যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মূল ফটক পেরিয়ে মোটরযানটি থামাতেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘উপাচার্য স্যারের কাছে যাবেন?’ ‘না’, বলতেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কাকে খুঁজছেন?’ ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামান্না পড়েন না?’ এতটুকু উচ্চারণ করতেই তিনি বললেন, ‘ও, তামান্না আপুকে খুঁজছেন? ওনার মা আপুকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।
ভেতরের বিল্ডিংয়ে তাঁদের ক্লাস হয়।’ মোটরসাইকেল থেকে নেমে তামান্নাদের বাসার ঠিকানা জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখস্থ বলে দিলেন সব। এ-ও জানালেন, ক্যাম্পাসে তামান্না ও তাঁর মাকে সবাই চেনে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগে পড়েন তামান্না আক্তার নুরা। এবার প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে পথে হুইলচেয়ারে বসে আছেন তামান্না। পেছন থেকে হুইলচেয়ারটি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মা। এটি ক্যাম্পাসের প্রতিদিনের দৃশ্য। এই দৃশ্য ক্যাম্পাসে তামান্নার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাকেও পরিচিত করে তুলেছে। এরপর স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হুইলচেয়ারে বসা তামান্না ও তাঁর মায়ের সঙ্গে নানান কথায় মেতে উঠলাম।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পীর মেয়ে তামান্না নুরা। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। জন্মগতভাবেই তাঁর দুই হাত ও ডান পা নেই। বাঁ পা দিয়ে লিখেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে প্রাতিষ্ঠানিক সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। এরপর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। যবিপ্রবির গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে তামান্না মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ার সুযোগ পান। কিন্তু মাইক্রোবায়োলজিতে যেহেতু ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই, তাই উপাচার্যের পরামর্শে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হন।
ক্যাম্পাসের বিশাল মাঠের দূর্বা ঘাসের ওপর বসা কিংবা সহপাঠীদের হাত ধরে কখনো ঘোরাঘুরি করা হয়নি তামান্নার। সেই অপূর্ণতা দূর করেছেন তাঁর মা খাদিজা পারভীন শিল্পী। তিনি তামান্নাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে সারা ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়ান।
সহপাঠী ইসরাত জাহান চাঁদনী বলেন, ‘তামান্নাকে ক্যাম্পাসে আনা-নেওয়া ওর মা-ই করেন। আমরা অনেক সময় ক্লাসে ওকে সাহায্য করি। ওকে নিয়ে অন্যদের মতো আমরা সবাই আনন্দ-উল্লাস করি।’ আরেক সহপাঠী শাফাত হোসেন মাসুম জানান, বন্ধুরা তামান্নাকে লিফটে চারতলা থেকে পাঁচতলায় ওঠানামায় সহযোগিতা করলেও মূলত তাঁর মা ক্যাম্পাসে তাঁকে নিয়ে আসেন। ক্লাস শেষে নিয়ে যান।
মেধাবী তামান্নার এইচএসসিসহ সব পরীক্ষার সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোঁজখবর নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানকার প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধানে তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়।
তামান্নার মা খাদিজা পারভীন শিল্পী বলেন, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বা চলাফেরার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু তামান্নাকে নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারি। এটা ভালো লাগে। তামান্নার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগে আমরা খুশি।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মূল ফটক পেরিয়ে মোটরযানটি থামাতেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘উপাচার্য স্যারের কাছে যাবেন?’ ‘না’, বলতেই তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কাকে খুঁজছেন?’ ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তামান্না পড়েন না?’ এতটুকু উচ্চারণ করতেই তিনি বললেন, ‘ও, তামান্না আপুকে খুঁজছেন? ওনার মা আপুকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।
ভেতরের বিল্ডিংয়ে তাঁদের ক্লাস হয়।’ মোটরসাইকেল থেকে নেমে তামান্নাদের বাসার ঠিকানা জানতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখস্থ বলে দিলেন সব। এ-ও জানালেন, ক্যাম্পাসে তামান্না ও তাঁর মাকে সবাই চেনে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগে পড়েন তামান্না আক্তার নুরা। এবার প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের সামনে পথে হুইলচেয়ারে বসে আছেন তামান্না। পেছন থেকে হুইলচেয়ারটি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মা। এটি ক্যাম্পাসের প্রতিদিনের দৃশ্য। এই দৃশ্য ক্যাম্পাসে তামান্নার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাকেও পরিচিত করে তুলেছে। এরপর স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হুইলচেয়ারে বসা তামান্না ও তাঁর মায়ের সঙ্গে নানান কথায় মেতে উঠলাম।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পীর মেয়ে তামান্না নুরা। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। জন্মগতভাবেই তাঁর দুই হাত ও ডান পা নেই। বাঁ পা দিয়ে লিখেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে প্রাতিষ্ঠানিক সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেছেন। এরপর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। যবিপ্রবির গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে তামান্না মাইক্রোবায়োলজিতে পড়ার সুযোগ পান। কিন্তু মাইক্রোবায়োলজিতে যেহেতু ব্যবহারিক ক্লাস করতে হবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই, তাই উপাচার্যের পরামর্শে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হন।
ক্যাম্পাসের বিশাল মাঠের দূর্বা ঘাসের ওপর বসা কিংবা সহপাঠীদের হাত ধরে কখনো ঘোরাঘুরি করা হয়নি তামান্নার। সেই অপূর্ণতা দূর করেছেন তাঁর মা খাদিজা পারভীন শিল্পী। তিনি তামান্নাকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে সারা ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়ান।
সহপাঠী ইসরাত জাহান চাঁদনী বলেন, ‘তামান্নাকে ক্যাম্পাসে আনা-নেওয়া ওর মা-ই করেন। আমরা অনেক সময় ক্লাসে ওকে সাহায্য করি। ওকে নিয়ে অন্যদের মতো আমরা সবাই আনন্দ-উল্লাস করি।’ আরেক সহপাঠী শাফাত হোসেন মাসুম জানান, বন্ধুরা তামান্নাকে লিফটে চারতলা থেকে পাঁচতলায় ওঠানামায় সহযোগিতা করলেও মূলত তাঁর মা ক্যাম্পাসে তাঁকে নিয়ে আসেন। ক্লাস শেষে নিয়ে যান।
মেধাবী তামান্নার এইচএসসিসহ সব পরীক্ষার সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোঁজখবর নিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানকার প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধানে তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়।
তামান্নার মা খাদিজা পারভীন শিল্পী বলেন, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বা চলাফেরার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু তামান্নাকে নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারি। এটা ভালো লাগে। তামান্নার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগে আমরা খুশি।’
রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এ উদ্যোগ বর্তমান
৫ ঘণ্টা আগেলিসেনিংয়ে যখন প্রশ্নের ফোকাস ক্রিয়াপদ বা বিশেষণের ওপর হয়, তখন রেকর্ডিংয়ে মূল অর্থ ঠিক রেখে সেটিকে সরাসরি না বলে অন্য যেকোনোভাবে প্রকাশ করে থাকে।
১ দিন আগেডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোতে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। আজ রোববার (১৫ জুন) মাউশির সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২ দিন আগেআপনাকে একসঙ্গে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করতে হবে, দুটি প্রধান দায়িত্ব পালনে কোনো জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন?
২ দিন আগে