
জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
 কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
 এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
 কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
 এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।


জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
 কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
 এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।

জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্পর্ক। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট তাঁর উচ্চতর শিক্ষার জন্য কাজে দেয়নি সে দেশে। নতুন করে সেখানকার ইমহ্যাক মিডেল স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। স্কুল পেরিয়ে এক বছরের গ্যাপ। কোরিয়ান ভাষাটা প্রথমে রপ্ত করার চেষ্টা করলেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়ে যান। সজল নাম পাল্টে রাখা হয়েছে কিম দেই-ইয়ুন।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য জুংআং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সজল। চার বছরের কোর্স শেষ করার মধ্যেই কোরিয়ান ভাষায় পটু হয়ে উঠলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম অভিনয় শুরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম–বিষয়ক কোর্সের শিক্ষার্থীরা শর্টফিল্ম বানাবেন। সজলকেই পছন্দ করলেন তাঁরা। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। সিনেমার নাম ‘অশোক’। ওপেন শো করা হলো। সবার কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেলেন অভিনয়ের। তখন থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে শুরু করে। ওই বছরই প্রথম টিভিতে অভিনয়। অভিনয়ের সুযোগ মেলে কোরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ‘রুড মিস ইয়ং আ’ ধারাবাহিকের ১২তম সিজনে। এর পর এই ধারাবাহিকের চার সিজনে পরপর অভিনয় করেন। বর্তমান ব্যস্ততায়ও রয়েছে এই ধারাবাহিক। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক কোরিয়ার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর অন্যতম। ‘টিভিএন’ চ্যানেলে প্রচারিত এই ধারাবাহিক সেখানে সবচেয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিকের মর্যাদা পেয়েছে।
ড্রামাটিতে সজল একজন বিদেশি শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সজল বলেন, ‘এখানে আমার বিশেষত্ব হচ্ছে, আমি প্রবাদবাক্যের মতো কথা বলি। খুব মজা করে। আমাকে দেখানো হয়েছে একজন বিদেশি হয়েও কোরিয়ানদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারি। কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শী, কোরিয়ান খাবার খেতে পছন্দ করি। এরকম নানা কিছু আছে আমার চরিত্রে।’
 কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
কোরিয়ার মূলধারার সিনেমায়ও নাম লেখান সজল। কয়েকটি সিনেমায় খুব স্বল্প পরিসরের চরিত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে বড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ মেলে। সিনেমার নাম ‘আই ওয়ানা হোল্ড ইউর হ্যান্ড’। চীন-কোরিয়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়। ছবিটির বেশির ভাগ শুটিং হয় চীনে। ‘ছবিটিতে আমি একজন স্ট্রাগল সিঙ্গারের চরিত্রে অভিনয় করি, যে আইডল হতে চায়। চরিত্রটা একটু কমেডি টাইপের ছিল।’
অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও বেশ পরিচিত সজল। যদিও সেখানে ক্রিকেটটাই জনপ্রিয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে রাতারাতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি একটা সময়ে এ দেশ ক্রিকেটে ভালো করবে এবং জনপ্রিয়তা পাবে এই খেলা। আমাদের এখানে বছরে শুধু একটা লিগ হয়। যেখানে প্রায় সবগুলো টিমই বিদেশি থাকে। একটিমাত্র টিম থাকে স্থানীয়। আমি স্থানীয় টিমে খেলি। গত চার বছরে একবার চ্যাম্পিয়ন ও দুবার রানারআপ হয় আমাদের দল। আমার পারফরম্যান্সেও আমি বেশ তৃপ্ত। আমি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি। ফাস্ট বোলিং করি, এটাই বেশি উপভোগ করি।’
গত কয়েক বছরে বাংলা ভাষাটা প্রায় ভুলতে বসেছেন। এর কারণ হিসেবে সজল বলেন, ‘এখানে অনেক বাঙালি আছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার সার্কেলের প্রায় সবাই কোরিয়ান। অভিনয় করতে হয় কোরিয়ান ভাষায়। তখন সবার সাথে ওভাবেই থাকতে হয়। তাছাড়া আমার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও প্রায় সব কেরিয়ান। এমনকি গার্লফ্রেন্ডও কোরিয়ান। বাংলা ভাষার চর্চাটা এখন খুবই কম হয়। তাই কিছু কিছু শব্দ ভুলতে বসেছি।’
 এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
এত বছর সেখানে। খুব অল্প বয়সেই যাওয়া হয়েছে। স্ট্রাগল করতে হয়নি? সজলের উত্তর, ‘প্রথমত বলতে হবে এখানকার মানুষের একটা বড় গুণ হচ্ছে, এরা কে কী করল, তার দিকে কম নজর দেয়। নিজের কাজের প্রতিই বেশি মনোযোগী। তারপরও ভাষা আর চেহারার অমিলের জন্য কিছু তো পোহাতেই হয়েছে। যত দিন ভাষা রপ্ত করতে পারিনি, তত দিন বেশ কষ্ট করে চলতে হয়েছে। হঠাৎ করে সে দেশের খাবারও খেতে পারতাম না। তারপর চেহারার অমিলও ভুগিয়েছে। একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা বুঝতে পারবেন। স্কুলে পড়াকালীন একবার স্কুলবাসে উঠতে গেছি। ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করল। আমাকে শ্রমিক বলে গালাগাল দিতে শুরু করল। আমি তো অবাক হয়ে ওখানকার পুলিশকে জানালাম। তাদের কাছে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালাম। তারা ওই ড্রাইভারকে শোকজ করল। পরে অবশ্য মাফ চেয়েছে। কিন্তু খুব খারাপ লাগছিল। তখন ড্রাইভারের উদ্দেশে অনেকের সামনে বললাম। চেহারা আর ভাষা দিয়ে নয়, কর্ম দেখে মানুষ চিনতে শেখো।’
সর্বশেষ দু বছর আগে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আসলে আমি তো এখন কোরিয়ারই নাগরিক। তাই জীবন নিয়ে প্ল্যানিংটা এ দেশকে ঘিরেই। তার পরও ভালোবাসা তো আছেই বাংলাদেশের জন্য। দুই বছর আগে যাওয়া হয়েছিল সর্বশেষ। আবার কবে যাওয়া হবে ঠিক নেই। সিরিয়ালটির ব্যস্ততা তো চলছেই। সাথে ক্রিকেট নিয়েও বেশ ব্যস্ততা আছে। নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হয়। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। এখন লক্ষ্য ভালো পারফর্ম করা।’
সুদূর কোরিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের সংস্কৃতির কিছু খোঁজ রাখেন। সিনেমা দেখা হয় না। তবে ইউটিউব ঘেঁটে মোশাররফ করিমের নাটক দেখেন। বর্তমানে তাঁর নাটকই সবচেয়ে প্রিয় তাঁর কাছে। এক রকমের ফ্যান বলা যায়।


২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।
আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।
ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।
এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন তানিয়া বৃষ্টি। তাঁকে দেখা যাবে রায়হান খানের ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।
আবার কবে সিনেমায় দেখা যাবে—প্রায়ই তানিয়া বৃষ্টিকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। বরাবরই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, নাটকের ব্যস্ততার কারণে সিনেমা নিয়ে এখন ভাবছেন না। তবে সিনেমায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি কখনো। জানিয়েছেন, ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় ফেরা হবে। অবশেষে শেষ হলো সেই অপেক্ষার পালা। প্রায় এক দশকের বিরতির পর আবার সিনেমার শুটিং করছেন তানিয়া বৃষ্টি।
কোর্টরুম ড্রামার সঙ্গে ক্রাইম থ্রিলারের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার কাহিনি। তানিয়া বৃষ্টি ছাড়া এতে আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, মৌসুমী হামিদ, রাকিব হোসেন ইভন, সায়রা আক্তার জাহান, মিলন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এ মাসের শুরুতে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার শুটিং। চলবে আরও কিছুদিন। গতকাল শুটিংয়ের একটি ছবি শেয়ার করে নির্মাতা রায়হান খান নতুন এই সিনেমার খবর জানান। সেই ছবিতে দেখা যায় একটি টানেলে দাঁড়িয়ে মিলন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গভীর কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন আদর আজাদ। তার ঠোঁটে সিগারেট, চেহারায় চিন্তার ভাঁজ। আদরের কাঁধে হাত রেখে কিছু একটা বোঝাতে চাইছেন মিলন।
ক্যাপশনে রায়হান খান লেখেন, ‘এটা কোনো পোস্টার নয়, কিন্তু কিছু একটা হচ্ছে। একটি টানেলের আবছা নীরবতায় দুই ব্যক্তি কথা বলছেন, যে আলাপ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। যেখানে আদালত নেই, হাতুড়ি নেই, তবু সত্য বিচারাধীন।’
জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল নির্মিত হচ্ছে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। যে গল্প ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনে লুকানো রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি।
এ বছরের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের কাজ শেষ করতে চান নির্মাতা। আগামী বছরের শুরুতে প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।
এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।
গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’
দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।

গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার, লিমন, আহমেদ হাসান সানি, সভ্যতা, শুভ্র, সুহৃদ স্বাগত ও ব্যান্ড কাকতাল।
এক বছর পর আজব কারখানা নিয়ে এসেছে সেই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘গানওয়ালাদের গান ২’। আজ রাজধানীর বনানীর যাত্রা বিরতিতে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্ট। গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্টে গাইবেন অটামনাল মুন, লাবিক কামাল গৌরব, খৈয়াম সানু সন্ধি, এঞ্জেল নূর, সোহান আলী, সাহস মোস্তাফিজ, নাহিদ হাসান ও সাদী শাহনেওয়াজ।
গানওয়ালাদের গান ২ কনসার্ট নিয়ে জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলা গানে সিঙ্গার-সং রাইটারদের বিচরণ অনেক আগে থেকে। তাঁদের প্রভাবও বিশাল। আমরা তাঁদের নাম দিয়েছি গানওয়ালা। এদের গানে থাকে স্বাতন্ত্র্য, থাকে আলাদা দর্শন। বব ডিলান থেকে কবীর সুমন কিংবা পিট সিগার থেকে সঞ্জীব চৌধুরী। তাঁদের গানের উত্তরসূরিদের বিচরণ বাংলা গানে ছিল, আছে, থাকবে। গানওয়ালারা নিজেদের মতো করে একটু আড়ালে থাকেন। তাঁদের আলাদা কিছু দর্শন থাকে। আমিও নিজের গান নিজেই লিখি। তাই এই বিষয়টি অনুভব করতে পারি। আমাদের গান যাঁরা শোনেন, তাঁদের একটি সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দিতেই এই আয়োজন। গত বছর শুরু হয়েছিল এই আয়োজন। আজ অনুষ্ঠিত হবে এর দ্বিতীয় পর্ব।’
দর্শকের জন্য এই কনসার্টের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের জন্য টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। আয়োজন শুরু হবে বিকেল ৫টায়।
গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি কনসার্ট। শিরোনাম ‘ফিফটিন স্টোরিস বাই দ্য সংরাইটারস কালেক্টিভ’। এই আয়োজনে ১৫ সিঙ্গার সংরাইটার গান শোনানোর পাশাপাশি কথা বলবেন সংগীত যাত্রা নিয়ে। এদিন পারফর্ম করবেন জয় শাহরিয়ার, আসির আরমান, ইমতিয়াজ বর্ষণ, রায়হান ইসলাম শুভ্র, এ কে রাহুল, মুমতাহিনা মেহাজাবিন, ইসমামুল ফরহাদ, রোদসী, সামিন ইয়াসার, বাশার লিসান, উপমা, অং, তানজির শুদ্ধ, মুহিব ফয়সাল লিংকন ও মারুফ মিয়া। তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। টিকিটের দাম ৫০০ টাকা।


জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
১৪ ঘণ্টা আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)
লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)
দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)

ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
ফেরেশতে (বাংলা সিনেমা)
ইডলি কাডাই (তামিল সিনেমা)
কানতারা চ্যাপ্টার ১ (কন্নড় সিনেমা)
লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান (মালয়ালম সিনেমা)
দ্য উইচার: সিজন ৪ (ইংরেজি সিরিজ)


জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
১৪ ঘণ্টা আগে
আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’
সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।
২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।
কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।

আজানের শব্দে সকালে ঘুম ভাঙায় একসময় আপত্তি তুলেছিলেন সনু নিগম। তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। এবার সেই সনুই আজানের জন্য গান থামিয়ে সম্প্রীতির নজির গড়লেন। পেলেন প্রশংসা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই কনসার্টের ভিডিও।
২০১৭ সালের এপ্রিলে আজান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সনু নিগম। সেই সময় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তার সামনেই ছিল মসজিদ। রোজ ফজরের আজানের শব্দে ঘুম ভেঙে যেত। তাই বিরক্তি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি মুসলিম নই। তবু আজানের শব্দে সকালে আমার ঘুম ভাঙে। ভারতে ধর্ম নিয়ে এই জোরাজুরি কবে বন্ধ হবে?’
সনুর এ মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ সনুর জীবনে চলেছে বছরের পর বছর। এখনো পুরোপুরি কাটেনি। তবে এবার অতীতের আজান-বিতর্ক সরিয়ে নতুন উদাহরণ তৈরি করলেন গায়ক।
২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে প্রথমবার গাইতে গিয়েছিলেন সনু নিগম। ডাল লেকের এসকে ইন্টারন্য়াশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ছিল তাঁর একক কনসার্ট। তবে কনসার্টের কয়েক দিন আগে থেকে ওই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আজান নিয়ে করা তাঁর পুরোনো মন্তব্য নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। কনসার্ট বয়কটের ডাক আসে। যার ফলে কনসার্টে উপস্থিতি আশানুরূপ হয়নি। অনেক আসন খালি পড়ে ছিল। তবে ‘ফ্লপ কনসার্টে’র তকমা এলেও নিজের গুণে সেখানকার মানুষদের মন জয় করে নেন গায়ক।
কনসার্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজানের সময় হতেই গান থামিয়ে দেন সনু নিগম। বলেন, ‘এখনই আজান শুরু হবে, দয়া করে আমাকে দুই মিনিট সময় দিন’। আজান শেষে ফের অনুষ্ঠান শুরু করেন তিনি। উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকরাও করতালি দিয়ে সনু নিগমকে বাহবা দেন।


জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। ছোটবেলা থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রীতি। বাংলাদেশে থাকাকালে খেলেছেন অনূর্ধ্ব–১৩ থেকে ১৫ পর্যন্ত। তাঁর সেই সময়কার সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গেই তাঁর বেশ ভালো সম্
০৯ এপ্রিল ২০২১
২০১৫ সালে আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল তানিয়া বৃষ্টির। এরপর আরও কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও রুপালি পর্দায় সাফল্য পাননি। পরবর্তী সময়ে থিতু হন ছোট পর্দায়। সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তানিয়া অভিনীত ‘গোয়েন্দাগিরি’। তবে সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল আরও দুই-তিন বছর আগে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গান কেউ লেখে, কেউ সুর করে, কেউ গায়। আবার এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন যাঁরা নিজেদের গান নিজেরাই লেখেন ও সুর করেন। সেই গায়ক-গীতিকারদের নিয়ে গত বছর অক্টোবরে জয় শাহরিয়ারের উদ্যোগে আজব কারখানা আয়োজন করেছিল ‘গানওয়ালাদের গান’ শিরোনামের কনসার্ট। ওই আয়োজনে দর্শক-শ্রোতাদের গানে গানে মুগ্ধ করেন জয় শাহরিয়ার...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৪ ঘণ্টা আগে