Ajker Patrika

শাকিব খান জ্বরে আক্রান্ত: প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৫৮
শাকিব খান জ্বরে আক্রান্ত: প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ আবারও পিছিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফসা ঝুমা সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য তারিখে শাকিব খান আদালতে উপস্থিত হননি। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেন। শাকিবের আইনজীবী খায়রুল হাসান বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৫ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে রহমত উল্লাহর বিচার শুরু হয়। গত ২৩ মার্চ শাকিব খান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে চাঁদাবাজির এই মামলা করেন। 

মামলায় শাকিব খান অভিযোগ করেন, তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নায়ক। অপর দিকে রহমত উল্লাহ একজন প্রতারক, বাটপার ও ভুয়া প্রযোজক বলে মামলায় বলা হয়েছে।

আরজিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলা ছায়াছবি ‘অপারেশন অগ্নিপথ’-এ অভিনয় করতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ভারটেক্স মিডিয়া’র স্বত্বাধিকারী জানে আলমের সঙ্গে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। ওই ছবিতে শিবা আলী খানকে নায়িকা হিসেবে মনোনীত করা হয়। ছবির শুটিংয়ের জন্য শাকিব খান ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ায় যান। শিবা আলী খান সেখানে যেতে না পারায় তাঁর স্থলে এ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিককে মনোনীত করা হয়।

শাকিব খান মামলায় অভিযোগ করেন, রহমত উল্লাহ তাঁকে ফাঁদে ফেলানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করেন। অস্ট্রেলিয়ায় একটি নামীদামি ক্লাবে রহমত উল্লাহর সঙ্গে শাকিব খান যান। সেখানে রাতে খাওয়াদাওয়া শেষে পানিও পান করেন শাকিব খান। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় অ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন তাঁকে হোটেল রুমে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। শাকিব যেহেতু অসুস্থ ছিলেন এবং একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন, সেই কারণে অ্যানি রেনেসাঁ সাবরিন নায়ক শাকিবকে নিয়ে হোটেল রুমে যান।

ওই ঘটনার পরদিন রহমত উল্লাহ ফোনে সাকিবকে বলেন, ‘হোটেলে তুমি কী করেছ—সব ভিডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। তুমি আমাকে এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার চাঁদা না দিলে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হবে। এতে তোমার ক্যারিয়ার ধ্বংস হবে এবং তুমি অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে বাংলাদেশে যেতে পারবে না।’ পারিবারিক সমস্যা ও নিজের ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করে শাকিব খান সাড়ে পাঁচ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার রহমত উল্লাকে দেন। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশের ৪০ লাখ টাকার মতো রহমত উল্লাকে দেন শাকিব খান। তা সত্ত্বেও রহমত উল্লাহ অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।’

শাকিব খান মামলায় আরও বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় গেলে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে। তারা তখন বলে শাকিব খান একটি ষড়যন্ত্রের শিকার। এরপর রহমত উল্লাহকে চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেন শাকিব খান।

মামলায় আরও অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় এসব ঘটনার মীমাংসার জন্য রহমত উল্লাহ গুলশানের স্প্যারো নামক রেস্টুরেন্টে বসেন শাকিব খান ও রহমত উল্লাহ। ওই খানেও রহমত উল্লাহ আরও এক লাখ ডলার চাঁদা দিতে বলেন। চাঁদা না দিলে তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করাসহ তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিড়াল মনিবকে কেন মৃত প্রাণী ‘উপহার’ দেয়

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

বৃষ্টি অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়েকে

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

শেখ হাসিনার সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রত্যাহার করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত