Ajker Patrika

জীবনযুদ্ধে জয়ীদের গল্প শুনবেন সিঁথি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জীবনযুদ্ধে জয়ীদের গল্প শুনবেন সিঁথি

২০২২ সালে সংগীতশিল্পী সিঁথি সাহা জানতে পারেন, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও ভেঙে পড়েননি সিঁথি। চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। অপারেশন ও কেমোথেরাপির পর এখন পুরোপুরি সুস্থ তিনি। এর মধ্যে সন্তানের মা হয়েছেন। একেবারে কাছের কয়েকজন ছাড়া কেউ জানত না সিঁথির অসুস্থতার কথা। মা হওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন ক্যানসার জয়ের খবর।

এবার দ্য হিলিং রুম নামের পডকাস্টে সংগীতশিল্পী শুনবেন এমন কিছু মানুষদের কথা, যাঁরা তাঁর মতোই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে ছিনিয়ে এনেছেন জয়।

গত সেপ্টেম্বরে এই পডকাস্টের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিঁথি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকেই প্রিয়জনকে হারিয়ে কিংবা তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পর্কের ভাঙনে অথবা আমার মতো ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বাঁচার আশাটাই ছেড়ে দিই। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, মানুষ একবার ভাঙলে মনের সাহস নিয়ে আবার সে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তখন সে বেশি শক্তি নিয়ে ফিরে আসে। আপনারা যাঁরা হার না মেনে সব প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে চলেছেন, তাঁদের গল্প শুনতে আমি নিয়ে আসছি নতুন পডকাস্ট দ্য হিলিং রুম।’

প্রায় দুই মাস পর নতুন এই পডকাস্ট নিয়ে দর্শকের সামনে আসতে প্রস্তুত সিঁথি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন, এ পডকাস্টের ঘোষণার পর অনেকেই তাঁর সঙ্গে শেয়ার করেছেন নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। শিগগির ভাইব নিউজ নামের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে তাঁর এই পডকাস্ট।

সিঁথি সাহা বলেন, ‘আমার কাছে নতুন একটি সকাল মানেই নতুন অনুপ্রেরণা। প্রায় দুই মাস আগে আমরা এই পডকাস্ট করার ঘোষণা দিয়েছিলাম একটাই বিশ্বাস নিয়ে, আপনার গল্প অন্যের বাঁচার প্রেরণা হতে পারে। এর মধ্যেই অনেক সাহসী মানুষ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তাঁদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, হেরে না যাওয়ার গল্প। শিগগির আমরা জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া বন্ধুদের গল্প নিয়ে আপনাদের উৎসাহ ও সাহস জোগাতে আসছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বছর শেষে তানজিকার দুই ওয়েব ফিল্ম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
তানজিকা। ছবি: সংগৃহীত
তানজিকা। ছবি: সংগৃহীত

মিডিয়ায় কাজ করছেন প্রায় দুই দশক। তবে ওটিটি আসার পর নতুন করে নিজেকে চিনিয়েছেন তানজিকা আমিন। দুই বছর আগে আশফাক নিপুনের ‘মহানগর ২’ ওয়েব সিরিজ রিলিজের পর নজর কাড়েন তানজিকা আমিন। শোবিজের মানুষ থেকে সাধারণ দর্শক—সবার কাছ থেকে পেয়েছেন বাহবা। এরপর ওটিটিতে অভিনয় করেছেন আরও বেশ কয়েকটি কনটেন্টে। এই ডিসেম্বরে ভিন্ন দুই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে তানজিকা আমিন অভিনীত দুটি ওয়েব ফিল্ম। একটি শরাফ আহমেদ জীবনের ‘ডিমলাইট’, অন্যটি রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’।

বছরের শেষ দিকে দুই ওয়েব ফিল্ম মুক্তির খবরে দারুণ খুশি তানজিকা। জানালেন, দুটি ওয়েব ফিল্মে ভিন্ন দুই চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। তানজিকা বলেন, ‘বছরের শেষ মাসে ওটিটিতে আমার অভিনীত দুটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পাচ্ছে। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। দুটি ভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে দর্শকের সামনে আসছি। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্র দুটি ফুটিয়ে তুলতে। কেমন করেছি তা দর্শক বলবে দেখার পর। তাঁদের ভালো লাগলে আমার ভালো লাগবে।’

ডিমলাইট সিনেমায় মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহিণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিকা। সিনেমাটি নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই সময়ের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ডিমলাইট। এটা আসলে আমাদের সবার গল্প। মিডলাইফ ক্রাইসিসের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমার কাহিনি। আমার চরিত্রের নাম তানিয়া। আমার স্বামীর চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। ১১ ডিসেম্বর চরকিতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।’

অমীমাংসিত ওয়েব ফিল্মে তানজিকা অভিনয় করেছিলেন দুই বছর আগে। সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার কারণে এটি এত দিন আটকে ছিল। অবশেষে এই ডিসেম্বরে আইস্ক্রিনে মুক্তি পাবে অমীমাংসিত। তানজিকা বলেন, ‘পুরোনো হলেও এটি আমার অনেক পছন্দের একটি কাজ। এখানে আমাকে দেখা যাবে সাংবাদিকের চরিত্রে। আমার স্বামীর চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। সেও একজন সাংবাদিক। এক রাতে ওই দম্পতি নিজ বাসায় খুন হয়। কে বা কারা কেন তাদের খুন করল, সেই রহস্য নিয়েই এই সিনেমার গল্প।’

ধারণা করা হচ্ছে, অমীমাংসিত নির্মিত হয়েছে আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। সিনেমার টিজারেও এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আছে আলাদা আগ্রহ। দর্শকের এই প্রত্যাশার কারণে কিছুটা হলেও ভয়ে আছেন তানজিকা। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করতে একটু বেগ পেতে হয়েছে। কারণ, এমন চরিত্রে অভিনয় খুব চ্যালেঞ্জিং। একে তো সাংবাদিক, তার ওপর চরিত্রটি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই কাজটি নিয়ে সবার এত বেশি প্রত্যাশা, এটা কতটুকু পূরণ করতে পারব, সেটা নিয়ে কিছুটা ভয় কাজ করছে মনে। তবে, আমার আত্মবিশ্বাস আছে। নির্মাতা থেকে শুরু করে কলাকুশলী—সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েই কাজটি করেছে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আতিফের সঙ্গে একই মঞ্চে গাইবে ব্যান্ড নেমেসিস ও ফুয়াদ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) নেমেসিসের জোহাদ রেজা, আতিফ আসলাম ও ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) নেমেসিসের জোহাদ রেজা, আতিফ আসলাম ও ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

আবার ঢাকায় গান শোনাতে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। কনসার্টটি আয়োজন করছে মেইন স্টেজ। তারা জানিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা রেসিডেনশিয়াল এরিয়ায় গান শোনাবেন আতিফ। এদিন আতিফের সঙ্গে আরও পারফর্ম করবে নেমেসিস ব্যান্ড এবং ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি কেবল কনসার্ট নয়, তরুণদের জন্য একটি উৎসব। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের সঙ্গে একটি অবিস্মরণীয় রাতের অভিজ্ঞতা হবে সবার। আতিফের সঙ্গে আমাদের দেশের ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এবং নেমেসিসও থাকবেন সেই মঞ্চে।

এই কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অনলাইন টিকিট প্ল্যাটফর্ম চলোঘুড়ি ওয়েবসাইটে। আতিফের গানের শিরোনামের সঙ্গে মিল রেখে তিন ক্যাটাগরিতে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দুরি এরিয়া (২ হাজার ৪৯৯ টাকা), আদাত এরিয়া (৪ হাজার ৯৯৯ টাকা) এবং পেহলি নাজার এরিয়া (৯ হাজার ৯৯৯ টাকা)। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে আদাত এরিয়ার টিকিট বিক্রি। আয়োজকেরা আশা করছেন প্রায় ৩৫ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকবেন এই কনসার্টে।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েনস অব বাংলাদেশের মাধ্যমে আতিফ আসলামের এই কনসার্টের টিকিট বিক্রির একটি অংশ প্রদান করা হবে জুলাই আন্দোলনে হতাহত ও তাঁদের পরিবারকে।

তবে, যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকলেও এই কনসার্ট নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, সম্প্রতি বাতিল হয়েছে বিদেশি শিল্পীদের একাধিক কনসার্ট। নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশ-বিদেশের শিল্পীদের নিয়ে হাফ ডজন কনসার্টের ঘোষণা দিয়েছিল বিভিন্ন আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এই তালিকায় দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীদের সঙ্গে ছিলেন ভারত ও পাকিস্তানের শিল্পীরা। কিন্তু নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় একের পর এক কনসার্ট বাতিল হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থগিতের ঘোষণা এসেছে তিনটি কনসার্টের।

গত সপ্তাহে আতিফের এই কনসার্ট বাতিলেরও গুঞ্জন ওঠে। তবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেইন স্টেজ নিশ্চিত করেছে, নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, ‘ইভেন্ট যেন সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও নিরাপদে অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মমাফিক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তরুণদের এই ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অ্যাভাটারে এআই ব্যবহার করেননি ক্যামেরন

বিনোদন ডেস্ক
অ্যাভাটারে এআই ব্যবহার করেননি ক্যামেরন

সময়টা এখন প্রযুক্তির। সিনেমায়ও বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার। অনেকের ধারণা, জেমস ক্যামেরনের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ সিনেমায়ও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। তবে মুক্তির আগে জেমস ক্যামেরন সাফ জানিয়ে দিলেন, অ্যাভাটার সিনেমার কোনো পর্বেই শিল্পীদের বিকল্প হিসেবে এআই ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পীদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট প্রযুক্তির দুনিয়ায় নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছেন জেমস ক্যামেরন। বিশেষ করে পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তির জাদুতে অ্যাভাটার সিনেমার নীলাভ চরিত্রগুলো যেন কল্পনার আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। তাই সবাই ধারণা করেছিলেন এবার এআইয়ের সাহায্য নিয়ে তিনি আরও চমকে দেবেন দর্শকদের। তবে এ পথে হাঁটেননি নির্মাতা। তাই সিনেমা মুক্তির আগে বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার করতে চাইলেন ক্যামেরন।

কমিকবুক ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘আমি জেনারেটিভ এআইয়ের বিপক্ষে নই। আমি শুধু এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই, অ্যাভাটার সিনেমায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। আমরা অভিনেতাদের সম্মান করি, তাঁদের প্রতিস্থাপন করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে মানুষের মনে ধারণা ছিল, কম্পিউটার দিয়ে আমরা অদ্ভুত কিছু করছি, যেখানে অভিনেতাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছে। পারফরম্যান্স ক্যাপচার প্রযুক্তি অভিনেতাদের বদলে দিচ্ছে না, বরং অভিনেতার দক্ষতা ও পরিচালকের ভাবনাকে একত্র করে নতুন এক শিল্প তৈরি করছে। এই প্রযুক্তির একদম উল্টো দিকে রয়েছে এআই। যেখানে ঠিকঠাক লিখে নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি চরিত্র, অভিনেতা বা সম্পূর্ণ দৃশ্যটি বানিয়ে দিতে পারে এআই। এটা আমার কাছে ভয়ংকর মনে হয়। তাই আমরা এমন কাজ করছি না।’

১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় পর্ব ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। এবারের গল্পে আগুন এসেছে ভয়াবহতার রূপ নিয়ে। আগ্নেয়গিরির আশপাশে অ্যাশ পিপলদের বসবাস। আগুনকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে তারা। এই হিংস্র জাতির বিরুদ্ধে লড়াই চলে জ্যাক সুলি-নেতিরিদের। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল অ্যাভাটারের প্রথম কিস্তি। ২০২২ সালে আসে দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মৃত্যুর ৪ দিন পর প্রকাশিত হলো জেনস সুমনের নতুন গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
জেনস সুমন। ছবি: সংগৃহীত
জেনস সুমন। ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর গানে ফিরেছিলেন জেনস সুমন। এরপর নিয়মিত গান প্রকাশ করছিলেন। জেনস সুমন জানিয়েছিলেন, লম্বা বিরতি শেষে নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করেছেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারের নতুন এই ইনিংস দীর্ঘ হয়নি তাঁর। গত ২৮ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এর চার দিন পর প্রকাশ পেল জেনস সুমনের নতুন গান।

‘কেউ জানলো না কেউ বুঝলো না’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন ফারুক আসাদ। সুর ও সংগীত পরিচালনায় অমিত কর। জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন এই গান নিয়ে অমিত কর বলেন, ‘সুমন আমার খুব কাছের একজন ভাই-বন্ধু ছিলেন। তাঁর জন্য কয়েকটি গান করেছি। এগুলো নিয়ে আমাদের দুজনের কিছু পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। আশা করছি, সুমনের ভক্তদের ভালো লাগবে গানটি।’

গত সেপ্টেম্বরে আজকের পত্রিকাকে সুমন জানিয়েছিলেন, নতুন করে গানে ফেরা তাঁর কাছে পুনর্জন্মের মতো। ক্যারিয়ারের এই ইনিংসে অভিজ্ঞ সুরকারদের পাশাপাশি কাজ করতে চান নতুন প্রজন্মের সঙ্গে। পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকটি গান রেকর্ডিংও করেছিলেন। এখনো অপ্রকাশিত রয়েছে বেশ কয়েকটি গান। সেই গানগুলোর একটি কেউ জানলো না কেউ বুঝলো না।

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন জেনস সুমন। পরিচিতি পান ‘একটা চাদর হবে’ গান দিয়ে। ২০০২ সালে বি‌টিভির একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া পড়ে। রাতারাতি আলোচনায় চ‌লে আসেন জেনস সুমন।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯৭ সা‌লে। একে একে প্রকাশ পেয়েছে ‘আকাশ কেঁদে‌ছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি অ্যালবাম। ২০০৮ সা‌লে ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’ অ্যালবামের পর বিরতিতে চলে যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত