Ajker Patrika

নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে ইডেন কলেজ

অর্চি হক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩১
নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে ইডেন কলেজ

১৮৭৩ সালে ঢাকায় ‘শুভ স্বাধিনি সেবা’ নামক একটি মানবহিতৈষী সংস্থা ব্রাহ্মণ মেয়েদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন গভর্নর লেফটেন্যান্ট স্যার অ্যাসলে ইডেনের নামানুসারে ১৮৭৮ সালে বিদ্যালয়টির নাম রাখা হয় ইডেন বালিকা বিদ্যালয়। এরপর বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৫৮ সালে পরিচিতি পায় ‘ইডেন মহিলা কলেজ’ নামে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে ১৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক অর্চি হক

প্রশ্ন: ইডেন মহিলা কলেজ এ বছর ১৫০ বছর উদ্‌যাপন করছে। প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আপনার মন্তব্য কী? 
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইডেন মহিলা কলেজ বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের অন্যতম সেরা নারী বিদ্যাপীঠ। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এ দেশের নারী শিক্ষার্থীদের প্রত্যয়ী, আত্মনির্ভরশীল ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে ১৫০ বছরে পা দিয়েছে। ইডেন কলেজ আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসার জায়গা। ১৫০ বছর উদ্‌যাপনের 
অংশ হওয়া, ইডেন কলেজকে উপস্থাপন করার 
এই আনন্দ সত্যিই গৌরবের। 

প্রশ্ন: কলেজটি আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। দুটি সময়কে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? 
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: পরীক্ষার ফলাফলে ইডেন কলেজের বরাবরই ভালো অবস্থানে রয়েছে। ২০১৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সারা দেশের মহিলা কলেজগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান, ঢাকা বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান ও জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত হওয়ার পরও এ ধারা অব্যাহত আছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তিত সিলেবাসের সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নের কাজ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হওয়ার পর থেকে লেখাপড়া শেষ করে কর্মক্ষেত্রে (প্রাইভেট ও পাবলিক প্রতিষ্ঠানে) অধিকতর সুযোগ পাচ্ছে একই সঙ্গে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও অংশগ্রহণ—দুই-ই বেড়েছে। 

প্রশ্ন: মেয়েদের কলেজের মধ্যে ইডেনকে প্রথম অবস্থানে ধরা হয়, কীভাবে সম্ভব হয়েছে এটি? 
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: একটু ফিরে দেখি, নারীর স্বাধীন সত্তার বিকাশের অন্যতম লক্ষ্য নিয়ে ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইডেন মহিলা কলেজ। এটি এই অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন নারী বিদ্যাপীঠ। কালের পরিক্রমায় শিক্ষা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রগতিশীলতায় সমৃদ্ধ এক গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এটি। স্বদেশি আন্দোলন, ভাষা সংগ্রাম থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা।

প্রশ্ন: ইডেনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল বরাবরই ভালো এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের হারও ভালো। একটি উদাহরণ হলো, ইডেন কলেজের ৪৮ জন বর্তমান শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, যাঁরা সবাই বিসিএস ক্যাডার। কীভাবে সম্ভব হয়েছে এটি? 
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ, আবাসিক সুবিধা থাকায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি ভালো ফল করতে সাহায্য করছে। এ ছাড়া ইডেনের ছায়াবীথি, ডিবেটিং ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, বিএনসিসি, রোভার ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ, শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তার সহায়ক।

প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে প্রতিষ্ঠানটি নেতিবাচকভাবে আলোচনায় এসেছে। এ বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী?
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: দেখুন, ১৫০ বছরে পৌঁছে গেল একটি নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তার এতগুলো বিভাগ, এত কার্যক্রম, কিন্তু শুধু রাজনৈতিক বা নেতিবাচক ঘটনাটুকু পত্রপত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। এমনকি ছোট ঘটনা হলেও তা পত্রিকায় জায়গা করে নেয়। কিন্তু এ দেশের নারী সমাজকে পরাধীনতার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে এবং দীর্ঘকাল ধরে এ দেশে নারী শিক্ষা বিশেষ করে নারীর উচ্চশিক্ষা অর্জন এবং কর্মক্ষেত্র, অর্থনীতি, রাজনীতিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নে অনবদ্য ভূমিকা রাখা এ প্রতিষ্ঠানের অনেক সাফল্যের খবর সামনে আসে না। আমার কাছে মনে হয়, এই বিষয়ে আপনাদের গণমাধ্যমের কিছু দায়বদ্ধতা আছে।

প্রশ্ন: জানা গেছে, আবাসিক হলের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম, এই সংকট নিরসনে কি কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?
সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য: বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিবছর যে হারে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, সে হিসাবে আসন খালি হয় না। ফলে সিট সংকট থেকেই যায়। এ থেকে উত্তরণে নতুন হল তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। ২০ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করা রাতারাতি সম্ভব না হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানের বড় অংশ জুড়ে আছে আবাসন সংকটের সমাধান। অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আছে। আশা করি এই সংকট আর থাকবে না।

সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য অধ্যক্ষ, ইডেন মহিলা কলেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য: (পর্ব-১)

শিক্ষা ডেস্ক
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

  • Welcome to our bank. – আমাদের ব্যাংকে স্বাগতম।
  • May I have your name, please?– দয়া করে আপনার নাম বলবেন?
  • How can I assist you? – কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
  • Please fill out this form. – দয়া করে এই ফরমটি পূরণ করুন।
  • Do you have an account with us? – আপনার আমাদের সঙ্গে কোনো অ্যাকাউন্ট আছে কি?
  • I would like to open a new account. – আমি একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।
  • What type of account would you like to open? – আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান?
  • I’d like a savings account, please.– সেভিংস অ্যাকাউন্ট, অনুগ্রহ করে।
  • I want to deposit money. – আমি টাকা জমা দিতে চাই।
  • How much would you like to deposit? – কত টাকা জমা দিতে চান?
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।

সুযোগ-সুবিধা

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: বাংলায় বাড়তি প্রস্তুতি চাই

সিরাজুম মুনিরা রিংকী
সিরাজুম মুনিরা রিংকী।
সিরাজুম মুনিরা রিংকী।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা প্রায় সব শিক্ষার্থীর কাছে বড় উদ্বেগের বিষয়। এ উদ্বেগ কমাতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশলগত প্রস্তুতি।

সময় ব্যবস্থাপনা

শুরুতে সময়কে সুষমভাবে ভাগ করে নিতে হবে। ইংরেজি, বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়তে হবে। সময় ব্যবস্থাপনায় গড়িমসি করলে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যা হবে, তাই শুরু থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

বাংলা অংশে পাঠ্যবইয়ের গদ্য, পদ্য ও ব্যাকরণ সমান গুরুত্ব দিয়ে বুঝে পড়তে হবে। বাংলা প্রথম পত্রের প্রতিটি গল্প-কবিতার পাঠপরিচিতি ও মূলভাব মুখস্থ থাকলে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষা হয়, সেখানেও ভালো করা যাবে। নাটক ও উপন্যাসের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। ব্যাকরণে বানান, পদ ও পদপ্রকরণ, সমাস, প্রকৃতি-প্রত্যয়, অভিধান-বর্ণানুক্রম, কারক-বিভক্তি, পদাশ্রিত নির্দেশক ও বিরচন অংশের টপিকগুলো মুখস্থ রাখতে হবে। পাশাপাশি বাজারের একটি ভালো প্রস্তুতিমূলক বই নিয়ে অনুশীলন করা উচিত। ইংরেজিতে কবিতা ও থিম রাইটিং ভালোভাবে অনুশীলন করবে। প্রতিটি ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ শব্দের অর্থ ও বাক্য গঠন দেখে নাও। ব্যাকরণের সব টপিক টানা পড়ে শেষ করলে পরে রিভিশনে সময় কম লাগবে।

রিভিশন

পুরোনো পড়া ভুলে না যেতে প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা রিভিশনের জন্য রাখো। সব বিষয় একবার পড়ে শেষ হলে পরীক্ষার সময় মাথায় রেখে নতুন রুটিন বানিয়ে দিনের পড়া দিনে শেষ করো। ভালো ফলের জন্য অন্তত তিনবার রিভিশন দেওয়া উচিত। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো চিহ্নিত করে নোটে লিখে রাখো। পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পড়বে, সময় পেলে বাকি বিষয়গুলো চোখ বুলিয়ে নাও।

সুস্বাস্থ্য

শরীর সুস্থ থাকলে মনোযোগ ও ধৈর্য বাড়ে। পরিবারের বাইরে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ও পুষ্টিকর খাবার খাবে। সুস্থতা তোমাকে পরীক্ষার সময় বাড়তি শক্তি জোগাবে।

সবশেষে আসে পরীক্ষায় বসা। আগের রাতে যতটা সম্ভব টেনশনমুক্ত থাকবে। পরীক্ষার হলে গিয়ে শান্ত থাকবে—প্রয়োজনে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারো। খাতা পেয়ে ওএমআর শিটে ঠিকভাবে সব তথ্য পূরণ করবে। প্রশ্ন হাতে পেয়ে ঘাবড়ে না গিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে সময় বুঝে পরীক্ষা দেবে। আশা করি, তোমরা সবাই ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল দোয়া ও নতুন সূচনার শুভকামনা।

সিরাজুম মুনিরা রিংকী, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত