো বলয়ে আটকে রাখতে চাই না। শ্রোতারা যেহেতু আমার মিউজিক পছন্দ করছে, এই ধারাটা ধরে রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস শ্রোতা-দর্শক আমার পাশে থাকবেন।’
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি...
১৯ এপ্রিল ২০২৫গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
১১ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা।
১৮ ঘণ্টা আগেনাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা। যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্যাপিটাল কার্ভ কমিউনিকেশনস এবং কারার-দ্য সুফি ব্যান্ড।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নুসরাত ফতেহ আলী খানের অসাধারণ সংগীতজীবন ও তাঁর আধ্যাত্মিক সুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। তাঁকে স্মরণ করে এই কনসার্টে পরিবেশিত হবে সুফি ঘরানার কাওয়ালি ও আধ্যাত্মিক সংগীত।অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে সুফি ব্যান্ড কারার। এ ছাড়া থাকবে সুফি ড্যান্স পারফরম্যান্স।
কনসার্টের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টিকিটো বাংলাদেশ নামের ওয়েবসাইটে।
ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান ছিলেন পাকিস্তানের একজন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। কাওয়ালি গানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তোলেন তিনি। তাঁকে ‘শাহেনশাহ-ই-কাওয়ালি’ বা কাওয়ালির সম্রাট বলা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের এক কাওয়ালি সংগীত পরিবারে জন্ম নুসরাত ফতেহ আলী খানের। তাঁর বাবা ওস্তাদ ফতেহ আলী খানও একজন প্রখ্যাত কাওয়ালি গায়ক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর চাচার মৃত্যুর পর তিনি পারিবারিক কাওয়ালি দলের প্রধান হন। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গান হলো ‘তুমহে দিল লাগি ভুল জানি প্যারেগি’, ‘আলী মওলা’, ‘মাস্ত কালান্দার’, ‘আল্লাহু আল্লাহু’ ইত্যাদি। সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি প্রাইড অব পারফরম্যান্স, পিটিভি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট মাত্র ৪৮ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মারা যান তিনি।
উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা। যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্যাপিটাল কার্ভ কমিউনিকেশনস এবং কারার-দ্য সুফি ব্যান্ড।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য নুসরাত ফতেহ আলী খানের অসাধারণ সংগীতজীবন ও তাঁর আধ্যাত্মিক সুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। তাঁকে স্মরণ করে এই কনসার্টে পরিবেশিত হবে সুফি ঘরানার কাওয়ালি ও আধ্যাত্মিক সংগীত।অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে সুফি ব্যান্ড কারার। এ ছাড়া থাকবে সুফি ড্যান্স পারফরম্যান্স।
কনসার্টের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টিকিটো বাংলাদেশ নামের ওয়েবসাইটে।
ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খান ছিলেন পাকিস্তানের একজন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী। কাওয়ালি গানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তোলেন তিনি। তাঁকে ‘শাহেনশাহ-ই-কাওয়ালি’ বা কাওয়ালির সম্রাট বলা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের এক কাওয়ালি সংগীত পরিবারে জন্ম নুসরাত ফতেহ আলী খানের। তাঁর বাবা ওস্তাদ ফতেহ আলী খানও একজন প্রখ্যাত কাওয়ালি গায়ক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর চাচার মৃত্যুর পর তিনি পারিবারিক কাওয়ালি দলের প্রধান হন। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গান হলো ‘তুমহে দিল লাগি ভুল জানি প্যারেগি’, ‘আলী মওলা’, ‘মাস্ত কালান্দার’, ‘আল্লাহু আল্লাহু’ ইত্যাদি। সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি প্রাইড অব পারফরম্যান্স, পিটিভি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট মাত্র ৪৮ বছর বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মারা যান তিনি।
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি...
১৯ এপ্রিল ২০২৫গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
১১ ঘণ্টা আগে‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেনাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
নাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে নান্দনিক নাট্যদলের নাট্যকর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দলের নাট্যকর্মীরা। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেন নান্দনিকের সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন আ মা ম হাসানুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, মাহবুব রহমান, শায়েস্তা, বদরুদ্দোজা, শাবান খানসহ অনেকে।
১৯৭৭ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। দীর্ঘ থিয়েটার চর্চায় দলটি গুরুত্ব দিয়েছে ঐতিহাসিক ও রাজনীতি সচেতন বিভিন্ন মঞ্চনাটকের ওপর। নান্দনিকের প্রথম নাটক ‘আমার সোনার হরিণ চাই’। এরপর একে একে মঞ্চে এনেছে ‘রক্তকরবী’, ‘শাস্তি’, ‘নৃপতি’, ‘ক্লিওপেট্রা’, ‘মহাবিদ্রোহ’, ‘সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর’সহ অনেক প্রযোজনা।
নান্দনিক নাট্যদলের দলপ্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আ মা ম হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের নান্দনিক নাটক মঞ্চে আনা। আমরা চেয়েছি একটু বেছে বেছে কাজ করতে। তাই আমাদের প্রোডাকশন সংখ্যা কম, কিন্তু গুণগত মানে আমরা কখনোই ছাড় দিইনি। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে থিয়েটার শুরু করেছিলাম, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হয়তো তা শতভাগ পূরণ হয়নি, তবে আমার বিশ্বাস, তরুণ সদস্যরা দলকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
দলের সিনিয়র সদস্য বদরুদ্দোজা বলেন, ‘নান্দনিক একটা পরিবার, যেখানে সদস্যদের মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করা হয়। থিয়েটার শুধু অভিনয় করা ও শেখার জন্য নয়, দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ার জায়গা। ৪৮ বছর মঞ্চে কাজ করা একটা বিশাল অর্জন।’
দলটির প্রযোজনা ব্যবস্থাপক নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘মঞ্চনাটকের পাশাপাশি সম্প্রতি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছে নান্দনিক। সেখানে দলের সদস্যরা অভিনয় করছেন। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত।’
নাট্যচর্চায় ৪৮ বছর পূর্ণ করল নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে গতকাল ২০ অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যদলটির ৪৮ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করা হয়। অনুষ্ঠানে নান্দনিক নাট্যদলের নাট্যকর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দলের নাট্যকর্মীরা। কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশ নেন নান্দনিকের সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন আ মা ম হাসানুজ্জামান, আব্দুর রাজ্জাক, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, মাহবুব রহমান, শায়েস্তা, বদরুদ্দোজা, শাবান খানসহ অনেকে।
১৯৭৭ সালের ১৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় নান্দনিক নাট্য সম্প্রদায়। দীর্ঘ থিয়েটার চর্চায় দলটি গুরুত্ব দিয়েছে ঐতিহাসিক ও রাজনীতি সচেতন বিভিন্ন মঞ্চনাটকের ওপর। নান্দনিকের প্রথম নাটক ‘আমার সোনার হরিণ চাই’। এরপর একে একে মঞ্চে এনেছে ‘রক্তকরবী’, ‘শাস্তি’, ‘নৃপতি’, ‘ক্লিওপেট্রা’, ‘মহাবিদ্রোহ’, ‘সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর’সহ অনেক প্রযোজনা।
নান্দনিক নাট্যদলের দলপ্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আ মা ম হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশ-বিদেশের নান্দনিক নাটক মঞ্চে আনা। আমরা চেয়েছি একটু বেছে বেছে কাজ করতে। তাই আমাদের প্রোডাকশন সংখ্যা কম, কিন্তু গুণগত মানে আমরা কখনোই ছাড় দিইনি। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে থিয়েটার শুরু করেছিলাম, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হয়তো তা শতভাগ পূরণ হয়নি, তবে আমার বিশ্বাস, তরুণ সদস্যরা দলকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
দলের সিনিয়র সদস্য বদরুদ্দোজা বলেন, ‘নান্দনিক একটা পরিবার, যেখানে সদস্যদের মানবিক মানুষ হিসেবে তৈরি করা হয়। থিয়েটার শুধু অভিনয় করা ও শেখার জন্য নয়, দেশপ্রেমিক মানুষ গড়ার জায়গা। ৪৮ বছর মঞ্চে কাজ করা একটা বিশাল অর্জন।’
দলটির প্রযোজনা ব্যবস্থাপক নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘মঞ্চনাটকের পাশাপাশি সম্প্রতি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করছে নান্দনিক। সেখানে দলের সদস্যরা অভিনয় করছেন। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত।’
সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটে ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, বিগত এক যুগে জাতীয় বাজেটের আকার বাড়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি সংস্কৃতি খাতের বরাদ্দ। গত এক দশকে বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশের ওপরে ওঠেনি...
১৯ এপ্রিল ২০২৫গতকাল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। আজ দুপুরে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।
১১ ঘণ্টা আগে‘লালবাজারে গলির মোড়ে পান দোকানের খরিদ্দার, বাকের আলীর আদুরে মেয়ে নাম ছিল তার গুলবাহার’—এমন কথার গানটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম হিট গান। ‘গুলবাহার’ শিরোনামের গানটি ইশান মজুমদারের লেখা, সুর করা ও গাওয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেউপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের স্মরণে ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে সুফি সংগীতের সন্ধ্যা ‘শাম-ই-নুসরাত’। ২৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় আগারগাঁওয়ের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সংগীতসন্ধ্যা।
১৮ ঘণ্টা আগে