রাবি সংবাদদাতা
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যে পোষ্য কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মনোনয়নপত্র বিতরণ স্থগিত, ছাত্রদলের নির্বাচন পেছানোর দাবি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পিএসসির সদস্যপদে নিয়োগ, সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা শঙ্কা।
রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাবিতে আবারও আলোচনায় এসেছে পোষ্য কোটা। ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা’ উল্লেখ করে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। গত মঙ্গলবার তাঁরা ক্লাস ও দাপ্তরিক কাজ বর্জন করেন। এই আন্দোলন নিয়ে ইতিমধ্যে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেছেন, দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পোষ্য কোটা আন্দোলনের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনে কমপক্ষে তিন শতাধিক শিক্ষক এবং সার্বিক তদারকির জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজন। তাঁরা যদি নির্বাচনী কাজে সহযোগিতা না করেন, তাহলে সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না।’
নতুন তফসিলের দাবি
নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে ছাত্রদল নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নেই, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়মিত হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন অর্থহীন। ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনকে দ্রুত নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’
এদিকে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরের দাবি তুলেছেন। ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরসহ তিন দাবিতে ১৪ আগস্ট বাম সংগঠনগুলো, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সাবেক সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ গণ-অনশন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা শিগগির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
সর্বশেষ সংকট তৈরি হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এম আমজাদ হোসেনকে নিয়ে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্যপদে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সাংবিধানিক পদ পিএসসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিলে তিনি অন্য কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমি গণমাধ্যম থেকে নিয়োগের খবর জেনেছি। করণীয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।’
সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী নির্ধারিত সময়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পিএসসিতে যোগদান করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন কাউকে নিয়োগ দেবে।’
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর মধ্যে পোষ্য কোটা বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মনোনয়নপত্র বিতরণ স্থগিত, ছাত্রদলের নির্বাচন পেছানোর দাবি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পিএসসির সদস্যপদে নিয়োগ, সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা শঙ্কা।
রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাবিতে আবারও আলোচনায় এসেছে পোষ্য কোটা। ‘প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা’ উল্লেখ করে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে। গত মঙ্গলবার তাঁরা ক্লাস ও দাপ্তরিক কাজ বর্জন করেন। এই আন্দোলন নিয়ে ইতিমধ্যে আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেছেন, দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পোষ্য কোটা আন্দোলনের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’
সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনে কমপক্ষে তিন শতাধিক শিক্ষক এবং সার্বিক তদারকির জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজন। তাঁরা যদি নির্বাচনী কাজে সহযোগিতা না করেন, তাহলে সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না।’
নতুন তফসিলের দাবি
নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন সংগঠন ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে ছাত্রদল নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নেই, ক্লাস-পরীক্ষা নিয়মিত হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন অর্থহীন। ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল রাজনৈতিক সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনকে দ্রুত নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’
এদিকে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল থেকে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরের দাবি তুলেছেন। ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরসহ তিন দাবিতে ১৪ আগস্ট বাম সংগঠনগুলো, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সাবেক সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে আমরণ গণ-অনশন শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা শিগগির কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
সর্বশেষ সংকট তৈরি হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এম আমজাদ হোসেনকে নিয়ে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্যপদে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সাংবিধানিক পদ পিএসসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিলে তিনি অন্য কোনো দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমি গণমাধ্যম থেকে নিয়োগের খবর জেনেছি। করণীয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।’
সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশাবাদী নির্ধারিত সময়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পিএসসিতে যোগদান করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন কাউকে নিয়োগ দেবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জগন্নাথ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদ, জিএস পদে মেঘমল্লার এবং এজিএস পদে মায়েদ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে আবিদ পেয়েছেন ১২৭৬ ভোট। অন্যদিকে সাদিক কায়েম ১০, উমামা ২৭৮, শামীম ১৭১, ইমি ১১, আব্দুল কাদের ২১ ও মোল্লা ৫ ভোট পেয়েছেন।
১১ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জগন্নাথ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদ, জিএস পদে মেঘমল্লার এবং এজিএস পদে মায়েদ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে আবিদ পেয়েছেন ১২৭৬ ভোট। অন্যদিকে সাদিক কায়েম ১০, উমামা ২৭৮, শামীম ১৭১, ইমি ১১, আব্দুল কাদের ২১ ও মোল্লা ৫ ভোট পেয়েছেন।
১৭ মিনিট আগেডাকসু নির্বাচনে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোট কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে শুধু শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৪০৯৬। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৬০৭ জন।
২০ মিনিট আগেকেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ফজলুল হক মুসলিম হলে ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরাই এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম পেয়েছেন ৮৪১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল পেয়েছেন ১৮১ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে