আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই, ১৯২২ সালের ডিসেম্বরে কার্জন হলে শিক্ষকদের এক সভায় ১৯২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী পরিষদ শিক্ষক সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেয়। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনুমোদন করলে তা কার্যকর হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ভিপি হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং জিএস বা সম্পাদক হন যোগেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি ছিলেন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় জিএস ছিলেন অবনীভূষণ রুদ্র। ১৯২৭-২৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হিসেবে কারো নাম পাওয়া যায় না, তবে এ সময় জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বি কে অধিকারী নামে একজন।
এরপর ১৯২৮-২৯ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি ছিলেন এ এম আজহারুল ইসলাম এবং জিএস ছিলেন এস চক্রবর্তী। ১৯২৯-৩০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি ছিলেন রমণীকান্ত ভট্টাচার্য এবং জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাজী রহমত আলী ও আতাউর রহমান খান। আতাউর রহমান খান পরে পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ডাকসুতে ১৯৩২ থেকে ১৯৪২—এই ১০ বছর ভিপি পদে কারো নাম পাওয়া যায় না। এই সময় ভবেশ চক্রবর্তী এ এইচ এম এ কাদের দুবার করে এবং আব্দুল আওয়াল খান ও আব্দুর রহিম এক মেয়াদে ডাকসুর জিএসের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে নির্বাচিত ডাকসুর প্রথম ভিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আহমেদুল কবির। নরসিংদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ প্রথমে ব্রিটিশ ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক এবং ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদুল কবির ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া, তিনি এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানির মতো উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের উদ্যক্তা।
তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও তিনি ঢাকা ও নরসিংদীর একটি করে আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাকিস্তান আমলে দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুর ভিপি হন ফরিদ আহমদ। কক্সবাজারের এই রাজনীতিবিদ মৌলবী ফরিদ আহমদ নামেই বেশি পরিচিত। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আহমেদুল কবির ও ফরিদ আহমদ—এই দুজনের আমলেই জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সুধীর দত্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে ভিপি হন জগন্নাথ হলের অরবিন্দ বসু এবং জিএস হন গোলাম আযম। এই সংসদও পরের বছরে থেকে যায় এবং একসময় গোলাম আযমের বদলে ভারপ্রাপ্ত জিএস হন এ জেড খান। গোলাম আজম পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং দলটির আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫০ সালে এই কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠনের আর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এরপর, ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নাম হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এরপর, ডাকসুর প্রথম নির্বাচিত ভিপি হন এ এস বারী। পরে তিনি ১৯৫১ সালে গঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে মওলানা ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় উপপ্রধানমন্ত্রী এবং জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বারীর সময় জিএস ছিলেন জুলমত আলী খান এবং ফরিদ আহমদ (ভারপ্রাপ্ত)।
১৯৫৪-৫৫ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। পরের বছরও ভিপি হন নিরোদ বিহারী নাগ, জিএস হন আব্দুর রব চৌধুরী। নিরোদ বিহারী নাগ ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এমনকি তিনি ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যও হয়েছিলেন। আর আব্দুর রব চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—উভয় দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপিও ছিলেন।
১৯৫৬-১৯৫৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন একরামুল হক, জিএস হন শাহ আলী হোসেন। ১৯৫৭-১৯৫৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন বদরুল আলম, জিএস হন মো. ফজলী হোসেন। ১৯৫৮-১৯৫৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আবুল হোসেন, জিএস হন এ টি এম মেহেদী। ফজলী হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৫৯-১৯৬০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমিনুল ইসলাম তুলা, জিএস হন ছাত্র ইউনিয়নের আশরাফ উদ্দিন মকবুল। ১৯৬০-১৯৬১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন জাহানারা আখতার, জিএস হন অমূল্য কর। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ প্রথম কোনো নারী ভিপি পায়। ১৯৬১-১৯৬২ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন এস এম রফিকুল হক, জিএস হন এনায়েতুর রহমান। ১৯৬২-১৯৬৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, জিএস হন ছাত্রলীগ নেতা কে এম ওবায়েদুর রহমান। পরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন রাশেদ খান মেনন, জিএস হন মতিয়া চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে প্রথম নারী জিএস পায় ডাকসু। তাঁরা দুজনই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। পরের বার ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের বোরহান উদ্দীন, জিএস হন আসাফুদ্দৌলা ওরফে আশরাফ উদ-দৌলাহ পাহলোয়ান। তিনি জামালপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
পরের বছর নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু। ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী, জিএস হন শফি আহমেদ। ১৯৬৭-১৯৬৮ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্র ইউনিয়নের মাহফুজা খানম, জিএস মোরশেদ আলী। স্বাধীনতার পর প্রথম নারী ভিপি ছিলেন মাহফুজা খানম।
১৯৬৮-১৯৬৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, জিএস হন নাজিম কামরান চৌধুরী। তোফায়েল আহমেদ পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং নাজিম কামরান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এমপি হন সিলেট থেকে। এর পরের বছরও নেতৃত্বহীন ছিল ডাকসু।
স্বাধীনতার পর ডাকসুতে প্রথম ভিপি হন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম; জিএস হন মাহবুব জামান। তাঁরা দুজনেই ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৯-১৯৮০ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষেও ভিপি হন মাহমুদুর রহমান মান্না, জিএস হন আখতারুজ্জামান। মান্না জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন আর আখতারুজ্জামান ছিলেন বাসদ ছাত্রলীগের নেতা।
১৯৮২-১৯৮৩ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আখতারুজ্জামান, জিএস হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ (বাবলু)। বাবলু জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন এবং এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ডাকসুর নির্বাচন হয়নি। ১৯৮৯-১৯৯০ শিক্ষাবর্ষে ডাকসুতে ভিপি হন ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস হন মুশতাক হোসেন। ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন আমানউল্লাহ আমান এবং জিএস হন খায়রুল কবির খোকন। তাঁরা দুজনেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। পরে কিছুদিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্রদল নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
১৯৯১ সালের ১৮ জুন ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় সহিংসতার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে নির্বাচন হয়নি। ২০০৫ সালে ডাকসু নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হলেও সেবার নির্বাচন করা হয়নি। ২০১২ সাল থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরালো হয়। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। সবশেষ ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস হন গোলাম রাব্বানী।
স্বাধীনতার পর থেকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনীহা দেখা যায়। ফলে ১৯৭১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১৯ বার নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৭ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছয় বছর বাদে এ বছর যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে ২৮টি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। তাঁদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন বাম দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রার্থী রয়েছেন, তেমনই ‘নির্দলীয়’ অনেকেই আছেন, যাঁরা ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল
ভিপি- আবিদুল ইসলাম খান, ইসলামিক স্টাডিজ, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
জিএস- শেখ তানভীর বারী হামিম, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, কবি জসীমউদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল কেন্দ্র)
এজিএস- তানভীর আল হাদী মায়েদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
ছাত্রশিবির (ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট)
ভিপি- মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন খান, লোক প্রশাসন, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- আব্দুল কাদের, সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন কেন্দ্র)
জিএস- আবু বাকের মজুমদার, ভুতত্ত্ব বিভাগ, ফজলুল হক মুসলিম হল, (কার্জন হল কেন্দ্র)
এজিএস- আশরেফা খাতুন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব স্কুল)
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
ভিপি- উমামা ফাতেমা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, সুফিয়া কামাল হল (ভূতত্ত্ব বিভাগ কেন্দ্র)
জিএস- আল সাদি ভূঁইয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
বামপন্থী সাতটি সংগঠন (প্রতিরোধ পর্ষদ)
ভিপি- শেখ তাসনিম ইমরোজ ইমি, সমাজবিজ্ঞান শামসুন নাহার হল,
জিএস- মেঘমল্লার বসু, জগন্নাথ হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
এজিএস- জাবির আহমেদ জুবেল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র
সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ (স্বতন্ত্র)
ভিপি- জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, আরবি, কবি জসীম উদ্দীন হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- মাহিন সরকার (প্রার্থিতা প্রত্যাহার, আবু বাকেরকে সমর্থন)
এজিএস- ফাতেমা শারমিন অ্যানি, ইসলামিক স্টাডিজ, শামসুন নাহার হল (ইউল্যাব)
ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত (ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ)
ভিপি- বিন ইয়ামীন মোল্লা, লোকপ্রশাসন, স্যার এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
জিএস- সাবিনা ইয়াসমিন, শান্তি ও সংঘর্ষ, রোকেয়া হল (টিএসসি কেন্দ্র)
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন (সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ)
ভিপি- ইয়াছিন আরাফাত ইসলামিক স্টাডিজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (উদয়ন স্কুল)
জিএস- খায়রুল আহসান মারজান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, আরবি বিভাগ, এ এফ রহমান হল (সিনেট ভবন)
স্বতন্ত্র আলোচিত প্রার্থী
ভিপি- শামীম হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বিজয় একাত্তর হল (সিনেট ভবন)
ভিপি- তৈয়ব হালদার (সবচেয়ে বয়স্ক ভিপি প্রার্থী), সলিমুল্লাহ হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
জিএস- আরাফাত চৌধুরী, আইন বিভাগ, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- হাসিবুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান হল, (উদয়ন স্কুল
এজিএস- তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র)
এজিএস- আশিকুর রহমান জিম, সূর্যসেন হল (উদয়ন স্কুল)
এজিএস- মহিউদ্দিন রনি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র)
গবেষণা সম্পাদক- সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, রোকেয়া হল (টিএসসি)
ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবিদুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শেখ তানভীর বারী হামিম, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য— জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান, এবং নিত্যানন্দ পাল।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট (ছাত্রশিবির) প্রার্থী
সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ এবং সহসাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনীম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া।
সদস্য হিসেবে আছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, এবং আনাস বিন মনির।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্রার্থী
সহ-সভাপতি (ভিপি) আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু বাকের মজুমদার, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে আশরেফা খাতুন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত মো. হাসিবুল ইসলাম পরে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মিতু আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাকিব, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিয়ান ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র, সমাজসেবা সম্পাদক মহির আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন আনিকা তাহসিনা।
সদস্য— মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান এবং ফেরদৌস আলম।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য
সহ-সভাপতি (ভিপি) উমামা ফাতেমা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল সাদী ভূঁইয়া, এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জাহেদ আহমদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম ফেরদৌস, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ইসরাত জাহান, এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক নুসরাত জাহান।
সদস্য— নওরীন সুলতানা, আবিদ আবদুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের, আবদুল্লাহ আলম মুবিন, অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ, মো. মুকতারুল ইসলাম, হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক, মো. সজীব হোসেন এবং সাদেকুর রহমান।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এবার আবেদন করতে পারবেন। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্বিতীয়বারও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
‘এ’ (বিজ্ঞান), ‘বি’ (মানবিক) ও ‘সি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এই তিন ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থী। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরের ২৭ মার্চ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট এবং ১০ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এর আগে, ৭ ডিসেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৫ ঘণ্টা আগেভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি
মো. দিদার হোসেন

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী একটা রোডম্যাপ তৈরি করে সবটুকু দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া।
অ্যাডমিশনে সবচেয়ে ভীতির নাম ইংরেজি। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা ইংরেজি পড়ি ও চর্চা করি; কিন্তু অ্যাডমিশনে ভর্তি-ইচ্ছুকেরা সবচেয়ে বেশি ইংরেজিতেই ফেল করেন। আর তাই, ইংরেজির সিলেবাসটা সবার আগে বোঝা দরকার।
প্রশ্ন প্যাটার্নের দিকে তাকালে দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, (Right Form of Verb, Preposition, Noun, Tense, Voice, Figure of Speech, Narration, Synonym-Antonym, Phrase, Spelling), যেগুলো থেকে প্রতিবছরই এক বা একাধিক প্রশ্ন আসে। সুতরাং সে টপিকগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
পাশাপাশি যেগুলো থেকে প্রশ্ন আসে না, শেষের এ সময়ে সেগুলো অতটা গুরুত্ব দিয়ে পড়ার খুব একটা প্রয়োজন নেই। আমরা ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখব, ইংরেজি এমসিকিউর গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং রিটেনের পুরোটাই আসে এইচএসসির ইংরেজি প্রথম পত্র বোর্ড বই থেকে।
যদিও বাংলার সিলেবাস তুলনামূলক সহজ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক পূর্ববর্তী অনীহার জন্য বাংলায়ও বড় একটা হোঁচট খান। অ্যাডমিশনের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বইয়ের গদ্য, পদ্য ও সহপাঠ থেকে প্রায় অর্ধেক প্রশ্ন করা হয়। বাকিটা ব্যাকরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক (যেমন: উপসর্গ, বানান, উচ্চারণ, ক্রিয়ার কাল, অভিধান, পদ, সমাস, সন্ধি) ও বিরচন (সমার্থক শব্দ, পরিভাষা, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ) থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। ব্যাকরণ ও বিরচন অংশের জন্য শিক্ষার্থীদের নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই অনুসরণ করাটাই শ্রেয়।
সাধারণ জ্ঞান অংশটি অনেকের কাছে নতুন বিষয় বলে বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমরা প্রশ্নের দিকে তাকালে দেখতে পাব, এর চারটি অংশ নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে চলে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, সংবিধান, সংস্কৃতি, রাজনীতি, জনসংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য দেশ পরিক্রমা, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন, যুদ্ধ, চুক্তি, বিপ্লব, সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মৌলিক বিষয়াবলি (অর্থনীতি, পৌরনীতি, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান) ও সাম্প্রতিক অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক শাখার অনেক শিক্ষার্থী ও মানবিক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। যেখানে চান্স পেতে আপনাকে অবশ্যই প্রথম দিকের মেরিট পজিশনগুলোতে থাকতে হবে। সবার জন্য শুভকামনা রইল।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৫ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই বৃত্তির আওতায় একদিকে যেমন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে ইতালির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ইউরোপিয়ান শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ মিলবে।
ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া ইতালির অন্যতম প্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৪৮১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। উত্তর ইতালির বন্দরনগরী জেনোয়ায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপের শিক্ষাঙ্গনে গবেষণা ও একাডেমিক উৎকর্ষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আধুনিক ল্যাব, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরিবেশ এবং শিল্প খাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধা। এই বৃত্তির আওতায় বিভিন্ন প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে, যা দিয়ে পড়াশোনার সময় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা খরচে বা স্বল্পমূল্যে আবাসনের ব্যবস্থাও থাকছে। পাশাপাশি আধুনিক লাইব্রেরি, গবেষণাগার ও উন্নত শিক্ষার্থী সেবার সুবিধা তো রয়েছেই।
আবেদনের যোগ্যতা
ইতালির জেনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত কোর্সের নির্ধারিত একাডেমিক যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। ভালো শিক্ষাগত ফলাফল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকৃত আগ্রহ থাকতে হবে। প্রার্থীদের আগ্রহের বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোর্সভেদে ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক হতে পারে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমের পাশাপাশি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, ইংরেজি অথবা ইতালিয়ান ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত বিবৃতি (পার্সোনাল স্টেটমেন্ট) ও মোটিভেশন লেটার, দুটি সুপারিশপত্র, বৈধ পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ সিভি বা রিজিউমে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এর বাইরে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রও চাওয়া হতে পারে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য অনুষদ, ব্যবসা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যা এবং স্থাপত্য ও নকশা অনুষদ। প্রতিটি অনুষদের অধীনে রয়েছে কমপক্ষে ৭-৮টি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা শিক্ষার অধীনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইকোনমিকস, ফাইন্যান্স ও ম্যানেজমেন্ট আর সামাজিক বিজ্ঞান ও মানববিদ্যার অধীনে আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ মার্চ, ২০২৬।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত।
৫ ঘণ্টা আগেপল্লব শাহরিয়ার

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলার সময় চারপাশে কত কিছুই না ঘটে। বন্ধুর ফিসফাস, ব্যাগে লুকোনো টিফিনের গন্ধ, আর মাঝেমধ্যে মনে প্রশ্ন ওঠে—‘এমন পরিবেশে মনোযোগ দেব কীভাবে!’ অথচ শেখার শুরুটা এই শ্রেণিকক্ষ থেকেই। শিক্ষক যা শিখিয়ে দেন, সে মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে পড়াশোনা হয়ে ওঠে সহজ এবং নিয়মিত। তাই মনোযোগ বাড়ানোর কৌশলগুলো জানা থাকলে শুধু পরীক্ষা নয়, প্রতিটি ক্লাসই হয়ে উঠবে নতুন কিছু শেখার দারুণ অভিজ্ঞতা। চলুন এমনই দারুণ কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
সামনে বসার চেষ্টা করতে হবে
সামনে বসার চেষ্টা করলে শিক্ষককে স্পষ্টভাবে দেখা ও শোনা যায়। ফলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। পেছনের ফিসফাস বা ছোটখাটো বিভ্রান্তি কম থাকে। বোর্ডের লেখা দ্রুত নোট করা যায় এবং কোনো অংশ না বুঝলে শিক্ষককে প্রশ্ন করতেও সুবিধা হয়। সামনে বসা শেখাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
খাতা-কলম প্রস্তুত রাখতে হবে
ক্লাস শুরুর আগেই খাতা-কলম প্রস্তুত রাখলে মন পড়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে শুরু করে। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে থাকায় অযথা খোঁজাখুঁজি করতে হয় না, ফলে মনোযোগ নষ্ট হয় না। শিক্ষক বোঝানো শুরু করলেই দ্রুত নোট নেওয়া যায়। প্রস্তুতি থাকলে শেখা হয় গুছানো, দ্রুত এবং আরও কার্যকর।
বোর্ডের লেখা সঙ্গে সঙ্গে নোট করতে হবে
বোর্ডে শিক্ষক যে তথ্য লেখেন, তা সাধারণত পাঠের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সেটা সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেললে কোনো তথ্য বাদ পড়ে না। বোর্ডের লেখা দেখে লিখলে বিষয়টি মাথায় আরও পরিষ্কারভাবে বসে যায়। এতে মনোযোগ ভাঙার সুযোগ কমে এবং শেখা শক্তভাবে মনে থাকে। নোট নিতে গেলে বোঝার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হয়।
না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করতে হবে
ক্লাসে কোনো অংশ না বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করা শেখার সবচেয়ে ভালো উপায়। সন্দেহ জমতে দিলে মনোযোগ ভেঙে যায় এবং পরের অংশ বোঝাও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশ্ন করলে বিষয়টি সে মুহূর্তেই পরিষ্কার হয়ে যায়, ভুল ধারণা সৃষ্টি হয় না এবং শেখা গভীর হয়। শিক্ষকও বুঝতে পারেন কোথায় তোমার সাহায্য দরকার, তাই ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। নিয়মিত প্রশ্ন করার অভ্যাস আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পড়াশোনা হয় সহজ ও স্বচ্ছ।
নিজের খাতায় ‘ছোট সারাংশ’ লিখে রাখতে হবে
নিজের খাতায় ছোট সারাংশ লিখে রাখা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে। ক্লাস শেষে ১-২ লাইনে কী শিখলে তা নিজের ভাষায় লিখলে বিষয়টি মাথায় দ্রুত বসে যায়। সারাংশ লিখতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আবার মনে পড়ে, ফলে শেখা আরও দৃঢ় হয়। পরে রিভিশন করার সময় পুরো খাতা না দেখেও শুধু এই ছোট সারাংশ দেখে পাঠ মনে করা যায়। এতে সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে এবং পড়া হয় সংগঠিত।
ক্লাস শেষে ২ মিনিটের ‘রিভিউ
ক্লাস শেষ হলে ২ মিনিট সময় নিয়ে খাতায় তাকাও—
এই ছোট রিভিউ মনোযোগকে আরও স্থায়ী করে।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়; বরং ছোট ছোট কৌশলেই তা তৈরি করা সম্ভব। সামনে বসা, নোট নেওয়া, প্রশ্ন করা, নিজের ভাষায় সারাংশ লেখা—এসবই শেখাকে আরও সহজ করে তোলে। মনোযোগ বাড়লে পড়াশোনা শুধু সহজই হয় না, আনন্দদায়কও হয়ে ওঠে। কারণ মন যে জায়গায় থাকে, শেখা সেখানেই সবচেয়ে দ্রুত হয়।

প্রায় পাঁচ বছর পর আবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিভিন্ন পদের বিপরীতে অংশ নিচ্ছেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। তবে এই প্রথম নয়, আগেও আরও ৩৭ বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছে।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া চলবে। এবার সেকেন্ড টাইমেও ভর্তির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাডমিশন জার্নিটা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তীয় সময়ের একটি। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এ পর্যায়ে এসে হাবুডুবু খান। হতাশায় ভোগেন। এই স্টেজে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়গুলো ঠিক করতে করতেই সময় পার হয়ে যায়। সুতরাং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশের এই পরীক্ষায় ভালো করার জন্য প্রথম দরকার প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে...
৪ ঘণ্টা আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুখবর। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ইউনিভার্সিটি অব জেনোয়ায় বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি...
৪ ঘণ্টা আগে