নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ নাট্যজনরা।
বিগত কয়েক মাসে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দর ব্যানারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ইঙ্গিত দেয় যে, ভেতরে-ভেতরে দুটো গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছে মঞ্চনাটকের সবচেয়ে বড় এই মোর্চা সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষ্যাপা বিডি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বিকেলে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। চিঠিটি চলতি বছরের গত ২০ জুন পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রাপক ফেডারেশানের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। চিঠি পাঠানো হয়েছে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের ও ম. হামিদেরর পক্ষ থেকে। তারা চারজনই সাবেক চেয়ারম্যান এবং তিনজন ফেডারেশানের বর্তমান সদস্য।
চিঠিতে নাট্যাঙ্গনের বর্তমান সংকট নিয়ে নানা বিষয়ের পাশাপাশি লেখা হয়েছে, ‘ফেডারেশানের বর্তমান সংকট নিয়ে যে সব চিঠি চালাচালি হয়েছে, তাতে নাট্যকর্মীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত অস্বস্তিবোধ করছি। সাংবাদিকেরা এই অবস্থাকে একটা বিভাজন হিসেবে দেখছে। ফেডারেশানের বিভাজন কোনো অবস্থাতেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ফেডারেশনের শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ফিরে আসুক।’
চিঠি প্রসঙ্গে নাট্যজন ও ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে আমি আর একটি কথাও বলতে চাই না। যা হবার হবে।’
ফেডারেশানে বিভাজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাট্যাঙ্গনে একটা মানসিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। এটা যাতে আনুষ্ঠানিক বিভাজনে পরিণত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ও নাট্যজন মামুনুর রশীদকে চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একটি গোপন চিঠি ছিল এটি। সেটি কে বা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন।
যদিও তিনি নাট্যাঙ্গনের এই অবস্থাকে বিভাজন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনে বিভাজন হবে না। কিন্তু নাট্যকর্মীদের ভেতরে যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে এটা আমরা মনে করি।’
তাদের এই চিঠির উত্তরে যদি কোনো চিঠি না আসে কিংবা উত্তর মনঃপূত না হয়, তাহলে সামনে কী কর্মসূচি নেবেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বয়স্ক মানুষ। বহু বছর ধরে থিয়েটার করছি। আমাদের চিঠির যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, আমরা তো বলতে পারব না যে, হুট করেই আমরা কিছু করে ফেলব। আমরা চাই সাধারণ নাট্যকর্মীদের যে দাবি, আকাঙ্ক্ষা সেটা পরিপূর্ণ হোক। আমাদের পক্ষে জোরালো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া সম্ভব না। সামনে কী করা যায়, সেসব ব্যাপারে আমরা বসব, আলোচনা করব।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সূত্র জানিয়েছে, ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই এই চিঠির ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেন না।
মূলত ফেডারেশানের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদকে নিয়ে নাট্যাঙ্গনে এই অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে’ কামাল বায়েজীদ (সাধারণ সম্পাদক) ও রফিকুল্লাহ সেলিমকে (অর্থ সম্পাদক) অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের মার্চে ফেডারেশান ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার। ফেডারেশানের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ ছিলেন ঢাকা থিয়েটার প্রতিনিধি।
এই সংকটে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে গত এপ্রিল মাসে ফেডারেশানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন সাবেক চার চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সারা যাকের। সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন। এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার নাটকপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে ১৬ জুন জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন একদল নাট্যকর্মী। পাশাপাশি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানও পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সাবেক চার চেয়ারম্যানের চিঠির জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত সাত পাতার দীর্ঘ এক চিঠি দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুনের এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নানা ইস্যু তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মূল বক্তব্য সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বলে দীর্ঘ চিঠিতে আপনারা কামাল বায়েজীদ সম্পর্কে অভিযোগসমূহ বর্ণনা করেছেন।’
চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কামাল বায়েজীদ কীভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে এক বছর ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কীভাবে এক কোটি চব্বিশ লাখ একান্ন হাজার তিন শ সাতাত্তর টাকার মতো বড় অংকের অর্থ কোনো অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করা হলো। কারণ ফেডারশানের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি জেনারেল ও অর্থ সম্পাদক এই ব্যাংক হিসাবের জিম্মাদার। চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে বাকি দুজন যদি এই বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে, তখন কি চেয়ারম্যানের কোনো দায়িত্ব থাকে না? এই অর্থ সদস্য দলগুলোর। তার জবাবদিহি তো করতে হবে। আপনি নিজেও কি এ দায় এড়াতে পারবেন?’
চিঠিতে কামাল বায়েজীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা। শুধু তাই নয়, তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, এই সংকট নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে সম্ভবত এটিই তাদের ‘শেষ চিঠি’।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ নাট্যজনরা।
বিগত কয়েক মাসে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দর ব্যানারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ইঙ্গিত দেয় যে, ভেতরে-ভেতরে দুটো গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছে মঞ্চনাটকের সবচেয়ে বড় এই মোর্চা সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষ্যাপা বিডি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বিকেলে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। চিঠিটি চলতি বছরের গত ২০ জুন পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রাপক ফেডারেশানের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। চিঠি পাঠানো হয়েছে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের ও ম. হামিদেরর পক্ষ থেকে। তারা চারজনই সাবেক চেয়ারম্যান এবং তিনজন ফেডারেশানের বর্তমান সদস্য।
চিঠিতে নাট্যাঙ্গনের বর্তমান সংকট নিয়ে নানা বিষয়ের পাশাপাশি লেখা হয়েছে, ‘ফেডারেশানের বর্তমান সংকট নিয়ে যে সব চিঠি চালাচালি হয়েছে, তাতে নাট্যকর্মীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত অস্বস্তিবোধ করছি। সাংবাদিকেরা এই অবস্থাকে একটা বিভাজন হিসেবে দেখছে। ফেডারেশানের বিভাজন কোনো অবস্থাতেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ফেডারেশনের শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ফিরে আসুক।’
চিঠি প্রসঙ্গে নাট্যজন ও ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে আমি আর একটি কথাও বলতে চাই না। যা হবার হবে।’
ফেডারেশানে বিভাজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাট্যাঙ্গনে একটা মানসিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। এটা যাতে আনুষ্ঠানিক বিভাজনে পরিণত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ও নাট্যজন মামুনুর রশীদকে চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একটি গোপন চিঠি ছিল এটি। সেটি কে বা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন।
যদিও তিনি নাট্যাঙ্গনের এই অবস্থাকে বিভাজন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনে বিভাজন হবে না। কিন্তু নাট্যকর্মীদের ভেতরে যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে এটা আমরা মনে করি।’
তাদের এই চিঠির উত্তরে যদি কোনো চিঠি না আসে কিংবা উত্তর মনঃপূত না হয়, তাহলে সামনে কী কর্মসূচি নেবেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বয়স্ক মানুষ। বহু বছর ধরে থিয়েটার করছি। আমাদের চিঠির যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, আমরা তো বলতে পারব না যে, হুট করেই আমরা কিছু করে ফেলব। আমরা চাই সাধারণ নাট্যকর্মীদের যে দাবি, আকাঙ্ক্ষা সেটা পরিপূর্ণ হোক। আমাদের পক্ষে জোরালো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া সম্ভব না। সামনে কী করা যায়, সেসব ব্যাপারে আমরা বসব, আলোচনা করব।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সূত্র জানিয়েছে, ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই এই চিঠির ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেন না।
মূলত ফেডারেশানের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদকে নিয়ে নাট্যাঙ্গনে এই অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে’ কামাল বায়েজীদ (সাধারণ সম্পাদক) ও রফিকুল্লাহ সেলিমকে (অর্থ সম্পাদক) অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের মার্চে ফেডারেশান ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার। ফেডারেশানের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ ছিলেন ঢাকা থিয়েটার প্রতিনিধি।
এই সংকটে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে গত এপ্রিল মাসে ফেডারেশানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন সাবেক চার চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সারা যাকের। সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন। এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার নাটকপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে ১৬ জুন জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন একদল নাট্যকর্মী। পাশাপাশি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানও পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সাবেক চার চেয়ারম্যানের চিঠির জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত সাত পাতার দীর্ঘ এক চিঠি দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুনের এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নানা ইস্যু তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মূল বক্তব্য সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বলে দীর্ঘ চিঠিতে আপনারা কামাল বায়েজীদ সম্পর্কে অভিযোগসমূহ বর্ণনা করেছেন।’
চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কামাল বায়েজীদ কীভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে এক বছর ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কীভাবে এক কোটি চব্বিশ লাখ একান্ন হাজার তিন শ সাতাত্তর টাকার মতো বড় অংকের অর্থ কোনো অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করা হলো। কারণ ফেডারশানের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি জেনারেল ও অর্থ সম্পাদক এই ব্যাংক হিসাবের জিম্মাদার। চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে বাকি দুজন যদি এই বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে, তখন কি চেয়ারম্যানের কোনো দায়িত্ব থাকে না? এই অর্থ সদস্য দলগুলোর। তার জবাবদিহি তো করতে হবে। আপনি নিজেও কি এ দায় এড়াতে পারবেন?’
চিঠিতে কামাল বায়েজীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা। শুধু তাই নয়, তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, এই সংকট নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে সম্ভবত এটিই তাদের ‘শেষ চিঠি’।
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ নাট্যজনরা।
বিগত কয়েক মাসে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দর ব্যানারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ইঙ্গিত দেয় যে, ভেতরে-ভেতরে দুটো গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছে মঞ্চনাটকের সবচেয়ে বড় এই মোর্চা সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষ্যাপা বিডি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বিকেলে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। চিঠিটি চলতি বছরের গত ২০ জুন পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রাপক ফেডারেশানের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। চিঠি পাঠানো হয়েছে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের ও ম. হামিদেরর পক্ষ থেকে। তারা চারজনই সাবেক চেয়ারম্যান এবং তিনজন ফেডারেশানের বর্তমান সদস্য।
চিঠিতে নাট্যাঙ্গনের বর্তমান সংকট নিয়ে নানা বিষয়ের পাশাপাশি লেখা হয়েছে, ‘ফেডারেশানের বর্তমান সংকট নিয়ে যে সব চিঠি চালাচালি হয়েছে, তাতে নাট্যকর্মীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত অস্বস্তিবোধ করছি। সাংবাদিকেরা এই অবস্থাকে একটা বিভাজন হিসেবে দেখছে। ফেডারেশানের বিভাজন কোনো অবস্থাতেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ফেডারেশনের শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ফিরে আসুক।’
চিঠি প্রসঙ্গে নাট্যজন ও ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে আমি আর একটি কথাও বলতে চাই না। যা হবার হবে।’
ফেডারেশানে বিভাজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাট্যাঙ্গনে একটা মানসিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। এটা যাতে আনুষ্ঠানিক বিভাজনে পরিণত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ও নাট্যজন মামুনুর রশীদকে চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একটি গোপন চিঠি ছিল এটি। সেটি কে বা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন।
যদিও তিনি নাট্যাঙ্গনের এই অবস্থাকে বিভাজন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনে বিভাজন হবে না। কিন্তু নাট্যকর্মীদের ভেতরে যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে এটা আমরা মনে করি।’
তাদের এই চিঠির উত্তরে যদি কোনো চিঠি না আসে কিংবা উত্তর মনঃপূত না হয়, তাহলে সামনে কী কর্মসূচি নেবেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বয়স্ক মানুষ। বহু বছর ধরে থিয়েটার করছি। আমাদের চিঠির যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, আমরা তো বলতে পারব না যে, হুট করেই আমরা কিছু করে ফেলব। আমরা চাই সাধারণ নাট্যকর্মীদের যে দাবি, আকাঙ্ক্ষা সেটা পরিপূর্ণ হোক। আমাদের পক্ষে জোরালো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া সম্ভব না। সামনে কী করা যায়, সেসব ব্যাপারে আমরা বসব, আলোচনা করব।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সূত্র জানিয়েছে, ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই এই চিঠির ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেন না।
মূলত ফেডারেশানের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদকে নিয়ে নাট্যাঙ্গনে এই অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে’ কামাল বায়েজীদ (সাধারণ সম্পাদক) ও রফিকুল্লাহ সেলিমকে (অর্থ সম্পাদক) অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের মার্চে ফেডারেশান ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার। ফেডারেশানের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ ছিলেন ঢাকা থিয়েটার প্রতিনিধি।
এই সংকটে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে গত এপ্রিল মাসে ফেডারেশানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন সাবেক চার চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সারা যাকের। সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন। এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার নাটকপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে ১৬ জুন জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন একদল নাট্যকর্মী। পাশাপাশি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানও পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সাবেক চার চেয়ারম্যানের চিঠির জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত সাত পাতার দীর্ঘ এক চিঠি দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুনের এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নানা ইস্যু তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মূল বক্তব্য সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বলে দীর্ঘ চিঠিতে আপনারা কামাল বায়েজীদ সম্পর্কে অভিযোগসমূহ বর্ণনা করেছেন।’
চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কামাল বায়েজীদ কীভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে এক বছর ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কীভাবে এক কোটি চব্বিশ লাখ একান্ন হাজার তিন শ সাতাত্তর টাকার মতো বড় অংকের অর্থ কোনো অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করা হলো। কারণ ফেডারশানের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি জেনারেল ও অর্থ সম্পাদক এই ব্যাংক হিসাবের জিম্মাদার। চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে বাকি দুজন যদি এই বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে, তখন কি চেয়ারম্যানের কোনো দায়িত্ব থাকে না? এই অর্থ সদস্য দলগুলোর। তার জবাবদিহি তো করতে হবে। আপনি নিজেও কি এ দায় এড়াতে পারবেন?’
চিঠিতে কামাল বায়েজীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা। শুধু তাই নয়, তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, এই সংকট নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে সম্ভবত এটিই তাদের ‘শেষ চিঠি’।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মনে করছেন জ্যেষ্ঠ নাট্যজনরা।
বিগত কয়েক মাসে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দর ব্যানারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ইঙ্গিত দেয় যে, ভেতরে-ভেতরে দুটো গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছে মঞ্চনাটকের সবচেয়ে বড় এই মোর্চা সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষ্যাপা বিডি নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল বিকেলে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়ে। চিঠিটি চলতি বছরের গত ২০ জুন পাঠানো হয়েছে। চিঠির প্রাপক ফেডারেশানের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। চিঠি পাঠানো হয়েছে রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সারা যাকের ও ম. হামিদেরর পক্ষ থেকে। তারা চারজনই সাবেক চেয়ারম্যান এবং তিনজন ফেডারেশানের বর্তমান সদস্য।
চিঠিতে নাট্যাঙ্গনের বর্তমান সংকট নিয়ে নানা বিষয়ের পাশাপাশি লেখা হয়েছে, ‘ফেডারেশানের বর্তমান সংকট নিয়ে যে সব চিঠি চালাচালি হয়েছে, তাতে নাট্যকর্মীদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত অস্বস্তিবোধ করছি। সাংবাদিকেরা এই অবস্থাকে একটা বিভাজন হিসেবে দেখছে। ফেডারেশানের বিভাজন কোনো অবস্থাতেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ফেডারেশনের শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ফিরে আসুক।’
চিঠি প্রসঙ্গে নাট্যজন ও ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে আমি আর একটি কথাও বলতে চাই না। যা হবার হবে।’
ফেডারেশানে বিভাজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাট্যাঙ্গনে একটা মানসিক বিভাজন তৈরি হয়েছে। এটা যাতে আনুষ্ঠানিক বিভাজনে পরিণত না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ও নাট্যজন মামুনুর রশীদকে চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একটি গোপন চিঠি ছিল এটি। সেটি কে বা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন।
যদিও তিনি নাট্যাঙ্গনের এই অবস্থাকে বিভাজন বলতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশনে বিভাজন হবে না। কিন্তু নাট্যকর্মীদের ভেতরে যে একটা সংকট তৈরি হয়েছে এটা আমরা মনে করি।’
তাদের এই চিঠির উত্তরে যদি কোনো চিঠি না আসে কিংবা উত্তর মনঃপূত না হয়, তাহলে সামনে কী কর্মসূচি নেবেন তারা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বয়স্ক মানুষ। বহু বছর ধরে থিয়েটার করছি। আমাদের চিঠির যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, আমরা তো বলতে পারব না যে, হুট করেই আমরা কিছু করে ফেলব। আমরা চাই সাধারণ নাট্যকর্মীদের যে দাবি, আকাঙ্ক্ষা সেটা পরিপূর্ণ হোক। আমাদের পক্ষে জোরালো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া সম্ভব না। সামনে কী করা যায়, সেসব ব্যাপারে আমরা বসব, আলোচনা করব।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সূত্র জানিয়েছে, ফেডারেশানের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই এই চিঠির ব্যাপারে তারা কিছুই বলতে পারছেন না।
মূলত ফেডারেশানের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদকে নিয়ে নাট্যাঙ্গনে এই অস্থিরতা শুরু হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ফেডারেশানের প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে’ কামাল বায়েজীদ (সাধারণ সম্পাদক) ও রফিকুল্লাহ সেলিমকে (অর্থ সম্পাদক) অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন করে কামাল বায়েজীদ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেডারেশানের সাবেক চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার গত ২৩ জানুয়ারি নাট্যকর্মীদের উদ্দেশে এক খোলা চিঠিতে ফেডারেশানের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার আহ্বান জানান। বায়েজীদকে বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় চলতি বছরের মার্চে ফেডারেশান ছাড়ার ঘোষণা দেয় ঢাকা থিয়েটার। ফেডারেশানের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ ছিলেন ঢাকা থিয়েটার প্রতিনিধি।
এই সংকটে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে গত এপ্রিল মাসে ফেডারেশানের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকীকে চিঠি দেন সাবেক চার চেয়ারম্যান রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, ম হামিদ ও সারা যাকের। সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ৬৭ জন নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক বিবৃতি দেন। এই অবস্থায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ঢাকার নাটকপাড়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে ১৬ জুন জাতীয় নাট্যশালার প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ নাট্যকর্মীবৃন্দ নামে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন একদল নাট্যকর্মী। পাশাপাশি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানও পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সাবেক চার চেয়ারম্যানের চিঠির জবাবে গত ১৩ এপ্রিল ফেডারেশানের চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত সাত পাতার দীর্ঘ এক চিঠি দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জুনের এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নানা ইস্যু তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মূল বক্তব্য সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বলে দীর্ঘ চিঠিতে আপনারা কামাল বায়েজীদ সম্পর্কে অভিযোগসমূহ বর্ণনা করেছেন।’
চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কামাল বায়েজীদ কীভাবে কাউকে তোয়াক্কা না করে এক বছর ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কীভাবে এক কোটি চব্বিশ লাখ একান্ন হাজার তিন শ সাতাত্তর টাকার মতো বড় অংকের অর্থ কোনো অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করা হলো। কারণ ফেডারশানের চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি জেনারেল ও অর্থ সম্পাদক এই ব্যাংক হিসাবের জিম্মাদার। চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে বাকি দুজন যদি এই বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে, তখন কি চেয়ারম্যানের কোনো দায়িত্ব থাকে না? এই অর্থ সদস্য দলগুলোর। তার জবাবদিহি তো করতে হবে। আপনি নিজেও কি এ দায় এড়াতে পারবেন?’
চিঠিতে কামাল বায়েজীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তেরও আহ্বান জানান তারা। শুধু তাই নয়, তারা এটাও উল্লেখ করেন যে, এই সংকট নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে সম্ভবত এটিই তাদের ‘শেষ চিঠি’।

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
৮ ঘণ্টা আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’। প্রকাশ করছে আধখানা মিউজিক।
জানা গেছে, ৮টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এর কিছু গান তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় কবিদের কবিতা থেকে, বাকিগুলো অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা লিখেছেন। জীবনানন্দ দাশ, শ্রীজাত, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে গান তৈরি করেছেন তিনি। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। ভাল্লাগে না অ্যালবামের গানগুলো প্রকাশ পাবে অর্ণবের অফিশিয়াল স্পটিফাই চ্যানেলে। পরবর্তী সময়ে গানগুলো ভিডিও আকারে প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে অর্ণব বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম আসছে আমার। ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই কাজটা নিয়ে। কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। আরও আছে আমার বন্ধু তৌফিকের লেখা গান, রাজীবের লেখা গান। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামের চেয়ে শিল্পীরা ইদানীং একক গানই প্রকাশ করেন বেশি। কারণ, অ্যালবামের তুলনায় সিঙ্গেল গানে এখন শ্রোতাদের আগ্রহ বেশি। অর্ণবও স্বীকার করেন সেটা। তবু অ্যালবামের দিকেই তাঁর আগ্রহ বেশি। কারণ হিসেবে অর্ণব বলেন, ‘আমার মনে হয় সিঙ্গেল গানে শিল্পীকে চেনা যায় না। শিল্পীর কাজ সময়কে তুলে ধরা। অ্যালবামে সেটা ভালো হয়। অনেকেই মনে করেন, মানুষ চায় না বলে অ্যালবাম বানিয়ে লাভ নেই। তবে স্পেশাল প্রজেক্ট ছাড়া সিঙ্গেল গানের মানে নেই। একটা ছবি দিয়ে যেমন এক্সিবিশন হয় না, তেমনি শিল্পীকেও চেনা যায় না। আমি ছবি আঁকার সঙ্গে গানকে মেলাই বারবার।’
২০০৫ সালে প্রকাশ পায় অর্ণবের প্রথম অ্যালবাম ‘চাই না ভাবিস’। এরপর প্রকাশ করেছেন ‘হোক কলরব’ (২০০৬), ‘ডুব’ (২০০৮), ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লাইভ’ (২০০৯), ‘রোদ বলেছে হবে’ (২০১০), ‘আধেক ঘুমে’ (২০১২), ‘খুব ডুব’ (২০১৫), ‘অন্ধ শহর’ (নতুন-পুরোনো মিলিয়ে, ২০১৭) এবং ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ২’ (রিমেক, ২০২২)।

কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’। প্রকাশ করছে আধখানা মিউজিক।
জানা গেছে, ৮টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এর কিছু গান তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় কবিদের কবিতা থেকে, বাকিগুলো অর্ণব ও তাঁর বন্ধুরা লিখেছেন। জীবনানন্দ দাশ, শ্রীজাত, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দুই বাংলার বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে গান তৈরি করেছেন তিনি। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। ভাল্লাগে না অ্যালবামের গানগুলো প্রকাশ পাবে অর্ণবের অফিশিয়াল স্পটিফাই চ্যানেলে। পরবর্তী সময়ে গানগুলো ভিডিও আকারে প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে।
অ্যালবাম প্রসঙ্গে অর্ণব বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম আসছে আমার। ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই কাজটা নিয়ে। কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। আরও আছে আমার বন্ধু তৌফিকের লেখা গান, রাজীবের লেখা গান। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামের চেয়ে শিল্পীরা ইদানীং একক গানই প্রকাশ করেন বেশি। কারণ, অ্যালবামের তুলনায় সিঙ্গেল গানে এখন শ্রোতাদের আগ্রহ বেশি। অর্ণবও স্বীকার করেন সেটা। তবু অ্যালবামের দিকেই তাঁর আগ্রহ বেশি। কারণ হিসেবে অর্ণব বলেন, ‘আমার মনে হয় সিঙ্গেল গানে শিল্পীকে চেনা যায় না। শিল্পীর কাজ সময়কে তুলে ধরা। অ্যালবামে সেটা ভালো হয়। অনেকেই মনে করেন, মানুষ চায় না বলে অ্যালবাম বানিয়ে লাভ নেই। তবে স্পেশাল প্রজেক্ট ছাড়া সিঙ্গেল গানের মানে নেই। একটা ছবি দিয়ে যেমন এক্সিবিশন হয় না, তেমনি শিল্পীকেও চেনা যায় না। আমি ছবি আঁকার সঙ্গে গানকে মেলাই বারবার।’
২০০৫ সালে প্রকাশ পায় অর্ণবের প্রথম অ্যালবাম ‘চাই না ভাবিস’। এরপর প্রকাশ করেছেন ‘হোক কলরব’ (২০০৬), ‘ডুব’ (২০০৮), ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লাইভ’ (২০০৯), ‘রোদ বলেছে হবে’ (২০১০), ‘আধেক ঘুমে’ (২০১২), ‘খুব ডুব’ (২০১৫), ‘অন্ধ শহর’ (নতুন-পুরোনো মিলিয়ে, ২০১৭) এবং ‘অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ২’ (রিমেক, ২০২২)।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মন
০৯ জুলাই ২০২৩
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে। সে সিনেমা নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় গেছেন ফারিণ। এবার আর ভিসা জটিলতা হয়নি।
কলকাতায় গিয়ে কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’ সিনেমার প্রিমিয়ারেও চঞ্চল ও অনিরুদ্ধের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ফারিণ। কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছেন। সাধারণত দেশে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না ফারিণকে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘আমার লড়াই বা যাত্রাপথ খুব কঠিন ছিল। আমাদের এক টাকা পারিশ্রমিক বাড়াতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়। তবে একটা নতুন নায়ক দুটো সিনেমা করেই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেন। তাঁর সেই দাবি গ্রাহ্যও হয়। কাজের সময়ের বিষয়টিও আছে। তা হলে আমরা কোথায় এগোলাম? নারীকেন্দ্রিক সিনেমার বেলাতেও নায়িকা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, ক্লিশে। হয় নারী নির্যাতন, নয় নারীর অধিকার। তার বাইরে আমাদের কেউ বের করতেই চান না। নারীর কাজ, তাঁর লড়াই নিয়ে সিনেমা হয় না। অথচ, সেই সিনেমা ভালো ব্যবসা না করলে, তখন দোষ দেওয়া হয়—নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বলেই চলল না। তুমি নারীকেন্দ্রিক সিনেমাকে সেই বাজেট দিচ্ছ না। হিট হওয়ার মতো গল্প দিচ্ছ না। পুরুষের ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র খামতি নেই।’
বিয়ে নিয়েও কথা বলেছেন ফারিণ। একটা সময় মনে করা হতো, বিয়ে করলেই নায়িকাদের ক্যারিয়ার শেষ। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে এখন। ফারিণ বলেন, ‘বিয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সত্যিই বিরোধ নেই। একজন নায়িকা কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কেন? আমার সঠিক সময় কোনটা, সেটা আমি ঠিক করব। আমি তো দেখছি, বিয়ের পর আমার কাজ বেড়েছে। হলিউড থেকে শুরু করে আমাদের দেশ—নায়িকার বিয়ে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামান না।’
টিভি নাটক দিয়ে পরিচিতি পেলেও ইদানীং ছোট পর্দায় অনেকটাই অনুপস্থিত ফারিণ। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, নাটকে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছেন না বলেই বড় পর্দায় মনোযোগী হয়েছেন। ফারিণ বলেন, ‘আমি যখন ছোট পর্দায় কাজ করেছি, তখন সিনেমায় এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি যেটা রাজি হওয়ার মতো। যখন অতনু ঘোষের ‘‘আরো এক পৃথিবী’’ সিনেমায় কাজ করি, তখনো ছোট পর্দায় অভিনয় করেছি। এখন কী হয়েছে, ছোট পর্দায় নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। সেই খিদে মেটাতে পারে বড় পর্দা। সেই জন্য দুই দেশের বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে চাইছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমারও সুযোগ আসছে। তার মানে এটা নয়, আমি আর ছোট পর্দায় অভিনয় করব না। ওই মাধ্যমই তো আমাকে তাসনিয়া ফারিণ বানিয়েছে।’

ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে। সে সিনেমা নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় গেছেন ফারিণ। এবার আর ভিসা জটিলতা হয়নি।
কলকাতায় গিয়ে কোয়েল মল্লিকের ‘স্বার্থপর’ সিনেমার প্রিমিয়ারেও চঞ্চল ও অনিরুদ্ধের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ফারিণ। কলকাতায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছেন। সাধারণত দেশে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না ফারিণকে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘আমার লড়াই বা যাত্রাপথ খুব কঠিন ছিল। আমাদের এক টাকা পারিশ্রমিক বাড়াতে অনেকটা পথ পেরোতে হয়। তবে একটা নতুন নায়ক দুটো সিনেমা করেই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেন। তাঁর সেই দাবি গ্রাহ্যও হয়। কাজের সময়ের বিষয়টিও আছে। তা হলে আমরা কোথায় এগোলাম? নারীকেন্দ্রিক সিনেমার বেলাতেও নায়িকা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ, ক্লিশে। হয় নারী নির্যাতন, নয় নারীর অধিকার। তার বাইরে আমাদের কেউ বের করতেই চান না। নারীর কাজ, তাঁর লড়াই নিয়ে সিনেমা হয় না। অথচ, সেই সিনেমা ভালো ব্যবসা না করলে, তখন দোষ দেওয়া হয়—নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বলেই চলল না। তুমি নারীকেন্দ্রিক সিনেমাকে সেই বাজেট দিচ্ছ না। হিট হওয়ার মতো গল্প দিচ্ছ না। পুরুষের ক্ষেত্রে কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র খামতি নেই।’
বিয়ে নিয়েও কথা বলেছেন ফারিণ। একটা সময় মনে করা হতো, বিয়ে করলেই নায়িকাদের ক্যারিয়ার শেষ। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে এখন। ফারিণ বলেন, ‘বিয়ের সঙ্গে অভিনয়ের সত্যিই বিরোধ নেই। একজন নায়িকা কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কেন? আমার সঠিক সময় কোনটা, সেটা আমি ঠিক করব। আমি তো দেখছি, বিয়ের পর আমার কাজ বেড়েছে। হলিউড থেকে শুরু করে আমাদের দেশ—নায়িকার বিয়ে নিয়ে আর কেউ মাথা ঘামান না।’
টিভি নাটক দিয়ে পরিচিতি পেলেও ইদানীং ছোট পর্দায় অনেকটাই অনুপস্থিত ফারিণ। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, নাটকে মনের মতো চরিত্র পাচ্ছেন না বলেই বড় পর্দায় মনোযোগী হয়েছেন। ফারিণ বলেন, ‘আমি যখন ছোট পর্দায় কাজ করেছি, তখন সিনেমায় এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি যেটা রাজি হওয়ার মতো। যখন অতনু ঘোষের ‘‘আরো এক পৃথিবী’’ সিনেমায় কাজ করি, তখনো ছোট পর্দায় অভিনয় করেছি। এখন কী হয়েছে, ছোট পর্দায় নতুন করে আবিষ্কার করার কিছু নেই। সেই খিদে মেটাতে পারে বড় পর্দা। সেই জন্য দুই দেশের বড় পর্দায় নিজেকে দেখতে চাইছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমারও সুযোগ আসছে। তার মানে এটা নয়, আমি আর ছোট পর্দায় অভিনয় করব না। ওই মাধ্যমই তো আমাকে তাসনিয়া ফারিণ বানিয়েছে।’

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মন
০৯ জুলাই ২০২৩
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
৮ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। স্পনসর পেলেই এই অবেলায় ২ মুক্তি দেবেন তাঁরা। সে সমস্যা মিটেছে এত দিনে। তাই এই অবেলায় ২ গানটির মুক্তির তারিখ জানিয়ে দিল শিরোনামহীন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে গানটি।
২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর এ গানের সিকুয়েল নিয়ে আসছে শিরোনামহীন। বাংলার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে গানটির ইংরেজি ভার্সন। শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে এটি।
এই অবেলায় ২ গানটি লিখেছেন জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন কাজী আহমেদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেরজাহান। নতুন গান নিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই অবেলায় প্রকাশের পর শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। গানটির সিকুয়েল হোক, সেটা সবাই চাইছিল। এর আগে আমাদের প্রথম অ্যালবামের হাসিমুখ গানের বেলায়ও এমনটা হয়েছিল। এই অবেলায় নিয়ে শ্রোতাদের ব্যাপক চাহিদা আমরা টের পাচ্ছিলাম। বাতিঘর অ্যালবামের পরিকল্পনার সময় তাই গানটির সিকুয়েল নিয়ে ভাবি। মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে গানটি। ভিডিও ধারণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। দারুণ একটা গল্প আছে গানের ভিডিওতে।’
এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন নিয়ে জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা—‘‘আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা।’
বাংলার সঙ্গে এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সনও মুক্তি পাবে।
অন্যদিকে ব্যান্ডটির ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছে শিরোনামহীনের বাতিঘর অ্যালবামের নবম গান ‘ক্লান্ত কফি শপ’।

প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। স্পনসর পেলেই এই অবেলায় ২ মুক্তি দেবেন তাঁরা। সে সমস্যা মিটেছে এত দিনে। তাই এই অবেলায় ২ গানটির মুক্তির তারিখ জানিয়ে দিল শিরোনামহীন। আগামী ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে গানটি।
২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর এ গানের সিকুয়েল নিয়ে আসছে শিরোনামহীন। বাংলার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে গানটির ইংরেজি ভার্সন। শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে এটি।
এই অবেলায় ২ গানটি লিখেছেন জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন কাজী আহমেদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেরজাহান। নতুন গান নিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই অবেলায় প্রকাশের পর শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। গানটির সিকুয়েল হোক, সেটা সবাই চাইছিল। এর আগে আমাদের প্রথম অ্যালবামের হাসিমুখ গানের বেলায়ও এমনটা হয়েছিল। এই অবেলায় নিয়ে শ্রোতাদের ব্যাপক চাহিদা আমরা টের পাচ্ছিলাম। বাতিঘর অ্যালবামের পরিকল্পনার সময় তাই গানটির সিকুয়েল নিয়ে ভাবি। মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে গানটি। ভিডিও ধারণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। দারুণ একটা গল্প আছে গানের ভিডিওতে।’
এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন নিয়ে জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা—‘‘আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা।’
বাংলার সঙ্গে এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সনও মুক্তি পাবে।
অন্যদিকে ব্যান্ডটির ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সন্ধ্যায় মুক্তি পেয়েছে শিরোনামহীনের বাতিঘর অ্যালবামের নবম গান ‘ক্লান্ত কফি শপ’।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মন
০৯ জুলাই ২০২৩
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
৮ ঘণ্টা আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। গত ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
একই চরিত্র আবার আসছে পর্দায়। এবার সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজ আকারে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভ বাংলায় ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘গণশত্রু: বাংলার আতঙ্ক’। পাঁচজন পরিচালক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের পাঁচজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্র নিয়ে বানিয়েছেন সিরিজটি। এতে রুদ্রনীল ঘোষ অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে নির্মিত পর্বে। যেহেতু এর আগে চরিত্রটি মোশাররফ করিম করেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল, মোশাররফের চেয়ে এ চরিত্রে কতটা আলাদা রুদ্রনীলের অভিনয়?
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘মোশাররফ করিম যেভাবে হুব্বা শ্যামলকে পোট্রে করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটা পরিচালক ব্রাত্য বসুর নির্দেশে। মোশাররফ করিম অন্য দেশের মানুষ। হুব্বা শ্যামলকে ব্যক্তিগতভাবে অতটা জানা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল। তিনি যতটা জেনেছেন, সেটা স্ক্রিপ্ট থেকে এবং পরিচালকের কথা অনুযায়ী। আর আমার এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে, এ চরিত্রের গল্প ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। তাই স্ক্রিপ্টের বাইরেও অনেকটা ধারণা আগে থেকেই আছে। তাই দুটোর মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। তবে গণশত্রু ওয়েব সিরিজে হুব্বা শ্যামলের উপস্থাপন অনেক বেশি তথ্যনিষ্ঠ হয়েছে।’
মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ দেখেছেন রুদ্রনীল। সিনেমাটি আরও ভালো হতে পারত বলে মত তাঁর। অভিনেতা বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল, আরেকটু অন্য রকম হলে ভালো হতো। চরিত্রটি জীবন্ত করে তোলার ক্ষেত্রে, এত ভালো একজন অভিনেতাকে যদি চরিত্রের উপাদানগুলো ঠিক করে দেওয়া হতো, তাহলে হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে তৈরি সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হতে পারত। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। এটা অভিনেতার দুর্বলতা নয়।’
মোশাররফ করিমকে অনেক পছন্দ করেন রুদ্রনীল। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, ‘মোশাররফ করিম আমার প্রিয় অভিনেতা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা দেখা করেছি, কথাও বলেছি বহুবার। আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা আছে একসঙ্গে কাজ করার। কিছু পরিচালক চেষ্টা করছেন যাতে সেটা হয়। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন এনার্জিতে করার ক্ষেত্রে আমাদের দুজনেরই নাকি অদ্ভুত ধরনের মিল আছে। এটা লোকে বলে। আমরা কেউ কারও দ্বারা প্রভাবিত একদমই নই। দুজনে বেড়ে উঠেছি দুটি দেশে। হুব্বা সিনেমাটি করার সময় মোশাররফ ভাইয়ের প্রতি আমার শুভেচ্ছা ছিল। একই চরিত্র যখন আমি করছি, নিশ্চয়ই মোশাররফ ভাইয়েরও আমার প্রতি সমান শুভেচ্ছা থাকবে।’

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুগলির ডন খ্যাত হুব্বা শ্যামল নামে এক গ্যাংস্টারের। হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় এনেছেন টালিউড নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ নামের এ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। গত ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় সিনেমাটি।
একই চরিত্র আবার আসছে পর্দায়। এবার সিনেমা নয়, ওয়েব সিরিজ আকারে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভ বাংলায় ৩১ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘গণশত্রু: বাংলার আতঙ্ক’। পাঁচজন পরিচালক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের পাঁচজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্র নিয়ে বানিয়েছেন সিরিজটি। এতে রুদ্রনীল ঘোষ অভিনয় করেছেন হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে নির্মিত পর্বে। যেহেতু এর আগে চরিত্রটি মোশাররফ করিম করেছেন, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠল, মোশাররফের চেয়ে এ চরিত্রে কতটা আলাদা রুদ্রনীলের অভিনয়?
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘মোশাররফ করিম যেভাবে হুব্বা শ্যামলকে পোট্রে করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটা পরিচালক ব্রাত্য বসুর নির্দেশে। মোশাররফ করিম অন্য দেশের মানুষ। হুব্বা শ্যামলকে ব্যক্তিগতভাবে অতটা জানা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল। তিনি যতটা জেনেছেন, সেটা স্ক্রিপ্ট থেকে এবং পরিচালকের কথা অনুযায়ী। আর আমার এ ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে, এ চরিত্রের গল্প ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। তাই স্ক্রিপ্টের বাইরেও অনেকটা ধারণা আগে থেকেই আছে। তাই দুটোর মধ্যে কোনো তুলনা চলে না। তবে গণশত্রু ওয়েব সিরিজে হুব্বা শ্যামলের উপস্থাপন অনেক বেশি তথ্যনিষ্ঠ হয়েছে।’
মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ দেখেছেন রুদ্রনীল। সিনেমাটি আরও ভালো হতে পারত বলে মত তাঁর। অভিনেতা বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল, আরেকটু অন্য রকম হলে ভালো হতো। চরিত্রটি জীবন্ত করে তোলার ক্ষেত্রে, এত ভালো একজন অভিনেতাকে যদি চরিত্রের উপাদানগুলো ঠিক করে দেওয়া হতো, তাহলে হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে তৈরি সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হতে পারত। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও একটা ফাঁক থেকে গিয়েছিল। এটা অভিনেতার দুর্বলতা নয়।’
মোশাররফ করিমকে অনেক পছন্দ করেন রুদ্রনীল। তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করে অভিনেতা বলেন, ‘মোশাররফ করিম আমার প্রিয় অভিনেতা এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা দেখা করেছি, কথাও বলেছি বহুবার। আমাদের দুজনেরই ইচ্ছা আছে একসঙ্গে কাজ করার। কিছু পরিচালক চেষ্টা করছেন যাতে সেটা হয়। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র বিভিন্ন এনার্জিতে করার ক্ষেত্রে আমাদের দুজনেরই নাকি অদ্ভুত ধরনের মিল আছে। এটা লোকে বলে। আমরা কেউ কারও দ্বারা প্রভাবিত একদমই নই। দুজনে বেড়ে উঠেছি দুটি দেশে। হুব্বা সিনেমাটি করার সময় মোশাররফ ভাইয়ের প্রতি আমার শুভেচ্ছা ছিল। একই চরিত্র যখন আমি করছি, নিশ্চয়ই মোশাররফ ভাইয়েরও আমার প্রতি সমান শুভেচ্ছা থাকবে।’

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারশানে বিভাজনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মাস ধরেই ফেডারেশনের বর্তমান চেয়ারম্যান বনাম সাবেক চেয়ারম্যানদের পাল্টাপাল্টি চিঠি এই ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অবস্থাকে ‘সাংবাদিকেরা ফেডারেশনের বিভাজন’ হিসেবে দেখছেন। যদিও এই সংকট ততটা গুরুতর পরিণতিতে যাবে না বলে মন
০৯ জুলাই ২০২৩
কবিতা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা তাঁর অনেক দিনের। শায়ান চৌধুরী অর্ণব চাইছিলেন কবিতায় সুর দিয়ে তৈরি করবেন গান। কাজটি তিনি শুরু করেছিলেন বেশ আগে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগল। অবশেষে প্রায় ১০ বছর পর মৌলিক গানের পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করছেন অর্ণব। ৩০ অক্টোবর আসবে তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘ভাল্লাগে না’।
৮ ঘণ্টা আগে
ভিসা না পাওয়ায় দেবের সঙ্গে ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমাটি করা হয়নি তাসনিয়া ফারিণের। সে সুযোগ হারিয়ে খানিকটা আশাহত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুযোগ আরেকটি এসেছে। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর নতুন সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে অনেক দিন ধরে। এতে চঞ্চল চৌধুরীরও থাকার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রস্তুতি অনেক দিনের। গান রেডি ছিল। মিউজিক ভিডিওর শুটিংও সম্পন্ন। তবে স্পনসরের অভাবে ‘এই অবেলায় ২’ মুক্তি দিতে পারছিল না শিরোনামহীন। গত বছরের অক্টোবরে ব্যান্ডটির দলনেতা জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, স্পনসর ছাড়া এত বিশাল আয়োজনের গান প্রকাশ করা কোনো ব্যান্ডের পক্ষে সম্ভব নয়।
৮ ঘণ্টা আগে