নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনার দায়িত্ব পালন করতে এসে অসুস্থ হয়ে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে মাতম। তাঁর সহকর্মী কিংবা শিক্ষার্থী, কেউই যেন মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার কাজে এসে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা দেন। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তন ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার মৌরি বলেন, ‘চাদর সরিয়ে ম্যামের মুখটা দেখলাম। দেখে মনে হলো—উনি শুয়ে আছেন, কিছুই হয়নি তাঁর। দুদিন আগেও মন খারাপের সময় আমাদের বোঝালেন, জীবনে অনেক বড় হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এ রকম একটা মানুষ চোখের সামনে এভাবে চলে যাবেন কখনোই ভাবিনি। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, ম্যাম আসলে আমাদের মাঝে নেই।’
জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। কথা হলে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ‘একজন বড় বোন যেমন হন, উনি তেমন। তিনি যে শিক্ষক, এমন দূরত্ব রাখতেন না। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁর কাছে যাওয়া যেত, সব সময় সহযোগিতা করেছেন। জাকসু নিয়েও উনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। ওনার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। চারুকলা বিভাগের একজন প্রতিশ্রুতিশীল ও মেধাবী শিক্ষককে হারিয়ে বিভাগটি অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি ছিলেন বিভাগের একমাত্র শিক্ষার্থী, যিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর চলে যাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মনে এক গভীর আঘাত হেনেছে।’
তবে, এই ট্র্যাজিক ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অব্যবস্থাপনা এবং বিশেষ করে বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে—উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও, তাদের ব্যবস্থাপনা কৌশল নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ডিজিটাল পদ্ধতি বাদ দিয়ে অ্যানালগ পদ্ধতিতে নির্বাচন করায়, ২১টি হলের ভোট গণনা একটি মাত্র কেন্দ্রে করা হয়েছে। এতে সময় ও মান উভয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠেছে। টানা এই প্রক্রিয়ায় একজন মানুষ কতটা সময় কাজ করতে পারে, সেই বিবেচনা করা হয়নি। মানুষ তো আর মেশিন নয়। একজন মানুষের কর্মক্ষমতা অনুযায়ী তার জন্য রিলিভার বা বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।’
উল্লেখ্য, জান্নাতুল ফেরদৌস যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২০১৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা (চিত্রকলা শৃঙ্খলা) বিভাগ থেকে এমএফএ এবং বিএফএ সম্পন্ন করেন। পরে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট গণনার দায়িত্ব পালন করতে এসে অসুস্থ হয়ে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুতে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে মাতম। তাঁর সহকর্মী কিংবা শিক্ষার্থী, কেউই যেন মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনার কাজে এসে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা দেন। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সামনে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার জন্য অপেক্ষারত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম আবর্তন ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার মৌরি বলেন, ‘চাদর সরিয়ে ম্যামের মুখটা দেখলাম। দেখে মনে হলো—উনি শুয়ে আছেন, কিছুই হয়নি তাঁর। দুদিন আগেও মন খারাপের সময় আমাদের বোঝালেন, জীবনে অনেক বড় হতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। এ রকম একটা মানুষ চোখের সামনে এভাবে চলে যাবেন কখনোই ভাবিনি। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, ম্যাম আসলে আমাদের মাঝে নেই।’
জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। কথা হলে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ‘একজন বড় বোন যেমন হন, উনি তেমন। তিনি যে শিক্ষক, এমন দূরত্ব রাখতেন না। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁর কাছে যাওয়া যেত, সব সময় সহযোগিতা করেছেন। জাকসু নিয়েও উনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। ওনার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সহকর্মীর অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। চারুকলা বিভাগের একজন প্রতিশ্রুতিশীল ও মেধাবী শিক্ষককে হারিয়ে বিভাগটি অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি ছিলেন বিভাগের একমাত্র শিক্ষার্থী, যিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর চলে যাওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার মনে এক গভীর আঘাত হেনেছে।’
তবে, এই ট্র্যাজিক ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অব্যবস্থাপনা এবং বিশেষ করে বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে—উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘প্রশাসনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও, তাদের ব্যবস্থাপনা কৌশল নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। ডিজিটাল পদ্ধতি বাদ দিয়ে অ্যানালগ পদ্ধতিতে নির্বাচন করায়, ২১টি হলের ভোট গণনা একটি মাত্র কেন্দ্রে করা হয়েছে। এতে সময় ও মান উভয় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠেছে। টানা এই প্রক্রিয়ায় একজন মানুষ কতটা সময় কাজ করতে পারে, সেই বিবেচনা করা হয়নি। মানুষ তো আর মেশিন নয়। একজন মানুষের কর্মক্ষমতা অনুযায়ী তার জন্য রিলিভার বা বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।’
উল্লেখ্য, জান্নাতুল ফেরদৌস যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২০১৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা (চিত্রকলা শৃঙ্খলা) বিভাগ থেকে এমএফএ এবং বিএফএ সম্পন্ন করেন। পরে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি ও ভিডিওর গোপনীয়তা রক্ষায় সুরক্ষা নীতি প্রণয়নসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের নারী প্রার্থীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব দাবি জানান।
৯ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পেরুলেও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
১১ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন সহকর্মীরা...
১৭ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, ‘আমাদের তিনটি হলের ভোট গণনা বাকি আছে। এই তিন হলের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাঁদের বলেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট গণনা শেষ করবেন।’
২ ঘণ্টা আগে